দেখি নাই ফিরে - (Part-40)

বুবুন আমার পদ্ম।
আমি কি করে জানবো।
বাসু অবাক হয়ে তাকালো পদ্ম আবার কি।
আমার পদ্মফুল।
তুই যে বললি পদ্মপুকুরে যাস নি।
আমি মাথা নীচু করে হাসছি।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, যা স্কুলবাড়ির ভেতরে গিয়ে দেখ, বাসু ওর পেছন পেছন গেলো, অনাদি আমার দিকে কটকট করে তাকিয়ে আছে, আমি মুচকি মুচকি হাসছি।
মিত্র ওর ফুলের গোছা নিয়ে বেরোলো।
তুই এতো ফুল তুললি কি করে।
কেনো গাছের ডাল ভেঙে নিলাম।
নাঃ তোকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তুই যে কি করে এতবড় বড় স্কিম করিস আমার মাথায় ঢোকে না।
আমি বাসুর বাইকে বসি তুই অনাদিরটায় বস, না হলে আমাকে বকতে বকতে নিয়ে যাবে, তুই অনাদির কাছে বকুনি খা। মিত্রা বললো।
অনাদি কিছুতেই গম্ভীর থাকতে পারছে না, খালি হেসে ফেলছে।
বাসু আসতে চালিও, না হলে দেখবে তুমি বাড়ি পৌঁছে গেছো, আমি রাস্তায় উল্টে পরে আছি।
বাসু হাসছে।
আমি অনাদির বাইকে উঠলাম। মিনিট দশেকের মধ্যে পৌঁছে গেলাম।
অনাদি খামারে বাইক রাখলো, আমি নেমে দাঁড়ালাম, মিত্রা বাইক থেকে নামলো, বাইরের বারান্দায় নিরঞ্জনদা কাকা বসে আছে, আরো অনেকে, আমি বারান্দায় উঠলাম, নিরঞ্জনদা হেসে ফললো। তুই তো মানুষকে পাগল করে দিবি রে।
আমি মাথা নীচু করে হসে ফেললাম।
তুই আগে দাদাকে ফোন কর।
মুখের জিওগ্রাফি চেঞ্জ হয়ে গেলো।
এতোবড় একটা কাজ করলি তোর সঙ্গে শেয়ার করবে না।
আর কিছু।
না তেমন কিছু নয় আমি ম্যানেজ করে দিয়েছি।
অনাদি আমার পেছনে। ও আমার চোখে মুখের চেহারার পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে।
মিত্রা বুঝে গেছে হাওয়া গরম। ও ভেতরে চলে গেলো।
আমি এবাড়িতে এসে ফোনটা দেখতে পেলাম না। নিচে নেমে আসার মুখে মিত্রা এ বাড়িতে আসছে দেখলাম, এই নে তোর ফোন।
সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা নিয়ে দাদাকে ধরলাম।
দাদার ফোন স্যুইচ অফ। অনাদি বাসু এসে পাশে দাঁরিয়েছে, মিত্রা আমার সামনে।
মল্লিকদাকে ফোনে ধরলাম।
হ্যাঁ বলো।
তুই কোথায়।
এই ফিরলাম। খবর বলো ভালো না খারাপ।

বাবা তোকে বেশ গম্ভীর গম্ভীর মনে হচ্ছে, সকাল বেলা হনিমুনে গেলি, কি করলি একটু ছাড়।
এখন ওটা বলার মতো মুড নেই আগে বলো খবর খারাপ না ভালো।
ভালো।
দাদার ফোন বন্ধ কেনো।
দাদা সকাল থেকে আর পারছে না, বাধ্য হয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছে।
আমার ফোন নম্বর দাওনি কেনো।
তুইতো ফোন নিয়ে যাস নি।
যার দরকার সে আমাকে খুঁজে নেবে আমি করও তাঁবেদারি করতে যাই নি।
দাদা ভেবেছিলো, তোর পারমিশন না নিয়ে দেয় কি করে।
কারা ফোন করেছিলো।
সেক্রেটারিয়েট থেকে ঘন ঘন ফোন আসছে, করপোরেসনের মেয়র ফোন করেছিলো। কতো বলি।
ঠিক আছে দাদাকে দাও।
ভয়েজ অন করা আছে।
হ্যাঁ বলো।
তুই তো একটা যাতা করে দিলি।
কেনো।
যা লিখেছিস সকলের ঘুম কেরে নিলি।
কি বলতে চায়।
মোদ্দা কথা ক্রমশঃ লেখা যাবে না। আজ যা বেরিয়েছে বেরিয়েছে কাল স্টপ করুন।
তুমি কি বলেছো।
আমি বলে দিয়েছি, মালিক কাম এডিটর কলকাতার বাইরে, যে লিখেছে সে কলকাতার বাইরে, আমি ভারপ্রাপ্ত এডিটর কাজ সামলাচ্ছি।
কারা বলছে স্টপ করতে।
শেষে চিফমিনিস্টারের সেক্রেটারি।
কি বলেছো।
যা বললাম তোকে।
নো কমপ্রমাইজ, বলে দাও আমাকে ফোন করতে ডকুমেন্ট ঠিক করে রাখবে, পারলে দশটা জেরক্স করাও, যদিও অরিজিন্যাল আমার কাছে। ফোন অফ করবে না, যদি ভেজারাম ভেজারাম করে বলে দাও কেস করতে, আমি বুঝে নেবো। মলের লাস্ট আপডেট।
সকাল পযর্ন্ত খবর ভেন্টিলেসন।
কাগজ দেখে মুখার্জী ফোন করেছিলো।
হ্যাঁ। বলেছে দারুন লিখেছে অনি, তোকে ফোন করেছিল নো রেসপন্স হয়ে যাচ্ছে।
অফিসের হাল হকিকত।
আজ আবার কাগজ ছাপতে বলেছিলো, সার্কুলেসন ম্যানেজারকে না করে দিয়েছি, ভাল করিনি বল।
কালকেও বেশি ছাপবে না, যেমন আজ ছাপা হয়েছে ঠিক তেমনি।
যাই বল অনি কাগজের মাইলেজটা আজ অনেক বেরে গেলো, আমরা আজ এক্সক্লুসিভ। কেউ করতে পারে নি।
ওই দুটোর খবর কি।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এসেছে। মার্ডার কেস চালু করেছে।
দুটো গ্যারেজ।
খবর নিই নি।
ওরা কাগজের এভিডেন্স চাইবে। বলবে লিখিত দিতে তবে পাবে, এবং সেটাও যেনো কোর্টের অর্ডার থাকে।
ওসব আমি জানি না তুই এসে করবি।
তোমার, মল্লিকদার কালকের প্রেজেন্টেসনটা পেয়েছি।
কেমন দিলাম বল।
ওটার জেরক্স কপি আমার কাছে ছিল, কালকে অরিজিন্যাল পেলাম।
তোর কাছে ছিল।
ভাবলে কি করে তোমার আর মল্লিকদার জিনিষ আমার কাছে থাকবে না।
ওরে মল্লিক দেখ অনি কি বলে, ওর কাছে নাকি ওইকপি দুটোর জেরক্স আছে।
ও বহুত ধুরন্ধর তুমি জানো না, বলছে যখন তখন নিশ্চই আছে।

তুমি দেখবে।
না।
দেতো দেখি একবার, ফোনে কথা বলাচ্ছি। বড়মা কখন এসে পাশে দাঁড়িয়েছে বুঝতে পারি নি। দেখলাম ছোটোমা নিরঞ্জনদা ইসলামভাই ভজু সবাই। বড়মা আমার হাত থেকে ফোনটা কেরে নিলো, এতোক্ষণ ভয়েজ অন ছিলো আমি কি কথা বলছি সবাই শুনেছে। আমার গলা যে সপ্তমে ছিলো সেটাও বুঝতে পেরেছে, অনাদি আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে, বাসু গম্ভীর, অনাদি এই অনিকে কিছুক্ষণ আগে দেখে নি।
বলি বয়স হয়েছে কয়েকদিন বাদে ঘাটে যাবে, আমিও তোমার সঙ্গে যাবো, ছেলেটা সবে এসেছে আর ওমনি ফোন।
আমি করলাম নাকি, অনিই তো করলো।
অনিকে কে বলেছে, সকাল থেকে পঞ্চাশ বার ফোন করেছ।
সে কি করে জানবো। নিরঞ্জন বলেছে হয়তো। আমি নিরঞ্জনকে সব বলেছি, তারপর থেকে তো ফোনটা একটু কমলো।
তোমরা দুই পালোয়ান ওখানে বসে আছো, সামলাতে পাচ্ছ না, আবার সুগ্রীবকে দোসর করেছো, অনি একা পারে কি করে।
ও যেমন নরমে গরমে দেয়, আমি দিতে পারি না, দেখ না তোমায় কতো দিন এসে রিপোর্ট করেছি অনিকে বোঝা খুব মুস্কিল, এখুনি হাসছে, এখুনি ও আস্তে করে ছুরি চালিয়ে দিলো।
ও তো তোমাদের মতো পেছন থেকে ছুরি চালায় না। যা করে সামনা সামনি। দেখাচ্ছি নিরঞ্জনকে।
বাবা আমার ঘাট হয়েছে, আজ সকাল থেকে কি হলো ওর সঙ্গে একটু শেয়ার করব না।
কেনো করো নি আমার সঙ্গে, তাতে আশ মিটলো না।
আচ্ছা আচ্ছা তোমার ছেলেকে বিরক্ত করবো না, ছোটোকে দাও মল্লিক কি কথা বলবে।
ছোটোমাকে ফোনটা দিয়ে বড়মা নিরঞ্জনদার দিকে তাকালো।
তুমি বিশ্বাস করো দিদি আমি খালি বলেছিলাম, দাদা তোর সঙ্গে একবার কথা বলতে চায়, আমি অবশ্য ম্যানেজ করে দিয়েছি।
কেনো বারান্দায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এটা বলতে হবে।
আচ্ছা আচ্ছা উইথড্র।
ছোটোমা মল্লিকদাকে ফোনে বলছে, দিদির হাতে নিরঞ্জনদা ঝার খাচ্ছে।
চলতো অনি, একবারে ফোন খোলা রাখবি না বন্ধ করে রাখবি। বেশ করেছিস ফোন নিয়ে যাস নি। এখন আমি বুঝতে পারছি কেনো তোর ফোন মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। কোথায় গেছিলি।
আমি চুপ করে থাকলাম, মেজাজটা বিগড়ে গেছে।
মিত্রা আমার পকেট থেকে বকুল বিচির বাঁশিটা বার করে নিয়ে টি টি করে বাজিয়ে উঠলো, বড়মা ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সকলে হো হো করে হাসছে। ভজু এগিয়ে এসেছে, আমায় একটা দাও দিদিমনি।
মিত্রা আমার পকেট থেকে একটা বাঁশি বার করে ভজুর হাতে দিলো। ভজু বাজাতে আরম্ভ করলো।
বড়মা আমার দিকে তাকালো। মাথা ঠান্ডা হয়েছে।
এটা তো একটা ইনস্টলমেন্ট দেখছো, আর একটা যদি বলি না, তোমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। মিত্রা বললো।
আর আমার মাথা খারাপ করার দরকার নেই। বড়মা মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললো।

https://goo.gl/79NQ4A


আমার দিকে তাকিয়ে বললো, সকাল থেকে উঠে এই বাঁশি তৈরি করতে বেরিয়েছিলি।
পেছনে তখন মিত্রা আর ভজুর বাঁশি টিঁ টিঁ করে বাজছে।
তোমার জন্য পদ্ম নিয়ে এসেছি।
কোথায়রে।
ওই তো মিত্রার কাছে আছে। কিরে দে বড়মাকে।
ঠিক করে বল, না হলে এখুনি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলবো তোর কীর্তি।
আমি হেসে ফেললাম।
নীপা মুচকি মুচকি হাসছে।
আমরা সবাই বারান্দায় এলাম, বড়মা আমাকে জাপ্টে ধরে আছে।
মুখ ধুয়েছিস।
হ্যাঁ।
ও নীপা একটু চা কর।
নীপা ছুট লাগালো। আমি এসে বাইরের বারান্দার বেঞ্চিতে বসলাম।
ইসলামভাই পাশে এসে বসলো একপাশে অনাদি বাসু। চিকনাকে দেখতে পাচ্ছি না, তখন একবার আমার বাড়ির বাঁশ ঝাড় থেকে উঁকি মেরেই আবার চলে গেলো।
নিরঞ্জনদা চেয়ারে বসে আছে।
নিরঞ্জনদাকে বললাম, তোমায় কে ফোন করেছিলো।
সেক্রেটারি।
কেনো।
তোকে আজই নিয়ে গিয়ে হাজির করতে হবে।
আমি বলেছি আপনি যেমন সেক্রেটারি ও তেমনি একটা কাগজের মালিক, প্লাস লেখাটা ও লিখেছে, আপনার থেকে ওকে ভালো করে চিনি, আপনার কথা বললে ও সোজা বলে দেবে প্রয়োজন আপনার আপনি এসে দেখা করুন।
তুমি বলেছো, না আমার সামনে বলছো।
তুই বিশ্বাস কর অনি এরা সামনে ছিলো আমি বলেছি কিনা জিজ্ঞাসা কর।
ভতরে খুব জোড় হাসাহাসি চলছে।
ইসলামভাই বললো অনি তুই বোস, আমি ভেতরের মজলিসে গিয়ে বসি, ম্যাডাম মনে হয় গল্প বলা স্টার্ট করেছে।
ইসলামভাই উঠে গেলো।
নিরঞ্জনদার দিকে তাকিয়ে বললাম।
তুমি একবারে ইন্টার ফেয়ার করবে না। তুমি জানো না কতো কটিটাকার স্ক্যাম এটা।
কি বলছিস তুই।
কাগজ আসে নি।
এবার আসবে।
লেখাটা পরো, তাহলে বুঝতে পারবে।
সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়ে মাল্টিস্টোর বিল্ডিং বানাচ্ছিল।
কি বলছিস তুই।
এরা সবকটা ইনভলভ এর মধ্যে, এবার তোমাদের টনক নরবে দেখবে।
ভেতরে খুব জোরে হাসির রোল উঠেছে। অনাদি বললো দাঁড়া দেখে আসি। অনাদি ভেতরে চলে গেলো।
এতো সব ব্যাপারতো আমি জানি না, দাঁড়া কাগজটা এলে ভালো করে পরি আগে, তারপর পার্টিতে প্রশ্নটা তুলবো।
কতটাকার স্ক্যাম হয়েছে জানো।
কতো।
আমার কাছে যা কাগজ আছে তাতে তিনশো কোটি টাকা, এর বাইরেও আছে। তার মধ্যে মিত্রার এক্স জড়িয়ে আছে।
নিরঞ্জনদা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
বলিস কি।
অনি ফালতু কথা বলে না।
বাসু ওই ভদ্রলোককে নিয়ে এসেছিলি।
হ্যাঁ।
কাজ হয়ে গেছে।
দুলাখে রাজি করিয়েছি।
আমি ছুটে গিয়ে নিরঞ্জনদাকে একটা পেন্নাম করলাম।
আর তোকে পেন্নাম করতে হবে না।
বলোকি তুমি আমার মিশনের একজন, তোমাকে পেন্নাম করবো নাতো, কাকে করবো।
টাকা ধরিয়েছো।
কোথায় পাবো।
কেনো তুমি বড়মাকে বলতে পারতে।

হেসেফেললো।
তোর বড়মার কাছে আছে।
আলবাত আছে, আমার মিত্রার সব কিছু বড়মার কাছে।
দিয়েছিলো, আমি বলেছি রেজিস্ট্রির সময়।
কবে দিন ঠিক করেছো।
তুই না এলে হবে কি করে।
দুর আগে তুমি তোমাদের নামে রেজিস্ট্রি করে নাও তারপর দেখা যাবে। শুভশ্রশীঘ্রম।
দাদা মল্লিকদাকে চাই।
তুমি সোমবার ডেট করো আমি দাদাকে নিয়ে চলে আসবো।
তাড়াহুড়ো করিস না।
আমি তোমাদের মতো ধরে খেলি না।
ঠিক আছে ব্যবস্থা করছি।
আর তিনশো একর।
খবর পাঠিয়েছি ওরা দেখে এসে দুপুরে খবর দেবে।
ছোটোমা দরজা দিয়ে উঁকি মারলো। অনি শোন।
হ্যাঁগো ছোটো ওদের খেজুর রস দিলে না।
হ্যাঁ দাদা ভেতরে নিয়ে গিয়ে দিচ্ছি।
খেয়ে দেখ অনি নদীর ধারের গাছের রস কি মিষ্টি। তাও বেটা পুরো আনতে পারেনি কে বেটা চুরি করে খেয়ে নিয়েছে। হাঁউ হাঁউ করছিলো এসে, আমি ভাগিয়ে দিয়েছি।
আমি দরজার ভেতরে আসতেই ছোটোমা আমার কান ধরতে গেলো আমি কান সরিয়ে নিয়ে ছোটোমাকে পেছন থেকে জাপ্টে ধরলাম।
ওরে ছাড় ছাড় লাগছে।
লাগলে হবে না আগে বলো কি হয়েছে।
দিদি ডাকছে।
নিশ্চই মিত্রা রিপোট পেশ করেছে।
ভেতরে এলাম।
তুমি কান ধরো নি। ধরো ধরো কান ধরো।
আমি ছোটোমাকে ছেড়ে বড়মার কাছে সেঁটে গেলাম।
সব বলেছিস তো।
হ্যাঁ।
তোর পটির কথা।
না।
ওটা আমি বলি।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
কিরে মিত্রা এতোক্ষণ তুই ওর নামে বদনাম করছিলি এখন।
তুমি বিশ্বাস করো বড়মা আমি এখনো ওই জায়গাটায় আসি নি।
তুই কোন জায়গায় এসেছিস। আমি বললাম।
পদ্মপুকুরে ফুলতোলা পযর্ন্ত।
তার মানে তোর পোর্সানটা গাইপ।
শয়তান।
আমার থাইতে একটা চিমটি কাটলো।
বড়মা আমার পিঠে হাত রাখলো।
নীপা চা দিয়ে গেলো, দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে মিত্রাকে বললো আরো জোরে দাও না। এখনো ছোটোটি আছেন।
আমি মাথা নীচু করে চায়ে চুমুক দিলাম। সবাই হাসছে।
হ্যাঁরে ওই রাতে তুই গাছে উঠলি কি করে। বড়মা বললো।
ওকে তুমি জানো না বড়মা, ও কি জিনিষ সেদিন কাকা কয়েকটা বলেছে, আজ একটা শুনলে, সব বললে তোমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। অনাদি বললো।
বড়মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
জানিষ তোর জন্য আমি নিরঞ্জনদার কাছে সকালে বকা খেলাম।

কেনো রে।
শশধর কাকা নিরঞ্জনদার কাছে এসে রিপোর্ট করলো তার রস চুরি হয়ে গেছে।
তুই চোর ধর। আমি বললাম।
চোর তো ঘরের মধ্যে।
প্রমাণ করতে পারবি।
আমি আছি রাজসাক্ষী। মিত্রা বললো।
নেমকহারাম।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
জানো ও যখনই পেঁপে পাতাটা ভাঙলো আমার কেমন যেন একটা সন্দেহ হলো, এই কানা রাতে ও পেঁপে পাতা ছিঁড়লো কেনো।
তারপর ওই পটি করা রাস্তা ভূততলা।
তুই ওকে নিয়ে ভূততলার মধ্যে দিয়ে গেছিস। অনাদি বললো।
হ্যাঁ।
জানো বড়মা আমরা দিনের বেলা ওই পথে যাই না, রাস্তাটা খারাপ বলে ঘুর পথ হলেও অন্য রাস্তায় যাই, আর ও ম্যাডামকে নিয়ে ওই রাস্তায়। তুই পারিস। অনাদি বললো।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, কিরে তোকে ভূত দেখাই নি।
দেখাতে চেয়েছিলি দেখতে পাই নি।
কাকীমা পান্তার জাম বার করো, আর মিত্রা কিছু খাবে না, সকাল থেকে দুবার হয়ে গেছে।
নাগো আমার একবারও হয় নি, আমাকেও দাও।
সবাই হাসছে, ছোটোমা এসে পাশে বসলো, তোর কি এখনো চুরি করার সখ আছে।
সে যে কি আনন্দ তোমায় বুঝিয়ে বলতে পারবো না। ওকে তার একটু স্বাদ দিয়েছি।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, কিরে বল ছোটোমাকে।
বলেছি, আমার পেটটা খল খল করছিল না বলা পযর্ন্ত। তোর মতো নয়।
ওই জন্যই তো সহ্য হয় নি।
জানো বড়মা আমায় বলেছে কুত্তার পেটে ঘি সয় না।
হ্যাঁরে অনি বলেছিস। বড়মা আমার দিকে গম্ভীর কিন্তু হাসি হাসি মুখ করে বললো।
বলেছি।
কেন।
কেন বলেছি, কোন পজিসনে বলেছি সেটা জিজ্ঞাসা করো, আর সেই সময় এই কথাটা কেমন প্রযোজ্য সেটাও জিজ্ঞাসা করো।
কিরে মিত্রা।
তুমি খালি ওকে সাপোর্ট করো আমাকে একটুও করো না।
সবাই হাসছে, ছোটোমা বললো ও যা বললো তুই মিথ্যে প্রমাণিত কর।
সে হয় নাকি, অতোটা রস গেলালো ওই মাঝ রাতে প্রায় এক লিটার।
ইসলামভাই হাঁসতে হাঁসতে উল্টে পরে যায়, সুরমাসি কাকীমা মুখে কাপর চাপা দিয়েছে, নীপা হাসতে হাসতে পেট চেপে ধরেছে, নিরঞ্জনদা এসে যোগ দিলো, বড়মা বললো নিরঞ্জন বোস শুনে যা এদের কীর্তি।
নিরঞ্জনদা নিশব্দে বসে পরলো। নীপা একটা আসন এগিয়ে দিলো।

তারপর কি হলো বল মিত্রা। বড়মা বললো।
তারপর আর কি, যা হবার হলো। তাও হতো না, আমাকে বললো একটু নেচে নে দেখবি নিচে নেমে যাবে অসুবিধে হবে না।
তুই নাচলি।
হ্যাঁ আমি বাঁধের ওপর একটু নেচে নিলাম। ব্যাস মিনিট তিনেকের মধ্যে আর থাকতে পারলাম না, সোজা নদীর বুকে নেমে গেলাম।
অনি তখন কোথায়।
বাঁধের ওপর বসে ঢিল ছুঁড়ছিলো।
চারিদক অন্ধকার, মাথার ওপর শীতল চাঁদের আলো, নদীর ঝির ঝিরে বাতাস, কুল কুল শব্দ, এতো সুন্দর আবহাওয়া তোর বাড়ির ফার্নিশড বাথরুমে আছে, তুই বল। আমি বললাম।
সবাই হেসে গরিয়ে পরছে।
বড়মা আমার কানটা ধরলো, তোর কি আর বয়স হবে না, তুই আধ দামড়া মেয়টাকে বাঁধের ওপর নাচালি।
দাও দাও আরো জড়ে নাড়িয়ে দাও, মিত্রা উঠে এসে আমার পিঠে গুম গুম করে দিলো।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, নাচালাম কোথায়।
ওর অসুবিধে হচ্ছিল আমি বললাম নেচে নে। তা ও যদি ধেই তা ধেই করে নাচে, আমার কি।
হাসতে হাসতে আমার কান থেকে বড়মার হাত খসে পরল, নিরঞ্জনদা হাসছে, সবাই হাসছে ছোটোমা কাপর দিয়ে চোখ মুছছে।
ও নিরঞ্জন।
বলো।
তোর চোর হচ্ছে এই দুটো।
বলো কি।
হ্যাঁরে। তারই গল্প হচ্ছে। পেঁপে ডাঁটা দিয়ে।
নিরঞ্জনদার হাসি আর বন্ধ হয় না।
ইসলামভাই হাসতে হাসতে কেশে ফেললো, ভজু ইসলামভাই-এর মাথা চাপরে দিচ্ছে।
কাকীমা পান্তা। মিত্রা চেঁচিয়ে উঠলো, আমার খিদে পেয়েছে।
ছোটোমা বললো হ্যাঁরে একলিটার জল খেয়ে কিছু হয় নি।
সব বেরিয়ে গেছে।
ছোটোমা হাসতে হাসতে বললো তুই থাম।
কিরে, তোর পেটে ডন বুটকি মারছে না। মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে বলছে।
মারছে।
মিত্রাদি বড়মা চিংড়িমাছ দিয়ে ফ্রায়েড রাইস করেছে। নীপা বললো।
দে, দাঁড়িয়ে আছিস কেনো। দাঁড়া।
আমার দিকে তাকালো।
কিরে তুই কি খাবি।
দেখি।
দেখি মানে। এখন খাবি না।
বড়মা খেয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করেছিস।
বড়মা পূজো করে নি, এত বেলা করে পদ্মফুল নিয়ে এলি বড়মা পূজো করুক তারপর খাবে। ও বড়মা বলো না দিতে।
নীপা দেতো মা ওকে।
ওদের খাওয়া হয়ে গেছে।
কারুর হয় নি। তোরা আসিসনি বলে কেউ খায় নি।
তোর জন্য বুঝলি, তোর জন্য, কখন থেকে বলছি চল চল বেলা হলো।
বাঁশি বাজা।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
বড়মা ও যদি পান্তা খায়, আমি ফ্রাইডরাইস পান্তা দুটো খাবো।
বড়মা হাসছে, নিরঞ্জন দেখতে পাচ্ছিস।
পাচ্ছি।
আমি ইসলামভাই-এর কাছে বসলাম কাল ঘুম ভালো হয়েছে।
না হবার জো আছে, যা আয়োজন ছিল আরিব্যাশ।
অনিদা আমি বাথরুমে যাই নি ওই বনে গেছিলাম। সবাই হো হো করে হসে ফেললো।

আসন পাতা হয়েছে। সবার। অনাদি বাসুরও আছে। আমরা যে যার মতো বসে পরলাম, খালি বড়মা বসলো না ছোটোমাকে মাঝখানে রেখে আমরা দুজনে দুপাশে। বড়মা পরিবেশন করলো, মাঝে চিংড়িমাছ নিয়ে মিত্রা আমার সঙ্গে ঝগড়া করলো, ওকে চিংড়িমাছ দেয় নি বড়মা, আমাকে বেশি ভালবাসে তাই আমাকে দেওয়া হয়েছে। বড়মা হাসতে হাসতে ওকে চিংড়িমাছ বেছে বেছে দিয়ে গেলো। হাসাহাসি চলছেই। নিরঞ্জনদা মাঝে বললো মিত্রা আমরা কিন্তু পান্তা পেলাম না, তোর জন্য স্পেশাল হলো। মিত্রা নিরঞ্জনদার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। খাওয়া শেষ হতে আমি বললাম, আজ কি এবাড়িতে রান্না বন্ধ।
বড়মা বললো হ্যাঁ তোর বাড়ির বাঁশ বাগানে হচ্ছে।
এ্যাইল। মিত্রা একহাত জিভ বার করলো।
তুই আবার কালী ঠাকুর হলি কেনো।
বড়মা তুমি আগে বলো নি কেনো।
কি বলবো।
আজকের মেনু ও বাড়িতে তাহলে পান্তাটা খেতাম না।
ছোটোমাকে টপকে দিল আমার থাইতে একটা চিমটি।
শয়তান খাওয়ার শেষে মনে করিয়ে দেওয়া।
সবাই হো হো করে হাসছে।
আমি কি করলাম।
আমি কি করলাম, ও বাড়িতে আজ বিরিয়ানী আছে, তুই জানতিস না, এক পেট খেয়ে ওটা টেস্ট করতে পারবো।
একটু বাঁশ বাগানে নেচে নিবি।
এটা কি রস খেলাম, যে নেচে নিলে নেমে যাবে।
বড়মা হাসতে হাসতে মাটিতে থেবড়ে বসে পরলো।
সবাই হো হো করে হাসছে আমি উঠে দে ছুট পুকুর ঘাটে।
হাসির রোল এখনো চলছে মিত্রাকে নিয়ে।

আমি পুকুরের পার ধরে বাঁশবাগানের ভেতর দিয়ে খিড়কি দরজা দিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে সোজা ওপরে চলে এলাম, কেউ আমাকে দেখতে পেল না। দরজাটা আস্তে করে ভেজিয়ে দিয়ে, আমি ল্যাপটপটা বার করলাম। মোবাইলটা ভাইব্রেসন মুডে রেখে ল্যাপটপটা খুলে বসলাম, বেশ কয়েকদিন হলো মেল চেক করা হয় নি। মানিপার্টস থেকে চিপটা বারকরে নিলাম। জানিনা এখানে নেট কানেকসন পাবো কিনা। তবু চিপটা লাগাতেই দেখলাম কানেকসন পেয়েছে। বেশ আনন্দ লাগলো।
একবার সন্দীপকে ফোন করে লাস্ট আপডেট নিলাম। ওখানে সব ঠিক আছে। আমাদের কাগজের আজ দারুন মার্কেট। ওকে খুব উচ্ছসিত দেখালো। আমাকে দশবার গুরু গুরু বলে প্রণাম করলো। আমি ওকে বললাম নেক্সট লেখা গুলো ঠিক ঠাক কনটিনিউ করবি, কোনো সমস্যা যেন না হয়। ও কথা দিল। ফলোআপ নিউজ গুলো ঠিকঠাক করবি। ও বললো তোকে চিন্তা করতে হবে না। আমি প্রয়োজন হলে তোকে ফোন করবো।
নিচে আমাকে খোঁজা খুঁজি শুরু হয়ে গেছে। অনাদি চিকনা নীপা বাসু মিত্রা সবাই খুঁজছে। শেষে অনাদি বলে দিয়েছে, কোথায় গেছে এখন খুঁজতে পারবো না, যখন আসে আসবে। এদিকে অনেক কাজ।
মিত্রা বললো, অনাদি আমি একা একা টেস্ট করবো, ও থাকলে বেশ মজা হতো।
সেতো বুঝলাম। ফোন করো না।
করছি তো। ধরছে না।
তাহলে ও আশেপাশে কোথাও আছে। ঘাপটি মেরে আছে।
নারকেল গাছগুলো একবার দেখোতে। নীপা বললো।
তুই থাম। এখন সে বয়স নেই।
ছারো তুমি অনাদিদা খেঁজুর গাছে উঠে চুরি করে রস খেতে পারে, আর নারকেল গাছে উঠে ডাব খেতে পারবে না, তা হয়।
ঠিক বলেছিস দাঁড়া চিকনাকে খবর দিই ও ঠিক খুঁজে বার করবে।
অনাদি থাক। ওকে ওর মতো থাকতে দাও। তারপর আসুক মজা দেখাচ্ছি।
তখন বড়মা আছে, ম্যাডাম তুমি কিছুই করতে পারবে না। অনাদি বললো।
মিত্রা খিল খিল করে হাসছে। চল নীপা আমরা বরং স্নান সেরে নিই।
চলো।
আমি একে একে মেল গুলো চেক করলাম, শেষে একটা সেক্স সাইট খুলে বসলাম। বেশ নেশা লেগে গেছে এই কদিনে। ফাঁক পেলেই সেক্সসাইট সার্ফিং করি। মাঝে মাঝে ডাউনলোড করি। নিস্তব্ধে এক মনে কাজ করছিলাম। কেউ আমাকে বিরক্ত করার নেই।
হঠাৎ দরজাটা কেঁচ করে আওয়াজ হলো। একটু খানি ফাঁক হলো, দেখলাম মিত্রা ভিঁজে কাপরে ভেতরে ঢুকছে। আমাকে দেখে চমকে গেছে। শয়তান তুই.......।

আমি ওকে ঠোঁটের ওপর আঙুল রেখে চুপ করতে বললাম।
দাঁড়া তোর মজা দেখাচ্ছি। আস্তে করে বলে, দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করলো।
আমি উইনডোটা মিনিমাইজ করে দিয়েছি।
বসে বসে এখানে ল্যাপটপ চালান হচ্ছে, আমাকে বাদ দিয়ে।
আমার কাছে এগিয়ে এলো ভিঁজে কাপরে।
একবারে ধরবি না আমার জামা কাপর ভিঁজে যাবে।
যাক। কখন থেকে খুঁজে মরছি, বাবু এখানে বসে বসে .......।
আমি হাসছি।
চটকে দেবো কিন্তু।
দেনা। এখন এখানে কেউ আসবে না। সবাই এখন ও বাড়িতে।
তুই এ বাড়িতে এলি কেনো।
ও আমার হাত চেপে ধরে আমাকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে।
আগে কাপর খোল।
খালাচ্ছি তোকে দাঁড়া। কি দেখছিস বল।
তোকে বলা যাবে না।
আমাকে বলা যাবে না, তার মানে তুমি সেক্স সাইট খুলে বসে আছো।
আমি হাসছি।
দাঁড়া আগে কাপরটা ছেড়ে নিই, তারপর দেখাচ্ছি।
মিত্রা আলমাড়ি খুলে শাড়ি সায়া ব্লাউজ ব্রা বার করলো। আমি উইনডোটা ম্যাক্সিমাইজ করে বন্ধ করে দিলাম।
দেখে ফেলেছি, তুই বন্ধ করলি, মনে রাখিস ওটাই তোকে খুলে দেখাতে হবে।
ওঃ শকুনের চোখ।
কি তুই আমাকে শকুন বললি।
আমি ওর দিকে তাকালাম। এগিয়ে আসছে আমার দিকে আমি ওকে দু’হাতে আটকালাম।
হাসতে হাসতে খাটের কাছে এগিয়ে গেলো। কাপরটা খুলে ফেললো শরীর থেকে, তারপর ব্লাউজ খুললো, আমি এগিয়ে গেলাম।
একবারে কাছে আসবিনা চেঁচাবো।
চেঁচানা চেঁচা।
মিত্রা ফিক করে হেসে ফেললো।
এখন ধরিস না গাটা মুছি।
দেখ তোকে দেখে কেমন নড়া চড়া করছে।
মিত্রা আমার মতির দিকে তাকালো, ফিক করে হেসে ফেললো।
কালকের থেকে এরকম হচ্ছে, আগে এরকম হতো না।
মিত্রা শায়াটা খুলে ফেললো। একেবারে নিরাভরণ শরীরে আমার চোখের সামনে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আজকে ওর মুন্তিটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে নতুন বাথরুমে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেভ করেছে। কোমরে একটা ঘুমসি দেখলাম কালো শুতোয় বাঁধা। তার সঙ্গে একটা মাদুলি। কাল রাতে ওটা ওর কোমরে দেখি নি। কোমরবন্ধনিটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে, একটা আলগা শ্রী ফিরে এসেছে কোমরটায়। আমার ভ্রুদুটো ছুঁচোলো হয়ে গেলো।
এটা দেখে ভ্রু কোঁচকাচ্ছিস।
আমি মাথা দেলালাম।
তুই ও বাড়ি থেকে চলে আসার পর বড়মা ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে কেমরে বেঁধে দিলো।
এটা আবার কোথাকার।
যেখানে গেছিলাম, সেই ভদ্রলোক দিয়েছে।
আমি এগিয়ে গেলাম।
প্লীজ হাত দিস না এখন।
আমি ওর পায়ের কাছে বসলাম ও মুন্তিতে হাত ঢেকেছে। আমি কোমরের মাদুলিটা দেখলাম, সোনার মাদুলি, মুখটা গালা দিয়ে বন্ধ। কালো কারে বাঁধা। আমি ওর হাতটা সরিয়ে দিলাম। না। মিত্রা চেঁচিয়ে উঠলো।
আমি দাঁত মুখ খিঁচিয়ে উঠলাম, এখুনি একটা বিপদ ঘটাবি।
শয়তান তোকে কখন থেকে বারন করছি।
মিত্রার হাত সরে গেলো, আমি এ সুযোগ ছারলাম না, ওর মুন্তিতে মুখ দিয়ে পাছুটা জাপ্টে ধরলাম। মিত্রা ছটফট করে আমার মাথার চুলের মুটি ধরলো। আমি দমবার পাত্র নয় ঠিক জায়গায় জিভের স্পর্শ দিয়ে ফেলেছি। মিত্রা কিছুক্ষণ ছটফট করে, আমার মাথার চুলগুলো ছেড়ে দিলো। আমি ওর মুন্তির গর্তে আঙুল দিয়ে দিয়েছি। মিত্রার গায়ে বাতাস লাগলো, থির থির করে কাঁপছে।
বুবুন ছার না। তুই একা একা মজা করবি নাকি।
আমি মুখ তুলে ফিক করে হেসে ফেললাম।
শয়তান। তুই ভীষণ জালাস। এমন করলি এখন ছারতে ইচ্ছে করছে না।
কর। কে বারন করেছে।
ওঠ।
আমি উঠো দাঁড়ালাম। মিত্রা আমাকে জাপ্টে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো।
কেউ যদি হঠাৎ চলে আসে।
আসে আসুক। আমি ল্যাপটপে বসবো, তুই জামা কাপড় পরবি। আমি আস্তে করে দরজাটা খুলে বলবো প্লিজ একটু দাঁড়া। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks