দেখি নাই ফিরে - (Part-28)

মিত্রা এখন বেশ ভালো, আমি রেগুলার কিছুক্ষণের জন্য অফিসে যাই, ডাক্তারবাবু, সাতদিন সাতদিন করে প্রায় একমাস কাটিয়ে দিয়েছেন, মিত্রা বেশির ভাগ সময়টা এ বাড়িতেই আছে, মাঝে মাঝে বড়মা ছোটমাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে কাটিয়ে আসছে, ওদের অবর্তমানে আমি দাদা মল্লিকদা রান্না করে খাচ্ছি। রান্না আমিই করেছি। দামিনী মাসীর ছেলে ভজুকে নিয়ে এসেছি এবাড়িতে কাজের জন্য। বড়মা ছোটমার অনেক কাজ ভজু করে দেয়, তবে ভজুর একটা বায়না, সে বাইরে শোবে না, তাই তাকে ওপরের বারান্দায় আমার ঘরের সামনে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। মিত্রা অফিসের কাজ এখন বুঝে ওঠার চেষ্টা করছে, আমার কাছে মাঝে মাঝে ক্লাস করছে। অনাদি চিকনার ব্যাপারে ফোন করেছিল, চিকনা মহাখুশী, সে কাজ শুরু করেদিয়েছে, বাড়িতে বাথরুম বানানো হয়েছে।
অফিসের অবস্থা এখন স্থিতিশীল, আমি সবসময় সবাইকে একটা চাপের মধ্যে রেখেছি। সবার সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ রাখার দরকার তা রেখেছি। এই একমাসে অফিসের আয় কিছুটা হলেও আমি বাড়িয়ে দিয়েছি। আপাতত অনি নামক বস্তুকে সবাই সমীহ কিংবা ভয় করতে শুরু করেছে।
আমার দেশের বাড়িতে যাওয়ার ডেট ফিক্সড হয়েছে, আগামীকাল, মিত্রা ছোটমা বড়মা বেশ কয়েকদিন হল নিজের বাড়িতে গেছে, গুছিয়ে গাছিয়ে আজ রাতে ফিরবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি ভজুকে সঙ্গে নিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে ফেললাম, তারপর নিজেরা খেয়ে নিলাম বড়মা তিনবার ফোন করে ফেলেছে, কিরে কতদূর, তুইতো সবেতেই এক্সপার্ট।
আমি বড়মাকে বললাম, কেউ যখন ছিলনা তখন সব নিজে হাতে করতাম, বছর খানেক হলো সব ভুলে গেছিলাম, তোমাদের আর্শীবাদে আবার রপ্ত হলাম।
মিত্রার গলা পেলাম, বড়মা বলনা, শয়তান একা একা বেশ ভালো মন্দ খাচ্ছে, আমাদের জন্য রাতে যেনো থাকে।
বড়মা আমাকে বললো, শুনতে পাচ্ছিস।
আমি বললাম এখন ছাড়, ভাতের হাঁড়ি উল্টেছি, কথা বলতে গেলে হাত পোরাবো।
বড়মা বললো, ঠিক আছে ঠিক আছে রাখছি।
দাদা মল্লিকদা আগে আগে বেরিয়ে গেলো, আমি স্নান সেরে ভজুকে নিয়ে খেতে বসলাম, ভজুকে বললাম, দুপুরে খিদে পেলে, ফ্রিজ থেকে বার করে গরম করে নিয়ে খাবি।
ভজু এই কদিনে তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যাটা নিজের মনে নিজে থাকে, ওর কথাও ঠিক পরিষ্কার নয়। হাঁটা চলায় একটা এ্যাবনর্মালিটি আছে।
কিরে ভজু আমরা না থাকলে দাদাদের চা তৈরি করে দিতে পারবি তো।
আমি সব পারবো অনিদা, তুমি কিচ্ছু চিন্তা করো না।
আমি হাসলাম, ভজুও হাসলো।
এখন বাড়ির দায়িত্ব গেটে ছগনলাল, আর ভজু। তবে দুজনেই খুব সজাগ। মাছি গলতে পারে না।
আমি ওপরে এসে জামাকাপর পরলাম। রেডি হয়ে বেরোতে যাব, ফোনটা বেজে উঠলো। দেখলাম অদিতির নামটা ভেসে উঠেছে।
হ্যালো।
বলো অদিতি।
কেমন আছ।
ভালো।
মিত্রাদি।
ভালো আছে, তবে এখানে নেই।
কোথায়।
নিজের বাড়িতে।
তাই। বড়মা ছোটমা।
সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তাহলে খাওয়া দাওয়া।
রান্না করছি।
তুমি।
হ্যাঁ।
তোমার এই গুনটাও আছে।
ছিলো, মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিলো, এখন আবার একটু ঝালিয়ে নিচ্ছি।
সত্যি অনিদা তুমি পারও বটে।
তারপর তোমাদের খবর কি।
ভালো। আজ তোমার প্রোগ্রাম কি।
সেই ভাবে কিছু নেই। একবার অফিসে যাবো। তারপর এদিক ওদিক।
দুপুরে একটু সময় দিতে পারবে।
কখন বলো।
আমি তোমায় তুলে নেবো।
কোথায় দাঁড়াতে হবে।
পার্ক স্ট্রীট।
ঠিক আছে।
আমি এ্যাসিয়াটিক সোসাইটির তলায় থাকবো। কটায় বলো।
২ টো।
আচ্ছা।

আমি অফিসে এলাম, নিউজরুমে ঢুকতেই, মল্লিকদা ডাকলেন।
গিয়ে চেয়ারে বসলাম।
ছোটো ফোন করেছিলো।
কেনো।
তোকে একবার ফোন করতে বলেছে।
কেনো।
কি করে জানবো।
দেখো পিঁয়াজি করো না। ছোটো ফোন করলো আর তুমি জানবে না। এটা হয়।
এই তো শুরু করে দিলি, তুই এখন মালিক, এসব কথা বললে লোকে কি ভাববে।
উঠে চলে এলাম।
নিজের টেবিলে বসে, মিত্রাকে ফোন করলাম।
বল।
ছোটোমাকে দে।
ওপরে।
তুই কোথায়, পাতালে।
এক থাপ্পর।
আর মারিসনা সেদিন বড্ড লেগেছিলো।
মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠলো। ছোটোমা বলে চিল্লালো, শুনতে পাচ্ছি।
তুই কি অফিসে।
হ্যাঁ।
কি করছিস।
এখনো কিছু করছি না, আসতেই মল্লিকদা বললো, ছোটোমা ফোন করতে বলেছে তাই ফোন করছি।
তোর আজগে হবে।
কেনো রে আবার কি করলাম।
কি করলি, দেখ না।
তুই একটু হিন্টস দে।
ধর।
হ্যাঁরে তুই কোথায় রে। ছোটমার গলা।
অফিসে।

এরি মধ্যে ঢুকে পরেছিস।
হ্যাঁ।
কখন ফিরবি।
বলতে পারবো না।
তার মানে।
আসি আমার ইচ্ছেয়, যাবো কাজের ইচ্ছেয়, কাজ শেষ হলেই যাবো।
মাছের ঝোল কে রান্না করেছিলো।
আমি।
আমাদের জন্য রেখেছিস।
পাঁচ-ছপিস পরে আছে। ভজুকে বলেছি, খেয়ে নিস।
তার মানে।
দেখো ও রান্না তোমাদের মুখে রুচবে না, আমরা পুরুষরা চালিয়ে নেবো। তোমরা পারবে না। আসল কথা বলোতো। এর জন্য তুমি ফোন করতে বলো নি।
তুই একবার আসবি।
অবশ্যই না।
কেনো।
কাজ আছে। দুটো থেকে একজায়গায় মিটিং। কখন শেষ হবে জানি না।
তাহলে তোকে বলা যাবে না।
রাতে কথা হবে। বড়মা ঠিক আছে।
ঠিক আছে কই রে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।
কেনো।
তার গতরে নাকি শুঁয়োপোকা পরে যাচ্ছে।
হো হো করে হেসে ফেললাম।
রাখছি।
অমিতাভদার ঘরে গেলাম, দেখলাম চম্পকদা আর সুনীতদা বসে আছে। আমাকে দেখেই বললেন, আসুন ছোটো সাহেব।
আমি একটা চেয়ার নিয়ে বসলাম।
দাদাকে বললাম আমার কোনো কাজ আছে।
ওরা দুজনে হেসে ফেললো।
সত্যি অনি তোকে দেখে বোঝা মুস্কিল তোর রোলটা এই হাউসে কি। চম্পকদা বললেন।
কেনো আমি যা আছি তাই, তোমরা একটা বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছো বইছি, যেদিন পারবো না, বলে দেবো এবার খান্ত দাও।
সে সময় আসবে।
কেনো আসবে না।
বাই দা বাই, শোন মন্ত্রী মহাশয় অর্ধেকটাকা পাঠিয়ে দিয়েছে।
আমার কমিশন।
তোর জিনিষ তুই পুরোটাই নে না, কে বারন করতে যাচ্ছে।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
তোমার টার্গেট কতদূর।
মনে হচ্ছে ফুলফিল করতে পারবো। তুই এরকম ভাবে হেল্প করলেই হবে।
আমি যতটা পারবো করবো, বাকিটা তুমি তোমার টিম।
হ্যাঁরে দাদার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ওই জায়গাটা নিয়ে কিছু ভাবলি।
কাগজপত্র রেডি করতে দিয়েছি, হয়ে যাক তারপর ভাববো। এখন অফিসের ঋণ শোধ। এটা আমার থেকে তোমরা দুজন ভালো করে জানো।
সুনীতদা চম্পকদা মাথা নীচু করলো।
মাথায় রাখবে জিনিষটা আমার একার নয়, এই বটগাছটাকে বাঁচাতে পারলে, আমরা সবাই বাঁচবো।
তুই বিশ্বাস কর অনি তুই আমার ছেলের মতো, এখনো সেই দিনটার কথা মনে পরলে, রাতে ঘুম হয় না।
সুনীতদার ওই সব কিছু হয় না, সুনীতদার রাতে বেশ ভালো ঘুম হয়, সুনীতদার কিছু মনে থাকে না।
সুনীতদা আমার দিকে তাকালেন, তুই এই ভাবে বলছিস কেনো।
তুমি ভেবে দেখো।
সুনীতদা চুপ।
সুনীতদা এখনো সময় আছে, তোমায় নিয়ে আমার অনেক বড়ো কাজ করার স্বপ্ন আছে, তুমি এখনো শোধরাও নি।
না অনি বিশ্বাস কর ওরা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো।
আমার এখান থেকে অনেক বেশি মাইনের অফার আছে তোমার কাছে চলে যাও। তোমাকে কেউ ধরে রাখে নি।
আমি যাবো না বলে দিয়েছি।
না তুমি তা বলো নি। ঝুলিয়ে রেখেছো।
সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, আবার কি হলো।
আবার বলি সুনীতদা তুমি যদি ভেবে থাকো অনি খুব দুর্বল তাহলে ভুল করবে। তোমাকে আমি ওয়াচে রাখছি।
কিরে সুনীত তোর লজ্জা করে না। চম্পকদা বললেন।
না তুই বিশ্বাস কর চম্পক।
তাহলে অনি যা বলছে তুই প্রতিবাদ করছিস না কেনো। ও তো তোর পেছনে বলছে না।
সুনীতদা চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে গেলো।
বুঝলে চম্পকদা সুনীতদার স্বভাবটা মনে হয় চেঞ্জ করতে পারবো না।

দাঁড়া আমায় একটু সময় দে।
দাদার ফোন থেকে সনাতন বাবুকে ডেকে পাঠালাম। সনাতন বাবু এলেন। চেয়ারে বসলেন।
সুনীতবাবুর আবার কি হলো। সবার দিকে তাকালেন।
ও অন্যায় করেছে, অনি বললো।
আমরা শুধরে নিচ্ছি উনি পারছেন না।
দাদা একটু চা খাওয়াবে।
আমায় বলছিস কেনো, তুই হরিদাকে ডেকে বল।
তুমি বলো, তোমার বলা আর আমার বলার মধ্যে পার্থক্য আছে।
সবাই মুচকি হাসলো। দাদা বেলে হাত দিলেন। হরিদা উঁকি মারলো। বুঝে গেলো।
সনাতান বাবুকে বললাম আমার কাগজপত্র রেডি।
না ছোটোবাবু, ওরা এখনো দেয় নি।
কেনো।
আপনি একটু বলুন।
তাহলে আপনি কি করতে আছেন।
আছি তো কিন্তু কতবার বলি বলুন তো।
মেমো দিন, কি উত্তর দেয় দেখুন। আমি এর মধ্যে ঢুকলে এ্যাকসন অন্য হবে।
ফোনটা সনাতনবাবুর দিকে এগিয়ে দিলাম। ডাকুন এখানে।
কিছুক্ষণ পর অরিন্দম আর কিংশুকবাবু ঢুকলেন। আমাকে দেখেই চমকে গেলেন। আমিই বললাম বসুন।
আপনার কাগজ রেডি করেছি এখুনি দিয়ে দেবো। কিংশুকবাবু বললেন।
আমায় কেনো, ওটা সনাতন বাবুর টেবিলে পাঠানোর কথা।
এই সবে শেষ করলাম।
কেনো। কাজের চাপ বেরে গেছে।
না .....



পার্টি ফার্টি বন্ধ করুন, আগে কাজ তারপর ফুর্তি।
না মানে......
তোতলাবেন না। প্রফেসনাল হাউসে কাজ করছেন। আজকে কিছু বললাম না, এরপর দিন সনাতনবাবুকে মেমো ধরাতে বলেছি।
অনিবাবু!
আপনার কি খবর। অরিন্দমবাবুর দিকে তাকালাম।
ওরা কিছুতেই মানছেন না।
কলকাতায় আর লোক নেই, কালকে একটা টেন্ডার ফেলুন কাগজে। টেন্ডার জমা পরলে আমি ওপেন করবো।
না কয়েকদিন সময় দিলে.......
অরিন্দমবাবু আমি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না, বকলমে ব্যবসা করবেন না।
কেউ যেনো অরিন্দমবাবুর গালে ঠাস করে একটা চড় মারলো।
কি হলো চুপ করে গেলেন কেনো, অনি সব জেনে ফেলেছে, এতো কান্ড হওয়ার পরও আপনারা কি ভাবেন। আমি সব ভুলে গেছি। আপনাদের বলেছি না, বাহান্নকার্ডের মধ্যে মাত্র ছটা কার্ড নিয়ে আমি গেম খেলছি। আপনারা পারবেন না, তা সত্বেও.......
অনি দূরকর এগুলোকে। অমিতাভদা চম্পকদা দুজনেই চেঁচিয়ে উঠলেন।
অরিন্দমবাবু মাথা নীচু করে বসে আছেন।
আমি কাল বাইরে যাচ্ছি, দাদা আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি যাবেন, কাগজ দাদার হাতে পৌঁছে দেবেন। আমি তিনদিন পর এসে আবার বসবো।
সনাতনবাবু এ সপ্তাহের স্টেটমেন্ট।
দাদারহাতে দিয়ে দেবো।
হরিদা চা নিয়ে এলো, চায়ে চুমুক দিলাম, ফোনটা বেজে উঠলো, অদিতি।
তুমি কোথায়।
অফিসে।
কটা বাজে দেখেছো।
বেরোচ্ছি।
চম্পকদা আমার দিকে তাকালেন, মুচকি হেসে বললেন, কিরে আবার দাঁও মারবি।
জানিনা।
তুই আমাকে চাকরি থেকে দূর কর।
কেনো।
তুই সব নিয়ে এলে আমি কি করবো।
আমার থেকে তুমি বেশি নিয়ে আসতে পারলে তুমি যাও।
না এখানে তোর সঙ্গে পারবো না।
জানো চম্পকদা কাগজের প্রতি তোমার ডেডিকেসন যদি ঠিক থাকে, কাগজ তোমার সব দায়িত্ব নেবে। একবার সুযোগ দিয়ে দেখো না। উঠি।
তোর আর্টিকেলটা।
সবাই হেসে ফেললো।
উঃ, ঠিক আছে রাতে দিয়ে দেবো।
দাদার ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। হরিদা বেরোতেই বললো, ছোটবাবু তোমার সঙ্গে একটা কথা আছে।
এখন।
হ্যাঁ।
দাদাকে বোলে দিও, রাতে জেনে নেবো।
ঠিক আছে।
বেরিয়ে এসে একটা ট্যাক্সি ধরে সোজা চলে এলাম পার্ক স্ট্রীটে, এ্যাসিয়াটিক সোসাইটির তলায় দাঁড়ালাম।
মিনিট খানেক দাঁড়িয়েছি, দেখি অদিতি গাড়ির কাঁচ খুলে ডাকছে। আমি তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে বসলাম, ওমা দেখি মিলিও আছে, একটু অবাক হলাম, গাড়িতে বসে ওদের ভালো করে লক্ষ্যকরলাম, দুজনে যা ড্রেস হাঁকিয়েছে আজকে, মাথা খারাপ করে দেওয়ার মতো, জিনসের পেন্ট সর্ট গেঞ্জি, তাও আবার নাভির ঠিক ওপরের দুইঞ্চি আর নিচের চার ইঞ্চি উন্মুক্ত, আমি পেছনে হেলান দিলাম, লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখলাম, অদিতি মিলিকে ইসারায় কি বলছে, আমি জানলার দিকে মুখ করে চোরা চাহুনি মারছি। অদিতি স্টিয়ারিংয়ে বসেছে।

অনিদা।
উঁ।
তোমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছি বলতো।
কি করে বলবো।
গেজ করো।
আমায় হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা আমি যে পথো চিনি না।
ওরা দুজনেই খিল খিল করে হেসে উঠলো। সত্যি অনিদা তোমার সঙ্গ উপভোগ করা ভাগ্যের ব্যাপার।
কেনো।
তুমি খুব এনজয়বেল। চিয়ার লিডার।
সে কি গো শেষ পযর্ন্ত......
ঠিক আছে বাবা উইথড্র করছি।
কেঁচ করে ব্রেক মারলো অদিতি। সামনে একটা গাড়ি হঠাত ব্রেক কষেছে। আমি পেছনের সিটি একটু জবু থবু।
কি হলো।
ভাবছি।
কি।
জীবনের রূপ, রস, গন্ধ এখনো কিছুই উপভোগ করতে পারি নি, এরি মধ্যে যদি বেঘোরে প্রানটা যায়।
হা হা হা।
হাসবেই, তোমরা তবু কিছু পেয়েছো। আমি এখনো মরুভূমিতে মরিচিকার মতো ঘুরছি।
তুমি কিন্তু চাইলেই পেয়ে যাবে।
এখানেই তো সব শেষ।
কেনো।
মুখ ফুটে আমি যে চাইতে পারি না।
কেনো মিত্রাদি।
সবাই তাই বলে, কিন্তু মালকিন বলে কথা, যতই হোক আমাকে মাসের ভাতটুকু দেয় তো।
তুমি এখন মালিক।
সেটা এখনো ভাবতে পারছি না।
সে কি গো।
হ্যাঁগো, তোমাদের মিথ্যে বলতে যাবো কেনো। হওয়ার পর থেকে যা ঝড় যাচ্ছে, ভাববার সময় পেলাম কোথায়।
তা ঠিক। তুমি বলে লড়ে গেলে, আমরা পারতাম না।
গাড়িটা বাইপাস হয়ে স্প্রিং ভ্যালিতে ঢুকলো। আমি পেছনে বসে আছি। এই ছোটো গাড়ি গুলোর এসিটা বেশ স্ট্রং একটুতেই ঠান্ডা লাগে আর শীত শীত করে।
আমরা এসে গেছি।
এটা কি তোমাদের নতুন অফিস।
ওঃ সত্যি তুমি এসব বোলো না।
কেনো।
এটা মিলির ফ্ল্যাট।
এখানে।
হ্যাঁ।
আরি বাস, তার মানে মিলি তো.......
চুপ।

কেনো।
চলো আমরা নেমে দাঁড়াই অদিতি গাড়িটা পার্ক করে আসুক।
আমি আর মিলি নেমে দাঁড়ালাম। মিলি গেঞ্জিটা টেনে নামাবার চেষ্টা করলো, নামলো যদিও একটু তবে আবার যেই কে সেই। মিলির নাভির দিকে চোখ চলে যাচ্ছে, চোখ ঘুরিয়ে নিচ্ছি। মিলি বুঝতে পেরেছে।
তোমারটা ক’ তলায়।
এইটিনথ ফ্লোর।
উনিশ তলা!।
হ্যাঁ।
কোনোদিন হেঁটে উঠেছো।
না।
একবার উঠে দেখো তো।
এ জীবনে সম্ভব নয়।
কেনো।
চব্বিশ ঘন্টা লিফ্ট আছে তো।
কারেন্ট যায় না, যায় তবে জেনারেটর আছে।
অদিতি আসছে, অদিতির হাঁটার স্টাইলটা অনেকটা মডেলদের মতো, কোমরটা এতো সুন্দর দুলছে তাকিয়ে থাকার মতো, মাথার ঘনো কালো চুল কোমরের ওপরে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। চোখে স্নান গ্লাস, হাইট পাঁচ ছয় মেয়েদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট লম্বা। মিলি সেই তুলনায় একটু বেঁটে, আর টিনা এদের কাছে লিলিপুট।
চলো।
আমি ওদের পাশাপাশি হেঁটে লিফ্টের কাছে এলাম। মিলি লিফ্ট বক্সের বোতামে হাত দিলো। দরজা খুললো, আমরা ভেতরে গেলাম, হাউইয়ের মতো লিফ্টটা ওপরে উঠে এলো, মিনিটখানেক লাগলো হয়তো। লিফ্ট থামলো, আমরা নামলাম, এক একটা ফ্লোরে ছটা করে দরজা, মানে ছটা করেই ফ্ল্যাট, একেবারে বাঁদিকের শেষরটায় দেখলাম কোলাপসিবল গেট টানা, দরজায় লেখা আছে, মিলি সান্যাল, চিফ এক্সিকিউটিভ এয়ারটেল। মিলি পার্সথেকে চাবি বার করে প্রথমে কোলাপসিবল গেটটা খুললো, তারপর ভেতরের দরজাটা, আমি অদিতির পাশে দাঁড়িয়ে, এদের ব্যাপার স্যাপার মাথায় ঢুকছে না।
খুব অবাক হচ্ছো না।
মোটেই না।
অদিতা স্নানগ্লাসটা খুলে, আমার দিকে তাকালো। চোখে বিস্ময়।
তুমি জানতে আমরা এখানে আসবো।
এখানে আসবে এটা জানতাম না, তবে তোমাদের দুজনের কারুর একটা বাড়িতে যাচ্ছি গেজ করেছিলাম।
এরপরের এপিসোড গেজ করো।
তাও ভেবে রেখেছি।
বলো।
একটু আড্ডা হবে চুটিয়ে।
ভেতরে এলাম। এক্সিকিউটিভের মতোই ফ্ল্যাট। চারিদিকে ঝকঝকে আধুনিকতার ছাপ, টিনার ফ্ল্যাটে একটা অন্য গন্ধ পেয়েছিলাম। এখানে অন্য গন্ধ পাচ্ছি। ড্রইংরুমটা দারুন সাজানো গোছানো, প্রায় ১২০০ স্কোয়ারফুটের ফ্ল্যাট। মিলি কি এখানে একা থাকে নাকি। এসব প্রশ্ন এখানে করা বৃথা।
বোসো। মিলি বললো। দাঁড়িয়ে আছো কেনো।
আমি ড্রইংরুমের মাঝখানে পাতা বড় সোফায় হেলান দিলাম। অদিতি আমার পাশের সোফায় বসেছে। হাতদুটো বুকের কাছে ভাঁজ করা, মাইদুটো হাতের ওপর দিয়ে উপচে পরেছে, গেঞ্জিটা অনেক ওপরে উঠে গেছে, প্রায় এক বেগদ দেখা যাচ্ছে, আমি ঘরের চারিদিকে চোখ বোলাচ্ছি, মাঝে মাঝে চোখ চলে যাচ্ছে অদিতির নিরাভরণ জায়গায়।

জরিপ করা হলো।
সামান্য।
কি বুঝলে।
মিলি বেশ বড়লোক।
তোমার থেকেও।
আমি! হাসলাম।
তুমি একটা এরকম কিনে নিতে পারো।
পয়সা কোথায়।
অদিতি খিল খিল করে হেসে উঠলো।
এতো হাসি কিসের। মিলি বললো।
অনিদাকে জিজ্ঞাসা কর।
কি গো অনিদা।
দিতি বলছে এরকম একটা ফ্ল্যাট কিনতে , আমি বললাম পয়সা নেই।
মিলি মুচকি হাসলো, অদিতি বললো, তুমি কি নাম ধরে বললে এখুনি।
দিতি।
বাঃ নামটা ছোটকরাতে বেশ স্মার্ট লাগছে তো, মিলির দিকে তাকিয়ে কিরি মিলি তাই না।
অনিদার মাথা।
মিলি আমার পাশে এসে বসলো। ঠান্ডা না গরম।
ঠান্ডাতো খাচ্ছি।
কোথায়।
তুমি পাশে এসে বসলে, তারওপর তোমার ঘরের কুল পরিবেশ।
ওঃ। তোমার সঙ্গে কথায় পারা যাবে না। যা অদিতি নিয়ে আয়। আমি রেডি করতে দিয়ে এসেছি, মনে হয় হয়েগেছে।
কি করতে দিয়ে এসেছো।
চারটে সরবতি লেবু কেটে মেসিনে ফেলে এসেছি।
বাবা তুমি তো বেশ করিতকর্মা।
তোমার থেকে নয়। এত ঝঞ্ঝাটের মধ্যেও তুমি রান্না করে খেয়ে বেরোও।
এই লেটেস্ট নিউজটা আবার কে দিলো।
অদিতি।
আমার নামে কি বলছিস।
অদিতি ট্রেতে করে তিনটে গ্লাস নিয়ে এলো, বরফ দেওয়া দেখলাম।
সকাল বেলা অনিদার রান্নার কথা বললাম।
তাই বল। টেবিলে ট্রেটা নামিয়ে রাখলো অদিতি। গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে ওর বুকের গভীর ক্লীভেজ চোখ পরলো।
এটা আবার চিয়ারস করতে হবে নাকি।
ধ্যুস তুমি না, এটা কি হার্ড ড্রিংকস।
তোমাদের কাছে এই ব্যাপার গুলো রপ্ত করতে হবে।
আমাদের সঙ্গে দুচারদিন ঘোরো শিখে যাবে। অদিতি বললো। নাও।
আমায় একটা গ্লাস হাতে তুলে দিলো।
অনিদা সেই গল্পটা আর একবার বলবে। মিলি বললো।
কোনটা।
না অনিদা বলবে না।
হাসলাম।
তুমি কোনোবারই পুরোটা বলো নি। কিছুটা রেখে ঢেকে বলেছো।
তাহলে তোরটাও অনিদাকে বলতে বলবো।
অনিদা আমার তোর দুজনেরটাই বলবে।
আমি হাসলাম ওদের কথায়। গ্লাসে চুমুক দিলাম। লেবুর রসটা একটু সামান্য তেঁতো তেঁতো লাগলো, বুঝলাম, একটু বেশি পেশা হয়ে গেছে।
যতদূর মনে পরেছে, সেদিন বাংলা ক্লাস করে ১১ নং ঘর থেকে বেরিয়ে হলঘরে এসেছি, মিত্রা বললো, যাবি।

আমি বললাম কোথায়।
বসন্ত কেবিনে।
কেনো।
নিখিলেশদা অপেক্ষা করছে।
আমরা হলঘরের মেন গেটে আসতেই দেখলাম, অদিতি গেট দিয়ে ঢুকছে, আজকে অদিতি যে ড্রেস পরেছে, অনেকটা সেরকম, দারুন স্মার্ট লাগছিলো, অদিতি যেনো উড়তে উড়তে আসছে, মিত্রার দিকে তাকিয়ে হাসতেই ও বললো চোখ একেবারে গেলে দেবো।
তোমার সঙ্গে তখন মিত্রাদির ইন্টু মিন্টু চলছে।
তখন ঠিক বুঝতাম না ব্যাপারটা বুঝলে, তবে ও একদিন কলেজে না এলে মনটা খারাপ হয়ে যেতো। ওর বাড়ি চিনতাম না, যেতেও পারতাম না, ওর এক বোন প্রেসিডেন্সিতে পরতো আমি সেখানে যেতাম দেখা হলে জিজ্ঞাসা করতাম, না হলে ব্যার্থ মনোরথ হয়ে ফিরে আসতাম। আর আমি যদি না আসতাম, ও সিধে ডাফ হোস্টেলে চলে যেতো।
একচুয়েলি সেকেন্ড ইয়ারে এসে বুঝলাম ওর সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, কিন্তু আমি তখন পড়শুনো নিয়ে খুব ব্যস্ত, পার্টওয়ানে রেঙ্ক করলাম, তারওপর ফার্স্টক্লাস পেলাম, ও ওদের বাড়িতে নিয়ে গেলো, সেই ওদের বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু, ওর বাবা আমাকে পছন্দ করলেও মা কোনোদিন করতেন না, হাবে ভাবে বুঝতাম। আমিও খুব বেশি যাওয়া আসা করতাম না। শেষ যেদিন কলেজ হলো, সেদিন দুজনে হেঁদুয়াতে বসে খুব কেঁদেছিলাম, আর দেখা হবে না বলে। রেজাল্ট বেরোবার পর একবার গেছিলাম। তারপর আর যাই নি। আমি ক্যালকাটা ও যাদবপুরে ভর্তি হলো, আমার জীবনটা এই সময় খুব টাফ গেছে। আমি তখন খুব নোংরা জায়গায় থাকতাম। কাউকে সেখানে যেতে বলতে পারতাম না।
কোথায়।
সোনাগাছিতে।
কি বলছো অনিদা।
এক গণিকা মাসির আশ্রয়ে।
এই গল্পটা পরে শুনবো। অদিতিরটা বলো।
আমার মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করছে। বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে যেন এদের সঙ্গে সেক্স করি।
হাসলাম।
তারপর মিত্রাকে বললাম একটা মজা করি।
ও বললো না তুই একবারে কিছু করবি না।
তবু আমি ওর কাছ থেকে ছিটকে চলে গেলাম। তখন ভরা কলেজ চারিদিকে স্টুডেন্ট, আমি ঠিক সিঁড়ি দিয়ে ওঠার মুখটায় দাঁড়ালাম, অদিতি আমায় দেখলো, আমি ওর দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছি, যেই ও আমার কাছাকাছি এলো, আমি ওর পাছায় হাত দিয়ে একটু টিপে দিলাম, ও সজোরে একটা থাপ্পর তুললো, আমি ওর হাতটা চেপে ধরে, ভাবলেশ হীন মুখে বললাম, দেখো মা, তুমি যে কলেজে পরো সেই কলেজে নেতাজী পরেছেন, বিবেকানন্দ পরেছেন আরো কতো মনিষী পরেছেন হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। তাঁরা যদি তোমার এই পোষাকটা দেখতেন লজ্জা পেয়ে যেতেন। মিলি হাসছে হো হো করে। তারপর মনে হয় অদিতিকে হাত জোড় করে বলেছিলাম, আমার এই ব্যবহারের জন্য ক্ষমা কোরো। অদিতি মুচকি মুচকি হেসে আমাকে থাপ্পর দেখাচ্ছে। সেদিন অদিতির মুখটা আমার চোখের সামনে এখনো ভাসে। অদিতির মুখটা রাঙা হয়ে উঠলো।
আমারটা বললে এবার মিলিরটা বলো।
আমি মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে আড়মোড়া ভাঙলাম।
মিলিরটা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, মিত্রা সুপ্রিয় কল্লোল সুমিতার সঙ্গে, ওরা বার খাওয়ালো, বললো এই মেয়েটাকে চুমু খেতে পারবি। আমি বললাম হ্যাঁ। শেয়লদায় একদিন গেলাম মিলির পেছন পেছন। মিলিকে ট্রেনে উঠতে দেখলাম, মিত্রাকে বললাম, তুই মিলি যেখানে বসবে সেখানে দাঁড়াবি। আর মিলিও ঠিক জানলার ধারে বসেছিলো সেদিন।
মিলি তখন মিত্রাদিকে চিনতো না।
বলতে পারবো না, তবে মুখ চেনা ছিলো। তোমরা তখন জুনিয়র ইলেভেন থেকে সবে টুয়েলভে উঠবে আমরা থার্ড ইয়ার।
হ্যাঁ। মিলি বললো।
তারপর, অদিতি আমার দিকে চেয়ে চোখ মিটমিট করে হাসলো।

আমি ট্রেনের সামনে এসে দেখলাম কি ট্রেন, দেখলাম লেখা আছে, শান্তিপুর। মিত্রা যেখানে দাঁড়িয়ে তার দুটো কামরা আগে থেকে জানলার ধারে যারা বসে আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে করতে এগোলাম, দাদা ব্যারাকপুর না শান্তিপুর। মিলির কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলাম, ব্যারাকপুর মিলি বললো শান্তিপুর মনে হয়ে মিলি পুরে কথাটা বলতে পারে নি, আমি মিলির মাথাটা ধরে জানলার মধ্যে দিয়েই একটা চুমু খেয়ে সেই যে দৌড় দিলাম, তারপর ডিএস বিল্ডিংয়ের ভেতর দিয়ে একবারে ক্যাফের সামনে, কিছুক্ষণ কুত্তার মতো হাঁফালাম, ওরা এলো পনেরো মিনিট পর।
অদিতি মিলি হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরে মিলি দুবার আমার কোলেই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরলো। ওর শরীরটা বেশ গরম গরম লাগছে। অদিতি চোখ মুছে বললো। এখন তোমার ইচ্ছে করছে না মিলি কে চুমু খেতে।
ইচ্ছে করলেই তো হবে না।
অদিতি মিলির দিকে তাকিয়ে একটা এমন ইশারা করলো মিলি আমার কাঁধে হাত রেখে বললো, আজ তোমাকে আমায় চুমু খেতেই হবে। সেদিন সত্যি বলছি অনিদা আমি তোমার চুমুর স্বাদটা ঠিক উপভোগ করতে পারি নি, আজ তোমাকে খেতেই হবে। অদিতির হাসতে হাসতে গেঞ্জিটা এমন জায়গায় উঠে গেছে, যে সেটা খুলে ফেললেই চলে। মিলি আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। ওর নরম বুক আমার বুকের সঙ্গে লেপ্টে আছে আমি ওর দিকে চেয়ে আছি, মাথাটা বেশ ঝিম ঝিম করছে, ভীষণ সেক্স করতে ইচ্ছে করছে, ভাবছি মিলির ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবো কিনা, মিলি তৃষিত নয়নে আমার ঠোঁটের কাছে ঠোঁট নিয়ে এসেছে, চোখে তৃষ্ণা।
আমার পক্ষে নিজেকে ধরে রাখা সত্যি খুব অসম্ভব মনে হচ্ছে, আমি মিলির ঠোঁটের কাছে ঠোঁট নিয়ে গিয়ে সরিয়ে আনলাম, মিলি আমার বুকের সঙ্গে আরো ক্লোজ হলো, ওর নরম বুক আমার বুকের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে, আমি মিলির ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম, মিলি নিজে থেকেই চুষতে শুরু করলো, অদিতি আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালো, ও এগিয়ে আসছে, মিলি আমার ঠোঁট কিছুতেই ছাড়ছে না মাঝে মাঝে আওয়াজ করে চুমু খাচ্ছে। অদিতি কাছে এসে আমার দুপায়ের মাঝখানে বসলো। ও কিছুক্ষণ এক দৃষ্টে তাকিয়ে থেকে বললো, কিরে তুই একাই সব খাবি আমাকে খেতে দিবি না।
মিলি ঠোঁট ছাড়লো। দেখছিস অনিদার ঠোঁটটা কেমন লালা করে দিয়েছি, যেন কমলালেবুর কোয়া। মিলি উঠে দাঁড়ালো। গেঞ্জিটা খুলি অনিদা, মনে কিছু করো না। মিলি টেনে গেঞ্জিটা খুলে ফেললো, একটা পিঙ্ক কালারের ব্রা পরা, টাইট হয়ে বুকের সঙ্গে সেঁটে রয়েছে। মাই দুটো থোকা থোকা গাঁদা ফুলের মতো, আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। অদিতি আমার হাতটা ধরলো অনিদা।
আমি অদিতিকে আমার কাছে টেনে নিলাম, ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম, মিলি সেন্টার টেবিলটা সরিয়ে দিয়ে আমার পায়ের কাছে বসে, পেন্টের ওপর দিয়ে নুনুতে হাত দিলো, মনে মনে বললাম, যা থাকে কপালে আজকে। যা হয় হোক। আমি চেষ্টা করলেও কিছুতেই এখন এদের হাত থেকে রেহাই পাবো না, এরা আমাকে রেপ করে ছেড়ে দেবে। গা ভাসালাম, অদিতি আমার ঠোঁট চুষছে। মিলি আমার পেন্টের বোতাম খুললো, চেনটা টেনে নামালো, আমি অদিতির নিরাভরণ পেটে হাত দিলাম, অদিতি গেঞ্জিটা একটু তুলে দিলো, আমি গেঞ্জির তলা দিয়ে ওর বুকে হাত দিলাম। শিমুল তুলোর মতো তুলতুলে ওর মাইটা। অদিতি আমার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে, মিটি মিটি হাসছে। আমি ইশারায় ওকে বললাম, গেঞ্জিটা খোলো। ও ঠোঁট থেকে ঠোঁট না সরিয়েই গেঞ্জিটা আরো তুলে দিলো, আমি ওর পেছনে হাত দিয়ে ব্রার ফিতেটা আলগা করে দিলাম, ব্রার ভেতর থেকে মাইটা আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পরলো।
অদিতি ঠোঁট থেকে ঠোঁট সরালো, গেঞ্জি ব্রাটা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিলো, ওর মাই আমার চোখের সামনে আমি সোফায় আরো হেলে পরলাম, আদিতি আমার দুপাশে দুপা রেখে আমার পেটের ওপর বসলো, আমার মুখটা ধরে আমার ঠোঁটে ঠোঁট ডোবালো। 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks