দেখি নাই ফিরে - (Part-41)

মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠলো।
তোরটা পরে আছিস কেনো, খোল।
ঠিক সময়ে খুলবো।
না এখুনি।
আমি পাঞ্জাবীটা খুললাম, মিত্রার শরীরের সঙ্গে আমার শরীর মিসে গেলো। আমার মতি বেশ দাঁড়িয়ে গেছে।
কিরে খোঁচা মারছিস কেনো।
হাসলাম।
খোলনা। কেন শুধু শুধু পরে আছিস।
আচ্ছা খুলছি।
আমি পাজামার দড়িটা খুলে ফেললাম। নিচে চিকনা আর সঞ্জয়ের তুমুল হচ্ছে।
আজকে কাদের কাদের নেমন্তন্ন।
সবার।
তোর বন্ধু-বান্ধব নীপার বন্ধু-বান্ধব ও বাড়িতে মাছ হচ্ছে, বড়মা ছোটোমা সুরমাসি কাকীমা নীপা রান্না করছে। প্রায় একশো জনের আয়োজন।
বাবাঃ।
হ্যাঁ, নিরঞ্জনদা ফোনে ফোনে কাদের ডাকলো।
বড়মা কি বলছেরে।
মিত্রা আমার মতি নিয়ে নিজের মতিতে ঘোসছে।
তোরটা কি শক্ত হয়ে গেছে। এখন করতে গেলে লাগবে।
তোর গাটা কি ঠান্ডা।
তুই তো গরম হতে দিলি না।
আমি মিত্রার ঠোঁটে কামর দিলাম।
মুন্তিতে একটু মুখ দে।
তোর কোন মুন্তিতে সেন্স বেশি।
তুই বল।
আমি কি করে জানবো।
বাঃ এতোবার করলি এটা বুঝতে পারলি না।
তোদের বোঝা মুস্কিল।
একটি থাপ্পর।
কোনটায় বলনা বাঁদিকে না ডান দিকে।
অন্যজায়গায় মাথা খোলে এটাতে মাথাটা খোলে না ?
এটার জন্য তুই আছিস।
আমি একটু মুখ দিই।
না স্নান করে এসেছিস একবারে না।
না।
পাছুতে রাম চিমটি মারবো।
তোর পাছুটাও খোলা আছে মনে রাখিস।
চল বিছানায় চল একটু রেডিমেড করে নিই। কেউ চলে এলে বিপদ।
তাহলে একটু ঘসে ঘসে বার করে দিই।
দেনা কামরে ছিঁড়ে দেবো।
ইস তোরটা একেবারে ভিজে চপ চপ করছে।
তোরটা যেনো শুকনো খট খট করছে।
আমি এক ঝটকায় ওকে একটু তুলে নিয়ে বিছানায় চিত করে শুইয়ে দিলাম। আমি ওর ওপরে আমার মতি ওর মতির ওপর ঘসা খাচ্ছে।
আজকে জঙ্গল পরিষ্কার করেছিস না।
কি করে বুঝলি।
কাল রাতের থেকে আজ বেশ চক চক করছে।
মিত্রা আমার নাকটা ধড়ে মুচরে দিলো।
তোর নাকটা সত্যি টিয়াপাখির ঠোঁটের মতো।
তোর নাকটা চিনে ম্যানের মতো, প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে।
আমি কোমর দোলাচ্ছি।
পারবি না থাইতে ঘোসছিস।
ফাঁক কর।
না। আগে একটু মুখ দিতে দে।
সত্যি তুই দিবি।
হুঁ।
না।
তাহলে পাবি না।
আমি উঠে পাজামা পরে নেবো।
পরে দেখনা ছিঁড়ে ফর্দাফাঁই করে দেবো।
আমি ওর মুন্তিতে মুখ দিলাম। চকাত চকাত করে চুষতে আরম্ভ করলাম।
মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছি আর মুন্তি চুষছি। নিপিলটা শক্ত হয়ে আসছে। বুঝতে পারছি।
এদিকটা একটু মুখ দে।
হেসেফেললাম। বুঝেছি।
কি।
তোর বামদিকে সেন্স বেশি।
ধ্যাত।
আমি বামদিকের মুন্তিতে মুখ দিয়ে ডানদিকের নিপিলে নোখের আঘাত করলাম। মিত্রার চোখর ভাষা বদলে যাচ্ছে।
বুবুন।
উঁ।
একটু দেনা মুখ দিই।
সত্যি তুই দিবি।
হ্যাঁ।
আমি ওর শরীর থেকে উঠে দাঁড়ালাম। মিত্রা তড়াক করে উঠে আমার পায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে বসে পরলো।
আমার মতিতে হাত দিয়ে জামাটা আস্তে করে টেনে খুললো। পাজামাটা টেনে নিয়ে একটু মতির মুখটা মুছে নিয়ে চুমু খেলো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ও হাসলো। শুধু মুন্ডিটা মুখের মধ্যে পুরে কিছুক্ষণ চুষলো। আবেশে আমার চোখ ঢুলু ঢুলু।
আর না এবার ছার।
আর একটু।
তোর মুখের মধ্যে বেরিয়ে গেলে জানিনা।
এরকম করিস না।
না পারলে কি করবো। তুই এমন ভাবে চুষছিস, ধরে রাখা দায়।
ঠিক আছে ঠিক আছে। আর একবার।
মিত্রা আবার মুখের মধ্যে আমার মতিকে ঢুকিয়ে নিলো। সত্যি আজকে ও ভীষণ গভীর ভাবে চুষছে। আগেও ও আমার মতিতে মুখ দিয়েছে কিন্তু এ ভাবে নয়। আমার প্রায় বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা। আমি একঝটকায় ওর মুখ থেকে মতিটা বার করে নিয়ে, ওকে টেনেতুলে বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
মিত্রা মিটি মিটি হাসছে।

কিরে বহুত গরম হয়ে গেছিস মনে হচ্ছে।
কেনো তুই ঠান্ডা আছিস।
আমিতো গরম খেয়েই থাকি।
দেবো ফাটিয়ে।
পারবি না। মিত্রা হাসছে।
দেখবি।
না ওরকম করিস না, কালরাতের কথাটা মনে রাখিস, তোর জীবন কালকে আমাকে দিয়েছিস আমাকে ফিরিয়ে দিতে দে।
আমি হেসে ফেললাম। ঠিক আছে করবো না।
এরকম করিস না। আস্তে কর।
না করলে কি আছে। এটা একটা নেশা।
রাগ করলি।
নারে বিশ্বাস কর।
আয়।
মিত্রা পা দুটো ফাঁক করলো। আমি ওর শরীরের ওপর নিজের শরীরটাকে ছুঁড়ে ফেললাম, মিত্রা আমার পেটের মধ্যে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে আমার মতিকে চেপে ধরলো। আস্তে করে ওর মতিতে ঘসে গর্তে রাখলো, দে চাপ দে।
আমি ওর ঠোঁটের কাছে ঠোঁট নিয়ে গিয়ে চুমু খেলাম।
ঢোকাই।
মিত্রা ঘার দোলালো।
আমি একটু ঠেলতেই বেশ কিছুটা ঢুকে গেলো।
কিরে! একেবারে তৈরি করে রেখেছিস মনে হচ্ছে। একটুও টের পেলাম না।
মিত্রা চোখ মেরে হাসলো।
আমি আবার একটু জোরে চাপ দিলাম, পুরোটা ঢুকে গেলো।
আমি মিত্রার দিকে তাকিয়ে হাসছি। আমি শয়তান। তাই না ? তুই কি ?
তুই বল।
আমি কেনো বলবো।
ঝগড়া করিস না।
আবেশে মিত্রার চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসছে।
কিরে কষ্ট হচ্ছে।
একটু ওপরে উঠে আয়।
কেনো।
তোকে জড়িয়ে ধরি।
আমি মিত্রার বুকে নেমে এলাম। ওর মুন্তিটা আমার বুকের ভারে চেপ্টে গেলো, আমি ওর নাকে নাক ঘোসলাম, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুষলাম।
ভালো লাগছে।
ভেতরটায় এতো সুন্দর ফিলিংস হচ্ছে তোকে কি বলবো।
আমারও।
নাড়া চাড়া করিস না।
তুই মতির ঠোঁট দিয়ে আমার মতিকে চিবোচ্ছিস।
মিত্রা হাসলো। তুই বুঝতে পারছিস।
অবশ্যই।



এইটা দারুন লাগে, মনে হয় পুরোটা যায় নি আর একটু ভেতরে গেলে দারুন লাগবে। তাই করি।
আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। মিত্রার চোখের চাহুনিতে পরিতৃপ্তির ছাপ।
বুবুন।
উঁ।
তোকে একটা কথা বলবো।
বল।
রাগ করবি না।
কেনো।
থাক পরে বলবো।
না। বলনা।
নিখিলেশদা কয়েকদিন ভীষণ জ্বালাচ্ছে।
কে নিখিলেশদা।
আমরা কলেজ লাইফে যার কাছ থেকে নোট নিতে যেতাম মনে আছে তোর।
হ্যাঁ খুব মনে আছে। স্যারের ছাত্র, আমার সঙ্গে নিখিলেশদার প্রায় দেখা হয় স্যারের বাড়িতে।
তাই।
হ্যাঁ।
তুই বলিস নি তো।
নিখিলেশদা আমার কাছে ততটা জরুরী কখনো মনে হয় নি। তাই।
নিখিলেশদা একটা ইন্টারনেট লাইব্রেরী করেছে।
ইন্টারনেট লাইব্রেরী!
হ্যাঁ।
ইউ আর এল-টা কী।
ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট বেঙ্গলীলাইব্রেরী ডট ও আর জি।
দাঁড়া করে নিই, আমারটা কেমন নরম হয়ে যাচ্ছে।
মিত্রা হাসলো।
কিরে তোরটা বেড়িয়ে গেছে নাকি !
মিত্রা হাসছে।
সত্যি।
মিত্রা মাথা দোলাচ্ছে।
তাই তখন তুই আমার মতিকে কট কট করে চিবোচ্ছিলি।
মিত্রা চোখ দুলিয়ে হ্যাঁ বললো।
খালি আমার খচখচানি থাকে। যা আর করবো না।
প্লীজ ওরকম করিসনা বুবুন। কি করবো বল, তোরটা ঢোকার সময়েই কেমন যেন হয়ে গেলো।
তুই আগে থেকেই গরম খেয়ে ছিলি।
মিত্রা মাথা দোলাচ্ছে।
আমার আর হবে না।
কেনো।
একেতো নুয়ে গেছে তারওপর তোর পুকুরে আমার মতির স্নান সারা হয়ে গেছে।
করনা ওরকম করিস কেনো।
ঠিক আছে দেখি ট্রাই করে।
আমি কোমর চালালাম বেশ কয়েকবার। মিত্রা শুয়ে শুয়ে হাসছে।
মজমা নিচ্ছিস।
আমার দুবার হবে তোর একবার।
তোর রস বেশি।
আমি বেশ কয়েকবার দাপাদাপি করবার পর, আমার মতি আবার সমহিমায় ফিরে এলো। মিত্রা হাসছ।

কিরে শক্ত হয়ে গেছে।
বুঝতে পারছিস।
মিত্রা মাথা দোলালো।
আমি দুহাতের ওপর ভর দিয়ে করে যাচ্ছি।
বুবুন আওয়াজ হচ্ছে।
তুই শোন। আমি করে যাই।
মিত্রা ফিক করে হেসে উঠলো।
বুবুনরে আমি মনে হয় বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারবো না।
দাঁড়া।
দাঁড়াবো কিরে আমারতো একটুতেই হয়ে যাচ্ছে আজ।
হোক।
আমি করে যাচ্ছি। একবার নিচের দিকে তাকালাম। একবার সম্পূর্ণটা বেরোচ্ছে আবার ঢুকে যাচ্ছে।
দেখিসনা ওরকম করে। তোরটা হামানদিস্তের মতো ভেতরটা যেনো গুড়িয়ে দিচ্ছে।
বুঝতে পাচ্ছি মিত্রার মতির ঠোঁট দুটো আমার মতিকে আবার কামড়ে কামড়ে ধরতে শুরু করেছে, তারমানে মিত্রার এবার হয়ে যাবে, মিত্রার চোখ বন্ধ। দুটো হাত আমার হাতদুটোকে শক্ত করে ধরেছে, ওর মুন্তির নিপিল দুটো বেশ শক্ত হয়ে গেছে, আমি বেশ জোরেই কোমরদোলাতে শুরু করলাম। তারপর ভেতরে ঢুকিয়ে আরো জোরে দুতিনবার চাপ দিতেই আমার মতি মিত্রার মতির মধ্যে কেঁপে কেঁপে উঠলো।
মিত্রা পা দুটো একটু ওপরের দিকে তুলে আমার পাছুতে নিয়ে এসে জোরে জাপ্টে ধরলো। ওর চোখ বন্ধ, আমি ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম, ওর ঠোঁট দুটো কি গরম আমার জিভ যেনো পুরে ছাই হয়ে যাবে। মিত্রা আমার গলা জড়িয়ে ধরে আমার শরীরীটাকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে আছে।
কিরে বেরিয়েছে।
তুই যেমন তোর মতিটাকে কাঁপাচ্ছিলি আর একটু কাঁপা।
কেনো।
ভীষণ ভাল লাগছে।

আমি আমার মতিটাকে একটু একটু করে কাঁপাতে চেষ্টা করলাম, যতটা কাঁপে আর কি। মিত্রা চেখ খুলে ফিক করে হাসলো।
তোর দম আছে।
কেনো।
যে ভাবে করছিলি। মনে হচ্ছিল আমার নাভি পর্যন্ত চলে যাচ্ছে।
ওঠ।
এই তোর একটা বদঅভ্যাস হয়ে গেলেই খালি ওঠ।
কেনো।
দাঁড়ানা। তোরটা একটু ছোটো হতে দে। এই সময়টা ভীষণ ভালো লাগে।
তোর মুন্তিটা একটু খাই।
খা। ওঠবার নাম করবি না।
বড়মা এসে যদি অনি অনি বলে চিতকার করে।
করুক। বড়মারা করেনি কোনো দিন।
আচ্ছা বাবা আচ্ছা।
আমি মিত্রার মুন্তিতে মুখ দিলাম, মুন্তির নিপিল দুটো এখনো শক্ত। মিত্রা মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করছে আবার খুলছে। আমি ধীরে ধীরে ওর শরীর থেকে উঠে দাঁড়ালাম।
মুছে দে।
আমি হাসলাম। পাজামাটা দিয়ে ওর মতি মুছিয়ে দিলাম, মতির ঠোঁট দুটো লাল হয়ে আছে। আমি একবার চুমু খেলাম। মিত্রা হেসে ফেললো।
ওকে হাত ধরে তুলে ধরলাম। পাজামাটা পরে নিলাম।
কিরে এটা পরলি।
স্নান করতে যাবোতো ধুয়ে ফলবো।
মিত্রা উঠে ভিঁজে কাপর দিয়ে গা হাত পা ভাল করে মুছে কাপর পরলো, আমি ল্যাপটপে বসলাম।
ওটা খোল।
কোনটা।
সেক্স সাইটটা।
না এখননা রাতে। তুই কি বলছিলি তখন।
কি বলতো।
আরে নিখিলেশদার লাইব্রেরীটা।
লেখ
https://goo.gl/sJ23MZ আমি লিখে এন্টার মারতেই খুলে গেলো।
বাঃ বেশ করেছে রে।
দেখি দেখি।
মিত্রা আমার ঘারের কাছে মুখ নিয়ে এলো।
আমি এ্যাবাউট আসটা ভালো করে পরলাম। বেশ ক্রিয়েটিভ কাজ। ক্যাটাগরিতে ক্লিক করতেই বইগুলোর ক্যাটাগরিগুলো দেখতে পেলাম। প্রথমেই আমি সেক্সের বইগুলো দেখে ফেললাম। দারুন দারুন সব বই আছে। আমি একটা ক্লিক করে ফ্রি ডাউনলোড করলাম। 
 

মিত্রা মিত্রা এই মিত্রা।
বড়মার গলা।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম, কিরে সারা দে।
খেপেছিস তুই, কখন কাপর পরতে এসেছি বলতো।
করতে গেলি কেনো।
শয়তান আমার একার শখ না।
আমি যাচ্ছি।
না তোকে যেতে হবে না।
মিত্রা বাইরের বারান্দায় বেরিয়ে গেলো।
অনি কোথায়রে, ও আবার কোথায় গেলো বলতো।
বড়মার আর গলা পেলাম না। বুঝলাম মিত্রা বড়মাকে ইশারায় কিছু বলছে।
আমি আমার কাজে মন দিলাম।
কিছুক্ষণ পর বড়মা ঘরে এলেন। মিত্রার চোখ চকচক করছে।
দেখেছো তোমার ছেলের কান্ড। কিরকম নিস্তব্ধে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ টের পাবে না।
ওতো তোর জন্যই করছে।
জানিগো জানি। মিত্রা বড়মাকে আঁকুড় করে ধরলো। গালে গাল ঘোষে বললো, জানো বড়মা অনিছাড়া আমি বাঁচবো না।
বড়মা মিত্রার দিকে তাকালো।
তোকেও তোর কাজগুলো বুঝে নিতে হবে ওর থেকে।
সত্যি বলছি বিশ্বাস করো ভালো লাগে না। আমার কাজের প্রতি ভালোলাগাটাকে ওরা বিষিয়ে দিয়েছে।
কারা করেছে, অনিকে বলেছিস।
আমার বলার আগেই অনি সব জেনে গেছে।
ও জানেনি ওকে জানতে হচ্ছে, তুই ওকে সাহায্য কর।
ওকে এসব বলতে ভাললাগে না।
ভাললাগে না বললে হবে, তুই না বললে ও তোকে সাহায্য করবে কি করে।
কেনো! জ্যোতিষি বলেছে ও সব পারবে।
সেতো জ্যোতিষি বলেছে। তুই ওকে সাহায্য কর।
মিত্রা বড়মাকে ছেড়ে একটু চা আনবি। আর ছোটমাকে একটু ডেকে আনবি।
দেখছো বড়মা দেখছো, যেই আমি তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরেছি, ওর ওমনি গায়া জ্বালা ধরে গেলো, মিত্রা এটা করতো, ওটা করতো।
বড়মা মিত্রার দিকে তাকিয়ে ওর গালে হাত বুলিয়ে দিলো।
ওর দিকে তাকালাম।
দেখলে, ওমনি তোমার ছেলের রাগ হয়ে গেলো। ঠিক আছে বাবা যাচ্ছি।
এখুনি আসবি ছোটমাকে নিয়ে। আমার একটু দরকার আছে। তুই আবার থেকে যাবি না।
আচ্ছা।

মিত্রা চলেগেলো। আমি বড়মার দিকে তাকিয়ে বললাম। বসো।
বড়মা সোফায় বসলো।
দাদা ফোন করেছিলো।
তোকেও তো করেছিলো।
জানি। তবু তোমায় জিজ্ঞাসা করছি কেনো বুঝতে পারছো না।
না। আমার মাথাটা তোর মাথার মতো নয়।
হাসলাম।
হাসিসনা। তোর হাসিটা সব সময় একটা অর্থ বহন করে নিয়ে আসে। তার চেয়ে পরিষ্কার করে বল কি জানতে চাইছিস।
আমার কাছে দাদার এক্সপ্রেসন আর তোমার কাছে দাদার এক্সপ্রেসন দুটো একেবারে আলাদা। এটা বোঝার মতো বুদ্ধি লাগে নাকি।
তোর লাগে। আমার লাগে না।
আমি তোমার কাছ থেকে দাদা নিরঞ্জনদা ইসলামভাই-এর এক্সপ্রেসন জানতে চাইছি। ওরা তোমাকে কে কি বললো।
তোর দাদা খুব ইমপ্রেসড তোর প্রতি। তোর কাজের প্রতি তোর দাদার পূর্ণ সমর্থন আছে।
কালকের ব্যাপারগুলো দাদাকে বলেছো।
বলেছি।
কি বললো।
তোর দাদা প্রথমে একটু আপত্তি করেছিলো। তারপর বললো ও যখন করছে, ভেবেচিন্তেই করছে। ওকে বাধা দিও না।
ইসলামভাই।
তুই এখন যা বলবি ও সেই ভাবে কাজ করবে।
নিরঞ্জনদা।
ওতো তোর চালচলন দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পার্টি করছে বললো এরকম ছেলে ও দেখে নি।
বাড়িয়ে বলছো।
একটুও না।
আমাকে একটু বেশি ভালবাসো তাই আমার দোষগুলো বলতে চাইছো না।
তোর দোষ দেখলে নিশ্চই প্রতিবাদ করবো।
করবেতো। না চুপ কর থাকবে।
তাহলে তোর ক্ষতি। সে ক্ষতি মন থেকে চাইবো না।
ছোটমা নীপা মিত্রা ঘরে ঢুকলো।
তুমি এখন চা খাবে স্নান করবে কখন।
করছি।
মিত্রা চায়ের কাপ এগিয়ে দিলো।
কিরে বড়মাকে দিলি না।
বড়মা তোর মতন নাকি খালি চা খাবে।
হাসলাম।
হাসবিনা। সব সময় একটা প্ল্যান ভাজিস মাথায়।
ঠিক আছে বোস। নীপা একবার ইসলামভাই আর নিরঞ্জনদাকে ডেকে দাও।
নীপা বুঝলো কিছু একটা আলোচনা করবো। ও দাঁড়ালনা চলে গেলো।
ছোটমা বড়মার পাশে সোফায় বসলো।
কি দেখছ অমন করে।
তোকে দেখছি। তুই যে কখন নিজেকে হঠাৎ হঠাৎ বদলে ফেলিস। আমরা নিজেরাই বুঝতে পারিনা।
মিত্রার দিকে তাকালাম।
তোকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো। সত্যি করে বলবি।
ও আমার চোখে চোখ রাখলো। বুঝতে পারলো। নিশ্চই গুরুত্বপূর্ণ কিছু।
বল। মাথা নিচু করে নিলো।
মিঃ ব্যানার্জীকে তুই ভালবাসিস।
ও আমার দিকে তাকালো। চোখে চোখ রাখলো। চোখদুটো মুহূর্তের মধ্যে বদলে গোলো। এক একটা চোখ যেনো গনগনে আগুনের কয়লার টুকরো।
তুই কি বলতে চাস। গলার স্বরটা কর্কশ।
আমি একটা স্টেপ নিতে যাচ্ছি। তোর অনুমতি নিতে চাই। বড়মা ছোটমার কাছ থেকেও অনুমতি নেবো। জায়গাটা খুব সেনসিটিভ।

তুই যা খুশি করতে পারিস আমার কোন আপত্তি নেই।
ঠিক আছে তার আগে তোর কাছে আমি কিছু জানতে চাই তুই বলবি।
বল।
তুই কোনো ব্ল্যাঙ্ক স্টাম্প পেপারে সই করেছিস। বিগত তিন বছরে।
করেছি। আমাকে দিয়ে করানো হয়েছে।
বেশ।
মিঃ ব্যানার্জীর ছেলে এখন কোথায়।
ও আমার দিকে তাকালো।
তুই জানলি কি করে।
উনি তোকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
ছোটমা বড়মার চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
পাস্ট ইজ পাস্ট তুই ওগুলো নিয়ে ভাববি না। ওর এই গলার স্বর বড়মা ছোটমার পরিচিত নয়।
একটা জট পেকে আছে, তোকে খুলতে হবে।
কিচ্ছু জট নয়। সবকটাকে লাথি মেরে দূর করেদেবো। তুই কি আমাকে বাঁজা মেয়ে পেয়েছিস।
ছোটমা বড়মা মিত্রার এই রূপ দেখে নি। ওদের চোখের ভাষা বদলে গেলো। এ মিত্রা সেই মিত্রা নয়। যাকে ওরা হাসি খুশি দেখেছে।
আমি মিত্রার মুখটা তুলে ধরলাম। তুই আমাকে ভালবাসিস।
ও আমার চোখে চোখ রাখলো। চোখের আগুন এখন কমে নি। সামান্য জল টল টল করছে। চোখের পাতা পরলো। গাল বেয়ে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো।
তুই ছোটমাকে ভালবাসিস।
চোখের ভাষায় আমাকে বুঝিয়ে দিলো।
তুই বড়মাকে ভালবাসিস।
ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।
বড়মা উঠে আসতে চাইছিল, আমি ইশারায় না বললাম।
শোন না, আমার কথা শোন। রাগ করলে হবে না। খুব বুঝে কাজ করতে হবে। ওরা তোর অনেক খতি করেছে। আমি তোর সাহায্য ছাড়া কিছু করতে পারব না।
তুই বড়মা ছোটমাকে চলে যেতে বল। আমার এই কথা বড়মা ছোটমা জানলে আমাকে নোংরা মেয়ে বলবে।
এতদিনে বড়মা ছোটমাকে এই চিনলি। কই আমার দিকে তাকা।
বড়মা ছোটমাকে আমি সব বলিনি।
ঠিক আছে বলিসনি কি হয়েছে। আজ না হয় কাল বড়মা সব জানবে। বড়মা কাল আমাদের সামনে কনফেস করেছে। করেছে কিনা বল।
ও বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে মাথা দোলাচ্ছে।
দেখ তোর মতো ছোটমার একটা দুঃখ আছে। তুই সেটা বহুবার বলেছিস। আমি তোকে কি বলেছি। বল।
ও আমার বুকের থেকে কিছুতেই মুখ তুলছে না।
তুই যা বলবি আমি তাই করবো।
আমি মিঃ ব্যানার্জীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাই। তুই পারমিশন দে।
পারবি। মিত্রা আমার বুক থেকে মুখ তুললো। সেদিন মিত্রার চেয়ে খুশি পৃথিবীতে আর কেউ হবে না।
বড়মা ছোটমা অবাক।

ও আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমার মুখাবয়ব থেকে ও কিছু খোঁজার চেষ্টা করছে। আমি ওর কাপালে হাত রাখলাম। চোখের কোলে জল শুকিয়ে গেছে। আমি বুড়ো আঙুল দিয়ে মুছিয়ে দিলাম। ও আমার গলা জড়িয়ে ধরলো। কাঁধে মাথা রাখলো।
সকালের সব গল্প বড়মাকে বলা হয়ে গেছে।
মিত্রা মাথা দোলালো।
আমার স্কুলের গল্প।
ও আবার চোখ তুললো। একটুখানি বলেছি। বড়মা বলেছে যাবে।
তুই নিয়ে যেতে পারবি।
হ্যাঁ।
খাবার টেস্ট করা হয়েগেছে।
না।
যা একটু নিয়ে আয় না। খাই।
অনাদি দিচ্ছে না।
ঠিক আছে বল আমি চাইছি।
দাঁড়া যাচ্ছি।
চোখে মুখে একটু জল দিয়ে নে।
না থাক।
মিত্রা ছুটে চলে গেলো। আমার বুকের মধ্যে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। শিঁড়িতে আওয়াজ হলো। আরে দিদিমনি আস্তে আস্তে। কোথায় পরে যাবে, লেগে যাবে। ইসলামভাই-এর গলা।
ছোটমা বড়মার দিকে তাকালাম। ওরা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি বুঝলে।
একথা তুই জানলি কোথা থেকে।
ইসলামভাই ঘরে ঢুকলো। সরি অনি স্নান করছিলাম। দেরি হয়ে গেলো। ঘরের চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো। নিশ্চই কিছু একটা গম্ভীর আলোচনা হচ্ছে।
বসো। নিরঞ্জনদা কোথায় গেলো।
স্নান করছে এখুনি এসে পরবে।
ইসলামভাই আমার পাশে এসে বসলো।
সকাল থেকে মিত্রাকে বেশ ফুরফুরে লাগছিলো। এখন ওর চোখ দুটো ছলছল করছে মনে হলো।
হ্যাঁ। ওকে কয়েকটা কথা জিজ্ঞাসা করছিলাম।
নিশ্চই মিঃ ব্যানার্জীর কথা বলেছিস।
ছোটমা বড়মা আমার আর ইসলামভাই-এর দিকে তাকালো। ওরা বুঝতে পারলো ইসলামভাই কোন স্তরের লোক।
তোকে ওটা নিয়ে ভাবতে হবে না। তুই কি ভাবছিস ইসলামভাই এখানে এমনি এমনি বসে আছে। রতনকে বলেদিয়েছি। সব ব্যবস্থা করে রাখবে। তুই যা চাইবি তাই হবে। চব্বিশ ঘন্টা ওর পেছনে লোক রয়েছে। তোকে বলেছি না এবার ইসলামভাই-এর খেলা দেখ।
মুন্না মেয়টার এখুনি কান্না দেখলি না। কি রেগে গেলো। এই প্রথম ওর রাগ দেখলাম।
জানিস দিদি মিত্রা এমন একটা পাথর আঘাতে আঘাতে ও টুকরো টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আর অনি টুকরো টুকরো হয় নি। তাই ওকে আমরা সবাই শিব বলছি। নারায়ণ বলছি।
বড়মা ইসলামভাই-এর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
ওকে ওরা ছিবড়ে করে দিয়েছে। আমি তার কিছুটা দেখেছি। অনি দেখেনি, কানে শুনেছে। তাতেই অনির এই অবস্থা দেখলে কি করতো বুঝতে পারছিস।
ছোটমা মাথা নীচু করে বসে আছে।
তোকে দিদিকে সব কথা বলা যাবে না। বললে তোদেরও অবস্থা অনির মতো হবে।
আমি ইসলামভাই-এর দিকে তাকালাম।
তুই কি ভাবছিস বল।
এখনো কিছু ভাবি নি। কাল একবার কলকাতা যাবো।
আমার যাওয়ার ব্যবস্থা কর।
এখানকার কাজগুলো সেরে নিই। তোমাকে দরকার।
তোর তিনশো একর ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
কথা হয়েছে।
হ্যাঁ নিরঞ্জনদার কাছে লোক এসেছে। খেয়েদেয়ে দেখতে যাওয়ার কথা।

ঠিক আছে চলো। তুমি এখন কতো নিয়ে এসেছো।
মনে হয় রতন কুড়িটা বান্ডিল ঢুকিয়ে দিয়েছে। লাগলে আরো পাঠিয়ে দেবে। তোকে ভাবতে হবে না।
না আমি সে নিয়ে ভাবছিনা হিমাংশুর সাথে বসতে হবে। ডিড গুলো বানাতে হবে। আমি বুধবার ফিরে আসবো।
মিত্রাকে সামলাবে কে। বড়মা বললো।
কিছু হবেনা দেখবে। ও সব সময় অতীতটা ভুলে থাকতে চায়।
বড়মা আমার দিকে তাকালো।
নিরঞ্জনদা এলো। একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে বললো।
খুব জোড় মিটিং চলছে মনে হচ্ছে।
নিচে গলা পেলাম মিত্রা তারস্বরে চেঁচাচ্ছে। তুই এটা ধর আমি ওটা ধরছি।
আমি বড়মার দিকে তাকালম। কিছু বুঝছো।
বড়মা আমার দিকে ফ্যাল ফ্যল করে তাকিয়ে আছে।
মিত্রা ঝড়ের মতো ঘরে ঢুকলো।
এমা আরো দুজন এসে গেছে। বাইরের দিকে তাকিয়ে, তোকে বললাম।
কে বাইরে। আমি বললাম।
কাঞ্চন। কিছুতেই আসবে না। জোড় করে নিয়ে এলাম।
বড়মা মিত্রার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই কিছুক্ষণ আগের মিত্রার সঙ্গে এই মিত্রার আকাশ পাতাল পার্থক্য।
বুঝলি বুবুন ইসলামভাই-এর ইনস্ট্রাকসনে যা বানিয়েছে না এরা দারুন।
ও ইসলামভাই-এর কাছে এগিয়ে এসে বললো।
তোলো তোলো।
বড়মাকে একটা প্লেট দিলো, আর ছোটোমাকে একটা প্লেট দিলো।
আমার দিকে ফিরে বললো। তুই স্নান করিস নি। পাবি না। তোরটা নিরঞ্জনদাকে দিলাম।
আমি বড়মার কাছ থেকে নেবো।
না। সরি। আমি বড়মার কাছ থেকে একটা নেবো ছোটমার কাছ থেকে একটা নেবো।
তাহলে আমি ইসলামভাই-এর কাছ থেকে একটা নিই।
আমি একটা মুরগীর ঠ্যাং ইসলামভাই-এর পাত থেকে তুলে নিলাম। মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, যাবি নাকি ? পুকুরে সাঁতার কাটবো।
এখন। ঠিক আছে তুই যা আমি যাচ্ছি।
আমি বড়মার দিকে তাকালাম। বড়মা হাসছে।
আমি ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলাম। আসার সময় মিত্রাকে বললাম টাওয়েলটা নিয়ে আসিস। মিত্রা তখন একটা ঠ্যাং মুখে তুলেছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে হেসেফেললাম। 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks