দেখি নাই ফিরে - (Part-31)

আমি তো বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোনো কথা বলি নি।
তাহলে তুই এরকম বলছিস কেনো।
আমি মিত্রার দিকে তাকিয়ে আছি।
জানিষ ভদ্রলোক আর একটা কথা বলেছে।
কি।
না থাক ওটা তোকে পরে বলবো।
খারাপ না ভালো।
তোর কোনো খারাপ নেই। তোকে সাহায্য করার জন্য প্রচুর লোক বসে আছে, তুই চাইলেই পেয়ে যাবি।
ঘড়িতে ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজলো। তাকিয়ে দেখলাম, সাড়ে তিনটে।
কটা বাজলো দেখেছিস।
দেখেছি।
আর মাত্র এক ঘন্টা বাকি তারপর দরজায় কড়া নরবে।
থাক আর ঘুমবো না, একটু করি।
খেপেছিস। আমার দম নেই।
কাকে করেছিস।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম, চোখে হাসির রেখা।
দেখেছিস তুই কি শয়তান, কোনোদিন সত্যি কথা বলবি না।
বললে কষ্ট পাবি তাই বলি না।
একটুও কষ্ট পাবো না, বল।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে, তোকে।
শয়তান।

আমি মিত্রাকে আরো বুকের কাছে টেনে নিলাম, ওর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বললাম, একটু ঘুমিয়ে পর।
ভালো লাগছে না, কাল যেতে যেতে গাড়িতে ঘুমবো।
বড়মা কিছু বলবে না, ছোটমা ছোট ছোট ভাসন দেবে।
দিক, একটু কর না।
না মন চাইছে না।
কেনো।
জানিনা আজ তোকে জড়িয়ে শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে।
তাহলে তোর ওপর উঠে শুই।
শো।
আমার ভার বইতে পারবি।
পারবো।
আবার বলবি নাতো দেড়মনি বস্তা।
না।
মিত্রা আমার ওপর উঠে এলো। আমার গলা জড়িয়ে কাঁধের কাছে মুখ রাখলো, ওর গরম নিঃশ্বাস আমার ঘারে পরছে, আমার একটা হাত ওর পিঠে, একটা হাত ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
বুবুন
উঁ।
তুই আমায় খুব ভালো বাসিস, না।
আমি চুপ চাপ রইলাম।
কিরে বল।
আমি চুপচাপ।
আমার কাঁধ থেকে মুখ তুলে, আমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো, চুপ করে আছিস কেনো, বলবি না।
সব ব্যাপার মুখে বলা যায় না, অনুভূতি দিয়ে বুঝতে হয়।
তোর অনুভূতিটা কোথায় এখানে, না এখানে।
মিত্রা আমার বুকে হাত দিলো, আর কোমর দুলিয়ে আমার নুনুর ওপর দুবার ঘোষলো।
আবার দুষ্টুমি করছিস।
বেশ করছি। তোর কিছু করার আছে।
বুঝলাম মিত্রা তার অভিষ্ট সিদ্ধির উদ্দেশ্যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, আমি মনে মনে ঠিক করলাম, আজ কিছুতেই করবো না, চোখ ঘুরিয়ে ঘড়ির দিকে তাকালাম, দেখলাম চারটে বাজতে দশ, একটু পরেই ঘড়ের দরজায় ধাক্কা পরবে।
কি রে শয়তান, মনে মনে কি ফন্দি আঁটছিস।
কৈ কিছু না।
তোর চোখের মনি স্থির হয়ে গেলো কেনো।
তা আমি কি করে বলবো।
চোখ গেলে দেবো।
মিত্রা আবার কোমর দোলাচ্ছে, হাসছে, আমিও মিটি মিটি হাসলাম।
দেবো ঠোঁট ফাটিয়ে। ঘুসি তুললো।
ব্যাথা লাগবে। তুই চাস ফোলা ঠোঁট নিয়ে এতটা রাস্তা যাই।
তোকে যন্ত্রণা দিতে পারলে আমার খুব আনন্দ হয়।
দে না, কে বারন করেছে। আমি একটু সেবা শুশ্রুষা পাবো।
না না তুই এরকম বলিস না, আমি তাহলে পাগল হয়ে যাবো। মিত্রা আমার মুখটা চেপে ধরলো।
ঘড়ির দিকে লক্ষ্য করলাম, চারটে বাজে।



আমার পাজামাটা খোল।
খুলবো।
মিত্রার চোখ চক চক করে উঠলো। ও উঠে বসে, আমার পাজামার দড়িটা খুললো, পাঞ্জাবীটা টেনে গা থেকে খুলে ফেলে দিলো, নিজের ম্যাক্সিটা খুলে আমার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পরলো। নীচু হয়ে আমার নুনুটাকে পুশির কাছে সেট করে নিয়ে ঘোষতে লাগলো।
তোরটা এত ছোট কেনো! এতক্ষণ ধরে ঘোষলাম।
ভালো লাগছিলো না, এখন ভালো লাগছে তাই তোকে খুলতে বললাম।
মিত্রা আমার বুকে মুখ দিয়ে আমার মুনু চুষছে। আমার ঠোঁট চুষছে। মুখ তুললো।
বুবুন।
কি।
আমাকে একটা ব্লু-ফ্লিম দেখাবি, তুই তো ভালো কমপিউটার শিখে গেছিস।
কে বললো তোকে।
টিনাকে একদিন ফোন করেছিলাম, ও বললো, মাঝে মাঝে তুই ওর কাছে কম্পিউটার, ইন্টারনেট শিখতে যাস, এখন তুই ভালো শিখেগেছিস।
এই তো তুই করিতকর্মা হয়ে উঠেছিস, খবর জোগাড়ি করতে শিখে গেছিস।
নারে তোর কনসেনট্রেসন দেখে আমি অবাক হয়ে যাই, সেদিন বড়মাকে বলছিলাম, টিনাকে ফোন করার পর।
কি বললো বড়মা।
বললো অন্য কোনো মেয়ে হলে ভুল ভাবতো, মিত্রা তুই ওকে ভুল ভাবিস না। আমি বললাম একি বলছো বড়মা, বুবুন আমার কাছে চিরকাল বুবুন থাকবে, ওকে আমার কাছ থেকে কেউ কোনো দিন ছিনিয়ে নিতে পারবে না। বড়মা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলো।
মিত্রা কোমর দোলাচ্ছে, চোখের চেহারা আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে।
একটু মুখ দেবো।
দে।
মিত্রা আমার দিকে পাছু ঘুড়িয়ে মুখ দিলো, ব্যাপারটা এরকম আমারটায় একটু হাত দে।
আমি নীচু হয়ে ওরটায় হাত দিলাম, ঘড়ির দিকে তাকলাম, চারটে পনেরো।
মিত্রা আমার নুনু, মন চিয়ে চুষছে, আমিও ওর পুশিতে আঙুল ঢুকিয়েছি, এরি মধ্যে ভিজিয়ে ফেলেছে। আমি মাঝের আঙুলটা ওর পুশির গর্তের মধ্যে ঢুকিয়ে নাড়াতে আরম্ভ করলাম, মিত্রা কোমর দোলাচ্ছে।
অনি, ও মিত্রা এবার ওঠ, কি ঘুমরে তোদের বাবা। ওরে সাড়ে চারটে বাজলো। রেডি হতে হবে তো। বড়মার গলা।
মিত্রা আমার নুনু থেকে মুখ তুলে তড়াক করে উঠে বসলো। আমার নুনুটা সবে মাত্র দাঁড়িয়েছে, দেখলাম সামান্য দুলছে, আমি ইশারায় ওকে বোললাম চুপ। ও আমাকে ঘুসি দেখাচ্ছে, আমি চোখ ছোটো করে ওকে বললাম, আমি কি করবো, বড়মা এসে যদি ডাকে।
ও আমার বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পরে আমার বুকে কামর দিয়ে বললো, সব সময় দুষ্টু বুদ্ধি, তাই তুই বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলি। দাঁড়া আজ ওখানে চল তোকে দেখাচ্চি।
আমি তোকে বারন করেছিলাম।
ও আমার মুখ চিপে আমার মুনুতে কামরে ধরলো। বল আর এরকম করবি, শয়তান।
আমি জোড়ে হাসতে পারছিনা, বড়মা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে।
কিরে মিত্রা ওঠ, অনি।
হ্যাঁ বড়মা উঠি।
উঃ তোদের ঘুম বটে, যেন কুম্ভকর্ণ।
মিত্রা আমার বুকে শুয়ে আছে।
ওঠ।
না উঠবো না।
ঠিক আছে, আজ রাতে সারারাত।
হ্যাঁ ওখানে নীপা আছে।
ঠিক আছে নীপাকে এবাড়িতে শুতে বলবো।
ঠিক।
আমি কথা দিচ্ছি।

মনে থাকে যেনো।
আমারটায় একটু জিভ দে।
মিত্রা আমার মুখের কাছে ওর পুশিটাকে নিয়ে এলো, আমি কিছুক্ষণ ওর পুশিতে জিভ দিয়ে চেটে দিলাম। ওর মাইটা টিপলাম।
হয়েছে।
তুই বল এই সময় ছাড়তে ইচ্ছে করে, তুই কি শয়তান দেখ।
ও আবার আমার বুকে শুয়ে পরলো।
অনেক কষ্টে ওকে ওঠালাম, এরমধ্যে ছোটমা একবার দরজা হাঁকরে গেছে, আমি দরজা খুলে বলেছি, মিত্রা বাথরুমে বেরোলেই যাচ্ছি।
আমি দাঁত মেজে ফ্রেশ হলাম, স্নান করলাম না। জামা পেন্ট পরলাম, বারান্দায় এসে দেখলাম সবে পূব আকাশের রং কমলা হয়েছে, অনাদিকে একটা ফোন করলাম।
হ্যালো।
কোথায় রে চেঁচামিচির আওয়াজ পাচ্ছি, বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করছিস নাকি।
না রে একটা ঝামেলা হয়ে গেছে, থানায় আছি।
থানায়, কি করছিস!
তোর আশে পাশে কে আছে।
কেনো বলতো।
বল না।
কেউ নেই।
ফোনের ভয়েস অফ করাতো।
হ্যাঁ। আমি অনাদির গলা শুনেই বুঝতে পেরেছি কিছু একটা হয়েছে, আমি রেকর্ডিংটা অন করলাম।
শোন তোকে আমি ফোন করতাম, আর একটু পরে।
কি হয়েছে বলবি তো, তোর কোনো সমস্যা।
না। আমরা সবাই ঠিক আছি।
তাহলে।
শেলি কালকে সুইসাইড করেছে।
কখন।
বিকেল বেলা।
তুই কখন জানতে পারেছিস।
সাতটা নাগাদ।
দেবা কোথায়।
বেপাত্তা।
শেলির বডি এখন কোথায়।
থানায় রাখা আছে, পোস্টমর্টেম হবে, টাউনে নিয়ে যাবে।
অমল কি বলছে।
থানায় বলেছে আমার ঘনিষ্ট বন্ধু, পুরোটা আমার ঘারে চাপিয়ে দিয়েছে।
ঠিক আছে তোকে পরে ফোন করছি। তোর সঙ্গে আর কে কে আছে।
বাসু আছে।
চিকনা।
ওকে রেখে এসেছি তোর বাড়িতে।
ঠিক আছে তোকে চিন্তা করতে হবে না। শোন থানার ফোন নম্বরটা দে।
অনাদি থানার ফোন নম্বরটা দিলো।
মিত্রা কখন যে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেখতে পাই নি, ও আমার মুখের দিকে ফ্যাকাশে চোখে তাকিয়ে আছে।
কি হলো তোর আবার, ওরকম ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছিস কেনো।
কাকে ফোন করলি।
হেসেফেললাম, বাবাঃ একেবারে ঠান দিদির মতো কথা বলছিস।
সত্যি করে বল আবার কি হলো।

কিছু হয় নি।
আমি তোর মুখ দেখে বুঝতে পেরেছি তুই যতই লোকাবার চেষ্টা কর। মিত্রা একটু গলা চড়িয়ে বললো।
নিচ থেকে বড়মা চেঁচিয়ে উঠলো কি হয়েছেরে মিত্রা।
দেখলি দেখলি, তুই সত্যি সব গজব করে দিবি।
আমরা এখন বেরোবো, তোর কোথাও যাওয়া হবে না, পৃথিবী উল্টে গেলেও না।
অবশ্যই বেরোবো, আমি এক ঘন্টা বেশি টাইম নেবো।
না তা হবে না, তোকে আমাদের সঙ্গে এখুনি বেরোতে হবে।
বেরোবো, সত্যি বলছি, গেঞ্জি ছাড়।
না আগে তুই বল কে ফোন করেছিল, কোন থানার ফোন নম্বর চাইলি।
দেখলাম সিঁড়িদিয়ে চার মূর্তিমান উঠে এলো।
দেখলি দেখলি, আমি কথা দিচ্ছি তোদের সঙ্গেই যাবো।
কি হয়েছে রে মিত্রা। বড়মা বললেন।
বড়মা ছোটমা দুজনেই আজ জমপেশ একটা শাড়ি পরেছে, মনে হচ্ছে ঢাকাই জামদানি, লালাপাড় খোলটায়ও লালের আভাস, দারুন দেখতে লাগছে। মাথায় ডগডগে লাল সিঁদুর। একেবারে মা মা।
আমি সবাইকে একটা ঠক করে প্রণাম করলাম।
বড়মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, মিত্রা কি বলছে, তুই সত্যি কথা বল।
ঠিক আছে তোমরা দুজনে চা করে নিয়ে এসো, দাদা আর মল্লিকদা আমার ঘরে আসুক, মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, আয় তুইও শুনবি আয় কি হয়েছে, ছাগল কোথাকার। বড়মা নড়ল না ছোটমা দৌড়ে নিচে চলে গেলো। মিত্রা মুখ টিপে হাসলো।
ওরা এসে ভেতরে বসলো।
আমি দাদাকে দিকে তাকিয়ে বললাম, আমি এখুন একটা ডিসিসান নিয়েছি, বলতে পারো ইনস্ট্যান্ট, তোমরা বলো আমি ঠিক না ভুল। এবং তোমরা যদি না বল, আমি এখুনি প্রমান করে দেবো আমার ডিসিসান ঠিক, তোমাদের ঠিক পাঁচ মিনিট সময় দেবে, না হলে পাখি উড়ে যাবে।
তুই কি বলছিস, মাথায় ঢুকছে না। তোর কাল রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় নি।
আমার মাথা আনটারটিকার মতো ঠান্ডা।
ছোটমা চা নিয়ে ঘরে ঢুকলো।
বল শুনি।
তুমি চিনবে না, মিত্রা চেনে, মিত্রার সঙ্গে আলাপ আছে, ছোটমা বড়মা হয়তো ওর মুখ থেকে শুনে থাকবে, আমি গেইজ করছি। আমার গ্রামের একটা মেয়ে কাল বিকেলে বিষ খেয়ে সুইসাইড করেছে, আমি বলছি সে সুইসাইড করেনি, তাকে মার্ডার করা হয়েছে, তার নাম শেলি, সে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে লটঘট করেছিলো, সেই ছেলে, যার নাম দিবাকর।
বড়মা ছোটমা মিত্রার চোখ ছানাবড়া, ওরা এই সাত সকালে আমার কথা শুনে অবাক।
কি বলছিস তুই।
এখুনি আমি অনাদিকে ফোন করেছিলাম, বলতে চেয়েছিলাম আধঘন্টার মধ্যে রওনা দিচ্ছি। ও এই কথা শোনালো। দিবাকরের সঙ্গে সুনীতদার ভালো রিলেসন, যে মিত্রাকে নিয়ে রিউমার রটিয়ে একটা বিচ্ছিরি অবস্থা তৈরি করেছিলো আমাদের হাউসে, দেখেছো কি ভাবে আমি তা সামাল দিয়েছি, (দাদার দিকে তাকিয়ে ) তোমার কথায় আমি তাকে সেই সময় ছেরে দিয়েছিলাম, দিবাকর এখন ফেরার, অনাদি থানায় যেহেতু দিবাকর আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আমি সন্দেহ করছি, অতীশবাবু আমাদের হেড মেশিনম্যান কাল আসেন নি, আমি সন্দেহ করছি, সুনীতদা কাল খুব তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে গেছে। সুনীতদার ব্যাপারটা তুমি বলতে পারবে। আমি ঠিক কথা বলছি কিনা।
হ্যাঁ, সুনীত কাল একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেছে। মুখটা একটু শুকনো শুকনো ছিলো।
আমি এক্সপেক্ট করছি, ওরা দেবাকে মলের কাছে সেল্টার দিয়েছে। ওরা নিশ্চই দেবাকে এ পৃথিবীতে রাখবে না, ওরা শেষ করে দেবে, দেবা ওদের অনেক কিছু জানে।

তুই কি করে জানলি।
আমার থার্ড সেন্স বলছে। বলো তাড়াতারি কি ডিসিসান তোমাদের আমি অপেক্ষা করতে পারবো না, আমার খেলা এই মুহূর্তে শুরু করতে হবে।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, ব্যবসা করছিস, আমার টেনসন ভাগ করে নিবি বলেছিলি বল কি করবি।
আমি জানি না। আমার কোনো ডিসিসন নেই।
মল্লিকদা তোমার।
জানি না দাদা যা বলবে তাই হবে।
দাদা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে। আমি কি বলবো বল তোর কথা হজম করতে পারছি না।
তোমাদের দ্বারা কিছু হবে না।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, সকাল বেলা তুই সিনক্রিয়েট করলি কেনো, আজ শেষবারের জন্য বললাম, আমার কাজে তোমরা কেউ বাধা দেবে না, আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাবো। এবার চুপচাপ আমার খেলা দেখে যাও। কোনো কথা বলবে না।
দাদার দিকে তাকিয়ে বললাম, তোমার ঘরের চাবি কার কাছে।
একটা আমার কাছে আছে, আর একটা সন্দীপের কাছে।
সন্দীপকে ফোন লাগালাম। ভয়েস অন, রেকর্ডিং অন। সবাই শুনুক।
গুডমর্নিং স্যার।
তুই কোথায়।
তোর গলাটা এরকম কঠিন কঠিন কেনো।
ফালতু কথা রাখ। যা বলছি তার উত্তর দে।
জাস্ট বেরোবো অফিস থেকে, গোছাচ্ছি।
আমার সঙ্গে সেই ছেলেগুলো সেদিন আড্ডা মারছিলো ওরা আছে।
আছে।
কজন আছে।
দুজন আছে। আর সব বেরিয়ে গেছে।
ওদের থাকতে বল, আমি এখুনি আবার ফোন করবো এখন অফিস থেকে বেরোবি না।
আচ্ছা।
আর্ট ডিপার্টমেন্টে কে আছে।
দ্বীপায়ন আছে। ও এখন আমাদের কাছে, সব এক সঙ্গে বেরোবো।
দ্বীপায়নকে থাকতে বল।
আচ্ছা।
দেখতো সুনীতদা কাল কখন বেরিয়েছে, আর অতীশবাবু কাল এসেছিলো কিনা। আমি তোকে একটু বাদে ফোন করছি।
গুরু গুরুত্বপূর্ণ কিছু।
কথা বলতে বারন করেছি।
আচ্ছা আচ্ছা।
ওরা সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, কারুর মুখে কোনো শব্দ নেই, মিত্রা আমার পাশে এসে আমার হাতটা চেপে ধরেছে, ওর হাতটা বরফের মতো ঠান্ডা। আমার মুখের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
আমি ফোন ডায়াল করলাম।
ভয়েজ অন, রেকর্ডিং অন।
ইসলাম ভাই।
আমি জানি তুই ফোন করবি।
কি করে বুঝলে।
তুই খবরের গন্ধ পেয়েছিস।
মালটাকে কোথায় রেখোছো।
তুই বিশ্বাস কর আমার হাতে এখনো আসে নি। মল আমাকে ফোন করে শেল্টার দেবার কথা বলেছে।
তুমি দেবে।
আমি তোকে আর একটু পর ফোন করতাম। মার্ডার কেস। তুই বল।
আমার কাছে খবর আছে। ও কোথায় আছে।

তুই আমার গুরু, আজ থেকে সত্যি তোকে আমি গুরু বলে মানছি অনি, আল্লা কসম, আমি তোকে গত দেড়মাস ফলো করলাম, তুই আমার থেকে অনেক দূরে এগিয়ে গেছিস, একদিন আমি তোর গুরু ছিলাম, আজ তুই আমার গুরু।
তুমি তোমার আল্লার নামে দিব্যি কাটছো। আমি এই সুযোগ হাত ছাড়া করবো না।
তুই বল আমি কি করবো, তুই যা বলবি, আমি তাই করবো।
মল তোমার অনেক খতি করেছে, এই সুযোগে ওকে ......
তুই বললে আজই সাঁটিয়ে দেবো। তোকে আগেও বলেছি, তোর কেউ খতি করবে আমি মেনে নেবো না। তোর দাদা তোকে বারন করেছে তুই বলেছিস, তাই ছেড়ে দিয়েছি।
ঠিক আছে, ফোন বন্ধ করবে না, আমি একটু বাদে তোমায় ফোন করবো।
আচ্ছা।
ছোটমা আমার পায়ের কাছে এসে বললো, অনি তুই আমার মাথায় হাত দিয়ে শপথ কর তুই কোনো অন্যায় কাজ করছিস না।
আমি তোমাদের সামনে আমার কাজ করছি, কোনো লুকিয়ে চুরিয়ে নয়।
কি করি শেষ পযর্ন্ত দেখো, তারপর বলো আমি কোনো অন্যায় করছি কিনা।
ওই মেয়েটার মুখের দিকে তাকা।
ওর দিকে তাকাবার সময় নেই, ওর জন্যই তোমাদের সামনে ফেস করছি। ও শক্ত না হলে ওকে শেয়ালে কুকুরে খাবে। তোমরা এটা চাও।
আমরা সবাই সব জানি, তুই একটু ঠান্ডা হ।
ঠান্ডা হওয়ার সময় নেই, লোহা গরম হ্যায় মার দো হাতোরা।
আমি তোর পায়ে ধরছি।
এ কি করছো বড়মা, তুমি আমার মা।
আমি ছোটমার হাত ধরে গলা জড়িয়ে ধরলাম, তোমরা আমার প্রতি বিশ্বাস হারিও না।
তোর বড়মার দিকে তাকা।
সবাইকে দেখা হয়ে গেছে, আমাকে জিততে হবে, আমি হারবো না।
ছোটমা আমার কোলোর ওপর মাথা রেখে ঝড় ঝড় করে কেঁদে ফললো।
আমি আবার ফোন ধরলাম।
কি খবর।
তোর প্রেডিকসন ঠিক, দাদা কাল তাড়াতারি বেরিয়ে গেছে, তার আগেই সুনীতদা ভাগইলবা।
কখন।
সাতটা নাগাদ একুরেট বলতে পারছি না।
গুড। অতীশবাবু।
না কাল অতীশবাবু আসে নি।
ঠিক আছে।
তুই এক কাজ কর, দ্বীপায়ন, ওই ছেলেগুলো তোর পাশে আছে।
হ্যাঁ।
দাদার ঘরের চাবি তোর কাছে।
হ্যাঁ।

দাদার ঘর খোল, দাদার ডানদিকের নীচের ড্রয়ারের একেবারে পেছন দিকে তিনটে খাম আছে, ওটা বার কর, দেখবি ওপরে লেখা আছে, অনি কনফিডেনসিয়াল, এক দুই তিন, তিনটে খাম একটা কালো গার্ডারে আটকানো আছে। শোন কেউ যেনো তোর সঙ্গে না যায়। তুই দাদার ঘরে গিয়ে খোঁজ, আমি তোকে ফোন করছি।
আচ্ছা।
তুই আমার ঘরে কবে ঢুকেছিলি, আজ থেকে দেড়মাস আগে ওটা বোমা রাখা আছে। তোমায় সব বলে দেবো, কালকের কাগজটা আমার মতো করে বের করবে, এটা আমার রিকোয়েস্ট তোমার কাছে, রাখবে।
তুই বলছিস যখন রাখবো, তোর ওপর বাজি ধরে আমি কোনো দিন হারিনি।
বড়মা রেগে টং, মরন ছেলেটা কি করছে দেখতে পাচ্ছ না, তুমি হলে তো হার্ট ফেল করতে।
সবাই হেসে ফললো। এমনকি ছোটমা চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে কেঁদে, সেও হেসে ফেললো।
আমি তো অস্বীকার করছি না বড়, কালকে তুমি সব নিজের কানে শুনে এসেছো, আমি এই সময় ওকে বাধা দিলে ও শুনবে। ওর যে এতো সোর্স কি করে জানবো, আমি তো লোক লাগাই নি ওর পেছনে।
দেখো দেখো কি করে চালাতে হয়, এই পাঁচ কড়ি ছেলের কাছে।
সত্যি আমি শিখছি বড়।
বড়মা আমার কাছে এসে মাথায় হাত রাখলেন, তুই ঠান্ডা মাথায় কাজ কর। আমি তোকে বলছি, তুই জিতবি।
মিত্রা লজ্জার মাথা খেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। ওর মাথা আমার কাঁধে। বড়মা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
আমি সনাতনবাবুকে ফোনে ধরলাম।
কোথায় আছেন।
ছোটোবাবু বাড়িতে, সবে ঘুম থেকে উঠলাম।
এখুনি গাড়ি নিয়ে দাদার বাড়িতে চলে আসুন, প্রশ্ন করবেন কেনো। ঠিক আছে। আধাঘন্টা সময় দিলাম।
না মানে।
এই মুহূর্তে আমার সময় কম, মনে রাখবেন এটা আমার হুইপ।
আচ্ছা।
ফোনটা কেটে দিলাম।
সন্দীপকে ফোন করলাম।
হ্যাঁ বস পেয়েছি।
যা যা বলেছিলাম, ঠিক সেই রকম।
হ্যাঁ।
তোর লেপটপ তোর কাছে।
হ্যাঁ।
সবাইকে নিয়ে দাদার বাড়িতে চলে আয়। আধা ঘন্টার মধ্যে। শোন অফিসের গাড়ি নিয়ে নয়। একটা ট্যাক্সি করে।
আচ্ছা।
কখন যে ভজু এসে ঘরের এক কোনে, বসে আছে, জানিনা। ও আমার দিকে জুল জুল করে তাকিয়ে হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে আছে। ভজুর দিকে তাকিয়ে হাসলাম। ভজুও হাসলো। ভজু আমাকে এ অবস্থায় বহুবার দেখেছে।
আমি আবার ফোন ডায়াল করলাম।
মিঃ মুখার্জী।
আরে অনিবাবু এত সকালে। গুড মর্নিং।
আপনার খাবার রেডি করলাম।
তাই নাকি।
কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি, দশটার মধ্যে কজ করে ফেলতে হবে। না হলে পাখি ওড়াং হয়ে যাবে।
বলেন কি।
আপনি অনেক দিন আমায় কোন কেস দেন নি, দিলেন দিলেন, এতো শর্ট টাইমে।
হ্যাঁ। কেসটা আপনি ট্যাকেল করতে পারবেন, আর ঠিক মতো করতে পারলে আপনার ডবল প্রমোশন হয়ে যেতে পারে।
আপনি যখন বলছেন আমি রিক্স নেবো।
তাহলে আপনারা ঘুঁটি গুলো একটু নাড়াচাড়া করে, এখুনি একবার এখানে চলে আসুন, বাড়ির ঠিকানা লিখে নিন।
বলুন।
বললাম। একলা আসবেন। কেউ যেনো সঙ্গে না আসে।
সে আর বলতে। আমি আধাঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছি। দুদশ মিনিট এদিক ওদিক হলে খমা ঘেন্না করে নেবেন।
ফোনটা কেটে দিলাম।
এটা কে রে, চিন্তে পারলাম না। দাদা বললেন।
ইনি সিবিআই-এর ইষ্টার্ন জোনের চিফ।

ছোটো চা নিয়ে এসো, আমি আর পারছি না। দাদা বললেন।
বাথরুম কাছে আছে চোলে যাও, তোমারতো টোনসন হলে পায়খানা পায়। বড়মা বললেন।
সবাই আবার হাসলো। মল্লিকদা কোনো কথা বলছেন না, গেঁট হয়ে বসে আছে, ছোটোমা এতক্ষণে আমার কোল থেকে মাথা তুলে উঠলেন। নিচে গেলেন চা আনতে। দাদা সত্যি সত্যি বাথরুমে গেলো।
মিত্রা ঠায় কাঁধে মাথা দিয়ে বসে আছে।
আমি আবার ফোন করলাম।
হ্যাঁ বল, অনি।
খোঁজ পেলে।
না।
তোমায় মল ফোন করেছিলো।
হ্যাঁ, বললো তাড়াতারি ডিসিসান দিতে।
কি বললে।
অনেক টাকার অফার দিচ্ছে।
কি করবে।
ভাবছি।
আমি ঘুঁটি সাজিয়ে নিয়েছি। কাজ শুরু করে দিয়েছি। কোনটা চাও টাকা, না জীবন।
তুই আমাকে মেরে দিবি।
অনি কোনো দিন কাউকে মারে না তুমি জানো। আর ইসলামভাইকে সে কোনোদিন মারবে না, বরং ইসলামভাই সে ভুল করতে পারে।
ইস অনি আজ শুক্রবার, আমাদের জুম্মাবার, তুই একথা বলতে পারলি।
তুমি জানো ভালো করে, অনি যেখানে হাত দেবে, তার শেষ দেখে ছাড়বে। এর প্রমাণ মেরিনাবহিনের সময় তুমি পেয়েছো।
ওই একটা ব্যাপারে আমি সারাজীবন তোর কাছে ঋণী থাকবো।
বলো কি করতে চাও।
তুই বল আমায় কি করতে হবে।
তুমি মলকে ফোন করে বলে দাও, বিকেল পযর্ন্ত ওর কাছে রাখতে, আমি সাসাপেক্ট করছি, এই মুহূর্তে অতীশবাবু, দিবাকর সুনীতদার বাড়িতে আছে।
তুই সত্যি গুরুদেবে, খবরটা তুই পেলি কোথায়।
আমার পীরসাহেব এখন মাথার ওপর বসে আছে, ও আমাকে বলে দিলো, এও বললো, আমি এই মুহূর্তে কোনো অন্যায় কাজ করবো না।
তুই বল আমায় কি করতে হবে, আমি তোর গোলাম।
আমার বাড়ি চলে এসো।
কোথায়, তোর ফ্ল্যাটে।
না। দাদার বাড়িতে। আর শোনো ট্যাক্সি নিয়ে আসবে। দূরে ছেড়ে দেবে, রিক্সা করে আসবে, মেসিন সঙ্গে রাখবে।
আমাকে নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না। আমি ঠিক পৌঁছে যাবো।
দাদার দিকে তাকিয়ে বললাম, এবার তোমায় একটা সাহায্য করতে হবে।

বল কি করতে হবে।
ছোটমা চা নিয়ে এলো, মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, তোর হাতের ঠান্ডা ভাবটা এবার গরম হয়েছে, টেনসন অনেকটা হজম করেছিস, ওঠনা ছোটমার সঙ্গে একটু কাজ করনা, নির্জীবের মতো ঠায় বসে আছিস কেনো। আমি কি মরে যাচ্ছি, এমন ভাবে বসে আছিস।
মিত্রা আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে, নড়ে চরে বসলো।
বড়মার দিকে তাকিয়ে বললাম, কতোক্ষণ দাঁড়াবে, একটু বোসো, এবার বুঝতে পারছো আমি করতে যাচ্ছি।
একটু একটু বুঝছি।
বোসো, সব বোঝাবো।
তোর কি এগুলো মুখস্ত ছিলো।
কি।
তুই পড়া মুখস্তর মতো কাজ করছিস।
হেসে ফললাম।
জানো বড়মা ঘা খেতে খেতে নিজে ঘেয়োকুত্তা হয়ে গেছি, ওই যে ভজুকে দেখতে পাচ্ছ, ও আমার অনেক কাজের সাক্ষী।
দাদার দিকে তাকিয়ে বললাম, আমি যা যা বলছি তুমি শোনো, তুমি খালি ফোন করে জানতে চাইবে।
বল।
ভবানীভবনে ফোন করো, জানতে চাও আমাদের ওই থানার কথা বলে এই রকম কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা, ঘটলে ওরা কি সাসপেক্ট করছে। তোমার পরিচয় দিয়ে ফোন করবে।
তাহলে তোদের ওখানকার এসপিকে ফোন করি।
এই তো তোমার মাথা কাজ করতে শুরু করেছে। বাকিটা তোমায় বলতে হবে না। তারপর তোমার জেলা সভাধিপতিকে বলে দাও, অনাদির গায়ে যেনো হাত না পরে। অমল দায়টা ওর ঘারে চাপিয়ে ওর রাজনৈতিক কেরিয়ার বুমেরাং করতে চাইছে। নিরঞ্জন তোমার কাছের লোক।
ওটা ও পারবে না, আমি ফোন করবো, ওকে এসপিকে ফোন করতে বল। বড়মা বললেন।
আমি বড়মার দিকে তাকালাম, একটু অবাক হলাম।
আমার চোখের কথা বড়মা পরে ফেললো।
ভাবছিস বড়মার সঙ্গে নিরঞ্জনের পরিচয় কি করে হলো। তুই আমার কাছে কনফেস করেছিস, আমিও তোর কাছে কনফেস করবো। ঠিক সময়ে।
ছোটমা চা নিয়ে এলো। মিত্রা সকলকে এগিয়ে দিলো। ভজু ছোটমার পেছনে। ট্রে ধরে দাঁড়িয়ে।
অমিতাভদা এসপিকে ফোন করলেন। উনি খবরের সত্যতা স্বীকার করলেন। বললেন, সাসাপেক্ট করছি মার্ডার, ছেলেটা বেপাত্তা, ওর বাবা-মাকে থানায় নিয়ে এসেছে।
আচ্ছা।
এখন খবর করবেন না, আপনি দুপুরের দিকে ফোন করুন, আমি ডিটেলস দেবো।
কেনো, কোনো পলিটিক্যাল ইসু আছে নাকি।
সে রকম একটা গন্ধ পাচ্ছি। ছেলেটি ওখানকার পঞ্চায়েতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ওকে ইনটরোগেট করেছি। দিবাকর ছেলেটা নাকি আপনার অফিস নিয়েও কি গন্ডগোল করেছে শুনছি।
হ্যাঁ সেই জন্যই তো আপনাকে বিষয়টা জানতে চাইছি, আমার অফিসের কেউ জড়িত কিনা।
কি করে বলি বলুনতো দাদা, কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায় কিছুই বলতে পারছি না।
ঠিক আছে।
আপনার কাছে কোনো খবর থাকলে যদি একটু হেল্প করেন।
দুপুরে কথা হবে।
অরিজিন্যাল ব্যাপারটা বুঝলে।
বুঝলাম, তোর দূরদৃষ্টি অনেক বেশি।
দাও দেখি নিরঞ্জনকে ধরে মুখপোড়ার পার্টিকরা বের করছি।
থামো থামো তাড়াহুড়ে করছো কেনো। অনি কি বলে শোনো।
থামো, নাক টিপলে দুধ বেড়োয় ও কি বলবে আমাকে। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks