দেখি নাই ফিরে - (Part-27)

বাইরের গেটে গাড়ির আওয়াজ পেলাম। বুঝলাম সবাই এলেন। ভজু বাইরে বেরিয়ে গেছে।
আমি রান্নাঘরে ভাজা ভাজি করছি। মিত্রা এসে ঝড়ের মতো ঢুকলো। আরিব্বাশ কি করছিস রে, বলে একটা গরম পকৌরা তুলে নিলো, গালে পুরেই চেঁচিয়ে উঠলো বুবুন বুবুন ফুঁ-দে ফুঁ-দে, আমি ওর দিকে তাকালাম, ও হাঁ করে রয়েছে, হেসে ফেললাম, লোভী। আমি ওর হাঁ করা মুখে ফুঁ-দিলাম, বড়মা এসে রান্না ঘরের গেটে দাঁড়ালেন।
কি করছিস।
ফুঁ-দিচ্ছি। গরম মুখে তুলেছে ছেঁকা লেগে গেছে।
মিত্রার চোখ জলে ভরে উঠেছে। বড়মা হাসতে হাসতে ডাকলেন ও ছোটো দেখবি আয়।
আমি তখনো মিত্রার মুখে ফুঁ-দিচ্ছি।
ছোটমা আমার আর ওর অবস্থা দেখে হেঁসে কুটি কুটি খাচ্ছে।
হলো।
এতো গরম রান্না করে কেউ।
তোকে কে খেতে বলেছে।
ছোটমা একটা খাও দেখো কি দারুন বানিয়েছে।
মিত্রা একটা তুলে ছোটমার মুখে গুঁজে দিলো একটা বড়মার মুখে।
আমি চিকেন ফ্রাইটা একটু উল্টে পাল্টে দিচ্ছি।
বুঝলি মিত্রা তুই একটা ফাউ পেলি। ছোটমা হাসতে হাসতে বললেন।
তা বলতে, রান্নার হাত থেকে বাঁচলাম।
তা বাবুর্চি সাহেব আজকের মেনু।
ছোটমাকে বললাম।
করেছিস কি তুই। সব শেষ।
হ্যাঁ শেষের পরযায়।
স্যার আমাদের একটু যদি চা দেন।
তাকিয়ে দেখলাম মল্লিকদা। দাদা সোফায় বসে আছেন।
আরিব্যাস আজ দেখছি রাজযোটক, সবাই একসঙ্গে, মনে হচ্ছে কিছু একটা স্ক্যাম হয়েছে।
তোর জেনে লাভ। তোকে দুপুরে ডেকেছিলাম, তুই যাস নি।
একটা চিকেন দিবি। দারুন ভাজছিস। রংটাও হেভি লাগছে।
খাওয়ার সময় একটা কম পাবি। সব গোনা গুনতি।
তুই একটা কম খাস। যে রান্না করে সে খায় না, বড়মাকে দেখিস না।
ভাগ এখান থেকে।
ছোটমা যাওনা একটা নিয়ে এসো না।
তুই যা।
একবারে আসবি না দেবো গরম খুন্তির ছেঁকা দিয়ে।
সে কি রে। নিজে যখন তুলে খাস।
আমি পকৌরা ভাজা শেষ হতে, কড়া নামিয়ে গরম জল বসালাম।
ওটা কি করবি।
তোমরা চা খাবে বললে।
বাবাঃ তোর এতো টনটনে জ্ঞান। ছোটমা বললো।
যা এবার বেরো, আমি করে নিচ্ছি। বড়মা আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন, মিত্রা একটা ঠ্যাংতুলে নিয়ে খাচ্ছে। বিউটিফুল।
সেটা কিরে।
ঠ্যাংটা।
আমি ভাত বসাই নি। শেষে বসাবো ঠিক করেছিলাম।
ঠিক আছে আমি দেখে নিচ্ছি। আমার গালে হাত দিয়ে বললো, তুই একেবারে ঘেমে গেছিস। যা যা জমা ছাড়।
শুরু হলো।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম।
তুই এতো ভালো রান্না কবে থেকে করতে শিখলি।
তোর জেনে লাভ।
তোকে দিয়ে মাঝে মাঝে রান্না করাবো। বড়মা আর একটা দেবে।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম, রেওভাটের মতো খেয়ে চলেছে।
কিরে। বড়মা বললেন
আর একটা ঠ্যাং।
নে ওখান থেকে।
সর সর বড়মা পারমিশন দিয়েছে।
মিত্রা আমাকে ঠেলে এগিয়ে গেলো।
আর খাবি না।
তুই এত ভালো রান্না করেছিস কেনো। না করলে খেতাম না।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে না হেসে পারলাম না, এতো পরিতৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে, সমস্ত অভিব্যাক্তি ওর চোখে মুখে ফুটে উঠেছে।
রাতে আর খাবি নাতো।
উঁ, বলেছে। সেই বিকেল থেকে কিছু খাই নি।
হ্যাঁরে মিত্রা......



কি রকম।
ও ঠিক আগের মতো বিহেব করছে না।
কেনো জানিস।
বল।
তোর কিছু হলে অনি বেক করবে, প্রয়োজনে তোকে একলাফে অনেক ওপরেও তুলে দিতে পারে, অমল সেটা জেনে ফেলেছে।
সত্যি বলছি অনি এতোটা ভাবি নি।
তুই ভাবিস নি, আমি ভাবি।
তোকে দিয়ে আমি একটা কাজ করাবো, যেটা কামিং ইলেকসনে আমি কাজে লাগাবো, হয়তো তোকে এমএলএ বানাতেও পারি।
যাঃ কি বলছিস।
যা বলছি এখানে বলছি ওখানে কিছু বলবো না। তুই খালি তোর কমিউনিকেসন বাড়িয়ে যা, এমন কোনো কাজ করবি না, যাতে ব্যাড রিপার্কেসন হয়। বাসু কথাটা যেন পাঁচ কান না হয়।
তুই বিশ্বাস করতে পারিস আমি দিবাকর হবো না।
মিত্রা হো হো করে হেসে ফেললো।
তোদের বাজারে, তিনকাঠা মতো জায়গা পাওয়া যাবে।
আছে। একটু বেশি দাম পরবে।
কতো।
লাখ চারেক টাকা।
কাদের জায়গা।
সুতনু বেরা আছে না, আমাদের পাশের গ্রামের, তার।
তুই একটু কথা বলে রাখ। জায়গাটা আমার দরকার।
ঠিক আছে, প্রয়োজন পরলে, কিছুটাকা হাতে গুঁজে ধরে রাখ।
কি করবি।
সব বলে দিলে হয়। ওখানে গিয়ে বলবো। চিকনার ব্যাপারটা ফাইন্যাল কর।
ওখানে যাই কথা বলি, কাল তোকে জানাবো।
আমাকে না পাস মিত্রার ফোনে জানাস।
কিরে মিত্রা, তোর কি মত বল।
ভালোই হবে মাসে একবার করে যাওয়া যাবে, তুই তো এমনি যাবি না।
যার যা ধান্দা, ওটা হলে তুই আর চিকনা কন্ট্রোল করবি।
অনাদি একটা থাকার ব্যবস্থা করো, বাথরুম আগে।
কোনো চিন্তা নেই ম্যাডাম, আপনি আসুন দেখবেন বাথরুম রেডি।
আমি দেয়াল আলমাড়ি থেকে ব্যাগটা বার করলাম, দেখলাম, বেশি পয়সা নেই। মিত্রাকে বললাম নোট দে।
আমার পারস নিচে, বড়মার ঘরে।
যা নিয়ে আয়। উঠতে পারবি তো।
পারবো।
মিত্রা নিচে গিয়ে ওর পারস নিয়ে এলো। কতো নিবি।
হাজার পনেরো দে।
অতো নেই।
কতো আছে।
বারো।
তাই দে।
আমি অনাদির হাতে সতেরো হাজার দিলাম। কাজ চালা তারপর আমি যাচ্ছি।
থাক না, তোকে চিন্তা করতে হবে না।
আরে রাখ, আমি দুপুরে এক ফাঁকে বেরিয়ে তুলে আনবো।
ওরা খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলো। বুড়ীমাসি চলে গেছে, ছোটোমা ওবাড়ি গেছে, বড়মা বললো, পাঁচ-ছদিন যায়নি, ফেরার পথে ব্যাঙ্ক হয়ে আসবে।
কখন ফিরবে।
খাওয়ার আগে ফিরবে বলেছে। তুই এক কাজ কর, মিত্রার জন্য এটা নিয়ে যা।
কি।
ভেজিটেবিল স্টু আছে।
এটা কেনো।
কথা বলিস না।
দাও। দাদারা বেড়িয়ে গেছে।
হ্যাঁ। আর শোন স্টুটা খাইয়ে ওকে স্নান করতে বল, তেল গরম করে দিচ্ছি।
ঠিক আছে।
স্টুয়ের বাটি নিয়ে ওপরে এলাম।
এটা কি করে।
ভেজিটেবিল স্টু, ডাক্তারের হুকুম। তারপর তেল গরম হচ্ছে, স্নান। দুপুরে খেয়ে দেয়ে ঘুম।

মিত্রার চোখ দুটো ভারি হয়ে এলো।
আবার কি হলো।
না। কিছু না।
নে খেয়ে নে।
তুই একটু খা।
এক চামচ।
মিত্রার চোখ দুটো চিক চিক করে উঠলো।
ও আমাকে এক চামচ নিয়ে খাইয়ে দিলো।
দারুন খেতে রে।
নিজে একচামচ খেলো।
আর একবার নে।
না।
নে না।
আর একবার, থার্ড রিকোয়েস্ট বড়মাকে ডাকবো।
ঠিক আছে আর বলবো না।
আমি নিচ থেকে মিত্রার জামা কাপর নিয়ে এলাম, পেন্টিটা কাপরের ভেতরে নিয়ে এলাম, ভুললাম না। বড়মা রান্নাঘর থেকে বললো, তেল গরম করবো।
দাঁড়াও খাওয়া হোক।
আমি ওপরে গেলাম।
কিরে খাওয়া হয়েছে।
তুই কাপর নিয়ে এলি।
কি নিয়ে আসবে। কেউ নেই। আমি তুই বড়মা। সবাই কাজে বেরিয়েছে।
কি মজা।
তার মানে।
আমি তুই ওপরে, বড়মা নিচে।
বুঝেছি, আনন্দ রাখ। বড়মা তেল গরম করেছে, নিয়ে আসছি, স্নান কর।
আমি মিত্রার কাছ থেকে বাটিটা নিয়ে নিচে চলে এলাম। রান্নাঘরের বেসিনে রেখে বললাম, তেল গরম করেছো।
একটু দাঁড়া।

বড়মা ধোঁকা তৈরি করছে, আমি একটা ধোঁকা ভাজা তুলে খেয়ে নিলাম। নিজে খেলি ওর জন্য নিয়ে যা।
ছাড়ো তো, খেলে শরীর খারাপ করবে।
কি আহম্মকরে তুই।
ঠিক আছে দাও।
বড়মা একটা থালার ওপর গরম তেলের বাটি বসিয়ে দিলো, আজকে বেশ ঝাঁজ বেরোচ্ছে, তুমি কি রসুন দিয়েছো।
হ্যাঁ।
ওপরে চলে এলাম। মিত্রা মাথা নীচু করে বসে আছে।
কিরে কি চিন্তা করছিস।
কিছু না।
আমি টেবিলের ওপর থালাটা রেখে, ওকে ধোঁকার বড়া দিলাম।
কে দিলো রে।
কে দেবে, বড়মা।
তুই নিয়ে এলি না বড়মা দিলো।
আমি আনতে চাই নি, আমাকে আহম্মক বললো, নিয়ে এলাম।
মিত্রা একটা গোটা খেলো, আর একটা হাফ কামরিয়ে আমাকে দিলো। আমি খেয়ে ফেললাম।
নে রেডি হ। তৈল মর্দন শুরু হবে।
দরজা বন্ধ কর।
কেনো। কেউ তো নেই।
আমি দরজা বন্ধ করলাম।
মিত্রা নীচে নেমে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো, এখন শরীরটা বেশ ঝরঝরে লাগছে।
এই কদিন একটু ঠিক করে থাক। কালকে খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি।
তোর চোখমুখ দেখে বুঝেছিলাম।
তাহলে কেনো অবুঝপানা করিস।
তোকে দেখলে আমি ঠিক থাকতে পারিনা।
ঠিক থাকতে হবে।
তুই আছিস আমার আর ভয় নেই, তোর কাছে আমাকে কনফেস করতে হবে।
ঠিক আছে, সময় হলে করিস।
মিত্রা আমার ঠোঁটে চুমু খেলো।
তেল ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
যাক, আমার এখন যা খুশি তাই করবো।
কর।
তুই পাজামা পাঞ্জাবী খুলে টাওয়েল পর।
কেউ চলে এলে।
আসুক।
আচ্ছা।
আমি পাজামা পাঞ্জাবী খুলে টাওয়েল পরলাম। মিত্রা কাপর ব্লাউজ খুললো। আমি ওকে টেবিলটা ধরে পেছন ফিরে দাঁড়াতে বললাম, ভালো করে ওর পিঠে শিড়দাঁড়ায় গরম তেল মালিশ করলাম, তারপর ওর পাদুটোয় তেল মাখালাম, মাঝে মাঝে ওর পুসিতে হাত চলে যাচ্ছে।
আমার কিন্তু শির শির করছে।
আমি কোনো কথা বললাম না। নিজের কাজ করে চলেছি। উঠে দাঁড়ালাম, ঘুরে দাঁড়া। ও ঘুড়ে দাঁড়ালো, আমি তেল নিয়ে ওর বুকে পিঠে ভালো করে ডলছি।
বুবুন তুই ইচ্ছে করে নিপিলে হাত দিচ্ছিস।
আমি চুপচাপ। ও আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওর বুকে তেল ঘোসছি। মাঝে মাঝে যে ওর নিপিলটা ধরে নারাচ্ছি না তা নয়, তবু খুব গম্ভীর হয়ে কাজ করছি। ওর কাঁধে হাত দিলাম, গলায় তেল মাখাচ্ছি।
তবে রে। দিল আমার টাওয়েলে টান। খুলে গেলো। ও হাঁটু মুরে আমার পায়ের কাছে নীলডাউন হয়ে বসলো, আমার নুনুতে হাত দিলো। চামরাটা সরিয়ে দিলো।
শয়তান, আমার ভেঁজে না। এটা কি। এটা কি আমার।
আমি হাসছি।
ওঠ।
না উঠবো না।
ও টাওয়েলটা টেনে নিয়ে আমার নুনুর মুন্ডিটা মুছে নিয়ে একটা চুমু খেলো, তারপর মুখে পুরে দিলো, আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে। আমি ইশারায় বললাম, ছার বড়মা এসে পরলে একটা কেলেঙ্কারি হবে।
ও মাথা দোলাচ্ছে, আমার বিচিতে হাত দিয়েছে।
আমি ওকে জোর করে তুলে ধরে ওর ঠোঁটে চুমু খেলাম।
তোর শরীর খারাপ।
একবার, প্লিজ একবার।
না। শরীর ঠিক হোক তারপর।
প্লিজ। ও আমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো।
আমি ওর বুকে হাত রেখেছি। ওর সারা গায়ে রসুন তেলের গন্ধ, পিছলে পিছলে যাচ্ছে।
আমার গায়ে রসুন তেলের গন্ধ হয়ে গেলো।
থাক বড়মাকে বলবো বেশি হয়ে গেছিল তুইও মেখেছিস।
হ্যাঁ ওরা তো ঝিনুক মুখে দিয়ে চলে না। আমাদের মতো কত হাজার বার করেছে, তা জানিস।
মিত্রা হাসলো।
তোকে নিয়ে পারা যাবে না।

মিত্রাকে টেবিলের ওপর বসালাম, আমি হাঁটু মুরে নীচে বসলাম।
পা দুটে ফাঁক কর।
তুই মুখ দিবি।
না চুষবো।
আমি ওর পুশিতে মুখ দিলাম, তেল জব জব করছে, আমি মাখিয়েছি, বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই জিভের খেলায় ওকে পাগল করে দিলাম, বুবুন আর না এবার কর।
আমি উঠে দাঁড়ালাম, আমারটা তখন তাগড়াই ঘোঁড়ার মতো, আমি ওকে কাছে টেনে নিলাম, একবারে মাপে মাপে, টেবিলের ওপর দুহাত রাখলাম, ও দুটো পা আমার দুহাতের ওপর দিয়ে দুপাশে রাখলো, আমি বললাম, আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে পেছন দিকে ঝুলে পর, ও তাই করলো, ওর পুশিটা হাঁ হয়ে গেছে, আমার নুনুকে যেন ডাকছে, আয় আয়। আমি নুনুটা ধরে চামড়াটা টেনে সরালাম, আস্তে করে ওর পুশির মুখে রেখে দু তিনবার ওপর নীচ করলাম, ও দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামরে ধরেছে। আমি চাপ দিলাম, টেবিল নড়ে উঠলো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম। ওর চোখে সেক্সের প্রবল ইচ্ছা। আমি আর একবার চাপ দিলাম, পুরোটা চলে গেলো, আমি কোমরটা ধরে একটু কাছে টেনে নিলাম, মিত্রা আমার গলা ছেড়ে দিয়ে আমাকে জাপ্টে ধরলো।
কিরে লাগলো।
না।
আজ ভেতরটা ভীষণ জ্বালা করছে রে।
ওই যে রসুন তেল।
না।
তাহলে।
হবে মনে হয়। তুই কর দাঁড়িয়ে রইলি কেনো।
জাপ্টে ধরলে করবো কি করে।
ও হাত ছেড়ে দিয়ে পেছন দিকে হাতটা দিয়ে হেলে পরলো।
টেবিলটা এমন করে রেখেছিস হাত রাখার জায়গা পাচ্ছি না।
আমি কি করে জানবো তোর উঠল বাই তো কটক যাই।

নে কর।
আমি করতে আরম্ভ করলাম। দিনের বেলায় কোনোদিন করিনি, পরিষ্কার সব দেখতে পাচ্ছি, আমারটা পুরোটা ভেতরে যাচ্ছে আর বেরোচ্ছে। মিত্রাও দেখতে পাচ্ছে, আমার গোঁতানোর চোটে মিত্রার মাই দুলছে। আমি করে যাচ্ছি, মাঝে মাঝে ওর মাইতে হাত দিয়ে একটু টিপে দিচ্ছি। তেল বদবদে মাই হরকে হরকে যাচ্ছে।
বুবুন হয়ে যাবে।
হোক।
তোর হবে না।
দাঁড়া না।
জোরে কর।
ও পাদুটে আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরলো। আমি নীচু হয়ে ওর ঠোঁট ছোঁয়ার চেষ্টা করলাম, ও মুখটা এগিয়ে নিয়ে এসে চুমু খেলো, তারপর হঠাত আমাকে জাপ্টে ধরে কোমর দোলাতে আরম্ভ করলো, আমার নুনুটাকে ওর পুশি দিয়ে এমন ভাবে চেপে চেপে ধরলো, আমি রাখতে পারলাম না, কি রে, তোরও বেরোচ্ছে আমারও বেরোচ্ছে।
আমি চুপচাপ।
মিত্রা আস্তে আস্তে কোমর দোলানো বন্ধ করলো। তারপর আমার বুক থেক মুখ তুলে আমাকে চুমু খেলো।
বার করবি না। এই ভাবে আমায় বাথরুমে নিয়ে চল।
তুই তো দেড় কুইন্টালের বস্তা।
তা হোক।
অগত্যা আমি ওই ভাবে ওকে কোলে তুলে নিয়ে গেলাম। ও আমার গলা জড়িয়ে চুমু খাচ্ছে। বাথরুমে গিয়ে বললাম নাম।
দাঁড়া না একটু।
আমার দম নেই।
ও নিচে নেমে দাঁড়ালো, আমার নুনু ওর পুশি থেকে বেরিয়ে এসেছে।
কি ছোটো হয়ে গেছে।
আমি হাসলাম।
আজ আর একটা সখ মিটলো।
আমি ওর দিকে বিস্ময় ভরা চোখে তাকালাম।
সেদিন দিবাকরের টা দেখে ছিলাম, করা হয় নি। আজ করলাম।
তোর পেটে পেটে এত বুদ্ধি।
ও আমার ঠোঁট কামরিয়ে ধরলো।

ছোটমা এলো একটু দেরি করে, আমরা ছোটমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
কিরে তোরা খেয়ে নিস নি কেনো।
আমি ছোটমার দিকে তাকালাম, মুখের সেই হাসি হাসি ভাবটা কোথাও উধাও হয়ে গেছে, কেমন যেন ফ্যাকাশে।
কি হয়েছে তোমার।
কই কিছু না তো।
ওটা মুখে বলছো, তোমার মুখ অন্য কথা বলছে।
তোর সব সময়.....।
চুপ করে গেলাম। বড়মা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে, মিত্রা আমার কথা বোঝার চেষ্টা করছে, ওর মুখ দেখে বুঝতে পারলাম।
ছোটো হাত মুখ ধুয়ে নে, ভাত বাড়ি। বড়মা বললেন।
হ্যাঁ দিদি আমি এখুনি রেডি হয়ে নিচ্ছি।
সবাই একসঙ্গে টেবিলে বসলাম। বড়মা খাবার বেরে দিলেন, ছোটমা বড়মাকে সাহায্য করছেন। খাওয়া শুরু হলো, কিন্তু নিস্তব্ধে, ব্যাপারটা আমার ভালো লাগলো না, কোথায় যেন তাল কেটেগেছে মনে হচ্ছে।
ও বাড়িতে কেনো গেছিলে।
যাবো না। চার পাঁচদিন যাই নি, ঘরদোর একটু পরিষ্কার করার দরকার আছেতো।
ফিরে আসার পর তোমার মুখটা গম্ভীর দেখাচ্ছে, কিছু হয়েছে।
না।
তুমিও কি আমার মতো।
ছোটোমা আমার দিকে তাকালো। চোখের ভাষা কিছু বলতে চায়। কিন্তু বলতে পারছে না।
জানো ছোটোমা আমার জীবনে কতগুলো মিশন আছে। বলতে পারো স্বপ্ন....
বল।
যেমন প্রথম হচ্ছে, আমার যারা খুব কাছের মানুষ, আমি তাদের হাসি খুশি দেখতে চাই, জানি তাদেরও অনেক কষ্ট আছে, হয়তো সব কষ্টের সমাধান আমি করতে পারবো না, তবে আশিভাগ চেষ্টা করলে পারবো। তোমার সমস্যা তোমায় বলতে হবে না, আমি যেনে নেবো।
অনি।
আমি ঠিক বলছি ছোটোমা।
না এ ভুল তুই করবি না, তাহলে আমার থেকে বড় কষ্ট আর কেউ পাবে না।
আমি ছোটমার দিকে তাকালাম, আর একটা কথা আমার কাছের মানুষের কাজে ভুল হলে সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু কেউ যদি অপমান করে থাকে, তাহলে বুঝবে তাকে ওই মুহূর্তে জ্যন্ত পুঁতে ফেলবো। সেই সময় অনি ভীষণ হিংস্র।
তুই কেনো এই সব চিন্তা করছিস, আমার কিছু হয় নি।

একটা গল্প বলি এই প্রসঙ্গে, ভাল করে শোনো। তখন ক্লাস টেনে পরি, কৈশোর যৌবনের সন্ধিক্ষণে, চোখে অনেক স্বপ্ন, ডাক্তার হব বদ্যি হবো। প্রথম ব্যাঙ কাটা হবে স্কুলে। আগের দিন রাতে সারারাত ঘুমোলাম না, আমার কোনো বাইওলোজিক্যাল বাক্স ছিলো না, অনাদির ছিলো আর বাসুর ছিলো। উনা মাস্টার সাইন্সের টিচার, টিফিনের পর ব্যাঙ কাটা হবে, চিকনা ব্যাঙ ধরে আনল পচা পুকুর থেকে। একটা কলাগাছের চোকলায় ব্যাঙ রেখে, পিন ফুটিয়ে হাত পা বেঁধে তাকে কাটা হলো। স্কুলে একটা মাইকোস্ক্রোপ ছিল তাকে আনা হলো, স্লাইডে ব্যাঙের কি সব তুলে উনা মাস্টার সবাইকে দাখাচ্ছেন, কেউ ঠিক বলছে কেউ ভুল বলছে, আমাকেও ডাকলেন, আমি গেলাম, সত্যি বলতে কি ছোটোমা, আমি শুনে শুনে একটা কিছু বলতে পারতাম, কিন্তু আমি সত্যিটা বললাম, সবাই যা বললো, আমি তার ঠিক উল্টোটা বললাম, বললাম আমি হিজিবিজি ছাড়া কিছু দেখতে পাচ্ছিনা, উনা মাস্টার গুনে গুনে দশটা বেতের বাড়ি মারলো। কাঁদিনি কেনোনা আমার মনের কথা বোঝার মতো উনা মাস্টারের মানসিকতা ছিল না, ল্যাবোরেটরি থেকে বেরিয়ে এসে উনা মাস্টারকে প্রচুর গালাগাল দিলাম, মনেমনে, চলে গেলাম পীরসাহেবের থানে, ওখানে অনেকক্ষণ বসে থাকলাম, মনেমনে প্রার্থনা করলাম, সত্যি তুমি যদি থাকো, তুমি যদি সত্যি কেউ হও, তাহলে আমার চোখটাকে মাইকোস্ক্রোপ বানিয়ে দাও, আমি মানুষ চিনতে চাই, আর মানুষের ভেতরটা যেন দেখতে পাই, সত্যি বলতে কি কিছুক্ষণ পর হাওয়ায় ভেসে এলো একটা কথা, ওরে এতে অনেক বেশি কষ্ট, পারবি সহ্য করতে, তখন ছোটো ছিলাম, এখন হলে বলতাম না, তখন কিন্তু আমি বলেফেলছিলাম, হোক কষ্ট তবু তুমি আমায় এই শক্তি দাও।
সবাই চুপচাপ, বড়মা আমার মাথায় হাত রাখলেন, মিত্রা ছোটমা ভাতের থালা থেকে হাত তুলে আমার মুখের দিকে চেয়ে রয়েছে, আমি নিস্তব্ধে খেয়ে চলেছি। বুঝতে পারছি আমার চোখে মুখের চেহারায় পরিবর্তন ঘটেছে।
পাগল। বড়মা বললেন।
কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ, যে যার নিজের মতো খাচ্ছে।
শোন অনি তুই আজ সকাল বেলা যেভাবে ওই মন্ত্রীটার সাথে কথা বললি, তোর দাদা আজ তিরিশ বছরে ওই ভাবে কারুর সঙ্গে কথা বলেছে। এটা হচ্ছে উইল পাওয়ার, সবার থাকে না। পৃথিবীতে কজন মানুষের এরকমটা থাকে বল। বড়মা বললেন।
আমি বড়মার দিকে তাকালাম।
একটা কথা তোমায় বলি বড়মা, বলতে পারো আবার রিপিড করছি, তোমাদের পাঁচ জনের কাছে আমি আমার জীবনের না পাওয়া অনেক জিনিষ পেয়েছি, যা মনামাস্টার, কাকীমা সারাজীবনে দিতে পারেনি, কিন্তু তাদের দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। আমার বাবারও কম ছিলো না।
জানি।
তোমাদের কাউকে কেউ যদি কোনো দিন অপমান সূচক কথা বলে থাকে, আর আমি আমার উপলব্ধি দিয়ে যদি বুঝতে পারি, সে ইচ্ছে করে এটা করেছে তার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, তাহলে মনে রাখবে, আমার কাছে তার শাস্তি, নৃশংস মৃত্যু, আমার হাত থেকে সে রেহাই পাবে না। তবে আমি তাকে নিজে হাতে কোনো দিন মারবো না।
অনি।
ছোটমা এঁটো হাতে আমার কাছে উঠে এলেন। আমার গলা জড়িয়ে ধরলেন, বাঁহাতে আমার থুতনিটা ধরে মুখটা নিজের দিকে ঘোরালেন, শোন বাবা, তুই পাগলামো করিস না, সত্যি বলছি, আমার, তোর মল্লিকদার কিছু হয় নি। পারিবারিক সমস্যা সকলের থাকে, আমারও আছে।
আমি তোমার কাছ থেকে কিছু জানতে চাই নি। প্রয়োজন বোধ করলে জেনে নেবো।
পরিবেশ থম থমে, আমি ছোটমাকে বললাম, ভাত দাও।
ছোটমা আমার পাতে বাঁহাত দিয়ে দুহাতা ভাত দিলেন। একটু মাছের ঝোল নে।
দাও।
মিত্রা নিবি।
দাও একটু।
ছোটমা মিত্রাকে দিলেন। আমি বড়মার পাত থেকে একটা চিংড়িমাছ তুলে নিলাম, মিত্রা দেখলো।
কিরে তুই একলা একলা।
তুই খাবি। তারপর সারারাত পায়খানা করবি।
শয়তান। আবার জিজ্ঞাসা করছিস, লজ্জা করে না।
বড়মার তাহলে খাওয়া হবে না।
তুই খেলি কেনো।
তুই ছোটোর পাত থেকে নে। দুজনে ভাগাভাগি করি। দেখ বাটিতে সব ফুরুত।
তোর মতো রাক্ষস থাকলে।
আচ্ছা দাঁড়া দাঁড়া আমি দিচ্ছি।
বড়মা একটা চিংড়িমাছ মিত্রার পাতে তুলে দিলো।
তোর থেকে আমারটা সাইজে বড়।
তুই মালকিন, বড় হওয়া স্বাভাবিক।
মালকিন মালকিন করবিনা বলে দিচ্ছি।
হাসলাম।
খাওয়া চলছে।
জানো ছোটমা, তোমাদের আমার মানুষ দেখার কতকগুলো গল্প বলি, গল্পগুলো আমার বাস্তবে দেখা। তোমার এর নিরযাসটা বলবে, সবাইকে সাতদিন সময় দিলাম। তারপর আমার চিন্তাভাবনাটা তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।

বল।
একদিন অফিসে ঢুকলাম একটু দেরি করে, তখন আমি গণিকাপল্লীর বাসিন্দা, সারারাত ঘুম হয় না, ভোরের দিকে একটু ঘুমোই, তাছাড়া সারারাতের ফাইফরমাশ তো আছেই। সেদিন মনে হয় দাদার মন মেজাজাটা ভালো ছিল না। আমায় খুব বকাবকি করলো, তারপর বললো, এক কাজ কর, নিকোপার্কে এক ছোটদের কার্নিভাল চলছে, একজন ফটোগ্রাফার গেছে, তুই লেখাটা রেডি করে দে। আমি অফিসের গাড়ি জীবনে খুব কম ব্যবহার করেছি। সেদিনও বাসে করে চলে গেলাম, সারাদিন পার্কে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকলাম, শেষ হলো প্রায় রাত আটটা। দাদাকে ফোন করে বললাম, লেখাটা কি আজকেই লাগবে, দাদা বললো কেনো, আমি বললাম, প্রোগ্রাম এই শেষ হলো বেরোচ্ছি, তাহলে এক কাজ কর কাল সকালে দে, সানডে চিলড্রেন্স পেজে দিয়ে দেবো।
আর বাসে উঠতে ইচ্ছে করলো না, ওখান থেকে হাঁটতে আরম্ভ করলাম, চিংড়িহাটার মুখে যখন এসে পরেছি, দেখি একটা পাগলি তাড়াতাড়ি করে রাস্তা পার হচ্ছে, চোখ মুখটা কেমন ভয় ভয়। আমি থমকে দাঁড়ালাম, ওমা দেখি, ওর পেছন পেছন একটা পাগল, হাসতে হাসতে আসছে, বেশ ধীর পায়ে রাস্তা পার হলো, আমার খুব উতসুক হলো, আমি ওদের পেছন পেছন গেলাম, রাস্তা পার হয়ে একটা কালভার্ট পরে, পাগলিটা দেখি ওই কালভার্টের পাশে এসে শুয়ে পরলো, একটু অন্ধকার অন্ধকার, রাস্তার আলোয় যতটা আলো আসছে। ঠিক ততটা আলো চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে। আমি একটু দূরত্বে দাঁড়িয়ে ওদের লক্ষ্য করছি। পাগলটা পাগলির পাশে এসে বসলো, এ ওর মুখ দেখে, ও এর মুখ দেখে, বেশ কিছুক্ষণ পর পাগলিটা উঠে দাঁড়ালো, ছুটে পালাতে চাইলো, পাগলটা ওকে ধরে ফেলে আবার পাশে বসালো, গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো, বিশ্বাস করবে না, আমি প্রায় একঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম, ওরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হলো। বাসে আস্তে আস্তে অনেক ভাবলাম, গনিকাপল্লীতে ঢুকে সঙ্গম দেখলাম।
বিশ্বাস করবে না ছোটমা দুটোই সঙ্গম, একটার মধ্যে প্রাণ খুঁজে পেলাম, একটার মধ্যে পেলাম না। সেদিন সারারাত ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেটে গেছিলো। ভোররাতে কি খেয়াল হলো কার্নিভালের লেখাটা লিখে ফেললাম। লেখাটা বেরোবার পর দাদা আমাকে ডেকে একটা ফাউন্টেন পেন দিয়েছিলো। আমি পেনটাতে এখনো লিখি নি রেখে দিয়েছি।
ওরা সবাই আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
ছোটমার গালদুটো ফোলা।
ভাতটা গিলে ফেলো। বিষম লেগে যেতে পারে।
মিত্রা হেসে ফেললো, ছোটমা গোঁত করে ভাতটা গিলে ফেললো।
দ্বিতীয়টা শুনবে।
বল। বড়মা বললো।
শেয়লদা ক্যাফের অপরজিটে।
মিত্রা ফিক করে হেসে ফেললো, ছোটমা হাসলো, মিত্রার দিকে তাকাবার পর, যখন মিত্রা ইশারায় কালকের কথাটা স্মরণ করিয়ে দিলো।
তোরা হাসছিস কেনো।
কালকে, মোগলাই পরটা।
বড়মা বললেন ও হরি।
আচ্ছা তোর মাথায় কি কুবুদ্ধি ছাড়া কিছু নেই।
শুনলেই না ওমনি বলেদিলে কুবুদ্ধি। দাও শেষ চিংড়িটা।
না একেবারে দেবে না, বড়মা ওটা তুমি খাবে।
খাক না ওরকম করিস কেনো।
সব সময় তুমি.......।
ঠিক আছে মল্লিককে বলবো কালকে বেশি করে আনতে। বল তোর গল্পটা।
সেদিন শ্যামবাজার হয়ে অফিসে আসছি। শেয়লাদার জ্যামে বাসটা দাঁড়িয়ে, এখনো বুঝলে বড়মা আমার একটা বদ অভ্যাস আছে, আমি জানলার ধার ছাড়া বাসে বসি না, তার থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাবো সে ভালো।
এটা ভালো অভ্যেস বেশ রাস্তা দেখতে দেখতে যাওয়া যায় না, তাই বল।
ওপাশে তাকিয়ে বলো।
মিথ্যুক তুই কোনোদিন আমাকে জানলার ধারে বসতে দিস নি। কতো বোঁটকা গন্ধ ওয়ালা লোক পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, কি বলেছে জানো, তুই তো সেন্ট মেখেছিস লোকটা একটু শুঁকুক না, তাহলে তোর সেন্টেরও মহিমা ছড়িয়ে পরবে।
সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।

বাসটা থামতেই, মুখটা বার করে দেখলাম, জ্যাম কতটা, দেখলাম পুলের ওপর পযর্ন্ত, তারপরি রাস্তায় চোখ চলে গেলো। দেখি একটা পাগল বসে আছে।
আবার পাগল।
ভেটকি কোথাকার, আগে শোন, তোরতো ঘটে বুদ্ধি নেই, কি বলছি তার উত্তর দেওয়ার, অন্তঃত চুপ করে শোন।
তা বলে তুই ভেটকি বলবি। ছোটমা বললো।
কেনো চুমা দেবো।
সবাই হেসে উঠলো, বড়মা আমার কানটা ধরে নেড়ে দিলেন।
তুমি ওকে মারতে পারো না, খালি হাত বোলাও।
বড়মা পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, কত অভিজ্ঞতা বলতো, এই টুকু বয়সে।
হুঁ।
রাস্তায় অনেকে সিগারেট খেতে খেতে যাচ্ছে, বাস এসে গেছে, সিগারেটটা ফেলে দিয়ে ছুটে বাসে উঠে পরেনা।
হ্যাঁ।
সেরকম একটা সিগারেট টানছিলো পাগলটা। ফুটপাথের ধাপিতে একটা ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে। তুমি যদি তার সিগারেট খাওয়াটা দেখতে তাহলে বুঝতে যেন কোন রাজবাড়ির ছোটবাবু। ঠেংয়ের ওপর ঠেং তুলে, যেন সেটা সিগারেট নয় পাইপ, আমি তাকিয়ে আছি। হঠাত দেখি কোথা থেকে একটা পাগলি এসে হাজির, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো, তারপর পাগলটার কাঁধে একটা টোকা দিয়ে সিগারেটটা চাইলো, পাগলটা একবার পাগলিটার দিকে তাকালো, পাগলিটার চাইবার চাহুনি, আর পাগলটার চাহুনি তুমি যদি দেখতে, আমি ঠিক তোমায় ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না, টোটাল ব্যাপারটা অনুভূতি সাপেক্ষ, তারপর পাগলটা আস্তে আস্তে উঠে চলে গেলো, পাগলিটা ওর পেছন পেছন হাঁটলো। বাসটা ছেড়ে দিলো। বাকিটা দেখতে পেলাম না।
ছোটমা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
দুটো খন্ড চিত্র। কিন্তু একটু ভেবে দেখো, তোমাদের জীবন দর্শনের সঙ্গে অনেক কিছুর মিল খুঁজে পাবে।
বড়মা আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন।
কি দেখছো।
তোকে।
আমি কি সুন্দরী মেয়ে।
না। পুরুষ। তোর চোখ দিয়ে সেই পাগল পাগলীকে দেখছি।
সিনেমা শেষ। ঘড়ির দিকে একবার তাকাও। এরপর আর বলতে পারবে না। অনি তুই এখানে আসা ভুলে গেছিস।
আর একটু বোস না।
কেনো।
তুই যে বললি আর একটা বলবি।
সব একদিনে বললে হজম করতে পারবে না।
বড়মা আমার কানটা ধরলেন।
আমি উ করে উঠলাম।
আমার কথা আমাকে ঘুরিয়ে বলা।
আঃ কি আনন্দ, এবার জম্পেশ দিয়েছো বড়মা।
বড়মা কান ছাড়লেন।
শোন শেষ গল্পটা বলছি।
বল।
দুরাত ঘুমোই নি, আজ তুমি ছোটো আর মিত্রা এক ঘরে, মল্লিকদা দাদা এক ঘরে, আর আমি একা দরজা লাগিয়ে রসুন তেল নাকে দিয়ে ভস ভস। ডোন্ট ডিস্টার্ব।
শয়তান। মিত্রা চেয়ার ছেড়ে উঠে এলো।
বড়মা। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks