দেখি নাই ফিরে - (Part-84)

বাইরের জানলায় চোখ পরেগেলো দেখলাম আমগাছে লাইট জ্বলছে। এখন গোধূলি। কবিতা চা নিয়ে এলো। অনেকগুলো থার্মোকলের কাপ। ঘরে কম লোক নেই। নীরু ছুটে এগিয়ে গেলো।
কিরে তুই কি করছিস ওখানে। ছোটমা চেঁচিয়ে উঠলো।
ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ।
কনিষ্ক, নীরুকে করকে দেতো। বটা চেঁচিয়ে উঠলো।
কবিতাকে আর চা দিতে হলে না। এখন ওটা মৈনাক কনিষ্কর হাতে চলে গেছে। ওরা দিচ্ছে সকলকে।
অর্ক অরিত্র লক্ষ্মী হৈ হৈ করতে করতে ঢুকলো।
তোমার সঙ্গে ঝগড়া আছে অনিদা। সেদিন করতে পারে নি। বিয়েতে বসেগেছিলে।
অর্ক এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। অরিত্রও। লক্ষ্মী প্রণাম করতে গেলো।
আজ করিস না। আমাকে করলে সবাইকে করতে হবে। তোর কোমর ব্যাথা হয়ে যাবে।
লক্ষ্মী লজ্জা লজ্জা চোকে আমার আর মিত্রার দিকে তাকালো, মাসি বকবে।
আমি দামিনী মাসির দিকে তাকিয়ে। মাসি হাসছে।
আমিতো বলছি মাসি বকবে না।
সবাইকেতো এই ভাবে একসঙ্গে পাবো না একটু করি। লক্ষ্মী প্রণাম করতে শুরু করলো।
এট কি হলো অনিদা। অর্ক বললো।
ইসি আমার পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলো ওদের তিনজনকে।
কি বলবিতো।
তুমি অরিত্রকে আমার পেছনে লাগিয়েছিলে কেনো।
আমি হাসছি।
লক্ষ্মী প্রণাম করতে করতে চেঁচিয়ে উঠলো। অরিত্রদা না বৃহন্নলাদি।
সবাই একবার লক্ষ্মীকে দেখে, একবার আমাকে দেখে।
মিত্রা আমার দিকে তাকালো।
লক্ষ্মী সেদিনও এই কথাটা বলেছিলো, ব্যাপারটা কি বলতো।
অনিদাকে আপনি জিজ্ঞাসা করুণ ম্যাডাম। অর্ক বললো।
আমি হাসছি।
ইসি ইসারায় মিত্রাকে জিজ্ঞাসা করলো এরা কারা।
তুই একদিনে সব জানতে পারবি না দিদিভাই, ওর অনেক কীর্তি, খালি দেখে যা পরে সব বলবো।
বৌদি চেঁচিয়ে উঠলো কিরে বলবিতো অরিত্রর নাম বৃহন্নলা হলো কি করে ?
কিরে অরিত্র বলে দে।
অরিত্র আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নীচু করে হাসে।
লক্ষ্মী এগিয়ে এলো।
এই দিদিকে চিন্তে পারলাম না।
ইনি তোর বৌদিমনির দিদিভাই।
আমি লক্ষ্মী, দাদার বোন।
ইসি তাকিয়ে লক্ষ্মীর দিকে।
কিরে লক্ষ্মী অরিত্রকে বৃহন্নলাদি বললি কেনো। মিত্রা বললো।
দাদা জানে, তুমি দাদাকে জিজ্ঞাসা করো।
দেখবেন ম্যাডাম কেনো অরিত্র বৃহন্নলা দি।
টিনার এবার এদিকে তাকালো।
অর্ক চেঁচিয়ে উঠলো, টিনাদি আপনার ল্যাপটপটা একটু নিয়ে আসুনতো।
অনিদার টেবিলে আছে দেখো।
আপনি এসে একটু চালান না।
টিনা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলো। ওর পেছন পেছন সবাই। আমি হাসছি।
অরিত্র কেশ খেলে তুই খাবি। এটা জানলো কি করে।
আর বোলোনা সেদিন লক্ষ্মী মুখ ফসকে ম্যাডামের বাড়িতে বলে ফেলেছে। ব্যাশ।
ম্যাডাম একবারে অরিত্রর কথায় ভুলবেন না। অনিদা বহুত ঘাঘু মাল।
মিত্রা ইসি ওখান থেকেই আমার দিকে তাকালো।
দাদা মল্লিকদা চা খেতে খেতে উঠে এলো।

অর্ক এরি মধ্যে ফিট করে ফেলেছে।
একটা হাসির রোল উঠলো ওই ভিড় থেকে, বুঝলাম অরিত্রর সাজ পোষাক দেখে হাসছে।
অরিত্র আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললো।
দাদা মল্লিকদা ডাক্তারদা সবাই উঠে টেবিলের কাছে ভিড় করেছে। অর্ক বোঝাচ্ছে। ও এমন রসিয়ে রসিয়ে বোঝাচ্ছে সকলে হো হো করে হাসছে।
মিত্রা ভিড় থেকে বেরিয়ে আমার কাছে এলো।
তুই সেদিন অরিত্রকে মেয়ে সাজিয়ে ওই লোকটার গাড়িতে বসিয়ে রেখেছিলি।
কেনো, লক্ষ্মীকে দেখলি না।
সেতো আগে জেনেছি। অরিত্রযে ছিলো সেটা জানতাম না।
অরিত্র মাথা নীচু করে আছে।
আস্তে করে বললো।
আমরা সেদিন দশজনের টিম ছিলাম। আপনি আমাদের তিনজন ছাড়া আর কাউকে চিনতে পারবেন না ম্যাডাম।
ওরা কারা ইসলামভাই-এর লোক।
একদম না। সব অনিদার কালেকসন। শিয়ালদায় মাঝে মধ্যে ওদের দেখা পাওয়া যায়।
ইসি পাশে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে আমাদের কথা শুনছে।
তখন তোকে যেটা বলছিলাম। গত সপ্তাহে কাগজে যেটা বেরিয়েছিলো। মিত্রা ইসির দিকে তাকিয়ে বললো।
হ্যাঁ।
তার নায়ক নায়িকা এরা। ও পরিচালক।
ইসির চোখ বড়ো বড়ো।
এই টুকু টুকু পুঁচকে ছেলে!
ওরা সব অনিদার অংশ। কাজের সময় এদের চেহারা দেখলে তোর মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আমি বড়মা ছোটমা, খালি ঠাকুরের নাম করি। দেখবি খোন একটু পরে সব আসবে। এক এক পিস।
ভিড় থেকে মিলি ছিটকে বেরিয়ে এসে আমার কাছে দাঁড়ালো।
অনিদা আমি কাল রিজাইন দেবো, তুমি আমাকে সাংবাদিকতার কাজে এ্যাপয়েন্টমেন্ট দাও।
মিত্রা হো হো করে হেসে ফেললো।
সেদিনই অনিদার চেহারা দেখে কাপর নষ্ট করে ফেলছিলি, আবার সাংবাদিক হবি। যা বেরো।
ধ্যাত তুমিনা কি মিত্রাদি।
অদিতি টিনা ইসি হো হো করে হেসে ফেললো।
চিকনা এসে সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
এইজন্য তোকে গুরু বলি, তোর জন্য এক কিলো পাটালি।
তারমানে। চিকনা, আমি বাদ ?
না না ম্যাডাম আপনিও পাবেন, একশো গ্রাম।
দরকার নেই আমি সঞ্জুকে বলছি।
পাবে কোথা থেকে, ও যে এখন
একবার দেখে নিলো উনা মাস্টার কোন দিকে তাকিয়ে আছে।
খালি বগলে নিয়ে ঘুরছে।
সঞ্জু কট কট করে তাকিয়ে। কিছু বলতে পারছে না। বাসু অনাদি হো হো করে হাসছে।
তুমি পাহাড়া দিচ্ছ।
চিকনা ফিক করে হেসে ফেললো।
ইসি ওদের রকম সকম দেখে হাসছে।
মিত্রা।
হ্যাঁ ছোটমা।
চল চল নিচে চল। সন্ধ্যে হয়ে গেলো।
ঘর আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে গেলো।
আমরা ছেলেরা কয়েকজন। খাটে এসে বসলাম। চিকনার দিকে তাকিয়ে বললাম দেখনা একটু চা ম্যানেজ করা যায় কিনা। তখন নীরু কিযে দিলো, বুঝতে পারলাম না।
হ্যাঁ, নীরু দিলো।
তুইতো তো দিলি। বটা বললো।
তোকে কতোবার বলেছি বটা, সিনিয়াররা যখন কথা বলবে জুনিয়রদের কথা বলতে নেই।
শালা সিনিয়ার মারাচ্ছ।
নীরু আমার পেছনে।
সিনিয়ার নয় ? তুই বিয়ে করেছিস ? নীরু বললো।
সত্যিতো বটা নীরুর বৌ কোথায় গেলো।
আমি বলবো। মৈনাক বললো।
কেনো তোমার অতো চুলকুনি কিসের। বিচুতি পাতা লেগেছে। নীরু বললো।
আমি নীরুর দিকে তাকালাম।
তুই কিছু ভাবিস না চলে আসবে। কনিষ্ককে জিজ্ঞাসা কর সকালে একবার এসে ঘুরে গেছে।
কোথায় গেছে।
নার্সিংহোমে।
খেপ।
একটা জরুরি কাজ আছে।

বলনা খালাস করাতে গেছে। মৈনাক চেঁচিয়ে উঠলো।
গান্ডু, তোর বৌ-এর।
আমি কনিষ্ক হো হো করে হেসে ফেললাম।
কনিষ্ক হাসতে হাসতেই বললো, নীরু হাইড দিয়েছে এইটা।
আমি নীরুরু দিকে তাকালাম। হাসছি।
শালিরটা কেমন দেখলি।
দেখলি দেখলি কনিষ্ক। অনিটা কি হারামী হয়ে গেছে।
কনিষ্ক হাসছে।
আমিতো চেষ্টা করলেও দেখতে পাবো না। তুই তবু দেখেছিস। তোর চোখ দিয়েই দেখি।
দাঁড়া ম্যাডামকে বলছি গিয়ে।
মনে থাকে যেনো, তোর বউ আসছে।
কি করবি তুই।
সবার সামনে চুমু খাবো।
নীরু হাসতে গিয়েও হাসলো না। হাসিটা মুখে ছড়িয়ে রয়েছে।
বল, আমার বৌকে তো তুই চুমু খেয়েছিস। কনিষ্ক বললো।
ভালো দেখতে টাইট। নীরু বলেই ফিক করে হেসে ফেললো।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললাম। মৈনাক দেবা এগিয়ে এলো।
শালা হারামী।
কেনো তোর বৌ বাদ যাবে নাকি, তোর বৌ-এরটাও বলবো অনিকে।
হারামী তোর কাছে গেলে তো। দেবা বললো।
আচ্ছা মৈনাকের এখনো কিছু জুটলো না কেনো নীরু।
জুটলোনা কে বলেছে।
তার মানে।
ও শালা প্রথমদিনই যদি বলে চলো দীঘায় ঘুরে আসি, বগলে হাত দেয়, তাহলে সেই মেয়ে থাকবে।
হ্যাঁরে বোকচো, তোর মতো তো।
আমিতো বিয়ে করেছি। তুই করেছিস।
অমি কনিষ্ক বটা হাসছি। অনাদি বাসু ফিক ফিক করে হাসছে।
নীরুর ফোনটা বেজে উঠলো। পকেট থেকে বার করেই বললো, দেবীর আগমন ঘটেছে। আমি এবার নিচে গিয়ে নিয়ে আসি।
উঠে দাঁড়ালো।
এখন নিচেই রেখে আসিস। পরে নিয়ে আসিস।
কেনো চুমা দেবে না।
আমি হাসছি।
মৈনাকের দিকে তাকালাম।
তুই শালা বহুত হারামী আছিস। নীরুর পেট থেকে টেনে টেনে কথা বার করছিস।
সত্যি বলনা মালটা কে, একটু দেখা ?
বলছি নেই, হলে দেখাতাম।
দেবা।
আমি ঠিক জানি না।
ওর দ্বারা প্রেম হয়, কেনো হেজাচ্ছিস বলতো। কনিষ্ক বললো।
গান্ডু, তোমার দ্বারা খালি হয়।
আমি হাসছি।
চিকনা চা নিয়ে এসে ঢুকলো।

তাড়াতাড়ি সাঁটা।
কেনো।
লোক জন এসে পরেছে।
এই অবেলায় কে এলো আবার।
তোর কে সুজিতদা না কে এসেছে। টিনা ম্যাডামের সঙ্গে আলাপ আছে, কথা বলছে।
দেবা দাঁড়িয়ে পরলো।
আমি যাই সুজিতদার সঙ্গে কথা বলি।
যা।
নীরুদার বৌ এসেছে। খুব হাসাহাসি চলছে। চলে এলো বলে।
কনিষ্ক চিকনাকে দেখছে আর হাসছে।
নেক্সট নিউজ চিকনা।
ম্যাডাম পাজামা পাঞ্জাবী বার করেছে সবার জন্য নিয়ে আসছে।
কাদের জন্য ?
অনি তোমাদের আমাদের সবার জন্য।
আমরা পাজামা পাঞ্জাবী পরবো ?
সবাইকে পরাবে।
চা খা চা খা। বেশি কথা বলিস না এতে বিপদ বারবে।
কিরে শালা নিজেরা খেয়ে নিলি আমারটা কোথায়। নীরু ঢুকলো।
আর নেই।
মানে।
বটাদা খেয়ে নিয়েছে।
কনিষ্ক হো হো করে হেসে ফেললো।
কিছু বুঝলি নীরু ? কনিষ্ক বললো।
ওরে, এতো বটার থেকে আর এক কাঠি ওপরে।
কার শিষ্য দেখতে হবে তো।
চিকনা চায়ের কাপটা নীরুর দিকে এগিয়ে দিলো।
কনিষ্ককে বললাম তোরা বোস আমি একটু নিচ থেকে আসি। সুজিতদার সঙ্গে দেখা করে আসি।
যা। একটা টান মেরে যা।
আর ভালো লাগছে না।
নিচে নেমে এলাম।
বসার ঘরে ঢুকতেই দেখলাম চম্পকদা, সুজিতদা, বৌদি, দাদা, সনাতনবাবু, মল্লিকদা, ডাক্তারদাদা সবাই গোল টেবিল হয়ে বসেছে। বড়মার ঘরে মহিলাদের ভিড়।
আমি গিয়ে সামনে দাঁড়ালাম।
চম্পকদা হাসছে, সনাতনবাবু হাসছে।



যাক দাদা অনিবাবু তাহলে বিয়ে করলেন। চম্পকদা বললেন।
বিয়ে করলো মানে! একটু খানি নয়, পুরোপুরি।
আমরাও নিশ্চিন্ত হলাম কি বলুন দাদা। সনাতনবাবু বললেন।
নিশ্চিন্ত হলাম কিনা বলতে পারবো না, তবে ছাড়া গরু বাঁধা পরলো।
হাসাহাসি হচ্ছে।
মিত্রা কাছে এগিয়ে এলো।
কিগো সুজিতদা গুবলুবাবু কোথায় ?
এইতো পিকুবাবুর সাথে বাগানের দিকে গেলো।
ছোটমা চায়ের কাপ ট্রেতে করে নিয়ে এলো।
ছোটমার দিকে তাকালাম।
এক ফোঁটাও পাবি না। তুইতো দাদাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিস।
ছাড়িয়ে যাচ্ছে কিগো ছাড়িয়ে গেছে। ডাক্তারদাদা বললো।
সুজিতদা, ছোটমার সঙ্গে আলাপ হয়েছে ?
তোকে আর আলাপ করাতে হবে না। শোন আমাদের লোকে বেচুবাবু বলে ডাকে। যেচে আলাপ করি।
আমি ফিক করে হেসে ফেললাম।
বৌদি বলে উঠলো উঁ মুরোদ কতো।
সরি সরি অনি আমার ভুল হয়ে গেছে বলাটা। ক্ষমা কর, আমি বেচেরাম, তুই বেচুবাবু।
সুজিতদা এমন ভাবে কথা বললো সবাই অবাক হয়ে গেলো।
আমাদের চারপাশে ভিড় জমছে। সবাই বড়মার ঘর থেকে বেরিয়ে এসে চারদিকে গোল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কেনো তুই অনিকে বেচুবাবু বলছিস সুজিত। চম্পকদা বললো।
আমি সারা জীবনে যা সেল করতে পারিনি ও তিনদিন আগে করে তা দেখিয়ে দিয়েছে। তাহলে নিজেকে কি করে বেচুবাবু বলি বল চম্পক।
তারমানে।
দিন তিনেক আগে হঠাৎ বাবুগিয়ে আমার অফিসে হাজির। তাও ধর ছয় থেকে সাতবছর পর। আমি দু’মাস ধরে একটা পার্টিকে নিয়ে ঘসরাচ্ছিলাম। বলতে পারিস আমার অফিসের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভগুলো পর্যন্ত ফেল মেরে গেছিলো। ওর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলাম। মানে উনি সেইদিন আমাদের বিদায় দিয়ে চলে আসছেন। ব্যাপারটা নেগেটিভ বলতে পারিস। ও একঘন্টায় পটকে দিলো। কি বুজুং বাজুং দিলো সব শুনলাম কিন্তু ঠিক ঠাহর করতে পারলাম না। তারপর ভদ্রলোক অনির প্রতি গদো গদো হয়ে কন্ট্রাকটা দিলো। সর্ত একটা অনিকে পুরো দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করতে হবে।
কত কামালি।
পঞ্চাশ।
এ্যাঁ।
এ্যাঁ না হ্যাঁ।
সকলে ফিক ফিক করে হাসছে।
অনিকে কি দিলি।
সঙ্গে সঙ্গে তিন দিয়ে দিলাম। আর তোদের কাগজকে তিনমাসের জন্য পনেরো দিলাম।
হয়ে গেলো।
কি হয়েগেলো!
আমার সব্বনাশ করলি।
চম্পকদার কথায় সবাই হো হো করে হাসছে।
কেনো তোর আবার কি সব্বনাশ করলাম।
সব্বনাশ করলি না। তুইতো ওটা অনিকে দিয়েছিস। আমাকে দিয়েছিস ?
তাতে কি হয়েছে।
দুদিন পরেই অনি আমাকে ডেকে বলবে চম্পকদা টার্গেট কতদূর। আমি কিন্তু আপনার টার্গেটের এতোটা এনে দিলাম। তারপর একটা চিঠি ধরাবে, আমার কাজ খতম। তোর অফিসে একটা কাজ দিস।
সবাই হো হো করে হাসছে।
সুজিতদা চোখ বড়োবড়ো করে বললো, অনি আজকাল এসব করছে নাকি!
পুরো দমে। এগুলোকে দেখেছিস।
মিলি অদিতি টিনা দেবাদের দিকে তাকিয়ে বললো।
হ্যাঁ। টিনাইতো ভেতরে ডেকে এনে সবার সঙ্গে আলাপ করালো।
এগুলো কোথায় কোথায় ছিলো তুই জানিস।
হ্যাঁ জানি।
সবকটাকে তুলে এনে কাগজে জড়ো করেছে। বুঝতে পারছিস ব্যাপারটা। ভাই আমাকে একটা চাকরি দিস, না হলে বৌ বাচ্চা নিয়ে না খেতে পেয়ে মরে যাবো।
সবাই হো হো করে হাসছে।
সুজিতদা মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললো।
কিরে মিত্রা চম্পক যা বলছে সত্যি।
ওটা চম্পকদা আর বুবুন জানে।
বুবুন আবার কেরে।
তুই এটাও জানিস না। চম্পকদা বললো।
না।
ম্যাডাম অনিবাবুকে এই নামে ডাকেন, সেই কলেজ লাইফ থেকে। আর আমরা এখন অনিকে ছোটবাবু বলে ডাকি।

দাঁড়া দাঁড়া চম্পক, আমার মাথাটা কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে।
বৌদির দিকে তাকিয়ে।
কিগো বুলা তুমি কিছু জানো।
বৌদি হাসছে।
কি সাংঘাতিক তুমি, কই আগেতো কখনো আমাকে বলোনি!
আহা, সব বলা যায়। কি বল মিত্রা।
বৌদি এমন ভাবে বললো সবাই হাসছে।
কি সনাতনবাবু আমি যা বললাম একবর্ণও মিথ্যে ? চম্পকদা বললেন।
একবারে না।
দাদাও হাসে, মল্লিকদাও হাসে।
তোকে কি বলবো সুজিত, আমরাতো কোন ছাড়, অনি আজকাল দাদাকে পর্যন্ত হুকুম করে।
করবে না। তোমরাতো সব এক গোয়ালের গরু। বড়মা খেঁকিয়ে উঠলো।
কাম সেরেছে। চম্পক এবার তুই চুপ কর। ছেলের নামে বলছিস, গায়ে লেগে গেছে। দাদা বললো।
সবাই হাসা হাসি করছে।
কইরে ওকে জামাকাপরটা দে।
বড়মা মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললো।
তোমরা একটু বোসো। আমি আসছি।
আজ একটু গায়ে সেন্ট দিস। চম্পকদা চেঁচিয়ে বললো।
আবার হাসি।
আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম। মিত্রা আমাকে রাজ বেশ পরালো। সুরো এসে একবার পাঞ্জাবী ঠিক করে একবার চোস্তা ঠিক করে। নীপা সামনে দাঁড়িয়ে। দারুন সেজেছে সব। কাকে বাদ দিয়ে কাকে দেখবো।
একে একে সবাই আসতে আরম্ভ করেছে। অনিমেষদা এলেন বিধানদা এলেন। একফাঁকে গিয়ে আমি ইসলামভাই আবিদ রতন সাগির অবতার নেপলাদের সঙ্গে দেখা করে এলাম। ওরা ভীষণ খুশী। সবাই যে যার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। সুরো নীপা মিনতি সাজগোজ করে ঘুরছে। জ্যাঠিমনির চোখে প্রশান্তি। যে যেরকম পারছে ছবি তুলে যাচ্ছে। ইসলামভাই বাড়িটাকে বেশ সুন্দর সাজিয়েছে। বড়মা ছোটমা বৌদি সবার মধ্যমনি। দেখলাম মিত্রাও তার ক্লাবের কিছু বান্ধবীকে নিমন্ত্রণ করেছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলো। আমাকে আজকে যা রাজবেশ পরিয়েছে, তাতে আমার মাথা খারাপ। আমি এদিক ওদিক ঘুরছি। আমি বাগানের পেছনে ছিলাম। চিকনা ছুটতে ছুটতে এসে বললো। তোকে এখুনি বৌদি ডাকছে। তোর স্যার এসেছে।
আমি তাড়াতাড়ি এলাম। ডঃ রায় ওনার স্ত্রী সুনন্দাদি ও শুভঙ্করবাবু। কলকাতায় আজ যাঁদের জন্য আমি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছি। কাছে গেলাম। মিত্রা দাঁড়িয়ে আছে মাথা নীচু করে। স্যারকে ঘিরে অনিমেষদা বিধানদা ডাক্তারদাদা দাদা মল্লিকদা সবাই। আমি সবাইকে প্রণাম করলাম।
যাক তাহলে, শেষ পর্যন্ত অনি মিত্রাকে খুঁজে পেয়েছে, কি বলো সুতপা। ডঃ রায় বললেন।
আমি মিত্রা মাথা নীচু করে। সবাই হাসছে।

আমার একটা চিন্তা দূর হলো বুঝলে অনিমেষ, কি পাগলামোটাই না করছিল তখন দু’জনে। আমার সুনন্দার মাথা খারাপ।
আর বলবেন না। গত সপ্তাহের কথা একবার ভাবুন।
আর মনে করিয়ে দিও না। সেদিনটা বড়ো কষ্ট পেয়েছি। কি মিনু তুমি যে আমার ছাত্রী সেটা অনিকে বলেছো।
স্যার বড়মার দিকে তাকিয়ে বললেন।
না স্যার।
ওকে বোলো।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম বড়মার দিকে। এ কথাটা আগে কোনোদিন জানতাম না। আজ প্রথম শুনলাম।
অনিমেষ।
হ্যাঁ স্যার বলুন।
এবার ওকে তোমরা একটু জব্দ করো। ওর মাথায় অনেক বড়ো বড়ো বুদ্ধি, বুদ্ধি গুলোকে একটু ঘসে মেজে তোমরা ছোটো করে দাও।
বিধানবাবুকে সব কথা বলেছি।
বিধানবাবু আপনার সঙ্গেতো এই মুহূর্তে আলাপ হলো। আপনাকে আর কি বলবো। আমার ছাত্রটিকে একটু দেখুন।
বিধানদা হো হো করে হেসে ফেললেন।
যাও আমরা বুড়োরা একটু গল্প করি। তোমরা অতিথিদের দেখো।
আমি মিত্রা ভিড় থেকে বেরিয়ে এলাম। মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে। পরিতৃপ্ত চোখে সুখের ঝলকানি। ইসি পাশে।
জানিস অনি ডঃ রায় কোথাও কোনোদিন যান না।
জানি।
তোর বিয়েতে এসেছে, আমিতো ভাবতেই পারছি না।
মিত্রা অনিমেষদার সঙ্গে ইসিতার আলাপ করিয়ে দিয়েছিস।
দিয়েছেরে দিয়েছে। সত্যি অনি এখন নিজের খুব খারাপ লাগছে। সকালে জেদ ধরে যদি না আসতাম খুব মিস করতাম।
ইসি সকালেও কথাটা একবার তোকে বলেছি, আমার কাছে অতীতটা অতীতই। আমি তার কাছ থেকে শিক্ষা নিই। চলি বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়ে। বরুণদা কোথায় ?
কাজ খুঁজছিলো, ইসলামদা ওকে অতিথি আপ্যায়ন ঠিক হচ্ছে কিনা তার দায়িত্ব দিয়েছে।
পিকু ?
সে কোথায় খেলে বেরাচ্ছে গুবলুর সঙ্গে। তারতো মহা আনন্দ।
পায়ে পায়ে তিনজনে এগিয়ে এলাম, কনিষ্করা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে। নীরুর পেছনে কিছুটা লাগলাম। নীরুর বৌ হেসে খিল খিল।
অনিদা তুমি ওকে নিয়ে যা করো না।
আর টেলাতে হবে না। তোমরা সব বেইমান, আসার আগে বলেছিলে আমার পাশে থাকবে, এখন অনির দলে ভিড়ে গেছো। নীরুর কথায় সবাই হেসে ফেললো।
ওইতো অনিদা।
খালি এই কথাটা কানে এলো। চোকের পলক পড়তেই দেখলাম একটা মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঘসে দিলো। পর পর তিনজন। পিঙ্কি চুর্ণী তিয়া রিমঝিম। মিনাক্ষীদেবীকেও দেখলাম। বুঝতে পারলাম নীরুর চোখ কপালে উঠে গেছে। আমি সবার সঙ্গে ওদের আলাপ করিয়ে দিলাম, মিত্রাকে ওরা জড়িয়ে ধরলো। এক একজন যা পোষাক পরেছে। সবাই তাকিয়ে আছে। চিকনা সঞ্জুর চোখ যেনো আগুনে ঝলসে গেছে।
আমি ওদের নিয়ে বড়মা ছোটমাদের কাছে এলাম। আসার সময় নীরুর দিকে তাকিয়ে চোখ মারলাম।

ওদের সবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলাম। মিনাক্ষী দেবী এদিক ওদিক তাকালেন যেখানে অনিমেষদা স্যার দাদারা বসে আছেন সেদিকে চোখ যেতেই বললেন, ডঃ রায় না।
হ্যাঁ।
উনি এগিয়ে গেলেন। ছোটমা আমার সঙ্গে এই কচি কচি সখীদের দেখে মুচকি হাসলেন। মিত্রাকে ইশারা করে বললো ওরে ওকে সামলে রাখ। আমি হাসছি। সুজিতদা এক দৃষ্টে ওদের দেখছে।
মিনাক্ষী দেবী স্যারের কাছে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন।
তুমি কোথা থেকে।
অনি কাল ফোন করেছিলো। ও নাকি একটা বিয়ে করেছে।
সবাই হাসছে।
ওরা চারজনে প্রণাম করলো সকলকে।
অনিমেষদা হাসতে হাসতে বললেন তাই বলি, আমাদের সরকার, আমাদের পার্টি মুখোপত্রে কেনো বিজ্ঞাপন নেই। সব বিজ্ঞাপন কেনো অনির কাগজে।
আমাদের কাগজের সার্কুলেসন বেশি তাই আমরা সরকারী বিজ্ঞাপন বেশি পাবো। টিনা মিলি অদিতি একযোগে বলে উঠলো।
দেখছেন বিধানবাবু দেখছেন, অনির গ্রুপবাজি।
সবাই হো হো করে হাসছে।
ওরা চারজন মিত্রাকে যেনো চেটে খাবে। এমন অবস্থা।
আমি ওদের রেখে আবার কনিষ্কদের কাছে গেলাম। যেতেই চিকনা আর সঞ্জু আমাকে জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঘোসলো।
কনিষ্ক হেসে মাঠে গড়িয়ে পরে। নীরু আমার দিকে কট কট করে তাকিয়ে।
কি হলোরে।
আমরাতো অভাগা এরকম ছোঁয়া স্বপ্নে দু’একবার পাই। তাই তোর গালে গাল ঘোসলাম। চিকনা বলে উঠলো।
কনিষ্ক তখনো হাসছে।
মিত্রারা কাছে এলো। সবাই তখনো হাসছে।
চিকনা সঞ্জু গিয়ে মিত্রার হাত ধরলো।
কি হলো চিকনা।
দাঁড়ান ম্যাডাম, একবারে কথা বলবেন না।
বটা কনিষ্ক মৈনাক দেবা হেসেই চলেছে।
কি হলো কনিষ্ক ব্যাপারটা কি।
বুঝতে পারছেন না।
মিত্রা অবাক চোখে তাকালো কনিষ্কর দিকে।
ওইযে চারপিশ আপনাকে আর অনিকে......।
মিত্রা এবার হো হো করে হেসে ফেললো।
অদিতি ইসিরাও হো হো করে হাসছে।
আমরাতো চেষ্টা করলেও পাবো না ম্যাডাম। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম। চিকনা বললো।
নীরু কিন্তু রাগে ফুঁসছে অনি। কনিষ্ক বললো।
কেনোরে।
তোর বৌ থাকতেও কচি কচি মেয়েগুলো তোর গালে গাল ঘোসলো, ওর বৌ থাকতেও পেলো না। ও বলছে আজকেই শ্রীপর্ণাকে ডিভোর্স করবে।
আমি হো হো করে হেসে ফেললাম। অনাদি বাসুর হাসি থামে না।
ঠিক আছে নীরুকে দুঃখ করতে হবে না।
তুই এককাজ কর অনি ওদের পেসেন্ট বানিয়ে দে। কনিষ্ক বললো।
কনিষ্ক খুব খারাপ হয়ে যাবে। মিত্রা চেঁচিয়ে উঠলো।
দেখলি দেখলি অনি।
তুমি বটা একটা একটা করে নিয়ে নাওনা। মিত্রা বললো।
ফিট করে দিন।
মিলি টিনা আড়চোখে একবার বটা কনিষ্কদের দিকে তাকালো।
তাহলে মৈনাককে বাদ দিলি কেনো। আমি বললাম।
ওর চেন খুলে যাবে। মিত্রা এমন ভাবে বললো।
আবার হো হো করে সকলে হেসে ফেললো।
দেখলি দেখলি কনিষ্ক মিত্রা কি থেকে কি বললো।
মৈনাক মিত্রার দিকে তাকিয়ে।
একবার পরিচয় করিয়ে দে। আজই নীরুর পেসেন্ট বানিয়ে দেবো।
দে মৈনাক তাই দে আমার আত্মা একটু শান্তি পাক। নীরু বললো।
সবাই হাসছে।
আমি তাহলে অনিদার কাছে চলে যাবো। শ্রীপর্ণা বললো।
ম্যাডামকে দেখেছো, ঝেঁটিয়ে বিষ ঝেড়ে দেবে।
মিত্রা ইসি হাসতে হাসতে দু’জনে দু’পাশ থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
মিলিরা হাসতে হাসতে মাঠে বসে পরেছে।
একি মিলি ম্যাডাম এরকম চকমকি পোষাক পরে মাঠে বসলেন। চিকনা এমন ভাবে বললো। আবার হাসি।
অনিদা।
পেছন ফিরে তাকালাম। ওরা চারজন এদিকে আসছে।
অনিরে তোর পায়ে পরি একটু কথা বলিয়ে দে। চিকনা দাঁতে দাঁত চিপে বললো।
আমি বাদ যাই কেনো। নীরু বললো।
তাহলে পেসেন্ট দেবো না। মৈনাক বললো।
ঢ্যামনা।

মিত্রা কট কট করে তাকালো, নীরুর দিকে।
ওরা কাছে এলো।
অনিদা তুমি তোমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলালে না।
তোমাদের সঙ্গে তো আলাপ করিয়ে দিলাম, কথা বলো।
হায় বলে ওরা শুরু করলো। সবার সঙ্গে হাতে হাত মেলালো। আমি লক্ষ্য করছি সবার মুখ। এক একজনের এক একরকম জিওগ্রাফি। চিকনাকে হায় বলে হাতে হাত রাখতেই চিকনা সিঁটিয়ে গেলো। দেঁতো হাসি হেসে বললো, হেয়। সঞ্জু একবার কট কট করে তাকালো চিকনার দিকে।
মৈনাক ওদের সঙ্গে ইংরাজীতে কথা বলা শুরু করেছে।
কনিষ্ক আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। আস্তে করে বললো। এরা মডেল নাকিরে ?
মিত্রা শুনতে পেয়েছে। আমার দিকে তাকালো।
আমি মাথা দোলালাম।
সেই জন্য।
কি সেই জন্য ?
সব ট্রান্সপারেন্ট ব্রা পরেছে।
মিত্রা মুখের কাছে হাত নিয়ে হাসলো।
হারামী। লক লক করছে।
আজ মনে হচ্ছে কুমার থেকে লাভ নেই বুঝলি অনি।
মিত্রা কনিষ্কর দিকে তাকালো।
রিমঝিম আমার দিকে এগিয়ে এলো।
অনিদা বৌদিকে কিন্তু তোমার থেকেও মিষ্টি লাগছে।
আমার যে আবার বৌদির থেকে তোমাকে বেশি মিষ্টি লাগছে।
দুষ্টু।
মিত্রা রিমঝিমের কথায় হাঁসবে না কাঁদবে। ওর চোখের ভাষায় তাই বোঝাচ্ছে।
তুমি আমাদের কবে ক্লাস নেবে।
দেখি। একটা সপ্তাহ আমাকে একটু সময় দাও।
তিয়া এগিয়ে এলো। ডাগর চোখে আমার দিকে তাকাল। ওদের পেছনে চিকনা। চিকনা বুকে হাত দিয়ে অভিনয় করছে।
আমার বুক ফেটে গেলো রে অনি।
আমি না পারছি হাসতে না পারছি গম্ভীর থাকতে। মৈনাক দেবা সবাই আমাকে ইসারা করছে ওরে তুই এদের নিয়ে কোথাও যা। মিলি টিনার চোখের ভাষাও তাই।
আমি বললাম চলো তোমাদের সঙ্গে একজনের আলাপ করিয়ে দিই, তোমাদেরই ফিল্ডের।
তাই। কি সুইট তুমি অনিদা। চুর্ণী বললো।
চলো সেই ভালো। তোমাকে তো কিছুক্ষণ একা পাওয়া যাবে।
আমি সুজিতদাকে খুঁজে বারকরলাম। সুজিতদা দেখেই হেসে ফেললো।
জোগাড় করে ফেলেছিস।
হ্যাঁ। তোমার পছন্দ।
পছন্দ মানে। তোকে একা পেলেই কথা বোলবো ভেবেছিলাম।
কথাবলো সবার সঙ্গে। তোমার ভিজিটিং কার্ড দেবে। তারপর তোমার সঙ্গে আমি আলাদা কথা বলবো। সকলকে নিয়ে আমার আলাদা আলাদা পরিকল্পনা আছে।
ওদের দিকে তাকালাম। সুজিতদার পরিচয় দিলাম।
ওরা যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে।
আমি বললাম, আমি ওদের একটু সময় দিই, তোমরা কথা বলো।
কথা বলেই তোমার কাছে যাচ্ছি।
আচ্ছা এসো।
আমি আবার ফিরে এলাম।
আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকনা সাষ্টাঙ্গে মাঠে শুয়ে পরে আমাকে প্রণাম করলো। তারপর উঠে পাঞ্জাবীটা ঝেড়ে নিলো।
এটা কি হলো কনিষ্ক।
গুরু প্রণাম। যদি প্রসাদ পাওয়া যায়।
মিত্রা বড়ো বড়ো চেখ করে কনিষ্কর দিকে তাকাচ্ছে।

তুই এগুলোকে কোথা থেকে জোগাড় করেছিস বলতো। মিত্রা বললো।
ওইযে মীনাক্ষী ম্যাডামকে দেখলি, সেইদিন টিনাদের পাঠিয়েছিলাম।
হ্যাঁ।
রিমঝিম ওনার মেয়ে, আর একটা ঝিমলি ভাইজ্যাকে আছে। আর তিনটে রিমঝিমের বন্ধু।
ওরে বাবা তুইতো অনেক হিসেব নিকেষ করে জাল ফেলেছিস। কনিষ্ক বললো।
কনিষ্কের কথায় ওরা হাসছে।
মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে। চিকনা আমার হাতটা শুঁকে মিত্রার দিকে তাকালো।
একবার হাতটা শুঁকুন ম্যাডাম ওই মেয়েটার গন্ধ এখনও পাবেন।
মিত্রা হাসছে, ইসিও হেসে গড়িয়ে পরে।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। পকেট থেকে বার করলাম। ওদের ইসারায় বললাম একমিনিট। একটু দূরে চলে গেলাম।
হ্যালো।
ঠাস হিন্দিতে ভেসে এলো কঠিন কন্ঠস্বর, শালা খানকির ছেলে বিয়ে করে খুব মজমা নিচ্ছ। কালকেই তোমার ভবলীলা সাঙ্গ করবো। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks