দেখি নাই ফিরে - (Part-62)

কালকেই সাসপেনসনের চিঠি ধরাবার ব্যবস্থা করবো।
অনিমেষবাবু জানেন ?
জানে না। জেনে যাবে।
আপনি একটু আমাকে দেখবেন।
এইতো দেখছি। মলের কেশের ফাইল প্রসেস হচ্ছে। তারপর এই ফাইলটা প্রসেসে যাবে।
মুখার্জী হো হো করে হেসে ফেললো।
গুলির আওয়াজ পেলাম। একটা দুটো তারপর পটকার মতো ফাটতে লাগলো। নিস্তব্ধ রাতের মেদুরতা গুলির শব্দে খান খান হয়ে ভেঙে পরছে। দূরে কোথাও আলোর ছটা দেখতে পাচ্ছি। হাল্কা একটা হৈ হৈ শব্দ।
চলুন গাড়িতে উঠুন। কাছে যাবেন তো।
হ্যাঁ।
চলুন।
আমরা গাড়িতে উঠলাম।
সয়ন্তন ক্যামেরা অন করেছে।
অর্ক আমার পাশে সিঁটিয়ে বসে আছে।
আমি সন্দীপকে ফোন করলাম।
কিরে তুই কোথায়।
কথা বলার সময় নেই।
প্লিজ।
শোন কাগজ এখন প্রেসে পাঠাবি না। আমি না যাওয়া পর্যন্ত।
কেনো!।
কোনো প্রশ্ন করবিনা।
দাদা রাগ করছে। খুব টেনসনে আছে।
থাকুক।
অর্ক নেই সায়ন্তন নেই।
তোকে তার কৈফিয়ত নিতে হবে না।
কিরে গুলির আওয়াজ পাচ্ছি!
শুনে যা, কুত্তার মতো চেঁচাচ্ছিস কেনো। মল্লিকদার গলা পেলাম।
বুঝতে পারলাম। মল্লিকদা সন্দীপের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
তুই আমাকে ফোনটা দে। তোকে কথা বলতে হবেনা।
তুই কোথায়। মল্লিকদা
যেখানেই থাকি জানতে হবেনা। আমি না যাওয়া পর্যন্ত কাগজ বেরোবে না।
প্লিজ তুই বল। সবাই কান্নাকাটি করছে।
আমি মরতে এসেছি। হয়েছে।
রাগ করছিস কেনো।
এখন কথা বলার সময় নেই।
কিরে গুলির আওয়াজ পাচ্ছি।
গুলি চলছে, তাই।
কেটে দিলাম।
আসল কাজ শুরু হলো। ভেতর থেকে প্রচন্ড পরিমানে রেসপন্স এলো।
একঘন্টা ধরে রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই চললো।
মুখার্জী এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
সাতজনের মধ্যে ছটা মরলো একটা বেঁচে রইলো।
সবাই আমার সঙ্গে এসে হ্যান্ডসেক করলো।
আপনারা কেউ ইনজিওরড হন নিতো।
ব্যাটারা প্রিপেয়ার্ড ছিলোনা।

সত্যি বলেছেন অনিবাবু, প্রচুর আর্মস।
মুখার্জী বাবুর দিকে তাকালাম। আপনার ইনটেলিজেন্স ?
কালকে কথা বলতে হবে।
একটা রিকোয়েস্ট করবো।
বলুন।
যেটাকে নিয়ে এলাম ওটাকে সেঁটিয়ে দিন।
আপনার কাজে লাগবে না!
হাসলাম। না।
অর্ক আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে।
সায়ন্তন ঢোক গিলছে।
মুখার্জী ইশারা করলো।
একজন এগিয়ে গেলো।
যা তোকে ছেড়ে দিলাম।
অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখলাম। বাঁচার জন্য আকিব গাড়ি থেকে নেমে তীর বেগে দৌড়তে শুরু করলো। একটা ছোট্ট আওয়াজ শরীরটা দুমড়ে মুচড়ে মাটিতে আছাড় খেয়ে পরলো। অর্ক সায়ন্তন চোখ বন্ধ করলো।

কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম। আকিবের বডিটা টেনে হিঁচড়ে আমাদের সামনে দিয়ে নিয়ে চলে গেলো।
তোরা দাঁড়িয়ে রইলি কেনো প্রত্যেকটা ছবি তুলে নে।
ওরা দৌড়ে ভেতরে চলে গেলো।
আমি মুখার্জীকে বললাম এবার একটা সিগারেট দিন।
মুখার্জী সিগারেটের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বার করে আমাকে দিলেন। আমি ধরালাম।
লোকাল থানায় খবর দিয়েছেন।
আগে দিইনি এখন দিলাম।
কেনো ?
ঘিটা ওরা খেয়ে নিতো।
আপনার টিম লিস্টটা আমাকে দিন। প্রত্যেকের ছবি নিয়ে নিচ্ছি।
কেনো।
কালকে এটাই কাগজের মেন স্টরি। কতটা মাইলেজ পাবেন বলুনতো।
কিন্তু রাজনাথের কি ব্যবস্থা করবেন।
ওটা দ্বিতীয় মল।
বলেন কি।
ঠিক বলছি।
তাহলে ঝেড়ে দিই।
তার আগে তিনটে ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট আপনাকে দেবো। মুজফ্ফরপুরের। ওটা সিল করেদিন।
দিন।
অফিসে আছে। কাজ শেষ হলে আপনি একটা ফোন করবেন।
ঠিক আছে।
আমাদের একটু আগে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা করুণ। গিয়ে নিউজটা করি।
অর্ক ছুটতে ছুটতে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ওর হাত পা সব ঠান্ডা।
কিরে ঠান্ডা মেরে গেছিস যে।
দারুণ এক্সপিরিয়েন্স।
মালটা সাজিয়ে নে গিয়েই নামাতে হবে।
সায়ন্তন।
দাদা লাইভ ছবি তুলেছি।
অর্ক একটা ফোন মেরে দে অফিসে, আমরা ঘন্টা খানেকের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছি।
ঠিক আছে দাদা।
মুখার্জীর ফোনটা বেজে উঠলো।
হো হো করে হাসছেন। তাই। ঠিক আছে আমাদের কাজও শেষ। আমরাও বেরোচ্ছি।
আমাদের দিকে তাকালেন।
আপনাকে আর ছাড়া যাবেনা।
কেনো।
এক দিনে দুটো এ্যাসাইনমেন্ট কে দেবে বলুন।
ওটা কি মাল এবং বামাল সমেত।
অবশ্যই।
ওই মালটা পাবো কি করে।
আপনি অফিসে যান পৌঁছে দিচ্ছি।
এবার ফেরার ব্যবস্থা করুণ।
আমার গাড়িটা নিয়ে চলে যান। আমাদের যেতে যেতে মিড নাইট হয়ে যাবে।
আপনি যা পারুণ করুণ আমাকে গিয়ে নিউজ ধরাতে হবে। হ্যাঁরে সায়ন্তন সবার ছবি নিয়েছিস।
হ্যাঁ দাদা।
নামের গন্ডগোল করবি নাতো।
সব লিখে নিয়েছি।
আমরা মুখার্জীর গাড়িতে চেপে বসলাম। গাড়ি ছাড়লো। ঘরির দিকে তাকালাম সাড়ে দশটা।
একটা সিগারেট ধরালাম।



অনিদা তুমি একটা ফোন করো এবার। সবাই খুব টেনসনে।
কি করে বুঝলি। দাদা মল্লিকদা সবাই আমার কথা শোনার জন্য ছুটে এসেছিলো।
ঠিক আছে আগে সিগারেটটা খেতে দে।
তোমার কোনো টেনসন হচ্ছে না।
একেবারে না।
সত্যি জীবনে প্রথম লাইভ এ্যাকসন দেখলাম।
কিরকম লাগলো বল।
গিয়ে লিখে প্রকাশ করবো।
সায়ন্তন।
দাদা আমাকে একটু আপনার পাশে থাকতে দিন।
আছিস তো।
আমি খুব ভাগ্যবান। আপনার কথা শুনেছি আপনার সঙ্গে প্রথম কাজ করলাম। তাও টেররিস্ট ভার্সেস এনএসজি।
দাদা এরা সব সাদা পোষাকে কেনো। অর্ক বললো।
ড্রাইভার সাহেব বলে উঠলেন। সাদা পোষাক না হলে পাখি উড়ে যাবে। গাড়ি গুলো দেখেছো কোনো বোর্ড নেই খালি একটা করে কোড নম্বর লেখা রয়েছে।
সত্যি।
হ্যাঁ।
আপনি চালাতে পারেন।
প্রয়োজন পরলে চালাই।
এইরকম কেশ এর আগে হ্যান্ডেল করেছেন।
না। এই প্রথম।
কেনো।
আমাদের কাছে খবর আস্তে আস্তে পাখি উড়ে যায়।
কেনো।
আমাদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি আছে।
আমি মোবাইলটা বার করলাম। ছোট্ট একটা ম্যাসেজ লিখলাম। কলকাতায় ঢুকে পরেছি। অক্ষত শরীরে। কোনো টেনসন করার দরকার নেই। পর পর সবাইকে ম্যাসেজটা করে দিয়ে মোবাইল অফ করেদিলাম।
অফিসে যখন পৌঁছলাম গেটের মুখে বেশ ভিড় দেখলাম। একটু অবাক হলাম। সন্দীপ নিচে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে এগিয়ে এলো।
কিরে! সব ঠিক আছে।
কি দেখছিস চোখে নেবা হয়েছে। ভিড় কেনো ?
সবাই অফিসের স্টাফ।
এখানে ভিড় করেছে কেনো।
কাগজ দেরি করে বেরোবে। কেনো বেরোবে।
কে বলেছেন। গলাটা একটু চড়া হয়ে যেতেই দেখলাম ভিড়টা পাতলা হতে শুরু করলো।
স্যার আপনি অনিবাবু।
হ্যাঁ।
মুখার্জী বাবু এই চিপটা দিতে বললেন।
আর কিছু দেন নি ?
সরি স্যার।
ভদ্রলোক ছুটে গাড়িতে চলে গেলেন। একটা ফাইল আমার হাতে দিয়ে বললেন, সব ইনফর্মেসন এখানে আছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভেতরে এসে একটু কফি খেয়ে যান।
সায়ন্তন।
দাদা।
দেখতো তোর ক্যামেরায় ঢোকে কিনা।
ঢুকলে কপি করে নেবো।
মেরিটে জায়গা থাকলে করে নে। নাহলে ওপরে চল। সন্দীপ ওনাদের একটু জল আর কফির ব্যবস্থা করো।
ওনাদের দিকে তাকিয়ে, আপনারা পাঁচমিনিট একটু বসে যান।
সোজা ওপরে চলে এলাম।
নিউজরুমে ঢুকতেই দাদা মল্লিকদা এগিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।
সবাইকে কেনো কষ্ট দিস।
আমি কাউকে কষ্ট দিইনি। অর্ক লিখতে বসে যা। তুই নিউজ কর, আমি গল্প লিখছি।
অরিত্র।
দাদা।
দ্বীপায়নকে ডাক।
এখানেই আছে, টয়লেটে গেছে।
সায়ন্তন।
দাদা।
ছবিগুলো ঘপা ঘপ রেডি করে দাদাকে দেখিয়ে নে।
দাদার দিকে তাকিয়ে বললাম কিছু খাওয়াবে। তুমি ওরকম ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো। মল্লিকদাকে বললাম।
মল্লিকদা কোনো কথা বলছে না।
আমি আমার টেবিলে বসে গেলাম।
অর্ক আমার পাশে।
সায়ন্তন।
ছুটে আমার কাছে এলো।
দাদা
তুই মল্লিকদাকে গল্পটা বল আর ছবিগুলে দেখা। আর একটা লেখা তৈরি কর।
ঠিক আছে।
আমি লিখতে বসে গেলাম। যেনো পরীক্ষা দিতে বসেছি। হাতটা ঝড়ের মতো চলতে শুরু করলো। এক একটা পাতা রাখছি নিমেষে চলে যাচ্ছে কমপোজের জন্য। যখন লেখা শেষ করলাম তখন রাত সাড়ে বারোটা। অর্ক তখনো লিখে চলেছে।
কিরে আর কতোটা লিখবি।
থামছে না।
তুই কি উপন্যাস লিখছিস।
কি করবো, শেষ হচ্ছেনা।
শেষ কর শেষ কর।
আমি মল্লিকদার টেবিলে এসে বসলাম। আমার লেখার প্রুফ দেখছে। আমার দিকে তাকালো। ফিক করে হাসলো।
কি হলো হাসছো যে।
এসেই বোমা ফাটালি।
তোমরা খামকা টেনসন নিলে।
বাড়িতে একবার ফোন কর।
করবো না।
কেনো।
একটু কষ্ট পাক।
তুই তোর দিকটা দেখছিস।
এই জায়গাটায় আমি খুব সেলফিস। বলতে পারো একরোখা।
যদি কোনো অঘটন ঘটতো।
ঘটলে ঘটতো। পৃথিবীতে কারুর জন্য কিছু থেমে থাকে।
মল্লিকদা হাসি হাসি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে।
কেমন নামালাম বলো।

তুই যেকোনো কাগজের এ্যাসেট।
গ্যাস মারতে শুরু করলে। দেখো দাদা চা খাওয়ালোনা।
তোর টেবিলটা দেখ।
জিভ বার করলাম।
কখন দিয়ে গেছে।
অনেকক্ষণ। তোকে কেউ ডিস্টার্ব করেনি।
দাঁড়াও ঠান্ডা চা খাই।
যাঃ তা হয়। মালিক বলে কথা।
ছোট মনে হয় আজকাল এইভাবে কথা বলতে বলেছে।
অফিসে।
খোঁজ নিতে হবে।
সন্দীপ কাছে এসে দাঁড়ালো।
বটাদা চা নিয়ে এলো। সবাইকে দিলো।
রাজ্য জয় করে এলে।
তুমি খেপে যাচ্ছ কেনো।
তোমার কিছু হলে আমরা না খেতে পেয়ে মরবো।
গুরু আমাকে নিয়ে যেতে পারতিস।
তোর বৌ বিধবা হলে কাকে জবাবদিহি করতাম।
ইস। এইসব বাচ্চা বাচ্চা ছেলে গুলো আছে।
একবার সার্কুলেসনের ভদ্রলোককে খবরদেনা।
দাদার ঘরে এসে হত্যে দিয়ে পরে আছে। সব কিছু দেখে বলে এক লাখ ইমপ্রেসন বেশি দেবে।
দাদা কি বলছে।
পঞ্চাশের বেশি উঠতে চাইছে না।
হাসলাম।
মল্লিকদার ফোনটা বেজে উঠলো। নম্বর দেখেই বললো, তোকে চাইছে।
মহা মুস্কিল।
একবার কথা বলনা। মহাভারত অশুদ্ধ হবেনা।
দাও।
বল।
লেখা শেষ হলো।
হ্যাঁ।
আমরা সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছি।
ঘুমিয়ে পর।
কেনো।
আমি ফিরবোনা।
প্লিজ।
দেখছি।
মল্লিকদাকে দে।
ধর।
আমি মল্লিকদার হাতে ফোনটা ধরিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। নিউজরুম এখন গিজ গিজ করছে। যাদের নটায় ডিউটি শেষ তারাও রয়ে গেছে। রাতের যারা তারাও আছে। আমি এরি মধ্যে অর্ককে ইশারায় ডেকে নিলাম। নিজের টেবিলে বসে কালকের ফলো আপটা করতে বললাম। এও বললাম খুব সাবধানে। ও মাথা নেড়ে গেলো।
দ্বীপায়ন কাছে এসে দাঁড়ালো।
ছবিগুলো দেখে নাও, সবাই দেখেছে।
কি রকম হয়েছে।
খুব আপসোস হচ্ছে।
কেনো!
যদি তোমার সঙ্গে যেতে পারতাম।
সায়ন্তন কোথায়।
দাদার ঘরে।
হয়েগেছে।
অর্ক আমার মুখের দিকে তাকালো।
কিরে ওর আমাশার ধাত নেইতো।
বলতে পারবোনা।
তাহলে কি চুজ করলি।
তখন হাতের কাছে পেলাম নিয়ে চলে গেলাম।
যা যা ডেকে আন।
দাদা যদি রাগ করে।
রাগ করলে করবে। বল আমি ডাকছি।
দ্বীপায়ন হাসছে।
তোমার সবদিকে চোখ।
না থাকলে তোরা মরে যাবি।
ছবিগুলো দেখলাম। একেবারে লাইভ।
কাগজটা কেমন সাজিয়েছিস।
বেরোলে দেখবে।
প্রেসে চলে গেছে।
ছাপা শুরু হয়েগেছে।
নিয়ে আয়।
সায়ন্তন এলো। সঙ্গে অর্ক।
কিরে।
তোমার কথাই ঠিক ওর আমাশা আছে।
ট্যাবলেট দিয়ে দিস। আমার কাছে কাজ করতে গেলে আমাশা রুগী চলবেনা।
সায়ন্তন মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে।
যা এবার কিছু খেয়ে নে।
সায়ন্তন চলে গেলো।
আজকের নিউজরুমের অবস্থাটা দেখে দারুণ ভালো লাগছে, সবাই এক সঙ্গে কাজ করছে, দারুণ চনমনে। দাদা আবার নিউজরুমে এলেন। দূর থেকে আমাকে লক্ষ্যকরে পায়ে পায়ে এগিয়ে এলেন। মল্লিকদার দিকে তাকালাম। ফিক করে হেসে ফেললো। দাদার পেছন পেছন সন্দীপ অর্ক সায়ন্তন। কাছে আসতেই সন্দীপ চেয়ার এগিয়ে দিলো। দেখলাম মল্লিকদা চেয়ার ছেড়ে উঠে এলো। দাদা বসতে বসতে আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে।

লেখাতো ছেপে দিলাম, ডকুমেন্স দে।
কেনো সায়ন্তন দেয়নি।
ছবি দিয়ে কি হবে। এরা যে টেররিস্ট তুই কি করে জানলি।
যারা কেশ করবে তারা প্রমাণ করবে।
সে বললে হয়।
তুমিকি সায়ন্তনের পেটে কিল মেরেছো।
একটু।
কিছু পাবেনা। ওটা নীরব দর্শক।
এই খেলাটা কবে থেকে খেলছিস।
জেনে কি করবে। তোমার কাগজ কালকে একমাত্র এই স্টোরিটা করছে। মাথায় রাখবে এক্সক্লুসিভ।
ওরা কেউ জানেনা।
জানবে না। আর কোনোদিন কেউ জানতেও পারবেনা।
দাদা আমার দিকে হাসি হাসি চোকে তাকিয়ে।
তোমরা সরোতো এখানে ভিড় করে আছো কেনো কাজ নেই।
বটা দা।
এটা খেয়ে নাও। চা নিয়ে আসছি।
আমার একার।
সবার গেলা হয়ে গেছে।
দাদার।
দাদা খাবেনা।
তুমি নিউজ পেয়ে গেছো।
তোমার জন্মের আগে থেকে আছি।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
ডিম পাঁউরুটি নিয়ে এসেছে বটাদা। দেখলাম অনেক গুলো করে নিয়ে এসেছে। সকলেরই হাতে।
সার্কুলেসন থেকে কাগজ চলে এলো। একটা হৈ হৈ শব্দ। নিমেষে আমার এখান থেকে ভিড়টা পাতলা হয়ে গেলো। সন্দীপ দাদার হাতে একটা কাগজ দিয়ে গেলো। দাদার মুখটা খুশিতে ভরে উঠলো।
মল্লিকদার হাতে কাগজ উল্টে পাল্টে দেখছে।
তুই কি করে নামালি বলতো ওই টেনসনের পর।
তুমি জিজ্ঞাসা করবে।
তোকে নিয়ে আমি রিসার্চ করবো।
হাসলাম।
তোর বড়মাকে ফোন করেছিস।
না।
খুব কষ্ট পাচ্ছে।
আমার মতো ছেলে যার তাকে একটু কষ্ট পেতেই হবে।
চল এবার বেরিয়ে পরি।
না তোমরা যাও। আমার আর একটু কাজ আছে।
তাহলে বসি তোর কাজ শেষ কর তারপর যাবো।
কেনো!
তোর বড়মা তোকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে বলেছে।
এইতো গন্ডগোল করলে।
তুই ফোন করে বলেদে।
আমি বলে এসেছি।
আমার সামনে বল।
বোসো।
দাদা হো হো করে হেসে ফেললো।
উঠে দাঁড়ালাম। সন্দীপকে কাছে ডেকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম।
চাবি কোথায় ?
কিসের চাবি!
গান্ডু।
খামকা গাল দিচ্ছিস।
মিত্রার ঘরের চাবি।
সন্দীপ জিভ বার করলো।
সরি।
জেরক্স।
আমার ড্রয়ারে।
নিয়ে আয়।
আমি করিডোরে দাঁড়িয়ে রইলাম।
সন্দীপ নিজের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে এলো।

এই কদিন ঘড় খোলা হয়নি ?
কে খুলবে।
তুই।
কেনো ?
এমনি।
শালা ঢেমনামো হচ্ছে।
চল দরজা খোল।
সন্দীপ গিয়ে দরজা খুললো।
আমি সন্দীপ ভেতরে ঢুকলাম।
নে তাড়াতাড়ি ফাইলটা বার কর।
জেরক্সটা নে।
ফাইলটা বার কর।
সন্দীপ একটা চেয়ার নিয়ে গিয়ে ফাইলটা বার করে নিয়ে এলো।
আমি ধুলো ঝেড়ে নিলাম। ফাইলটা খুলে জেরক্সটা ভেতরে রাখলাম।
অরিজিন্যাল।
ফাইলের মধ্যে।
কেনো ?
জেরক্স করে ফাইলের মধ্যে রেখে দিয়েছি।
তার মানে তুই দ্বিতীয়বার ঢুকেছিলি।
হ্যাঁ। সেই রাতেই।
ভাল করেছিস। একবার উঁকি দিয়ে দেখে নে। ফেটে যাবো।
সন্দীপ উঁকি দিয়ে দেখে নিলো। আমরা দুজনে বেরিয়ে এলাম। নিউজরুমে ঢুকলাম। দাদা মল্লিকদা খুব হাঁসা হাঁসি করছে।
অর্ক কাছে এলো।
কিরে বাড়ি যাবিনা ?
পকেট খালি।
আমি মানি পার্টস থেকে একটা হাজার টাকার নোট ওকে দিলাম। আমার কাছে আর নেই। কাল আয় বিকেলে নিয়ে নিবি। কত খরচ হয়েছে।
অনেক।
এক না দুই।
একের একটু বেশি দুয়ের একটু কম।
এতো পেলি কোথায়।
সব ধারে।
কাল আয় তোর এ্যাকাউন্টে ফেলে দিতে বলবো সনাতন বাবুকে।
আচ্ছা।
আমি যতোক্ষণ তোকে না বলছি ততক্ষোণ ওকে ছাড়বিনা।
আচ্ছা।
ডাক্তারের পাত্তা লাগা। এই কেসটা হয়ে যাবার পর, ডাক্তার জায়গা চেঞ্জ করতে পারে।
ঠিক আছে।
যা ভেগে যা।
অর্ক নাচতে নাচতে চলে গেলো।
আমি দাদার কাছে এলাম।
তোর বড়মা অস্থির হয়ে পরছে। আমাকে গাল দিচ্ছে।
ও তোমার সয়ে গেছে।
চলো।
এটা কিরে।
সব ব্যাপারে তোমার ইন্টারেস্ট কেনো বলোতো।
তুই নিজেই তো একটা ইন্টারেস্টিং পিপল।
চলো।
দাদা উঠে দাঁড়ালো।
সবাই একসঙ্গে বেরোলাম।
রবীন গাড়ি ড্রাইভ করছে।
আমি সামনে বসলাম। দাদা মল্লিকদা পেছনে। আস্তে আস্তে দেখলাম, ধর্মতলায় কাগজ নিয়ে মারপিট হচ্ছে।
দাদার দিকে তাকালাম।

কিরে অনি।
একটু বেশি ছেপেছো।
পঞ্চাশ হাজার।
সামাল দিতে পারবেতো।
আমি কি করে জানবো। যদি রিটার্ন হয়।
মল্লিকদা হো হো করে হেসে ফেললো।
তুই হাসলি কেনো।
অনি এক লাখের কথা বলেছিলো।
তুই বলেছিলি।
তখন তোমার প্রিন্ট অর্ডার দেওয়া হয়ে গেছে।
তাহলে ছাপতে বলে দিই।
না থাক। আমি বললাম।
ভবানীপুর রাসবিহারী হাজরাতেও একি অবস্থা। আমরা বাড়ির গেটে এসে দাঁড়ালাম। ছগনলাল দরজা খুললো। দেখলাম বারান্দায় লাইন করে সবাই দাঁড়িয়ে।
ইসলামভাই ছোটমা বড়মা ভজু কবিতা নীপা মিত্রা ডাক্তারদাদা।
নাও তোমার ছেলে সবাইকে কাঁদিয়ে বিশ্বজয় করে এলেন। মিত্রা ক্যাট ক্যাট করে উঠলো।
আমি হাসছি।
হাসিসনা। এই মানুষ গুলোর মুখের চেহারা দেখেছিস।
এদেরটা প্রকাশ পাচ্ছে না তোরটা প্রকাশ পাচ্ছে।
দেখি তোর মোবাইলটা।
না।
তোকে দিতেই হবে।
আচ্ছা দিচ্ছি দাঁড়া।
মিত্রা আমার পকেট থেকে জোড় করে মোবাইলটা বার করে নিলো।
বড়মার মুখের সামনে গিয়ে ধরলো। দেখো স্যুইচ অফ কিনা।
বড়মা ছোটমা দামিনী মাসি ইসলামভাই-এর চোখ ছল ছল করছে।
বারান্দার এক কোনে দেখলাম রতন আবিদ নেপলা বসে আছে।
আমি বড়ামার কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাকে পেতে গেলে একটু টেনসন নিতে হবে সবাইকে।
ইসলামভাই দাদার হাত থেকে কাগজটা নিয়ে নিলো। চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেছে। আকিবের ছবি ছাপা হয়েছে। আমাদের দিকে তাকালো। চোখ যেনো ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
তাহলে এডিটর অনিবাবু টাইমের আগেই কাজ সারলো। ডাক্তারদাদা বলে উঠলো।
তুমি জানো আর অনিবাবু জানে। আমাকে কিছু বলেনি।
আমি মাথা নীচু করে।
চলো ভেতরে চলো।
তোমরা যাও আমি আসছি।
মুন্নাদা। মিত্রা চেঁচিয়ে উঠলো।
কিরে মামনি।
এদিকে এসো।
বুঝলাম মিত্রা লাস্ট ম্যাসেজটা খুঁজে পেয়ে গেছে।
আমি রতনদের কাছে এলাম।
কিরে তোরা কখন এসেছিস।
সেই তখন থেকে, যখন তুমি আকিবকে তুলে নিয়ে গেলে।
তোরা দেখেছিস।
পাশের ঝুপরিতে ছিলাম।
দামিনীমাসি ইসলামভাই আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে ঝড় ঝড় করে কেঁদে ফেললো।
একি তোমরা কাঁদছো কেনো।
রতন নেপলা আবিদ উঠে দাঁড়িয়েছে।
রতন আজ অনির জন্য বেঁচে গেলাম। এদের হাত থেকে আমিও হয়তো বাঁচতাম না।
কি বলছো দাদা তুমি!
রতনের গলা কাঁদো কাঁদো। আবিদের চোখ ছল ছল। নেপলা বুঝে উঠতে পারছেনা। রাগে ফুঁসছে।
আরে কাঁদলে হবে।
ওরা অনিকেও ছারতো না।
কি বলছো কি তুমি।
ওরা কেউ এখানকার নয়।
মিত্রা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
একে একে সবাই এগিয়ে আসছে।
তোর কিছু হলে আমি কি নিয়ে থাকবো। মিত্রা ঝড় ঝড় করে কেঁদে উঠলো।
দামিনী মাসি আমাকে ছেড়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো।
এই দেখো সবাই মিলে পাগলামো করে। আমার কিছু হয়েছে নাকি।
ছোটমা বড়মা চোখ মুছছে। দাদা আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। মল্লিকদা পুরো ফিউজ।
তোমরা কাঁদলে কিছু হবে না। ওর মুখের কোনো বিকার দেখেছো। ও বৃহস্পতিবার থেকে ফলোআপ করছে। ডাক্তারদাদা বললো।
তুমি জানতে।
না।
তাহলে বললে কি করে।
ও ঘন ঘন নিজেকে চেঞ্জ করেছে। আমি বড়োবান্ধবীকে বলেছি। তুমি একবার অনিকে চেপে ধরো।
তুমি আমাকে বলোনি কেনো।
কি করে জানবো এরকম ঘটনা ঘটতে চলেছে।
মুন্না তুমি।
বিশ্বাস করুণ দাদা। মামনির সাহায্যে ওর মোবাইলটা চুরি করে যতটুকু জানতে পেরছি। তাও ও জানতে পেরে গেছে। লাস্ট ম্যাসেজটা ওর মোবাইলে টাইম পাঁচটা পঁয়তাল্লিশ।
হ্যাঁ তুমি ঠিক বলছো। ঠিক তার ঘন্টা খানেকর মধ্যে অর্ক সায়ন্তন কাউকে কিছু না বলে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছে।
ও আজকে যাদের সঙ্গে নিয়ে গেছে তারা সবাই এনএসজির লোক। আমি ধোপে টিকবোনা।
কি বলছো!
ও দুপুর থেকে ছটফট করছিলো।
কে ঘটনাটা ঘটাচ্ছে।
রাজনাথ।
দাঁড়াও আমি ফোন করছি।
একবারে করবেনা ওটা আমার খাবার। ফোন করলে অনিকে পাবেনা।
তুই যা বলবি শুনতে হবে।
শুনতে হবে নাহলে অনিকে ছাড়তে হবে।
সবাই চুপ করে গেলো।
সবাই ভেতরে যাও।

ইসলামভাই।
বল।
তুমি আবিদ রতন ওপরে এসো।
সবাই আমার গলার স্বরে চমকে গেছে।
খাবার ব্যবস্থা করো। অনেক রাত হয়েছে।
মিত্রা।
বল।
এই ফাইলটা রাখ।
একটু আগে আমার রূপ আর এখন এই মুহূর্তে আমার রূপ দেখে সবাই থতোমতো খেয়ে গেছে।
আমি সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে এলাম।
আমার পেছন পেছন ইসলামভাই আবিদ রতন দেখলাম দামিনীমাসি পেছন ধরেছে।
ঘরে চলে এলাম।
তুমি এলে। তোমাকে আসতে বলিনি।
আমি থাকবো।
তুমি থাকবে না।
থাকবো।
কোনো কথা বলতে পারবেনা।
ঠিক আছে শুনবো।
কাঁদতে পারবেনা।
দামিনী মাসি মাথা দোলালো।
ঘরে ঢুকেই ইসলামভাই-এর দিকে তাকালাম। ডাক্তার কোথায় আছে।
তুই বিশ্বাস কর আমি জানিনা।
রতন।
আমি জানিনা।
আবিদ।
মাথা নীচু করে রইলো।
বল কোথায় আছে।
শেষ জানতাম রাজনাথ বাবুর বাড়িতে।
কোন বাড়িতে।
মুরারীপুকুরে।
তারপর।
আর জানি না।
মাসি জানতো।
মাসির কথা মতো ওইটুকু খোঁজ পেয়েছিলাম। তারপর আর জানি না।
তোর ফোন। মিত্রা ঘরে ঢুকলো।
হ্যালো।
কি হলো আমার এ্যাকাউন্ট নং।
সরি।
হাত ধোয়া হলো।
হ্যাঁ।
যেটা বেঁচে আছে।
রাখলাম না। আই উইটনেস করে নিলাম থানার ওসিকে তারপর ঝেড়েদিলাম। রাখলেই ঝামেলা।
ভাল করেছেন।
নিনি লিখে নিন।
মিত্রা দাঁড়িয়ে আছে সব শুনছে। আমি ইচ্ছে করে ভয়েজ অন করে রেখেছি।
আমি একে একে সব নম্বর বললাম।
গুড।
এবার বলুন।
এ্যাকাউন্ট গুলো সব রঘুবীর যাদবের নামে আছে। নমিনি রাজনাথ। সব এ্যাকাউন্ট সিল করুন। যে কোনো সময় আপনাকে ডাকতে পারি। টিম নিয়ে রেডি থাকবেন।
আচ্ছা ওরা কি আপনাকে টার্গেট করেছিলো।
কে বললো আপনাকে।
যেটা বেঁচে ছিলো।
রেকর্ডিং করেছেন।
অবশ্যই। তবে ওরা আপনাকে চেনে না। আকিব বলে ছেলেটা ওদের চিনিয়ে দিতো।
কালকে রেকর্ডিংটা এবং একটা কপি আমাকে একটু জেরক্স করে পাঠান।
সকালে পাঠিয়ে দেবো। আর একটা অন্যায় করেছি।
আবার কি হলো।
বড়দা আপনার দাদা রিকোয়েস্ট করলো একটু হিন্টস দিয়ে ফেলেছি।

বেশ করেছেন।
কালকে ব্যাঙ্ক খোলার আগেই সিজ করুণ।
কালকে কাজ সেরে বাড়ি যাবো। এখন অফিসেই ঘুমবো।
কাগজ দেখুন।
বেরিয়ে গেছে ?
হ্যাঁ।
এখুনি আনিয়ে নিচ্ছি।
আচ্ছা।
ফোনে কথা শেষ করে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখলাম। গেটের মুখে সব দাঁড়িয়ে আছে।
কি হলো তোমরা এখানে।
তোর মাথা ঠান্ডা হয়েছে। দাদা হাসতে হাসতে বললো।
আমার মাথা কখনই গরম নয়।
তখন যেরকম বাজখাঁই গলায় চেঁচিয়ে উঠলি। আর একটু হলে স্ট্রোক হয়ে যেতো।
ভেতরে এসে বোসো।
সাগির অবতার কোথায় আছে।
আমার কাছে। মাসি বললো।
কাল যখন বলবো বার করে দেবো। এনকাউন্টার করাবো।
অনি!
সবাই আমার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে।
আমার কথার কোনো দ্বিরুক্তি যেনো না হয়। কি কথা মুখার্জীকে বললাম শুনেছো।
শুনলাম।
ওরা অন্যায় করবেনা।
সামলাতে পারবে।
আমি কথা দিচ্ছি। মাসি আমার হাতটা চেপে ধরলো।
রতন।
বলো।
কাল সকালে ব্যারাকপুর লাটবাগানে যাবি। ভিখারী হবি। নুলো ভিখারি। পারবি।
আমি পারবো দাদা রতনদা পারবেনা। আবিদ বললো।
ছোটমা একটু চা খাওয়াতে পারবে।
এত রাতে।
অনি ঠিক কথা বলেছে। দাদা বললো।
যাওনা ছোট একটু নিয়ে এসো। ডাক্তারদাদা বললো।
ছোটমা বেরিয়ে গেলো।
ঠিকানাটা লিখে নে। মাথায় রাখবি তোকে মার্ক করার জন্য আমার লোক থাকবে।
আমি ভুল করবোনা।
মাথায় রাখবি।
আজ বিকেল থেকে মাথায় রাখছি।
সবাই হেসে ফেললো।
ঠিকানা বলো।
আমি বললাম। আবিদ লিখলো।
এই বাড়িতে ডাক্তার লুকিয়ে আছে।
দামিনী মাসি বড়মা ইসলামভাই সকলে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
কে যাচ্ছে কে বেরোচ্ছে আমাকে জানাবি। আমি তোর সঙ্গে মিলিয়ে নেবো।
আচ্ছা।
মিত্রা।
বল।
কাল দশটায় দাদার সঙ্গে অফিসে যাবি। আমার ল্যাপটপ প্রিন্টার সঙ্গে নিয়ে যাবি। তোকে নিয়ে বিকেল বেলা বেরোবো।
কোথায় যাবি ?
প্রশ্ন করবি না যেখানে যাবো দেখতে পাবি।
ইসলামভাই।
বল।
কাল সারাদিন তুমি দামিনীমাসি রতন এই বাড়িতে থাকবে। আমি না বলা পর্যন্ত বেরোবে না।
আচ্ছা।
ছোটমা ভজু চা নিয়ে ঢুকলো।
আমাকে চা দিতে দিতে বললো আমাকে বল ওদের কি বললি।
মল্লিকদার কাছ থেকে শুনে নেবে।
ওরকম গম্ভীর হয়ে কথা বলছিস কেনো। একটু ভালো করে বলনা। দেবো কান মুলে।
হেসেফেললাম।
এইতো আসল অনি বেরিয়ে পরেছে।
সবার মুখ চওড়া হলো।
হ্যাঁরে অনি আজ তুই সেমিফাইন্যাল খেললি ফাইন্যাল কবে খেলবি। ডাক্তারদাদা বললো।
আগামীকাল, মিত্রাকে নিয়ে অত্যন্ত ভদ্রভাবে।
যাক শুনে আশ্বস্ত হলাম।
এবার খাওয়ার জায়গা করো।
দামিনী মাসি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
কিহলো তোমার।
না কিছুনা।
যাও নিচে যাও।
ছোটমা দামিনীকে নিয়ে নিচে চলে গেলো।
মিত্রা খালি ঘরে দাঁড়িয়ে রইলো। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks