দেখি নাই ফিরে - (Part-86)

আমি সব বুঝতে পারছি। তুই একটু শান্ত হ। আমি তোকে কথা দিচ্ছি আমি নিজে পার্টির তরফ থেকে ডাস্ট্রিক এ্যাকসন নেবো। তুই কোনো অন্যায় কাজ করিস নি।
কি সাহস আবার অনুপদাকে ফোন করে হুইপ করছেন তুই ওকে ছেড়ে দিতে বল। আমি কি ওনার চাকর।
অনিমেষদার দিকে তাকিয়ে।
অনিমেষ তুমি শুধু শুধু সারাদিনের আনন্দটা নষ্ট করলে।
একটুও নষ্ট হয়নি। অনুপদা চেঁচিয়ে উঠলো। ইসলামভাই মুরগীর ঠ্যাং নিয়ে এসো। জমিয়ে খাবো। আজ এমন খাবো যেনো দুদিন খেতে না হয়।
আমার কাছে এসে, এবার একটু হাস। অন্যায় হয়ে গেছে ভাই। যতো নষ্টের গোড়া আমি। তোর মতো সব হজম করতে পারি না।
ইসলামভাই।
দাদা।
তোমাদের কোনো নাচার মিউজিক নেই, চালাও তো একটু নাচি। অনেক দিন নাচিনি। কিরে চিকনা গুরুর বিয়েতে একটু নাচবিতো আমার সঙ্গে।
চিকনা ফিক করে হেসে ফললো।
সুরো আয় আয় সকলে একটু নেচে নিই।
ম্যাডামরা তোমরা ছবিটবি একটু তোলো, তবে কাগজে ছেপে দিও না।
সবাই অনুপদার কথায় এবার হেসে ফেললো।
মিত্রা আমার হাতটা ধরে কাঁধে মাথা রেখেছে।
কিরে মিত্রা ভড়কে গেলে হয়, অনিকি তোর একার নাকি। অনি সবার। তোকে অনুপদা কথা দিচ্ছে ওর কিছু হবে না। অনুপদারও কিছু ক্ষমতা আছে মাথায় রাখিস।
মিত্রা ফিক করে হেসে ফেললো।

অনুপদার উৎসাহে প্রায় আধঘন্টা নাচাগানা হলো। চিকনা সুরো নীপা সঞ্জু মিলি অর্ক অরিত্র প্রধান কলা কুশলী আমরা সবাই একবার করে কোমর দোলালাম। শেষটুকু দারুণ মজা হলো। কোমর নাচানো থেকে কেউ বাদ গেলো না। আমি ইসি মিত্রা কনিষ্ক নীরু শ্রীপর্ণা বটা সবাই একসাথে একটু হাত ধরাধরি করে নাচলাম। খুব হৈ হৈ হোলো। সবাই থামলাম। শেষে সবাই আইসক্রীম খেলাম বেশ মজা হলো। শেষে ডাক্তারদাদা বললো, তাহলে বান্ধবী শেষ ভালো যার সব ভালো তার। তাইতো।
বড়মা এমনভাবে ডাক্তারদাদার দিকে তাকালো। সবাই হেসে ফেললো।
ওরা গল্প করছে। আমি ইচ্ছে করেই একটু আলাদা হয়ে পরলাম। ভিড়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এলাম। বাড়ির ভেতরে এলাম। পর পর গোটা চারেক ফোন করে ফেললাম। লাস্ট আপডেট নিলাম। আপাতত ঠিক আছে।
ওরা সবাই ভেতরে এলো। অনিমেষদা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে। বুঝছি কিছু বলতে চায়। আমি ইশারায় বললাম একটু বোসো, আমি আসছি।
ইসি কাছে এলো। অনি এবার ছাড়, যেতে হবে।
না গেলেই নয়।
বাড়ি খালি পরে আছে।
দিনের পর দিন খালি পরে থাকলেও কিছু হবেনা। লোক আছে।
তুই কোথায় লোক দেখলি।
বরুণদা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে। মিত্রা ফিক করে হাসলো।
কিরে ছুটকি তুই হাসলি।
ওর লোকজোন আছে হয়তো।
জ্যেঠিমনি গল্প করছে বড়মা ছোটমা বৌদির সঙ্গে। পাশে দামিনী মাসি দাঁড়িয়ে।
তুইকি সত্যি যাবি।
গেলে ভালো হোতো।
জ্যেঠিমনি।
এখন যাবে বলছে। কালকে না হয় আসবো।
বরুণদা আপনার সঙ্গে কথা বলা হোলো না।
আরে ঠিক আছে। সময় চলে যাচ্ছে নাকি।
মিত্রার দিকে তাকালাম।
রবীনকে বলেদে ওদের পৌঁছে দিয়ে আসুক। হ্যাঁরে সকাল থেকে বুড়ীমাসিকে দেখলাম না।
তোর চোখ থাকলেতো দেখবি।
হাসলাম।
আটটার সময় খাবার বেঁধে নিয়ে গেছে। রবীন দিয়ে এসেছে।
তোমরা কথা বলো আমি একটু আসছি।
ভেতরে দেখলাম অনিমেষদারা কথা বলছে দাদার সঙ্গে। আমি বললাম এসো ওপরে একটু কথা বোলবো।
দাদা আমার দিকে তাকালো।
এখন কোনো কথা নয় কাল হবে।
ডাক্তারদাদা বললো খামকা বাধা দিচ্ছ কেনো এডিটর, ও যদি কথা বলতে চায় বলুক না।
অনিমেষদা বিধানদা হাসছে।
বাইরে বেরিয়ে এলাম। মিত্রাকে বললাম তোর ফোনটা একটু দেতো।
কেনো।
দরকার আছে।
মিত্রা আমার হাতে ফোনটা দিলো। সিমটা খুলে ওর হাতে দিলাম। রাখ আধঘন্টা পরে ফেরত দিচ্ছি।
অনিমেষদারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
আমি যাবো।
না। ওরা ফিরে যাবে তুই একটু ব্যবস্থা করেদে।
কনিষ্করা মাঠে দাঁড়িয়ে আমাকে লক্ষ্য করছে।
সিঁড়িতে ওঠার মুখে দেখলাম সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওপরে ছোটমার ঘরে এলাম।
কিরে আবার কি হলো।
বোসোনা বলছি।
একটা জলের বোতল নিয়ে আসি। অনুপদা বললো।
আমি বলে দিচ্ছি।



বারান্দায় এসে চিকনাকে ডেকে বললাম।
বল কি হয়েছে, আবার কোনো গন্ডগোল। বিধানদা বললেন।
না গন্ডগোল নয়, তোমাদের খুব সমস্যা আমাকে নিয়ে।
তোর কি মাথা খারাপ। অনিমেষদা বললো।
তোমরা খালি চুপচাপ দেখে যাও। আমি কি করি। তারপর আমাকে যা বলবে আমি তাই করবো। এতে তোমরা যদি আমাকে কঠিন শাস্তি দাও, তাও আমি মাথা পেতে নেবো।
অনুপদা আমার দিকে তাকিয়ে।
তুই খোলসা করে বলতো।
আচ্ছা তোমাদের পার্টির নিজস্ব কোনো ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো নেই।
কি হবে রেখে।
তোমাদের পার্টির নিচের তলার কর্মীরা কে কি করছে তার হিসাব কি করে পাও।
কেনো ব্রাঞ্চ, লোকাল তারপর জোনাল।
ধাপে ধাপে।
হ্যাঁ।
এগুলো যারা পরিচালনা করছে তাদের মনিটরিং করে কে।
জোনাল কমিটি করে ওখানকার যারা রিপ্রেজেন্টেটিভ আছে তারা করে।
আচ্ছা তোমাকে যদি বলি এখুনি ওই ব্রাঞ্চের আন্ডারে একটা বাড়িতে প্রচুর আন ওয়ান্টেড ওয়েপন্স আছে, তুমি কি করে মনিটরিং করবে।
অনিমেষদা আমার দিকে তাকালো।
ধরো এতো ওয়েপন্স আছে, তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না। ধরো তোমাদের পার্টির কিছু কর্মী তার সঙ্গে জড়িত। আমি বলতে পারবো না তাদের তোমাদের পার্টর সদস্য পদ আছে কিনা। এখনতো সবাই তোমাদের পার্টির লোক। তোমরা মাথা।
অনিমেষদা কেমন গুম হয়ে গেলো। বিধানদা আমার দিকে তাকালো।
চিকনা জলের বোতলটা রেখে একবার সবার দিকে তাকালো। তারপর চলে গেলো।
ঘরের দরজা হাট করে খোলা।
আমি যদি কারুর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তোমাদের একটু গালমন্দ করি খারাপ ভাববে না।
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে।
অনুপদা।
বল।
তোমার সিমটা খুলে মিত্রার মোবাইলে লাগাও।
অনিমেষদা আমার চোখে চোখ রাখলো।
দাদা আপনাদের দু’জনের মোবাইলটা কিছুক্ষণের জন্য স্যুইচ অফ করুণ।
বিধানদা একবার আমার দিকে তাকালো। পকেট থেকে ফোনটা বার করে স্যুইচ অফ করলো।
অনুপদা লাগিয়েছো।
হ্যাঁ।
তুমি যখন কথা বলবে, ভয়েজ অন করবে। সবাই শুনবে।
ঠিক আছে।
রূপায়ণদা তোমায় কেউ ফোন করলে তুমি বার বার কেটে দেবে।
রূপায়ণদা আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো।
তুই কি চার ফেলছিস মাছ ধরার জন্য।
হ্যাঁ।
ওরে প্রবীর এতো বোকা নয়।
আমি জানি তবু একটা জিনিষ আমার জানার দরকার আছে। একজনের কাছ থেকে ইনফর্মেসন পেয়ে কাজটা করে ফেলেছি। যাচাই করে দেখি নি।
পেট থেকে বার করতে পারবি কিনা সন্দেহ।

জানো রূপায়ণদা মানুষ যখন পরের পর অন্যায় করে, তখন সে সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়ে যায় নিজের কাছে।
ও পোরখাওয়া লোক, বহুদিন রাজনীতি করছে।
তোমাদের কাছে, আমার কাছে নয়।
ঠিক আছে তোর খেলাটা একটু দেখি, শিখে নিই।
কেউ কোনো কথা বলবে না। ভেবে নাও এই ঘরে খালি আমি একা আছি তোমরা কেউ নেই।
আমি আমার মোবাইল থেকে প্রবীরদার নম্বরে ডায়াল করলাম। ভয়েজ অন করলাম। রিং বাজছে।
হ্যালো।
রেকর্ডিং চালু করলাম।
প্রবীরদা আমি অনি।
হ্যাঁ বল।
আজ এলে না। তোমাকে খুব এক্সপেক্ট করেছিলাম।
শরীর ভালো নয়।
দাদা মনে হয় ঠিকমতো নেমন্তন্ন করতে পারে নি। তাই না।
চুপ। কোনো কথা নেই।
কিগো কথা বোলছো না যে।
না তা নয়।
আমার ওপর রাগ করেছো।
না।
তাহলে। এলেনা যে।
চুপ। কোনো কথা নেই।
ঠিক আছে ছাড়ো। ছোটভাই হিসেবে কোনো অন্যায় করে থাকলে ক্ষমা কোর দিও।
কিসের ক্ষমা। তুই আমার কেরিয়ারটা ডুম করে দিলি।
আমি! তোমার কেরিয়ার ? একজন সাধারণ সাংবাদিক তোমার কেরিয়ার নিয়ে ছনিমিনি খললো, তুমি তাকে ছেড়ে দিলে।
তুই এখন সাধারণ নোস। তুই এখন কলকাতার ডন।
তুমিও বলবে।
আজ যে কটাকে তুলে নিয়ে গিছিস ছেড়ে দে। এর ফল ভালো হবে না।
আমি! কাকে তুললাম ? তুমি কি পাগলের মতো বোকছো ? শরীর ঠিক আছো তো ?
ফালতু কথা একেবারে বলবি না। কাল সকালের মধ্যে ওদের ছেড়ে না দিলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।
তুমি কি করে জানলে আমি তুলেছি ?
তুই যে ভাবে জেনেছিস।
তাহলে আরো কয়েকজন আছে। ওদেরকে একটু দেখাও দেখি।
তুইকি আমার সঙ্গে টক্কর নিচ্ছিস।
যদি মনে করো নিচ্ছি তাহলে তাই।
খুব ভালো হবে না অনি বলে দিচ্ছি। শেষবারের মতো বলছি।
আমি এবার আস্তে আস্তে টপ গিয়ারে উঠতে আরম্ভ করলাম। গলার ভল্যুম চেঞ্জ হতে শুরু করলো।
তোমাকেও বলে দিচ্ছি। তোমরা অবস্থা রাজনাথের থেকেও খারপ করে ছেড়ে দেবো। তোমাকে টাডা আইনে ফাঁসাবো।
তোর এতো বড়ো দম।
দম আছে কিনা তা প্রমাণ করে দিয়েছি। তোমার ওই পার্টির দুটো ভেড়ুয়া নেতাও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।
কি বললি তুই।
যা বলছি ঠিক বলছি। তোমার দম থাকে লড়ে যাও। আমি প্রস্তুত। আর একটা কথা বলেদিচ্ছি। কাল সকালের মধ্যে ওই গেস্ট হাউসে যদি বাকি গুলোকে পৌঁছে না দাও, চারটেকে কুত্তার মতো মেরে দেবো। দেখবো তোমার কটা বাপ আছে।

কি বললি তুই আমার বাপ তুললি।
শুধু বাপ নয় তোর চোদ্দগুষ্টি এলেও বাঁচাতে পারবে না।
কি তুই আমাকে তুই বলছিস।
এর থেকেও যদি নিকৃষ্ট কিছু থাকে বোলবো।
গেটের মুখ বড়মা, ছোটমা, বৌদি, দামিনী মাসি। পেছনে সবাই। অনিমেষদা হাত তুললো মুখে ইশারা করে দেখালো কেউ টুঁ শব্দটি করবে না।
আঁ।
আঁ নয়, হ্যাঁ। আমার দম দেখতে চাস। তাহলে ঘরের বাইরে এসে বারান্দায় একবার উঁকি মেরে দেখ। অনি চুপচাপ বসে থাকে না।
ওরা চারজন আমার দিকে বিষ্ময়ে তাকিয়ে আছে।
কিরে প্যান্ট হলুদ হয়ে যাচ্ছে। কথা বলছিসনা কেনো।
তুই কি আমাকে মারতে চাস।
শুধু মারা নয়। বডি পর্যন্ত গাইপ করে দেবো। কেউ খুঁজে পাবে না। বারান্দায় এসেছিস ? আমি সত্যি কি মিথ্যে বল একবার তোর মুখ থেকে শুনি।
তুই কি করতে চাস। গলার স্বর নরম।
কি শুকিয়ে গেলো। একটা ফোন করবো। তোর ঘর রেট করতে শুরু করবে। ওরা তৈরি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তোর বাড়িটার চারিদিকটা একবার ছাদে উঠে দেখ। মাছি গলতে পারবে না।
আমি অনিমেষদাকে ফোন করছি।
দিলাম অনিমেষদার নামে কাঁচা কাঁচা খিস্তি। ওকি আমার ঠেকা নিয়ে বসে আছে।
অনিমেষদা মুখে হাত চাপা দিয়েছে। বিধানদা মাথা নীচু করে মুচকি মুচকি হাসছে। রূপায়ণদা অনুপদা না পারছে হাঁসতে না পারছে গম্ভীর হয়ে থাকতে। বৌদি আমার দিকে বিষ্ময়ে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে।
তোর এতো বড়ো ক্ষমতা তুই আমাদের পার্টির টপ লিডারকে......।
রেকর্ডিং করে রাখ, আমার গলাটা ভেড়ুয়াটাকে কাল সকালে শুনিয়ে দিবি। আর একটা ভেড়ুয়া আছে। বিধান হারামী।
তুই বিধানদাকে হারামী বলছিস।
বেশ করেছি।
দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি।
বেশি দেখাতে যাস নি। বাড়ি থেকে একপাও বেরোবি না। বেরোলেই ওখানে দানা খেয়ে পরে থাকবি।
তোর এতো বড়ো ক্ষমতা।
ক্ষমতা আছে কিনা দেখতেই পাচ্ছিস। এক ফোনে যদি এই হয়, আর এক ফোনে তোর কি দশা হবে। আর একটা কথা বলে রাখি মন দিয়ে শোন, তোর অশ্বিনীনগরের অস্ত্র কারখানাতেও লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। পর্শু যেগুলো ইউপি থেকে এসেছে। ওখানে ফোন করে বলে দে নখরামি যেনো না করে। ওখানে তুই ছেলে গুলোকে তুলে নিয়ে এসেছিস।
তোকে খুন করে দেবো।
প্রবীরদা এমনভাবে চেঁচিয়ে উঠলো যেনো আমার ফোনের স্পিকারটা ফেটে যাবে।
সময় পাবি না। আগে অস্ত্র কারখানাটা খাবো। তারপর তোকে খাবো।
তুই তার সময় পাবি না।
আবার বলে রাখছি। নখরামি করবি পুরো বডিটা গাইপ। আমি চারদিক বেঁধে ফেলেছি। এবার বল কি করতে চাস।
কিছুক্ষণ চুপ। কোনো কথা নেই।
শোন তুইতো নিজে মুখে বলবি না। আমি রফা করি।
বল।
অনেক কামিয়েছিস। কাগজের গুষ্টির তেইশ। এতদিন যা করলাম সব একটিং। মিত্রার সঙ্গে যা করার করা হয়েগেছে। আমি মিলির প্রেমে পরেছি। ওকে নিয়ে ফুটে যাবো। আমার বহু টাকার দরকার। টাকা পেলে সব ছেড়ে ছুড়ে ফেটে যাবো। তোর রাজনাথ ডাক্তারও অনেক কামিয়েছে মিত্রার কাছ থেকে। আমিই বা বাদ যাই কেনো।

তুইওতো ডাক্তারের কাছ থেকে টাকা টেনে নিয়েছিস।
ওটা আমার নয় মিত্রার। সাদা টাকা। মিত্রাকে ট্যাক্স দিতে হবে। ওখানেতেই তো মিত্রাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছি। আমার হার্ড ক্যাশ চাই।
কতো।
তোর জন্য কাল অনিমেষদা আমার কাছ থেকে টাকা টেনেছে।
কতো।
পাঁচ কোটি। তোর নাকি দেওয়ার কথা ছিলো।
এ কথা তোকে কে বললো।
তাহলে আনিমেষ আমার কাছ থেকে নিলো কেনো।
কি করে বলবো। কিরে তুই মেয়েছেলেদের মতো কাঁদছিস নাকি।
না।
দেখলাম রূপায়ণদা অনুপদা ঘরের এক কোনে চলে গিয়ে মুকে রুমাল চাপা দিয়ে হাসছে। বৌদিরা বারান্দায়, মুকে কাপর চাপা দেওয়া। চোখে বিষ্ময়। এতোক্ষণে ওরা বুঝতে পেরেছে কার সঙ্গে আমি কথা বলছি।
তুই এখন কোথায়।
আমি নিচের বাগানে আম গাছের তলায়। বাড়ির সবাই ঘুমোচ্ছে।
তুই আমাকে বাঁচা অনি।
বাঁচাবো পরে। আমার দশকটি চাই। কি করবি বল।
পেয়ে যাবি।
কাল সকালে চাই।
হবে না। কাল বিকেলে মালটা ডেলিভারি করতে হবে।
আমার কাছে খবর আছে, ওখানে যা মাল আছে দশের বেশি দাম।
তোর কখন দরকার।
যতো সকালে সম্ভব। এরা উঠতে উঠতে ফেটে যাবো।
কোথায়।
আমার বাড়িতে।
না তুই এক কাজ কর।
বল।
তুই ভিআইপির মুখে চলে আয়।
আবার স্কিম।
বিশ্বাস কর।
না তুই ট্রাংগুলার পার্কের মুখে নিয়ে আয়।
ঠিক আছে পৌঁছে যাবো।
শোন আজ থেকে আমরা বন্ধু। অনিমেষ বিধান যেনো জানতে না পারে।
তুই তাহলে ওগুলো সরিয়ে নে। ছেলেগুলোকে ছেড়ে দে।
দেবো আগে কাল সকালে মাল পৌঁছবে, তারপর। ওদের পেছনে খরচ করতে হয়েছে তো। মাগনায় হয় নাকি এসব।
তাহলে হবে না।
অনি ঝপ পাল্টি খেয়ে যাবে। দামিনীকে বলবো, ছেলেগুলোকে রেপ করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দে। কনিষ্ক বটা হাসপাতালের ডাক্তার আমার বন্ধু নিশ্চই খবর রাখিস। অপারেসন করে বাদ দিয়ে দেবো।
প্লিজ তুই এটা করিস না। রাজনাথের ভাইপো আছে।
রাখছি, কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। তারপর কাজ চালু করে দেবো।
তাহলে আমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারি।
পারিস। ফালতু তখন ছেলে গুলোকে দিয়ে ফোন করালি। মজমা নিচ্ছিলাম। না করালেই পারতিস।
চুপ।
রাখছি। কাল সকাল।
ফোনটা কেটে রেকর্ডিংটা সেভ করলাম। ওরা আমার দিকে তাকিয়ে। নিস্তব্ধ ঘর। আমি আবার ডায়াল করলাম।
ভয়েজ অন করা আছে।

হ্যাঁ বলেন অনিবাবু।
উনি বারান্দায় এসেছিলেন।
হ্যাঁ।
দেখে কি বুঝলেন।
ধ্বসে গেছে।
ওখানে কারা আছে।
একটু আগে খবর নিয়েছি। সব ঠিক ঠাক আছে।
একবারে চোখ সরাবেন না।
অনুপদার ফোনটা বেজে উঠলো। হাত তুললাম।
দাঁড়ান একটু বাদে আপনাকে ফোন করছি। আর একটা ফোন এসেছে।
অনুপদা আমার দিকে তাকিয়ে।
কিরে কি কোরবো।
উঠে গিয়ে ভয়েজ অন করে রেকর্ডিংটা চালু করে দিলাম।
ঘুমচ্ছিলে, ঘুমভেঙে ফোন ধরছো। অনুপদার দিকে তাকিয়ে বললাম।
আমার জন্য একটু অভিনয় করো। প্লিজ।
অনুপদা হাসলো।
হ্যালো।
কিরে কখন থেকে রিং বেজে যাচ্ছে।
কি হলো আবার। এই কানারাতে কি করতে ফোন করলি।
অনি এখনো ছাড়ে নি।
কেনো আমার সামনে অনিমেষদার সঙ্গে কথা হয়েছে। বললো ছেড়ে দেবে।
ছাড়ে নি। এখুনি ফোনে কথা হোলো।
কি বলছে।
দশকোটি টাকা চাইছে।
অনি টাকা চাইছে!
তাহলে বলছি কি।
কি পাগলের মতো বকছিস।
অনিমেষদা বিধানদার নামে যা মুখে এলো বলে গেলো। কাঁচা কাঁচা খিস্তি দিলো।
তোর শরীর ঠিক আছে তো।
একটুও মিথ্যে বলছি না। রেকর্ডিং করেছি।
বেশ করেছিস। এখন ঘুমিয়ে পর।
কাল সকাল পর্যন্ত টাইম দিয়েছে।
কিসের।
ওর দাদার বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। না হলে ওই চারটে ছেলেকে হাপিস করে দেবে।
কে বলতো ওই ছেলে গুলো। আমাদের পার্টির ছেলে। তখনও তুই বললি।
ওর মধ্যে রাজনাথের ভাইপো আছে।
রাজনাথকে পার্টি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তুই আবার ঝামেলায় জড়াতে যাচ্ছিস কেনো।
যতই হোক রাজনাথ আমাদের পার্টির মেম্বার ছিলো এতোদিন।
ছিলো, এখন নেই। শুধু রাজনাথকে নিয়ে তো আমাদের পার্টি নয়। তাছাড়া তুই জানলি কি করে অনি তুলেছে।
আরো দুজন ছিলো। খাবার কিনতে বাইরে বেড়িয়েছিলো। সটকে চলে এসেছে।
ওগুলোকে কোথায় রেখেছিস।
অশ্বিনীনগরে একজন পার্টি কর্মীর বাড়িতে।
এখন ঘুমো, ভালো লাগছে না। পারলে অনিমেষদাকে ফোন কর।
ফোন স্যুইচ অফ।
তাহলে বিধানদাকে কর।
বিধানদারও স্যুইচ অফ।
ল্যান্ড লাইনে কর।
রিং বেজে যাচ্ছে। একটু ধরতো আর একটা ফোনে ফোন এসেছে।
তুইকি সারারাত ঘুমোস না।
গায়ে একটা দাগ লেগে গেছে।

অন্যায় করেছিস।
দাঁড়া।
অ্যাঁ কি বললি। .....এখনো আছে। .....বেরোয় নি। ......ঠিক আছে।
হ্যালো।
বল।
অনিমেষদারা এখনো অনির বাড়িতে আছে। গলায় উৎকন্ঠা।
তুইকি গাঁজা খেয়েছিস। আমার সঙ্গে একসঙ্গে বেরোলো।
আমার লোক বললো। অনিমেষদার গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
দেখলাম ইসলামভাই চিকনা ঘরের দরজার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলো।
রাখ ভালো লাগছে না। কাল পার্টি অফিসে আয় দেখছি।
তাহলে কাল সকালে টাকাটা পাঠিয়ে দিই।
কেনো বলবি তো।
যদি ঝেড়ে দেয়।
কি করে বুঝলি ঝেড়ে দেবে।
ওর গলা শুনে মনে হচ্ছে। তারওপর ওর সেই মুখার্জীর লোক আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
কি করতে।
মনে হয় রেট করবে।
কেনো। আবার কি গন্ডগোল করলি।
অনুপ তুই আমাকে অনির হাত থেকে বাঁচা।
তখন থেকে কি ভেজর ভেজর করছিস বলতো।
তোরা কিছু না করলে অনিকে কাল আমি ঝেড়ে দেবো।
তারপর সামলাতে পারবি।
নিজেতো মরেই গেছি। একটাকে নিয়ে মরি অন্ততঃ।
ওখানে ইসলাম আছে।
কিছু চিন্তা করতে ভালো লাগছে না।
আমি কি কোরবো। তোর জন্য আমি কি পার্টি থেকে এক্সপেল হবো নাকি। অনুপদা রেগে গেলো।
ঠিক আছে, আমি আমার মতো করে কাজ শুরু করছি।
আগু পিছু ভেবে করিস।
ভাবতে গেলে শেষ হয়ে যাবো।
যা পারিস কর। আমি এখন রাখছি।
অনুপদা ফোনটা কেটে দিলো।
আমি ছোঁ মেরে অনুপদার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে রেকর্ডিংটা সেভ করলাম। ফোনটা স্যুইচ অফ করে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। খালি অনিমেষদার ক্ষীণ কন্ঠ কানে ভেসে এলো। সুতপা ওকে আটকাও।
একটা হৈ হৈ পরে গেলো।
ছুটে নীচে চলে এলাম। বাগানে এসে দাঁড়ালাম। নেপলা চিকনা সঞ্জু বেধড়ক মারছে একটা ছেলেকে। আর একটাকে টেনে হিঁচড়ে আবিদ নিয়ে আসছে। পেছনে রতন।
ইসলামভাই আমাকে দেখে বললো। তুই ওপরে যা।
চারিদিক আধো অন্ধকার। লাইট সব নিবিয়ে দিয়েছে ইসলামভাই। ছেলেগুলোর মুখ ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছি না। ফিরে আসছিলাম।

অনিদা বাঁচাও। আমি কিছু করিনি।
ঘুরে দাঁড়ালাম।
নেপলা আমার নাম শুনে ছেলেটাকে ছেড়ে দিয়েছে। ছেলেটা ঘসরাতে ঘসরাতে আমার কাছে এসে পা জড়িয়ে ধরলো।
অনিদা তুমি বিশ্বাস করো।
দেখলাম কনিষ্ক পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
কেরে টনা।
কনিষ্কদা তুমি! এরা আমাকে মেরে ফেললো।
আমি স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে।
তুই এখানে, এতো রাতে। কনিষ্কর গলাটা এই নিশুত রাতে গম গম করে উঠলো।
ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম বারান্দায় মেয়েরা দাঁড়িয়ে। কিছু নেমে এসেছে মিত্রা ইশি পাশে এসে দাঁড়ালো। আমার দুহাত দুজনে শক্ত করে ধরেছে।
কনিষ্কদা একটু জল।
চিকনা জলের বোতলটা নিয়ে আয়। অনি তুই ওপরে চলে যা। কনিষ্কর এই গলা সবার কাছে অপরিচিত।
কেরে কনিষ্ক। বটার গলাটা গম গম করে উঠলো।
টনা।
ভাসিলা ভেঁড়ি।
হ্যাঁ।
ওটা আবার এতো রাতে এখানে কোথা থেকে এলো।
বলছি বটাদা, সব বলছি। টনা হাঁপাতে হাঁপাতে বলে উঠলো।
ইসলামভাই অবাক হয়ে কনিষ্ক আর বটার দিকে তাকিয়ে আছে।
অনি তুই ওপরে চলে যা। কনিষ্ক গুরু গম্ভীর গলায় ফের বলে উঠলো।
আমি আর দাঁড়ালাম না। সোজা ওপরে চলে এলাম। পেছন পেছন সবাই। দেখলাম অরিত্র ফোনে কার সঙ্গে কথা বলছে। আমি সোজা চলে এসে অনিমেষদা বিধানদার পায়ের কাছে বসলাম। মাথা নীচু। মিত্রা ইশি দাঁড়িয়ে। বুঝলাম এই টুকু দৌড় ঝাঁপে ওরা হাঁফিয়ে গেছে। ঘরের সবাই চুপ চাপ।
তুমি আমাকে ক্ষমা করো দাদা।
আয় পাশে উঠে বোস।
আমি তোমায় অনেক অ-কথা কু-কথা বলেছি।
সেতো তুই পার্মিসন নিয়েই বলেছিস। রাগ করিনি।
ছোট। বিধানদা চেঁচিয়ে উঠলো।
হ্যাঁ দাদা।
একটু চা খাওয়াবে।
এতো রাতে।
বিধানদা হো হো করে হেসেফেললো।
অনির ফুলশয্যা হচ্ছে, আমরা পাহারা দিচ্ছি। যাও যাও একটু কড়া করে বানিয়ে নিয়ে এসো।
অমিতাভবাবু।
বলুন।
আপনার পকেটে সিগারেটের প্যাকেট আছে।
দিচ্ছি।
মল্লিকদা ঘরের মধ্যে ঢুকে টেবিলের ওপর থেকে সিগারেটের প্যাকেট আর এ্যাসট্রেটা সেন্টার টেবিলে রাখলো। দুজনে দুটো সিগারেট বার করে ধরালো। সবাই কেমন যেন বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে।

কিরে তোরা গিয়ে খাটে বোস। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ও সব কাজ সেরে রেখেছে।
সিগারেটে একটা টান মারলো।
কি বিধানবাবু ভুল কথা বলেছি।
না।
রামের কাছে হুনুমান গিয়ে যেমন সব শেষে বোলতো প্রভু অনুমতি দিন। ও সেরকম ভাবে বসে আছে। অনিমেষদা ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো।
অনিমেষদার কথায় সবাই ফিক ফিক করে হাসছে।
সুতপা, মুখ ভেটকে দাঁড়িয়ে রইলে কেনো। ভেতরে এসো। বোসো। সুরোমাকে দেখছি না।
নিচে, ঘুমিয়ে পরেছে।
যাক রক্ষে। লাইভ দেখলে মাথা খারাপ করে দিতো।
বৌদি ভেতরে এলো।
অনিমেষদা আমার দিকে তাকিয়ে বললো।
আর ওখানে বসে থেকে লাভ নেই এবার পাশে বোস।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে দু’জনের মাঝখানে বসলাম।
কিরে আমরা চা খেতে খেতে তোর বাকি কাজ গুলো সেরে নে। অনিমেষদা বললো।
আমি মাথা নীচু করে বসে আছি।
আমিতো বলছি।
যানা অনি রেকর্ডিংগুলো ল্যাপটপে ট্রান্সফার করে সিমটা দে। অনুপদা বললো।
আমি তাকালাম।
তুইতো বিয়ে করলি না, যেনো যুদ্ধ করলি। অনুপদা বললো।
অরিত্র।
হ্যাঁ দাদা।
অরিত্র দ্বীপায়ণ ঘরের মধ্যে এসে ঢুকলো।
দেখছেন বিধানবাবু কোনো টেনসন দেখতে পাচ্ছেন মুখে। অনিমেষদা ওদের দিকে তাকিয়ে বললো।
বিধানদা মুচকি মুচকি হাসছেন। আমি পকেট থেকে মাবাইলটা বার করলাম। দ্বীপায়ন এগিয়ে এলো। হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে মিত্রার দিকে একবার তাকালো।
যাও, দরজা খোলা আছে। মিত্রা বললো।
ইসি চারদিক চেয়ে চেয়ে দেখছে। ফ্যাকাশে মুখ। যেনো হাসতেও ভুলে গেছে। বরুণদা গেটের মুখে গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে।
ইসলামভাই গেটের কাছে এসে দাঁড়ালো।
কাজ শেষ হোলো ইসলাম। অনিমেষদা বললেন।
আমায় কিছুই করতে দিলো না।
তার মানে।
কনিষ্ক বটার পরিচিত। আমাকে বললো তুমি ওপরে চলে যাও।
তারমানে! দলে সরকারী ডাক্তারও আছে। অনিমেষদা এমনভাবে বললো এবার দেখলাম সবাই হেসে ফেললো।
ও অনিমেষ একটা কিছু করো। বড়মা মুখ খুললো।
অনিমেষদা আমার দিকে তাকালো।
কিরে দিদি কি বলছে। আমার জন্য কিছু বাকি রেখেছিস ?
আমি চুপচাপ। অনিমেষদা বড়মার দিকে তাকালো।
দিদি আপনিতো এতোক্ষণ সব দেখলেন, কিছু বুঝতে পারলেন না।
কই দেখলুম সব শুনলুম। গা তো হিম হয়ে যাচ্ছে।
রাজাকে ও চেক দিয়েছে। রাজার একঘরও নড়া চড়া করার শক্তি নেই। নয় গেম হারো। নয় রাজাকে খোয়াও। কি বুঝলেন। আমরা সব বোড়ে। ইসলাম পর্যন্ত। অনিমেষদা বললেন।
ছোটমা চা নিয়ে ঘরে ঢুকলো।
এসো এসো ছোট চা টা না খেলে মাথা খুলবে না। বিধানদা বললেন।
ইসি উঠে এলো। মিত্রা ভেটকে বসে আছে। টিনা মিলি ভেতরে এলো। হাতে হাতে সবাইকে চায়ের কাপ এগিয়ে দিলো। বিধানদা চায়ে চুমুক দিয়ে আঃ করে উঠলো।
বেশ ভালো বানিয়েছো ছোট।
ছোটমা একবার হাসলো। আমার দিকে তাকালো। এখন আর সেই আতঙ্ক মুখে নেই। ডাক্তারদাদা চুপ করে খাটের এক কোনায় বোসে।
বুঝলে অনিমেষ যা শুনলুম অনির নেটওয়ার্কটা বেশ মজবুত। মাছি গলতে পারবে না। ওর সিপাইগুলোরও, মাথা খুব পরিষ্কার। বিধানদা বললেন।
হ্যাঁরে মুখার্জীর লোকজন চলে এসেছে, না এখনো আছে।
ওখানে মুখার্জীর লোক নেই।
তারমানে!
অনিমেষদা আমার দিকে অবাক বিষ্ময়ে তাকালেন। ঘরের সবাই নড়ে চড়ে বসলো। মিত্রা এতোক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসেছিলো। এবার বাবু হয়ে বসলো। নিশ্চিন্তে চায়ে চুমুক দিচ্ছে।
তাহলে এরা কারা।
সিবিআই-এর লোকজোন।
তুই কি এদের ইনফর্মার। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks