দেখি নাই ফিরে - (Part-29)

আমি অদিতির মাইতে হাত দিলাম, একেবারে হাতের সাইজ, দেবাশীষ কি ওর মাই কোনো দিন টেপে নি। অদিতি ঠোঁট চুষছে, মাঝে মাঝে আবেশে ওর চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, মিলি আমার পেন্টের চেন খুলে ড্রয়ার ধরে নিচে নামানোর চেষ্টা করছে, আমি ইচ্ছে করেই কোমরটা একটু তুলে ধরলাম, মিলি ড্রয়ার সমেত পেন্টটা কোমরথেকে টেনে নামিয়ে দিলো, আমার নুনুটা ধরে চুমু খেলো, আমি দেখতে পাচ্ছি না তবে বুঝতে পারছি, আমার নুনুর চামড়াটা টেনে সরিয়ে দিয়ে মুখের মধ্যে নিয়ে চুষছে। কেন জানিনা আজ বেশ ভালো লাগছে, ঘরের এসিটা একটা রিদিমে চলছে।
অদিতি ঠোঁট থেকে ঠোঁট তুলে আমার ঠোঁটে আঙুল রাখলো।
যতো তোমার ঠোঁটটা চুষছি তত ভালো লাগছে।
আমি ওর দিকে কামুক কামুক দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে রয়েছি, ডানদিকের মাইটা আমার ঠোঁটের কাছে নিয়ে এসে ইশারায় বললো একটু মুখ দাও, আমি মুখ দিলাম, আর একটা মাই টিপতে লাগলাম, নরম ভাবে, মিলি চকাত চকাত করে আমার নুনু চুষে চলেছে, মাঝে মাঝে ওর মাই দুটের মাঝখানে নুনুটাকে রেখে, চেপে চেপে ধরছে, আবার কখনো মাই-এর নিপিলটা আমার নুনুর মুন্ডিতে ঘোষছে।
কিরে আমায় একটু সুযোগ দে।
অদিতি উঠে দাঁড়ালো, মিলি সম্পূর্ণ উলঙ্গ, সেভড পুশি, দুই থাইয়ের মাঝখানে ওই টুকু অংশ মিলিকে মোহময়ী করে তুলেছে, মিলি, আমার দিকে তাকিয়ে চোখ মরলো। চলো বেড রুমে যাই। আমার হাত ধরে টেনে তুললো। আদিতি পেন্ট পেন্টি খুলছে। আমার মাথার ঝিমঝিমানি এখন কিছুটা কম, নিজের নুনুর দিকে তাকিয়ে নিজেই ভয় পেয়ে গেলাম, অস্বাভাবিক একটা চেহারা নিয়েছে, এমনকি শিরা উপশিরা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, আমি মিলির কোমরে হাত দিয়ে আর একহাতে ওর মাই টিপতে টিপতে ওর বেড রুমে এলাম, দারুন একটা সুন্দর চাদর ওর বিছানায় টান টান করে পাতা। খাটটা বেশ বড় আট বাই সাত। তিনজনে আরমসে শোয়া যায়।
ঘড়ের একদিকে একটা টেবিল, ল্যাপটপটা রাখা, একটা ফুল দানি বাহারি ফুলে ভর্তি। একটা সুন্দর গন্ধ ঘরের চারদিকে ম ম করছে, মনে হচ্ছে রুম ফ্রেসনার ছড়িয়ে রয়েছে, চারদিকে।
শুয়ে পরোতো দেখি একটু মজা করে তোমারটা চুষি।
আমি শুয়ে পরলাম, মিলি আমার কোমরের কাছে ঝাঁপিয়ে পরলো। অদিতি ঢুকলো, রিমোটটা নিয়ে এসিটা চালিয়ে দিলো। অদিতির পুশিটাও সেভ করা, মিলির থেকে চেহারায় সামান্য বরো, ক্লিটারসটা একটু ফুলে রয়েছে, আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো, একবারে তাকাবে না জুল জুল করে, তোমরা চোখতো নয়, একেবারে যেন চোখ দিয়েই করে দিচ্ছ, আস্তে করে খাটে উঠে এসে আমার কাছে হেলে শুয়ে পরলো, আমি ওর মাইতে হাত দিলাম, ও আর একটু উঠে এসে মাইটা আমার মুখের কাছে নিয়ে এলো, আমি ওর বাঁদিকের মাইটা চুষতে শুরু করলাম, একটা হাত ওর পুশিতে রাখলাম, ও পাদুটো সামান্য তুললো, পুশিটা ভিজে গেছে, আমি ওর চেরা জায়গায় কিছুক্ষণ আঙুল দিয়ে ওপর নিচ করলাম, মিলি আমার নুনু বিচি চুষে চলেছে, একটা ব্যাপারে আমি একটু অবাক হচ্ছি, আজ এতো চোষার পরও কিন্তু আমার নুনু কোনো সারা শব্দ দিচ্ছে না, খালি শক্ত শাবলের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। মিলি আমি একটু চুষি। অদিতি আমার কাছ থেকে উঠে নিচে চলে গেলো, এবার দুজনে আমার নুনু নিয়ে খেলা শুরু করলো, আমি হাত বাড়িয়ে বালিশটা টেনে নিলাম, মাথার তলায় দিয়ে একটু উঁচু করলাম, একজন নুনু চুষছে তো আরএকজন বিচি চুষছে।
মিলি আমি একটু তোমারটায় মুখ দিই। মিলির মুখটা চকচক করে উঠলো যেনো হাতে স্বর্গ পেয়েছে।
কি ভাবে দেবে।
তুমি তোমার কাজ করো, তোমার পাছুটা আমার দিকে একটু ঘুরিয়ে দাও।
দেখে মনে হচ্ছে এরা পাকা খেলোয়াড় এর আগে যাদের সঙ্গে আমি সেক্স করেছি, তারা এদের মতো পাকা খেলোয়াড় ছিলো না। মিলি ঠিক মাপে মাপে আমার বুকের দুপাশে পা রেখে পুশিটা আমার মুখের কাছে রাখলো।
ঠিক আছে।
হ্যাঁ।
মিলির পুশিটা অদিতির থেকে কম ভিঁজে আছে, বেশ টাইট, পুশির পার দুটো নিখুত ভাবে কামনো, একফোঁটা চুল নেই মাঝখানের অংশটা বেদানা রংয়ের, পুশির ওপরের ক্লিটারসটা বেশ ফুলে আছে, আমি বুড়ো আঙুল দিয়ে ওর ক্লিটারসটা একটু নাড়া চড়া করলাম, মিলির কোমর দুলছে, তারমানে জমি তৈরি, কষর্ণ করলেই হলো। আমি তবু জিভটা শরু করে ওর পুশির চেরা অংশে ওপর থেকে নিচ পযর্ন্ত বোলালাম, মিলি হঁ হঁ করে উঠলো। আমি মনে মনে হাসলাম।
বেশ লাগছে, জীবনে প্রথম দুজন নারীর সঙ্গ একসঙ্গে উপভোগ করছি, আমার ভাগ্যে যে এরকমটা ঘটতে পারে কোনোদিন ভাবি নি, নিজে নিজেই বললাম, অনি সত্যি তোর ভাগ্য, দেখলে হিংসে হয়।
উঁ উ উ উ উ উ উ উ।
কি হলো।
তোমার জিভটাও কি তোমার এইটে নাকি। আমার নুনুতে হাত দিয়ে।
কেনো।
মিলি আমার নুনু চুষতে চুষতে দাঁত দিলো। আমার কোমর দুলে উঠলো।
উঃ তুমি যে ভাবে জিভ ঘোষছো, আমার এখুনি হয়ে যাবে।
ভালো তো।
না।
কেনো।

সবে মজা নিতে শুরু করেছি। এরি মধ্যে শেষ হলে চলে।
মিলি এবার তুই ওঠ, অনেক সুখ উপভোগ করেছিস। এবার আমি একটু করি।
কর।
যেন দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলেছে, কে কতটা সুখ বেশি উপভোগ করে ফেলেছে। মিলি আমার বুকের কাছ থেকে পায়ের কাছে চলে গেলো। অদিতি আস্তে আস্তে কাছে এগিয়ে এলো।
কি ভাবে বোসবো বলো।
সামনের দিক করে বসো।
না অনিদা তা হবে না, আমাকে যেভাবে করলে সে ভাবে করো। মিলি বললো।
আমি মুচকি হাসলাম।
মরা, তুই কর না আমার দিকে তাকাচ্ছিস কেনো।
সরটিয়ালি করলে হবে না।
আমি হাসছি।
অদিতি এগিয়ে এলো।
তুমি আমার কাছে এগিয়ে এসো।
আমি অদিতির পাদুটো আমার মাথার দুপাশে রেখে সামনের দিক থেকে পুশিটাকে আমার মুখের কাছে নামিয়ে আনতে বললাম, অদিতি আমার কথা মতো কাজ করলো।
অদিতির পুশিটা অনেকটা ফুলে গেছে, পুশির পারদুটো, বেশ ফোলা। আমি হাত দিলাম, অদিতি মুচকি মুচকি হাসছে। আমি অদিতির পুশিতে একটা চুমু খেলাম, অদিতি উঃ করে উঠলো, একবার জিভটা শরু করে ওপর থেকে নিচ পোযর্ন্ত বুলিয়ে দিলাম, অদিতির চোখের রং বদলে গেলো। আমি অদিতির দুই মাইতে হাত দিয়ে একটু টিপতে টিপতে ওর পুশিতে জিভ বোলাতে লাগলাম, আর মুখটা ভালো করে দেখতে লাগলাম, অদিতি মাথা ঝুঁকিয়ে আমাকে লক্ষ্য করছে, ওর পুশিতে কি ভাবে জিভ বোলাচ্ছি, মাঝে মাঝে ওর পাছা ধরে টিপছি, আবার মাইতে ফিরে যাচ্ছি।
মিলি আর সহ্য করতে পারলো না, ও চোষা বন্ধ করে এবার আমার নুনুটা দিয়ে ওর পুশির ওপর নিচ করছে, বুঝতে পারছি এবার ও নিজে নিজেই ঢুকিয়ে নেবে। কিছুক্ষণ এভাবে করার পর আমি বুঝতে পারলাম, আমার নুনু মিলির পুশির মধ্যে ঢোকার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, মিলি ওর পুশির গর্তে আমার নুনু সেট করে আস্তে আস্তে চাপ দিচ্ছে, মুখ দিয়ে আঃ উঃ শব্দ বেরিয়ে আসছে।
অদিতি ঝুঁকে পরে হাতদুটো বিছানার ওপর ভর দিয়ে ওর পুশিটা আমার মুখের ওপর চেপে ধরছে, ওর চাপের চোটে আমার জিভ আর নড়াচড়া করতে পারছেনা।
অদিতি পেছন ফিরে দেখ।
অদিতি আমার মুখের কাছ থেকে উঠে পরলো।
এ কি রে তুই ঢুকিয়ে নিয়েছিস।
আমি মিলির দিকে তাকিয়ে, আমার ওই শক্ত নুনুটা কখন মিলির পুশির মধ্যে ঢুকে গেছে বুঝতেই পারি নি, মিলি পুশির ঠোঁট দিয়ে আমার নুনুকে কামরে কামরে ধরছে। আমি কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে, অদিতি আস্তে আস্তে এগিয়ে গিয়ে মিলির ফুলে ওঠা ক্লিটার্সে আঙুল ছোঁয়ালো, মিলি উঃ করে উঠলো, ওর কোমর দুলছে।
অদিতি আমার মুনুটায় একটু মুখ দে।
অদিতি এগিয়ে গিয়ে মিলির মুনুতে মুখ দিয়ে চুষতে লাগলো, আমি শুয়ে আছি, আমার নুনু গিলে খাওয়া মিলির পুশিটার দিকে তাকিয়ে । এদিকেরটায় একটু মুখ দে। অদিতি ওদিকেরটায় মুখ দিলো। আমি হাসছি।
দুষ্টু দুষ্টু মুখ করে একবারে হাসবে না, অনেকদিন পর এরকম এনজয় করছি।
আমি ইচ্ছে করে হাত বাড়িয়ে অদিতির পাছুটা ধরে একটু কচলে দিলাম। পুশিতে আঙুল দিলাম, অদিতি কোমরটা একটু পিছিয়ে আমাকে ভালো করে হাত দেওয়ার সুযোগ দিলো। আমি পেছন থেকে ওর পুশিতে আঙুল দিচ্ছি, অদিতিও কোমর দুলিয়ে রেসপন্স করছে।



অদিতি আমার হয়ে যাবে, তুই বরং কর, মিলি তড়াক করে উঠে পরলো। আমি মিটি মিটি হাসছি, মিলি আমার বুকের ওপর শুয়ে আমার ঠোঁট কামরে দিয়ে বললে, সত্যি অনিদা তোমার জিনিষটা ঈশ্বর প্রদত্ত।
কি করে বুঝলে।
ব্যবহার করে দেখলাম। দারুন।
নে ওঠ আমায় একটু সাহায্য কর।
অদিতি ঠ্যাং ফাঁক করে বসেছে। পুশিটা হাঁ হয়ে আছে।
নে ঢুকিয়ে নে।
তুই অনিদারটা একটু ধর।
মিলি উঠে বসে আমারটা সোজা করে ধরলো। অদিতি এবার একবার চাপ দিয়েই তড়াক করে উঠে পরলো।
কি হলো রে।
আরি বাবা কি শক্ত।
ঢুকিয়ে নে, প্রথমটা একটু জ্বালা জ্বালা করবে তারপর দেখবি স্বর্গে আছিস।
অদিতি প্রায় চারবারেরে চেষ্টায় ভেতরে ঢোকালো, ঢুকিয়েই আমায় জড়িয়ে ধরে বুকে শুয়ে পরলো, আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বললো, সত্যি অনিদা মিলি ঠিক কথা বলেছে।
মিলি তখন নিচে আমার আর অদিতির লক পজিসন ভালো করে পয্যর্বেক্ষণ করছে।
হ্যাঁ হ্যাঁ ওই জায়গায় দে। আর একটু ঘস। আঃ। অদিতি বলে উঠলো।
বুঝলাম অদিতির পুশিতে আঙুল দিচ্ছে মিলি। অদিতির নরম বুক আমার বুকের সঙ্গে চেপ্টে গেছে।
তুমি এরকম শুয়ে থাকবে নাকি, আমাদের একটু করবে না।
তোমরা করছো তো, আগে তোমাদের পালা শেষ হোক, তারপর নয় আমি করবো।
অদিতি উঁ উঁ উঁ করে আমার ঠোঁটে চকাত করে একটা চুমু খেলো।
কিরে তুই এরকম ভাবে শুয়ে শুয়ে সময় নষ্ট করবি নাকি, কর।
কি করবো, করছি তো।
কোমরটা দোলাতে পারছিস না।
তুই দুলিয়ে দে।
দেখছো অনিদা দেখছো, সহ্য হচ্ছে না।
আমি হাসলাম।
মিলি অদিতির কোমরে হাত দিয়ে দু-তিনবার চেপে চেপে দিলো।
নে ওঠ অনেক হয়েছে।

আমি বুঝলাম এই করলে আজ রাত কাবার করে দেবে এরা।
আমি নীচ থেকে দু তিনবার ঠেলা দিলাম, অদিতি ও মাগো করে উঠলো আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।
কি হলো।
বাপরে বাপ এতো নাভি পযর্ন্ত চলে গেছে, আমি পারছি না।
ওঠো, তোমরা অনেক করেছো এবার আমি একটু করি।
আমি অদিতিকে জাপটিয়ে ধরে, একপাক ঘুরে নিলাম, অদিতি এখন আমার তলায় আমি হাতের ওপর ভর দিয়ে, অদিতিকে দুতিনবার স্ট্রোক করতেই অদিতি মাথা দোলাতে আরম্ভ করলো।
কি হলো।
উ তোমারটা কি মোটা আর শক্ত।
কেনো দেবাশীষেরটা এরকম নয়।
দুর নেংটি ইঁদুরের মতো, তারপর মাল খেয়ে দুতিনবার টিক টিক করলেই পরে যায়, তাই আমি আর মিলি এই ফ্ল্যাটে সেক্স করি, কি করবো বলো অনিদা শরীরের জ্বালা।
মিলি ড্যাব ড্যাব করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
চলো নিচে যাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে করি তারপর খাটে শুয়ে।
আমি উঠে পরলাম, একটা পচাত করে আওয়াজ হলো, মিলি মুখ টিপে হাসলো, আমার নুনু সোজা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে।
সেদিন মিত্রাকে করার কথাটা মনে পরে গেলো।
আমি খাট থেকে নিচে দাঁড়ালাম। অদিতি আমার দিকে তাকিয়ে বললো, মিলি তুই প্রথম কর। মিলি আমার দিকে এগিয়ে এলো আমি মিলিকে জড়িয়ে ধরে একটু চুমু খেলাম, ওর মাইতে একটু হাত দিলাম, তারপর ওর পুশিতে হাত দিয়ে ভালো করে চটকালাম, ভিজে একেবারে দই হয়ে আছে। অদিতির থেকে মিলির সেক্স একটু বেশি।
আমি মিলিকে বললাম, চলো তোমার টেবিলে একটু পেছন দিকে হেলে উঠে বসো।
কেনো। তুমি পাছুতে করবে নাকি।
না রে বাবা না। পুশিতে।
ঠিক আছে।
মিলি আমার কথা মতো টেবিলের কাগজ একদিকে সরিয়ে উঠে বোসলো। আমি সাইজ করে নিয়ে আমার নুনুতে হাত দিয়ে ওর পুশির গর্তে রাখলাম, অদিতি নীচু হয়ে দেখছে। আমি একটা চাপ দিলাম, মিলি একটু পেছনের দিকে সরে গেলো।
কি হলো লাগছে।
না, তুমি করো।
আমি এবার একটু জোরে চাপ দিলাম, পুরোটা ঢুকে গেলো, অদিতির দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম, অদিতি আমায় চুমু খেলো এবার আমি কোমর দোলাতে শুরু করলাম, প্রথমে আস্তে পরে বেশ দ্রুত করতে লাগলাম, মিলি দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করছে আমার চোদন, আমার নুনুটা কেমন টন টন করছে, কিন্তু রস বেরোবার কোনো নাম গন্ধ নেই, আমি নীচু হয়ে মিলির বুকে মুখ দিলাম, মিলি একহাত পেছনে রেখে একহাতে মাই তুলে আমায় চোষায় সাহায্য করছে। মাই চুষতে চুষতে ওর ঠোঁটে চুমু খেলাম, মিলির চোখ বন্ধ, মিলি কোনো নড়া চড়া করছে না।
কি হলো মিলি।
একটু দাঁড়াও বার করো।
আমি বার করে নিলাম।
অদিতি অনিদারটায় একটু মুখদেতো।
অদিতি নীচু হয়ে আমার নুনুতে মুখ দিলো, এ এক নতুন অভিজ্ঞতা দারুন লাগছিলো।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে না থেকে মিলিকে চুমু খেলাম ওর মাই টিপতে শুরু করলাম, মিলি মিটি মিটি হাসছে, ব্যাপরটা এরকম “ফুল এন্টারটেনমেন্ট”
অদিতি এবার ঢুকিয়ে দে আমার ওখানে।
অদিতি বাধ্য মেয়ের মতো, আমার নুনুটা ধরে মিলির পুশির গর্তে রাখলো, অনিদা চাপ দাও।
আমি চাপ দিলাম।
আরিবাশ কি সুন্দর ঢুকেগেলো রে মিলি। দারুন দেখতে লাগলো।
এখন তুই দেখ এরপর আমি দেখবো।
আমি আবার করতে শুরু করলাম, এবার একটু জোরে আমার যেনো আর তর সইছে না। মিলি মিটি মিটি হাসছে আমার দিকে মুখ করে ওর চোখ দুটো ছোটো হয়ে আসছে, বুঝতে পারছি মিলির খুব আরাম হচ্ছে।
অনিদা বার করো না। একটু দাঁড়াও।
হাসলাম। বেরিয়ে যাবে।
মিলি হাসলো, একটু সহ্য করে নিই। এভাবে কোনো দিন করিনি, সত্যি মার্ভেলাস এক্সপিরিয়েন্স হচ্ছে তোমার পাল্লায় পরে।
অদিতি আমার পায়ের কাচে হাঁটু মুরে বসে আমার বিচি চুষছে। মিলির পুশিতে আমার নুনু পুরো ঢুকে আছে। মিলি আমাকে জাপ্টে ধরে চুমু খেলো, আমার ঠোঁট চুষলো।
নে অদিতি তুই একটু করে নে তারপর বিছানায় গিয়ে করবো।
আমি অদিতিকে দাঁড় করিয়ে সেম ভাবে বসালাম। অদিতিকে করতে আরম্ভ করলাম, মিলি নিচে পায়ের কাছে বসে আছে, আমার করার চোটে টেবিলটা কেঁপে কেঁপে উঠছে, অদিতির মাই নাচা নাচি করছে, ও পাদুটো ফাঁককরে আমার হাত দুটো শক্ত করে ধরেছে, আমি মিটি মিটি হাসছি, অদিতিও হাসছে।
অনিদা বার করো একটু চুষি।
আমি অদিতির পুশি থেকে নুনুটা টেনে বার করলাম।

মিলি সময় দিল না, সঙ্গে সঙ্গে মুখে পুরে নিয়ে চুষতে শুরু করে দিলো। আমি অদিতির মাই চুষছি, অদিতি আমার কানের লতিতে জিভ দিয়েছে, অনিদা।
উঁ।
তুমি মিত্রাদিকে কোনো দিন করেছো।
না।
মিত্রাদি তোমায় পেলে ভীষণ সুখী হবে।
আমি হাসলাম।
অদিতি একটি ফাঁক কর ঢুকিয়ে দিই। মিলি নীচ থেকে বললো।
অদিতি পা দুটো সামান্য ফাঁক করলো। বুঝতে পারলাম, মিলি ঠিক জায়গায় রেখেছে, আমি সজোরে চাপদিলাম।
অনিদা গো।
কি হলো লাগল।
অদিতি ঠোঁট চেপে রয়েছে।
কয়েক মিনিটের মধ্যে আমি গোটা কুড়ি ঠাপ মারতেই অদিতি উঠে বোসে আমাকে জড়িয়ে ধরে, ওর পুশি দিয়ে নুনুটা কামরে ধরলো, আরনা অনিদা আমার হয়ে যাচ্ছে। অদিতি আমার বুকে মুখ ঘসতে আরম্ভ করলো।
আমি এবার একটু ভয় পেলাম, কিরে বাবা এতবার করলাম, এখনো আমারটা বেরোলো না। তার মানে কোন সমস্যা হলো নাকি আমার এতটা দম নেই তো। মাথার মধ্যে কি যে হলো কে জানে, আমি মিলিকে বললাম, চলো, তোমায় একটু করি।
মিলি বিছানায় এসে শুলো আমি মিলির পাদুটো দুপাশে সরিয়ে ওর পুশির সামনে হাঁটু গেড়ে বসলাম, সত্যি আমার নুনু শক্ত হয়ে থর থর কাঁপছে, এবার মিলির পুশিতে ঢোকাতে বেশি বেগ পেতে হলো না, একবারেই ঢুকে গেলো। আমি দুহাতের ওপর ভর দিয়ে করতে আরম্ভ করলাম, মিলিও আমাকে নিচ থেকে সমান তালে সঙ্গত করছে, আমি গতি বারালাম, মিলি আমাকে জাপ্টে ধরে পাদুটো দিয়ে পেঁচিয়ে আমার নাড়াচাড়া বন্ধ করে দিলো, বুঝলাম দুজনেরই একবার করে হয়ে গেলো, আমার কিছুতেই এখনো হলো না কেনো।
আমি অদিতিকে বললাম, অদিতি এসো আমার যে আস মিটছে না তোমায় একটু করি।
অদিতি মিলির পাশে এসে শুলো। আমি অদিতিকে করতে আরম্ভ করলাম, অদিতি এবার দেখলাম নিজেও একটু একটু করে করছে আমি অদিতির বুকে মুখ দিয়ে ওর মাই চুষতে শুরু করলাম, বেশ কিছুক্ষণ করার পর দেখলাম, অদিতি আর পারছে না। আমার যেন মনে হলো এবার হবে। আমি থামাতে চাইলাম না। করেই যাচ্ছি, অদিতি আমাকে বলে উঠলো অনিদা আমি এত সুখ আর সহ্য করতে পারছি না, তুমি এবার মিলিকে করো।
মিলি পাশেই শুয়ে ছিলো, আমি মিলির বুকে উঠে করতে শুরু করলাম, সে এক দক্ষ যজ্ঞ যেনো, আমার নুনুর রস কিছুতেই বের হচ্ছে না, ভেতরে ভেতরে একটা প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। আমার মধ্যে যেনো একটা পশুত্ব জেগে উঠলো। আমি যেনো মিলির পুশিকে নুনু দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে দিচ্ছি। মিলি আমার সব অত্যাচার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে সহ্য করছে, বেশ কিছুক্ষণ পর বুঝলাম, এবার আমার বেরোবে, আমি মিলির পুশি থেকে নুনু বার করে উঠে বসলাম, মিলি বুঝতে পেরেছে, মিলি তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠে আমার নুনুতে হাত পাতলো, অদিতিও এসে হাত পাতলো আমি অদিতিকে জড়িয়ে ধরে মাইটা চুষতে শুরু করলাম, মিলি আমার নুনুটা ধরে মাস্টার বাইটের মতো করছে, তারপর আমার রস বেরোতে আরম্ভ করলো, আমি মিলির বুক থেকে মুখ তুলে ওর কাঁধে হেলে পরলাম, ছিরিক ছিরিক করে আমার রস বের হতে আরম্ভ করলো, কতোক্ষণ বেরোলো আমি জানি না, আমি অদিতির কাঁধে হেলে পরে চোখ বন্ধ করলাম, অদিতি আমার বুকে হাত বোলাচ্ছে, কিছুক্ষণের মতো একেবারে ঝিমিয়ে পরলাম, যখন ঝিমুনিটা কাটলো দেখলাম, মিলি আমার নুনু চুষছে। অদিতি আমার বিচিতে হাত দিয়ে মোলায়েম ভাবে টিপছে। ভেতরে ভতরে একটা অস্বস্তি।
অনিদা।
উঁ।
তোমার কি এখনো বেরোবে।
জানিনা।
দেখো তুমি তো পুকুর করে দিয়েছো।
আমি অদিতির কাঁধ থেকে মাথা তুললাম, দেখলাম সত্যি মিলির হাত ভর্তি হয়ে বিছানায় গড়িয়ে পরে গেছে।
তোমার কি এরকম বের হয় নাকি।
না।
তাহলে।
বলতে পারবো না।

আমি উঠতে গিয়ে মাথাটা একটু টাল খেলো। ঘরে এসি চলছে, তবু আমি একটু একটু করে ঘেমে যাচ্ছি। ওদের কিছু বুঝতে দিলাম না। তিনজনে একসঙ্গে বাথরুমে গেলাম, আধুনিক বাথরুম বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই, একটু ফিচলেমি করলাম, ওদের পুশি আর মাই ধরে, একটু হাসাহাসি, তারপ জামা পেন্ট পরলাম। বাইরের সোফায় এসে বসলাম, মিলি গরম গরম কফি করে নিয়ে এলো সঙ্গে ভুট্টার কর্ন।
কফি খেতে খেতে নানা রকম গল্প হলো। মিলিরা নিজেদের কথা কিছু কিছু বললো, মিলির হাজবেন্ড এখন সেপারেশনের জন্য ফাইল করেছে, অদিতি দেবাশীষকে নিয়ে মোটেই সুখী নয়, তবে থাকতে হয় থাকছে। এই যা। আমি কাজের কথায় এলাম।
তোমরা কিছু চাইলে নাতো আমার কাছে।
এরপরও চাইবার কথা বলছো। অদিতি বললো।
জীবনে চরম পাওয়া তোমার কাছ থেকে পেলাম।
মিলির চোখদুটো ভারি হয়ে গেলো। আমার কাছে এসে আমার কাঁধে মাথা রেখে বললো, একটা অন্যায় করেছি অনিদা, তোমায় না জানিয়ে।
অন্যায় করেছো। কোথায়।
মিলি তোমায় সরবতি লেবুর সঙ্গে শিলাজিত খাইয়ে দিয়েছিলো।
আমি অবাক হবার ভঙ্গি করে বললাম, তাই। আমি তো কিছু বুঝতে পারলাম না।
তোমার খুব কষ্ট হয়েছে, বিশ্বাস করো আজ দুজনে মিলে প্লেন করেছিলাম, তোমাকে নিয়ে এনজয় করবো। সেদিন তোমার বাড়িতে তোমার শরীরটা দেখে ঠিক থাকতে পারি নি।
হেসে ফেললাম।
অদিতি আমায় বারন করেছিলো, আমি শুনি নি।
এই দেখো বোকার মতো কাঁদে। আমাকে ঠিক মতো চাইলেই পেতে, আমি সবার জন্য।
কত দিন এনজয় করিনি যানো , প্রায় দুবছর।
আমি মিলির দিকে তাকালাম।
আমি মিলার মাইটা একটু টিপে দিলাম। এই মিলি।
না না প্লীজ আর নয়, তুমি চাইলেও আর পারবো না।
কেনো।
তুমি যে ভাবে করলে, কোনোদিন ভুলবো না।
ওটা আমি করিনি, তোমরা করিয়েছো।
অদিতি মাথা নীচু করে বসে আছে।
এই ভাবে করে তোমরা সেটিসফায়েড।
এ প্রশ্ন করো না , উত্তর দিতে পারবো না। কাম পাগল মেয়েদের কাছে সেটিসফেকসন।
তোমার যেদিন ইচ্ছে করবে বলবে চলে আসবো। অদিতি বললো।
হাসলাম।
আমরা তোমার জন্য যথা সর্বস্ব চেষ্টা করবো, আগামী মাসে আমাদের দুজনের কোম্পানীতেই সিক্স মান্থের বাজেট, তোমাকে যতটা বেশি সম্ভব পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
চলো আর একবার করবো।
দুজনেই চেঁচিয়ে উঠলো , না।
দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম, সাড়ে পাঁচটা।
আবার কবে দেখা হবে।
তুমি চাইলেই।
আমি উঠে দাঁড়ালাম।
চলি তাহলে।
চলি বলতে নেই অনিদা আসি বলো। অদিতি বললো।
ওদের চোখ দুটো ছল ছল করে উঠলো। মিত্রাদি খুব ভাগ্য করে জন্মেছে, তোমার মতো একটা ছেলে পেয়েছে।
আমি দুজনের ঠোঁটে একটা করে চুমু খেয়ে বেরিয়ে এলাম।

ওদের হাত থেকে রেহাই পেয়ে নিচে এলাম, ওরা দুজনে কেউ নামলো না। মনটা ঠিক আজকের এই ব্যাপারটা মেনে নিচ্ছে না, এদের আজকের রিলেসনের ব্যাপারটা স্বতঃস্ফূর্ত নয়, তবু করতে হলো, মনে মনে নিজেকে বোঝালাম, ওরা ক্যাশে কোনো দিন যাবে না, সবসময় কাইন্ডের প্রত্যাশী। সামান্য এটুকু মেলামেশায় যদি দুজনের কাছ থেকে পঞ্চাশ কোটি টাকার ব্যবসা পাওয়া যায় খতি কি। ক্যাশ হলে দেবাশীষের মতো টেন পার্সেন্ট ছাড়তে হতো। আমার অফিসের এক মাসের মাইনে। ভাবতেই বুকটা কেমন ধড়াস ধড়াস করে উঠলো। অদিতি মিলি দুজনেই আমাকে কথা দিয়েছে, এ্যাডের ব্যাপারে তোমাকে কিছু চিন্তা করতে হবে না, আগামী মাসের প্রথম উইকেই তুমি নেক্সট তিন মাসের কনফার্মেসন পেয়ে যাবে। এও বললো দেবাশীষ টিনা নির্মাল্যকে বলার দরকার নেই। ওদের সঙ্গে তুমি আলাদা আলাদা ভাবে বুঝে নিও। তবে টিনা যে ভীষণ প্রিজার্ভ এটা ওরা স্বীকার করেছে। সত্যি কি মানুষের মন, তাই না, কতই রঙ্গ দেখবো দুনিয়ায়।
দাদা যাবেন নাকি।
একটা ট্যাক্সি আমার সামনে দাঁড়িয়ে, ড্রাইভার জানলার কাছে এসে মুখ বারিয়ে বলছে । কখন যে বাই পাসের ওই ব্যস্ত রাস্তা পার হয়ে এপাশে চলে এসেছি মনে করতে পারছি না। চলো।
উঠে বসলাম, পকেট থেকে মোবাইলটা বের করলাম, সুইচ অফ, অন করলাম, প্রচুর মিস কল আর ম্যাসেজ ঢুকলো, দেখতে ইচ্ছে করলো না, মনটা কেমন ভারি ভারি, টিনার ব্যাপারটা স্বতঃস্ফূর্ত ছিলো এই ব্যাপারটা স্বতঃস্ফূর্ত নয়, এরা আমাকে শেষ পযর্ন্ত শিলাজিত খাইয়ে এই কারবার করবে, আমি ভাবতেই পারি নি। সেই জন্য তখন লেবুর রসটা একটু তিতকুটে স্বাদ লাগছিলো।
কোথায় যাবেন, জানলা দিয়ে দেখলাম, পার্কসার্কাসের মুখে। না অফিসে যেতে ভালো লাগছে না। ঘড়ির দিকে তাকালাম, সাড়ে ছটা বাজে। বললাম ট্রাংগুলার পার্ক। সোজা অমিতাভদার বাড়ি চলে এলাম।
ট্যাক্সি থেকে নামতেই ভজু ছুটে এলো। অনিদা এসেগেছো।
কেনো রে।
ওরা এখনো আসে নি।
তাই।
রান্না করবো।
দাঁড়া।
আমি ভেতরে এলাম, ভজু সব আলো জ্বালায় নি। আমি ভজুকে বললাম, সব আলো জ্বালিয়ে দে। অন্ধকার অন্ধকার লাগছে। ভজু পটাপট সব আলো জ্বালিয়ে দিলো।
কাজের মাসি এসেছিলো।
হ্যাঁ। সব বাসন মেজে দিয়ে গেছে।
তুই কিছু খেয়েছিস।
না।
কেনো।
খিদে পায় নি।
ঠিক আছে। দাঁড়া আমি স্নান করে নিই তারপর এসে রান্না বসাচ্ছি।
এখন স্নান করবে।
হ্যাঁ, আজ অনেক ঘোরা হয়ে গেছে।
আমি আলু পেঁয়াজ কেটে রাখি।
বেশি কাটিস না, কম কম করে কাট।

আমি ওপরে চলে এলাম, মনের ভেতরটা কেমন খচ খচ করছে, আমাকে আমার কেম্পানীর জন্য এতটা নামতে হবে ভাবতে পারি নি। কিন্তু নামতে হলো যখন তখন ঘোমটা দিয়ে লাভ নেই, এবার আমাকে অন্য খেলা খেলতে হবে। আমার আরো টাকা চাই।
বাথরুমে গিয়ে ভালো করে স্নান করলাম, যেন দেহের সমস্ত আবর্জনা ডলে ডলে পরিষ্কার করছি। হঠাত আজকে এরকম মনে হচ্ছে কেনো? এর আগেও তো আমি তনুর সঙ্গে মিশেছি, ঝিমলির সঙ্গে মিশেছি, নীপার সঙ্গে মিশেছি, শেষ টিনার সঙ্গে, মিত্রার কথা বাদই দিলাম। কোথায় তখন তো এরকম মনে হলো না। মনে হচ্ছে নিজেই নিজেকে জটিল আবর্তের মধ্যে জড়িয়ে ফেলছি। অনিদা আমার আলু কাটা শেষ।
বাথরুম থেকেই চেঁচিয়ে বললাম, একটু বোস। যাচ্ছি।
বেরিয়ে এসে পাজামা পাঞ্জাবী পরলাম। নিচে নেমে এলাম। ভজু চা করছে, আমায় এককাপ দিলো, নিজে এককাপ খেলো, বাইরে গেটে গিয়ে সিংজীকে দিয়ে এলো। সিংজীর সঙ্গে ভজু বেশ জমিয় নিয়েছে।
চা খাওয়া শেষে ভজুকে বললাম, তোদের জন্য কিছু খাবার কিনে নিয়ে আয়, আর মুরগীর মাংস কিনে আন, একটা ফ্রাইএর মতো করে কাটবি, আট পিসের বেশি করবি না, আর একটা মুরগী চিলি করবো সেই ভাবে পিস করে আনবি।
ঠিক আছে।
আমি ওকে টাকা দিলাম, দেশি পেলে আনবি, না হলে পোলট্রি।
আচ্ছা।
ভজু চলে গেলো। আমি রান্নাঘরে ঢুকলাম। তেল মশলা সব গোছালাম। ওরা কখন আসবে তাও জানিনা। ফোন করতে ইচ্ছে করছে না। বার বার দুপুরের কথা গুলো মনে পরে যাচ্ছে। চেষ্টা করছি না ভাবার জন্য, কিন্তু কিছুতেই মন থেকে সরিয়ে দিতে পারছি না। গ্যাস জালিয়ে গরম জল বসালাম। ভজু খুব তাড়াতাড়ি ফিরে এলো।
ভজুকে বললাম, কপিস নিয়ে এসেছিস।
দুটো ভালো মুরগি পেলাম, বুঝেছো অনিদা, একেবারে দেশি। ১৪ পিস করলাম। আরএকটা ছোটোছোটো টুকরে করে নিয়ে এসেছি। হাড় বাদ দিয়ে।
ঠিক আছে, টক দই নিয়ে এসেছিস।
হ্যাঁ হ্যাঁ।
তুই এদিকটা কেটে কুটে রেডি করে দে। আমি ওদিকটা দেখি।
আচ্ছা।
ফোনটা বেজে উঠলো।
রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ফোনটা ধরলাম। মিত্রার ফোন।
তুই কোথায়।
বাড়িতে।
বাড়িতে ! এই সময়, তুই কবে থেকে এত ভালো হলিরে।
কখন আসছিস।
কি করছিস।
রান্না করছি।
কি মজা, কি রান্না করছিস।
আলুভাতে ভাত ডাল।
তোকে কষ্ট করে করতে হবে না। আমরা গিয়ে করবো।
ঠিক আছে।
ছাড়িস না ছাড়িস না ধর ধর।
কি রে অনি তুই এই সময় বাড়িতে শরীর খারাপ। বড়মার গলা।
না।
তোর গলাটা কেমন কেমন লাগছে।
না না আজ কাজ করতে ইচ্ছে করছিল না চলে এলাম।
তোকে কিছু করতে হবে না, আমি গিয়ে সব করবো।
ঠিক আছে চলে এসো।
ফোনটা কেটে দিলাম।
অনিদা আমি সব গুছিয়ে নিয়েছি।
আচ্ছা।
অনেক দিন সেদ্ধ ডাল খাই নি, মুসুরডাল সেদ্ধ করলাম, শুধু মাত্র একটু তেল লঙ্কা দিয়ে বেশ ভারি ভারি করে, তারপর চিলি চিকেন বানালাম। ভজুকে বললাম, ডাল বাটতো।
কেনো অনিদা।
পকোরা তৈরি করবো।
ভজু ডাল বাটতে গেলো, আমি ড্রইংরুমের ঘরিটার দিকে তাকালাম, সাড়েনটা বাজে।
একটা ওভেনে চিকেন বাটারফ্রাই করতে আরম্ভ করলাম, ভজুর ডাল বাটা শেষ হলে আর একদিকের ওভেনে পকৌরা তৈরি করতে শুরু করলাম।

বাইরের গেটে গাড়ির আওয়াজ পেলাম। বুঝলাম সবাই এলেন। ভজু বাইরে বেরিয়ে গেছে।
আমি রান্নাঘরে ভাজা ভাজি করছি। মিত্রা এসে ঝড়ের মতো ঢুকলো। আরিব্বাশ কি করছিস রে, বলে একটা গরম পকৌরা তুলে নিলো, গালে পুরেই চেঁচিয়ে উঠলো বুবুন বুবুন ফুঁ-দে ফুঁ-দে, আমি ওর দিকে তাকালাম, ও হাঁ করে রয়েছে, হেসে ফেললাম, লোভী। আমি ওর হাঁ করা মুখে ফুঁ-দিলাম, বড়মা এসে রান্না ঘরের গেটে দাঁড়ালেন।
কি করছিস।
ফুঁ-দিচ্ছি। গরম মুখে তুলেছে ছেঁকা লেগে গেছে।
মিত্রার চোখ জলে ভরে উঠেছে। বড়মা হাসতে হাসতে ডাকলেন ও ছোটো দেখবি আয়।
আমি তখনো মিত্রার মুখে ফুঁ-দিচ্ছি।
ছোটমা আমার আর ওর অবস্থা দেখে হেঁসে কুটি কুটি খাচ্ছে।
হলো।
এতো গরম রান্না করে কেউ।
তোকে কে খেতে বলেছে।
ছোটমা একটা খাও দেখো কি দারুন বানিয়েছে।
মিত্রা একটা তুলে ছোটমার মুখে গুঁজে দিলো একটা বড়মার মুখে।
আমি চিকেন ফ্রাইটা একটু উল্টে পাল্টে দিচ্ছি।
বুঝলি মিত্রা তুই একটা ফাউ পেলি। ছোটমা হাসতে হাসতে বললেন।
তা বলতে, রান্নার হাত থেকে বাঁচলাম।
তা বাবুর্চি সাহেব আজকের মেনু।
ছোটমাকে বললাম।
করেছিস কি তুই। সব শেষ।
হ্যাঁ শেষের পরযায়।
স্যার আমাদের একটু যদি চা দেন।
তাকিয়ে দেখলাম মল্লিকদা। দাদা সোফায় বসে আছেন।
আরিব্যাস আজ দেখছি রাজযোটক, সবাই একসঙ্গে, মনে হচ্ছে কিছু একটা স্ক্যাম হয়েছে।
তোর জেনে লাভ। তোকে দুপুরে ডেকেছিলাম, তুই যাস নি।
একটা চিকেন দিবি। দারুন ভাজছিস। রংটাও হেভি লাগছে।
খাওয়ার সময় একটা কম পাবি। সব গোনা গুনতি।
তুই একটা কম খাস। যে রান্না করে সে খায় না, বড়মাকে দেখিস না।
ভাগ এখান থেকে।
ছোটমা যাওনা একটা নিয়ে এসো না।
তুই যা।
একবারে আসবি না দেবো গরম খুন্তির ছেঁকা দিয়ে।
সে কি রে। নিজে যখন তুলে খাস।
আমি পকৌরা ভাজা শেষ হতে, কড়া নামিয়ে গরম জল বসালাম।
ওটা কি করবি।
তোমরা চা খাবে বললে।
বাবাঃ তোর এতো টনটনে জ্ঞান। ছোটমা বললো।
যা এবার বেরো, আমি করে নিচ্ছি। বড়মা আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন, মিত্রা একটা ঠ্যাংতুলে নিয়ে খাচ্ছে। বিউটিফুল।
সেটা কিরে।
ঠ্যাংটা।
আমি ভাত বসাই নি। শেষে বসাবো ঠিক করেছিলাম।
ঠিক আছে আমি দেখে নিচ্ছি। আমার গালে হাত দিয়ে বললো, তুই একেবারে ঘেমে গেছিস। যা যা জমা ছাড়।
শুরু হলো।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম।
তুই এতো ভালো রান্না কবে থেকে করতে শিখলি।
তোর জেনে লাভ।
তোকে দিয়ে মাঝে মাঝে রান্না করাবো। বড়মা আর একটা দেবে।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম, রেওভাটের মতো খেয়ে চলেছে।
কিরে। বড়মা বললেন
আর একটা ঠ্যাং।
নে ওখান থেকে।
সর সর বড়মা পারমিশন দিয়েছে।
মিত্রা আমাকে ঠেলে এগিয়ে গেলো।
আর খাবি না।
তুই এত ভালো রান্না করেছিস কেনো। না করলে খেতাম না।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে না হেসে পারলাম না, এতো পরিতৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে, সমস্ত অভিব্যাক্তি ওর চোখে মুখে ফুটে উঠেছে।
রাতে আর খাবি নাতো।
উঁ, বলেছে। সেই বিকেল থেকে কিছু খাই নি।
হ্যাঁরে মিত্রা......

ওঃ ওটা খাওয়া হলো নাকি, কয়েকটা কচুরী আর মিষ্টি। মল্লিকদাটা কিপ্টা, বললো অতো খেলে বাড়িতে গিয়ে আর খেতে পারবে না।
বড়মা ওর কথা শুনে হো হো করে হেসে ফেললেন।
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন ফ্রিজে কিছু আছে।
সকালের একটু তড়কারি, আর মাছ আছে।
বড়মা আমার জন্য দুপিস।
কিসের দুপিস রে। ছোটমা বললেন।
ছোটমা রেডি হয়ে চলে এসেছেন।
সকালের মাছ, মল্লিকদা তখন বললো না। মিত্রা বললো।
রেখেছিস। আমার দিকে তাকিয়ে।
আমি রাখি নি। ভজুকে বলেছিলাম, ও খায় নি।
তুই ওকে খেতে দিস নি।
কেনো দেবো না, আমি ও একসঙ্গে খেয়েছি।
ছেলেটাকে না খাইয়ে মারবি নাকি।
মহা মুস্কিল।
ভজু পেছনে দাঁড়িয়ে হাসছে।
আমি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। সোফায় এসে বসলাম।
অমিতাভদা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, কি রে চা কোথায় গেলো।
আসছে।
তাহলে তুই কি করছিলি।
আমি চুপ থাকলাম। মিত্রা প্লেটে করে পকৌরা নিয়ে এলো, সেন্টার টেবিলে রাখলো, একটা তুলে নিয়ে বললো, এটা তোর ভাগেরটা নিলাম। তুই একটা কম খাস।
মিত্রা আজ খোশ মেজাজে আছে, ওকে দেখেও ভালো লাগছে। অনেক বেশি ঝরঝরে। দাদা একটা পকৌরা তুলে নিয়ে মুখে দিয়ে বললো, টেস্টটা ভালো এনেছিস তো, কি দিয়ে বানালি।
স্রেফ ডাল বাটা।
মিত্রা কয়েকটা নিয়ে এসে ভজুর হাতে দিলো। ভজুর মহা আনন্দ। 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks