দেখি নাই ফিরে - (Part-38)

যাই বাবা তোর জিনিষ তুই সামলা।
চলো তোমায় এগিয়ে দিয়ে আসি।
না। আমি যেতে পারবো।
নিচের দরজাটা বন্ধ করতে হবে তো।
আমি ছোটোমার সঙ্গে নিচে নামলাম।
সব ঠিক আছে ও বাড়িতে।
তোর ব্যবস্থা ত্রুটি থাকতে পারে।
তখন আমার প্ল্যানগুলো সম্বন্ধে কিছু বললে নাতো।
কি বলবো, সবিতো ঠিক করে রেখেছিস।
তুমিওতো নিরঞ্জনদার মতো কথা বলছো।
ছোটোমা আমার দিকে তাকালো। দুপুরে কি স্বপ্নদেখলি বললি নাতো।
বলবো, পালিয়ে যাচ্ছি নাতো। মল্লিকদাকে জানিয়েছো।
খালি মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি কিলবিল করে না।
তুমি খুব ভালো ব্রিফ করো।
তোদের পাশে থেকে থেকে শিখে গেছি।
আমি নীচু হয়ে ছোটোমাকে প্রণাম করলাম। অনেক দায়িত্ব তোমরা বারিয়ে দিলে।
ছোটোমা আমার কপালে চুমু খেলো, তুই কি নিতে চাস নি।
চাইনি বললে মিথ্যে বলা হয়, একটু সময় চেয়েছিলাম। মাটিটা এখনো সামান্য নরম আছে।
আমরাতো আছি তোর ভাবনা কি। যা দরজা বন্ধ কর।
ছোটোমা ও বাড়ির বারান্দায় উঠলো আমি দরজা বন্ধ করে চলে এলাম।
মিত্রা খাটের ওপর বসে বসে পা দোলাচ্ছে।
কি হলো রে জামাকাপর ছাড়।
তুই ছোটোমাকে বললি কেনো।
কি বললাম।
আমি পটি করেছি কিনা।
আমি কি পটির কথা উচ্চারাণ করেছি।
ছোটোমা বোকা, না।
বাবা গোসা হয়েছে।
আমার কোনো প্রেসটিজ নেই।
আমি এগিয়ে গিয়ে ওর দুটো গাল টেনে ধরলাম, কি রকম দেখতে লাগছে জানিষ, হিরিম্বার মতো।
উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে জাপ্টে ধরলো।
কি হলো, জামা কাপর ছাড়।
বড়মা বারন করেছে।
কেনো।
জানিনা।
তাহলে কি হবে।
তুই বল।
ছেরে নে, কে দেখতে পাবে, কাল সকালে আবার পরে নিবি।
ইসলামভাই একটা দারুন নাইটি দিয়েছে, পরবো।
হ্যাঁ।
দাঁড়া আলমাড়ি থেকে বার করি।
মিত্রা আলমাড়ি খুললো, হ্যাঁরে অনি এটা কি রে।
ইসলামভাই-এর মেশিনটা দেখাচ্ছে।

কেনো তুই জানিস না ওটা কি।
তখন দেখেতো আমার আত্মারাম খাঁচা।
কেনো।
তুই কবে এসব ব্যাবহার করতিস। তারপর মনে হলো ইসলামভাই হয়তো তোকে রাখতে দিয়েছে।
রেখে দে।
এই দেখ ইসলামভাই-এর দেওয়া নাইটিটা।
টুপিস ফিতের ওপর পুরোটা ঝুলছে, হাল্কা আকাশী কালারের, মিত্রা বুকের ওপর রেখে বললো, ভালো লাগছে। আমি পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম।
একবারে হাত দিবি না।
তাহলে শুয়ে পরি।
শো না তারপর দেখবি।
আমার ঘুম পাচ্ছে। কালকে ঘুমোতে দিস নি।
আমি খাটের কাছে চলে এলাম। চিতপটাং হয়ে শুয়ে পরলাম।
মিত্রা আলমাড়ি বন্ধ করে কাপর খুলতে শুরু করলো। আমি বিছানায় হেলেপরে ওকে দেখছি। সত্যি অনেক মেয়ের শরীরের সঙ্গে শরীর মেশালাম কিন্তু মিত্রার সঙ্গে যতবার শুয়েছি ততবারই একটা আলাদা স্বাদ উপভোগ করেছি, একটা আলাদা অনুভূতি। বার বার নিজের মনকে প্রশ্ন করেছি এটা কেনো। মিত্রার মতো তাদের দিক থেকেও সমান রেসপন্স পেয়েছি, তবু মিত্রা আলাদা কেনো।
মিত্রা ব্লাউজের বোতাম খুলছে, ভীষণ ইচ্ছে করছিলো ওকে গিয়ে জড়িয়ে ধরি, এতদিন ও আমার ছিলো না, আজতো ও আমার, সম্পূর্ণ আমার, তাহলে বাধা কোথায়, তবু উঠতে ইচ্ছে করলো না। ওর দিকে তাকিয়ে বসে আছি।
বুবুন আটকে গেছে।
কিরে।
হুকটা শুতোর সঙ্গে পেঁচ খেয়ে গেছে।
টেনে ছিঁড়ে দে।
যাঃ, আয়না একটু খুলে দে।
আমি উঠে গেলাম, হুকটা শুতোর মধ্যে আটকে আছে, কিছুক্ষণ টানাটানি করলাম।
একটা হুক খুলতে পারিস না।
দুদিন গাদা গাদা খেয়ে যা মুটিয়েছিস টাইট হয়ে আছে।
মিত্রা হো হো করে হাসছে। কালকের থেকে দারুন খাচ্ছি বুঝেছিস, আবার আগামী কাল।
আমি হুকটা খুলে ফেললাম, একটু মাইটা টিপে দিলাম।
তুই হাত দিলি কেনো।
বেশ করেছি, আমার জিনিষ আমি হাত দিয়েছি, তুই বারন করবার কে।
মিত্রা আমাকে জড়িয়ে ধরলো। বুক খোলা, ব্রেসিয়ার পরা বুকটা আমার বুক ছুঁয়েছে।
তুই বলছিস আমি তোর।
হ্যাঁ, তোর বিশ্বাস হচ্ছে না।
তুইতো এতদিন বলিস নি।
আমি ওর চিবুকটা ধরে মুখটা তুলে ধরলাম, চোখের কোল দুটো চিক চিক করছে।
আবার কি হলো।
জানিস বুবুন আজ আমার জীবনের স্মরণীয় দিন।
আমারও।
এই দিনটার জন্য কতদিন অপেক্ষা করেছি, বড়মা যেদিন ডেকে বললো, আমি বড়মাকে বললাম, ও আমাকে মেনে নেবে।
বড়মা বলেছিলো যে তোর জন্য এত করতে পারে, সে তোকে না ভালবাসলে করবে কি করে।
আমি বড়মার কথা বিশ্বাস করতে পারিনি। বিশ্বাস কর। সেদিন অফিস থেকে বরিয়ে আসার পর তোকে পাগলের মতো ফোন করেছি, তোর ফোন অফ। তুই এতো বড়ো একটা কাজ করলি, ফার্স্ট সারপ্রাইজটা তোকে দেবো ভেবেছিলাম, তারপর ওই বাসস্টার্ডটা ফোন করলো, ভাবলাম যাই আজই শেষ মোলাকাত ওর সঙ্গে। যাই একবার দেখা করে বলে আসি। যেতে আমাকে উল্টোপাল্টা কথা বললো, আমি তোকে নিয়ে শুই যা নয় তাই, আচ্ছা করে ঝেড়ে দিলাম, তোকে আবার ফোন করলাম, তোর স্যুইচ অফ। দিশেহারার মতো লাগলো। মল এলো আমাকে দুজনে নিয়ে গেলো পিয়ারলেস ইনে, খাওয়ালো, বললো মেডাম আপনি ভুল করছেন, অনি আপনাকে ইউটিলাইজ করে ছুঁড়ে ফেলে দেবে, দেখলেন না কি ভাবে আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিলো, আমি ওকে ছারবো না এটা মনে রাখবেন, আমাকে কয়েকটা ব্লাঙ্ক স্টাম্প পেপারের ওপর সই করতে বললো, আমি করি নি। সোজা বেরিয়ে এলাম, কি মনে হলো জানি না, মাথার মধ্যে খালি চক্কর কাটছে সত্যি তুই আমাকে বিট্রে করবি, নিজেকে ঠিক বোঝাতে পারলাম না, সোজা চলে গেলাম ক্লাবে আকণ্ঠ মদ গিললাম, ভাবলাম আর কিছু না হোক কয়েকঘন্টার জন্য রিলিফ পাওয়া যাবে। তারপর জানি না, সকালে বুড়িমাসির কাছ থেকে সব শোনার পর আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি নি, বার বার একটা কথাই মনে হলো, মুরগীকে তুই দানা খাওয়াচ্ছিস জবাই করবার জন্য, আমার শেষ বিশ্বাসের আশ্রয়টুকু ভেঙে যেতে বসেছে। আমি সোজা চলে এলাম দাদার বাড়িতে, বিশ্বাস কর তোর কাছে জবাব দিহি করতে এসেছিলাম, তোকে মারতে চাই নি। মিত্রা ঝড় ঝড় করে কেঁদে ফেললো।



কাঁদিস না, নিজেকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, সেদিনের ঘটনায় আমি রাগ করিনিতো, আমার একটুও অভিমান হয় নি।
হয়নি বলেই তুই রাতে আমাকে ওই ভাবে বুক দিয়ে আগলে রাখতে পেরেছিলি।
মিত্রা আমার মিত্রা, আমি মিত্রাকে আরো গভীর ভাবে বুকের সঙ্গে চেপে ধরলাম, তুই কাঁদিস না আজ তুইই আমার সবচেয়ে বড় বল ভরসা, তুই দুর্বল হয়ে গেলে আমি দিশেহারা হয়ে পরবো।
আমি আর কোথাও যাবো না, তুই আমাকে দাদার বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা কর।
তোর বাড়ি।
ওই বাড়িতে বিষাক্ত নিঃশ্বাস আছে।
না। সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।
হবে না বুবুন। আমি জানি।
ঠিক আছে, এখন তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নে। রাত হোলো।
আমি ওর চোখ মুছিয়ে দিলাম। কেঁদে কেঁদে চোখটা লাল করে ফেলেছে।
পেছন দিক ফিরে বললো, খুলে দে।
আমি ওর ব্রার ফিতেটা খুলে দিলাম, আবার একটু হাত দিলাম, ও হাত সরিয়ে দিলো না।
তাড়াহুড়ো করিস না আজকে অনেক প্ল্যান আছে মাথায়।
সে কি রে, কিসের প্ল্যান।
করার সময় দেখতে পাবি।
ঠিক আছে তুই প্ল্যান ভাঁজ আমি একঘুম দিয়ে নিই।
মিত্রা আমার দিকে বাঁকা ভ্রু নিয়ে তাকালো।
আমি গিয়ে খটটাঙ্গে চিত হোলাম।
বড় লাইটটা নিভিয়ে দিয়ে ছোটো লাইটটা জালাস।
আমি পারবো না, তুই জালিয়ে দিয়ে যা।
মিত্রা শায়া খুলেছে, উলঙ্গ অবাস্থায় মিটসেফের কাছে দাঁড়িয়ে নাইটিটা দেখছে।
মিত্রা।
মিত্রা ঘুরে তাকালো।
ওই দেখ।
কি।
তোর পায়ের কাছে।
এক ছুটে আমার বুকে এসে ঝাঁপিয়ে পরলো, আমি ওর উদম বুকে কান পাতলাম, ধক ধক করছে। জাপ্টে ধরে শুয়ে পরলাম।
শয়তান। খালি মাথায় কুট.....।
আমি ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলাম। মিত্রার নড়া চড়া করার শক্তি নেই। ও কিছুক্ষণ ছটফট করে আমার বুকে মাথা রখলো।
নাইটিটা পরি।
কি হবে পরে, সেই তো তোকে খুলতে হবে।

তোরটা পরে আছিস কেনো খোল।
ওটা তের জন্য রাখা আছে।
দিলো আমার বুকে একটা দুম করে ঘুসি।
উরি বাবারে দম বন্ধ হয়ে যাবে।
যাক না।
আমি মরে গেলে তোর ক্ষতি।
আমার মুখটা চেপে ধরলো।
দিলাম হাতে কামরে।
উ।
হাসলাম।
আমার নুনু খামচে ধরলো।
লাগছে রে লাগছে।
বল আর কামরাবি।
না।
ঠিক বলছিস।
হ্যাঁ তুই ছাড়।
মিত্রা আবার আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পরলো। পেটের কাছে বসে আমার পাঞ্জাবীটা তুলে মাথা থেকে টেনে বার করে দিলো, পেছন ফিরে পাজামার দরিটা খুলে আমার সোনামনিকে একবার চটকে ওর ওপর বসলো। খোল, না ছিঁড়ে দেবো।
আমি পাজামাটা পা থেকে নামিয়ে দিলাম। মিত্রা আমার বুকে শুলো।
আজ আমার সবচেয়ে সুখের দিন।
আগের দিন গুলো দুঃখের ছিলো।
তুই জানিস না।
একটুও না।
তুই পাথর।
মানুষ কবে ছিলাম।
কেনো আজ হলি। পীরবাবার থানের মাটি আমার কপালে ছুঁইয়ে দিলি।
আমি ওর দিকে তাকালাম।
এবার কিছু বল।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
আমার তখন খুব ভয় করছিলো জানিস বুবুন। বারবার হিসু পেয়ে যাচ্ছিল।
কেনো।
জানিনা, সব বোঝার পর তুই যদি রেগে যাস।
আমি মিত্রার মুখটা বুকে চেপে ধরলাম।
বিশ্বাস কর। শুধু আমি নয়, বড়মা ছোটোমা ইসলামভাই নিরঞ্জনদা কেউ বিশ্বাস করতে পারে নি।
আমি মিত্রার মুখটা বুক থেকে তুলে ধরলাম।
দাদা গতকাল আসার সময় খালি বলেছিলো, আমি ওকে চিনি, ও ওর ভালোবাসার মানুষকে ভীষণ ভাবে শ্রদ্ধা করতে জানে, তুমি বললে ও কোনোদিন না করবে না।
মায়ের হারটা কখন নিয়ে গেলি।
তুই ঘুমোচ্ছিলি। আমি আস্তে করে ঘরে ঢুকে আলমাড়ি খুলে হারটা নিলাম। তারপর তুই কি বিড় বিড় করে বকছিস কাছে গেলাম, দেখি তুই কাকে খুন করার কথা বলছিস, ভাবলাম তুই বুঝেগেছিস, আমি হার নিয়েছি, এক দৌড়ে ও বাড়ি। তারপর ওরা এলো। তুই কি স্বপ্ন দেখছিলি।
খুব বাজে একটা স্বপ্ন, ছোটোমাকে নিয়ে।
কি রে।
তোকে বলা যাবে না।
কেনো।
আগে মিলিয়ে দেখি স্বপ্ন সত্যি হয় কিনা, তারপর।
তুই বললে আমি তোকে সাহায্য করতে পারি।
ঠিক আছে দরকার পরলে বলবো।

বড়মা তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
জানি।
জানিস বড়মা ভীষণ ডেঞ্জার।
আজ প্রথম জানলাম।
আগে জানতিস না।
চেষ্টা করিনি।
কেনো।
ইচ্ছে হয় নি।
তোর ইচ্ছেটা বড়মা আজ পুরন করে দিলো।
কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
কেনো।
বড়মার বাড়ির লোকগুলোর জন্য।
সত্যি বাড়ির লোকগুলো কেমন না।
হ্যাঁ। তোর বাড়ি বড়মার বাড়ি। আবার তুই তাদের দিকটা যদি ভাবিস দেখবি তারা তাদের জায়গায় ঠিক আছে। তারাতো তাদের মেয়েটাকে বানের জলে ভাসিয়ে দিতে পারে না।
তুই যেটা বলছিস ঠিক, কিন্তু একটা সময় তাকে দাও। সেটা না করে তোমার জেদটা তুমি চাপিয়ে দেবে কেনো।
আমার নুনুটা কিন্তু গরম খেয়ে যাচ্ছে।
শয়তান।
সত্যি তুই হাত দিয়ে দেখ।
মিত্রা হাত দিলো, আমি হাসছি।
আমারটাও একটু একটু ঘসা খেয়ে গরম হয়েছে।
আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
তোর এইটার একটা নাম দেবো ঠিক করেছি।
তাই নাকি।
হ্যাঁ।
কি।
মতি।
সেতো মুক্ত।
আমার কাছে তোর এটা মুক্ত।
বাবা তুই আমার একটার নাম করণ করলে আমাকে তোর দুটোর নামকরণ করতে হয়।
যাঃ।
দাঁড়া একটু ভেবে নিই কি নাম রাখা যায়।
মিত্রা এই ফাঁকে দুবার ঘষা ঘোষি করে নিলো।
দুষ্টুমি করছিস ভাবতে দিচ্ছিস না।
তুই যখন করিস।
আচ্ছা তোর নিচেরটার নাম যদি পোঁয়া দিই।
যাঃ কি বিচ্ছিরি নামটা।
তাহলে মুন্তি দিই।

সেটা আবার কি রে।
কি করে জানবো মনে হলো তাই বললাম।
ওপরেরটা বড় মুন্তি আর নিচেরটা ছোটো মুন্তি।
না ওপরেরটা তুই মুন্তি দিতে পারিস, মুনু থেকে মুন্তি বেশ মিষ্টি শোনাচ্ছে। কিন্তু নিচেরটার একটা নামকরণ কর।
বিপদে ফেললি, এই সব মাল ইনস্ট্যান্ট আসে না।
ভাবতে হবে না, পরে ভাবিস, তারপর দেখবো ভাবতে ভাবতে ভোর করে দিয়েছিস কালকের মতো, তারপর বড়মা এসে দরজা ধাক্কাবে অনি ওঠ।
হেসেফেললাম।
তুই ভীষণ শয়তান।
তোর মুন্তিটা একটু মুখে দে।
আগে তুই বল একটা কথা দিবি।
কি।
আগে হ্যাঁ বল।
না জেনে তোকে হ্যাঁ বলবো কেনো।
তারমানে তুই আমাকে বিশ্বাস করিস না।
আমি মিত্রার চোখের দিকে তাকালাম, চোখ দুটো চক চক করছে, কিছু একটা চাওয়ার প্রবল আর্তি।
ঠিক আছে দেবো।
তোর জীবনটা আমাকে কিছুটা দেনা, আবার তোকে ফিরিয়ে দেবো।
আমি কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকালাম, কি বললো মিত্রা এর অর্থ ও জানে, বড়মার কথাটা মনে পরে গেলো, তোরা না পরলে আমায় দিস মানুষ করবো। মেয়েদের মাতৃত্বে পূর্ণ প্রাপ্তি।
আমি হাসতে হাসতে ওকে চুমু খেলাম।
বইতে পারবি।
পারবো। তুই দিয়ে দেখ।
দেবো।
মিত্রা আমার মাথাটা জাপ্টে ধরে আমাকে চুমু খেলো।
ও আর ঠোঁট ছাড়ে না। আমি ওর পিঠ থেকে হাত সরিয়ে আরো নিচের দিকে নামলাম, ওর পাছুতে হাত দিলাম। ও ঠোঁট ছেড়ে আমার বুকে ঠোঁট রাখলো। আমি ওর পাছু থেক হাত সরিয়ে নিয়ে এসে, ওর মুন্তিতে হাত দিলাম।
আমর মুখের কাছে নিয়ে আয়। ও যেন শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছে, সেই ভাবে মুন্তিটা আমার মুখের কাছে নিয়ে এলো, আমি ওর মুন্তির নিপিলে মুখ দিয়ে চুক চুক করে চুষলাম।
দাঁত দিস না।
আমি হাসলাম। তোরটা ভিজে গেছে।
তোরটাও।

কি করে বুঝলি।
আমার তলপেটটা হর হর করছে।
আমার মতির উল্টোদিকটা থেকে ফোঁটা ফোঁটা গড়িয়ে পরছে।
ধ্যাত।
হাত দিয়ে দেখ।
মিত্রা আমার শরীর থেকে নেমে আমার দিকে পাছুটা করে আমার মতিতে হাত দিলো।
কি রেগে গেছে রে। এরি মধ্যে গর্জন করতে শুরু করেছে।
ওর আর দোষ কি বল। ওর বন্ধুকে তুই লোভ দেখালি তারপর দিবিনা দিবিনা করছিস ও রাগবে না।
একটু মুখ দিই।
আমি না বললে তুই দিবি না।
না বললেও দেবো।
হাসলাম।
আমি একটু দিই।
বেশিক্ষণ না। হয়ে যাবে কিন্তু।
কেনো।
সকলা থেকেই আজ ভিঁজে ভিঁজে লাগছে।
কেনো।
জানিনা, যখনই তোর কথা মনে হচ্ছে তখনই ভিঁজে যাচ্ছে।
হ্যাঁরে আমাদের কীর্তি-কলাপ ছোটোমা জানে।
জানেনা, আন্দাজ করে।
তুই প্রেসটিজে পুরো গ্যামাকসিন মেরে দিলি।
মিত্রা আমার মতির জামা খুলে মুখটা মুছিয়ে দিলো। তারপর মুখ দিলো।
আমিও মিত্রার মতিতে হাত রাখলাম। সত্যি ভিঁজে একেবারে সেঁত সেঁতে। আমি ওর দুই ঠোঁট ফাঁক করে ওর ছোট্ট বীজে জিভ দিলাম, মিত্রার কোমরটা কেঁপে উঠলো। জিভটা ওপর থেকে নিচ পযর্ন্ত দুবার ওঠা নামা করালাম, টেরিয়ে টেরিয়ে ওকে দেখছি, আমার মতি পুরোটা একবার মুখে ঢুকিয়ে নিচ্ছে আবার বার করে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে আমার বিচিটা ওর মাই যেরকম করে টিপি সেই ভাবে টিপছে।
বুবুন তোরটা দশ আঙুল, মানে কত ইঞ্চি।
মাপিনি কালকে ফিতে দিয়ে মেপে তোকে বলবো।
নে আর পারছি না।
কর।
না আজ আমি করবো না, তুই করবি, আমি খালি গ্রহণ করবো।
হাসলাম।
মিত্রা শুয়ে পরলো। আমি উঠে বসলাম। মিত্রা বালিশটা মাথায় দিয়ে একটু উঁচু করে নিলো। পা দুটো দুপাশে ছড়িয়ে দিলো।
কিরে একবারে দিয়ে দেবো, না একটু একটু করে।
মিত্রা হাসলো।
আমি ওর দুপায়ের মাঝখানে হাঁটু মুরে বসলাম। আমার মুন্তির জামাটা টেনে নিচে নামিয়ে দিয়ে মুন্ডিটা ওর মুন্তিতে ঘোষলাম, মিত্রা মুচকি মুচকি হাসছে।
হাসছিস কেনো।
তোর প্রিপারেশন দেখে।
পাটা একটু তোল।
না এই ভাবে কর।
লাগলে জানি না।
ব্যাথা দিস না তাহলে ভালো লাগবে না।
আমি ওর মুন্তির গর্তে রেখে হাল্কা করে চাপ দিলাম।
বুবুনরে তোরটা কি মোটা হয়ে গেছে।
আমারটা মোটা হয় নি তোর গর্তটা ছোটো হয়ে গেছে।
ছোটো হবে না কতদিন পর করছিস বলতো।
এই তো কালকে করলাম।
আমি একটু চাপ দিলাম, বেশ কিছুটা ভেতরে গেলো, মিত্রা ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরেছে।
সত্যি মিত্রা মনে হচ্ছে তোরটা আঠারো বছরের কচি।
গেছে পুরোটা।
আরএকটু বাকি আছে।
দিলাম জোরে চাপ। পুরোটা চলে গেলো।
আয় আমার বুকে আয়।

আমি আস্তে আস্তে ওর বুকে আশ্রয় নিলাম।
লাগছে।
একটু। এই জন্য তোকে বলি রোজ একবার করিস।
চোখ খোল।
দাঁড়া একটু সহ্য করে নিই তারপর।
তাহলে বার করে নেবো।
দাঁড়ানা বিরক্ত করিস কেনো, কতদিন পরে করছিস বলতো।
আমি ওর মুন্তিতে মুখ দিলাম, বোঁটা দুটো মটর দানার মতো শক্ত হয়ে গেছে। মিত্রা চোখ খুললো, চোখে পরিতৃপ্তির হাসি।
এবার বেশ ভালো লাগছে।
তুই এটাই সহ্য করতে পারছিস না, জীবন নিবি কি করে।
মেয়েরা সব পারে, যা ছেলেরাও পারে না।
আমি মিত্রার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম, কোমর দোলানো শুরু করলাম, মিত্রা পাদুটো দুপাশে আরো সরিয়ে দিলো।
কিরে লাগছে।
না কর।
আমি আবার কোমর দোলানো শুরু করলাম। মিত্রা আমার ঘারটা দুহাতে চেপে ধরেছে, আমি করছি,সামান্য আওয়াজ আসছে।
তোর চুলগুলো খোঁচা খোঁচা।
হ্যাঁ তিনদিন সেভ করিনি।
এখানে করবি কি করে।
তুই এনে দিবি।
নীপার কাছ থেকে চেয়ে নিবি।
ধ্যাত।
ধ্যাত কেনো। ও সেভ করে না।
চাওয়া যায়।
দুর তুই করতো, বেশ ভালো লাগছে এবার।
আমি এবার একটু দ্রুতলয়ে শুরু করলাম, মিত্রা দেখছি আমার মতিকে ওর মতির ঠোঁট দিয়ে চেপে চেপে ধরছে, মনে হচ্ছে যেনো আরো ভেতরে টেনে নিতে চাইছে।
কিরে তোর হবে।
হোকনা তোর কি ভেতরে ফেল, এখন কোনো ভয় নেই, হলে হবে।
যাঃ কি বলবে সবাই।
বলুক আমি বুঝে নেবো।
আমি বুঝতে পারছি আমার আর বিশেষ সময় নেই আমি শেষ চাপানটা চাপালাম, মিনিট খানেক হাপরের মতো করে গেলাম। তারপর মিত্রার বুকের ওপর শুয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে প্রাণপণে যতটা ভেতরে ঢোকানো যায় ঢুকিয়ে দিলাম, মিত্রা দেখলাম নিচটা সামান্য ওপরের দিকে তুলে ওর মুন্তির ঠোঁট দিয়ে আমার মুন্তিকে কামরে ধরে আরো ভেতরে ঢুকিয়ে নিতে চাইছে। আমার বুকটা হাপরের মতো ওঠা নামা করছে, মিত্রা চোখ বন্ধ করে পা দুটো ওপরের দিকে তুলে ধরলো, তারপর আস্তে আস্তে পাদুটো নামিয়ে নিয়ে আমার পাছুর ওপর রাখলো।
কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ, মিত্রার মুন্তি আমার মুন্তিকে ক্রমাগত কামরে কামরে ধরে শেষ বীজটুকু শুষে নিতে চাইছে। মিত্রার চোখ বন্ধ। আমি ওর দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছি। মিত্রা চোখ খুললো, চোখে পরিতৃপ্তির হাসি। কিরে।
মনে হচ্ছে তুই আমাকে তোর জীবনটা দিলি।
যাঃ।
হ্যাঁরে, তুই বলেছিলি না পীরবাবার কাছে চাইতে, যা চাইবো তাই পাবো, আমি তোর জীবনটা চেয়েছিলাম।

ঘুমটা হঠাত ভেঙে গেলো, দেখলাম আমাকে জড়িয়ে ধরে মিত্রা শুয়ে আছে, নাইটির হাল অত্যন্ত খারাপ অবস্থায়, সে প্রায় বিপদ সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে। আমি নিস্তব্ধে নামিয়ে দিলাম, ওর হাত থেকে উন্মুক্ত হয়ে মিটসেফের কাছে এলাম, ঘড়িটা একবার দেখলাম, পৌনে পাঁচটা বাজে, মাত্র কয়েক ঘন্টা ঘুমলাম, মিত্রার কাছে গেলাম ওকে সোজা হয়ে শুইয়ে ওর গাল ধরে নাড়াচাড়া করলাম, চোখ খুলছে না, ভীষণ চুমু খেতে ইচ্ছে করছিলো, ওর কপালে একটা চুমু খেলাম, মিত্রা।
উঁ।
যাবি নাকি।
ও চোখ খুললো। সচেতন হলো।
হাসলাম, ঠিক করে দিয়েছি।
ও হাসলো।
যাবি।
কোথায়।
চল একটু ঘুরে আসি।
শীত শীত করছে।
বেরোলে ঠিক হয়ে যাবে।
বাবা এখনো অন্ধকার।
হ্যাঁ শীতের রাত এখনো ঘন্টাখানেক বাকি আছে সকাল হতে।
মিত্রা উঠে বসলো, চল।
বাথরুমে যাবি নাকি।
ও মাথা দোলালো, যা বারান্দার কোনে গিয়ে করে আয়। জল নিয়ে যাস মুখে দিয়ে আসিস।
মিত্রা উঠে চলে গেলো।
আমি পাজামা পাঞ্জাবীটা গায়ে চরালাম, সত্যি বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।
মিত্রা এলো আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, জলদিতে কি ঠান্ডা লাগছে।
শীত পরছে ঠান্ডা লাগবে না। নে তাড়াতারি রেডি হয়ে নে।
শালোয়াড় পরি।
পর।
আমি আলমাড়ি খুললাম, ও শালোয়াড় বার করলো, আমি আমার দুটো পুরনো চাদর বার করলাম।
ওটা কি হবে।
গায়ে জড়িয়ে নিবি, ঠান্ডা লেগে গেলে গন্ডোগোল।
মিত্রা রেডি হয়ে নিলো।
আমি বাইরে গেলাম, মুখে জল দিয়ে এলাম। মিত্রা চুলটা আঁচড়ে নিলো।
বুবুন।
উঁ।
আজ কোথায় যাবি।
যেখানে গেছিলাম, সেখানে যাবো।
আজ নতুন একটা জায়গায় চল না।
ঠিক আছে আগে বেরোই।
দুজনে বেরিয়ে এলাম। খামারে এসে পেছন ফিরে বারান্দার দিকে ঘুরে তাকালাম, সবাই ঘুমচ্ছে, সঞ্জুর ছেলেগুলো লাইট নিভিয়ে দিয়েছে, বারান্দায় বেশ কয়েকটা মশারি টাঙানো আছে দেখলাম, বুঝলাম সুরমাসি কাকীমা ওদের ঘর ছেড়ে দিয়ে বারান্দা এসে শুয়েছে। তোঁতুল তলার ভেতর দিয়ে ধানখেতে এসে পরলাম, মিত্রা আমাকে জাপটে ধরে হাঁটছে।

চাঁদের আলো চারিদিকে থিক থিক করছে, ধান গাছগুলো শিশিরের জলে স্নান করে ফেলছে, চাঁদের আলোয় ডগ গুলো চিক চিক করছে। আমরা ধানখেতের মধ্য দিয়ে শরু আল পথে হাঁটছি। সাবধানে হাঁটিস পা হরকে যেতে পারে। ঘসগুলো ভিঁজে ভিঁজে আছে।
কি উঁচু নীচুরে বাবা।
দেখে হাঁট, জ্যোতস্না রাত রাস্তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
হ্যাঁরে যা আলো ইলেকট্রিককে হা মানাবে।
আস্তে কথা বল। এখানে তুই একটু জোড়ে কথা বললে অনেক দুর পযর্ন্ত শোনা যায়।
আমি বড়মতলার পুকুর ধারে ছোট্ট পেঁপে গাছটা থেকে একটা পাতা ভাঙলাম।
ওটা কি করবি।
চুপ করতে বলেছি না।
আচ্ছা আচ্ছা। এর থেকে আস্তে কথা বলা যায় নাকি।
যায়, চেষ্টা কর।
আকাশে ঝকঝকে চাঁদের আলোয় তারা গুলোকে ম্রিয়মান লাগছে, তবু তারা তাদের নিজস্ব আলোয় মহিয়ান, অন্ধকার পক্ষে আকাশের তারাগুলোকে আরো বেশি সুন্দর লাগে, আমরা বাঁশ বাগানের ভেতর দিয়ে ভূততলায় এলাম।
কিরে ভূত দেখবি।
মিত্রা আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মুখ লোকালো।
কি হলো। তুই ভূত দেখ আমি দেখবো না।
সামনের দিকে একবার তাকা, দেখতে পাবি।
না তাকাবো না, কি অন্ধকার লাগছে। আমি তোকে ছাড়ব না।
এটার নাম ভূততলা।
আচ্ছা তোর কি ভূতপ্রেত ছাড়া যাবার জায়গা নেই।
পায়রার বুকের মতো ওর বুকটাও থির থির কাঁপছে, ওর চিবুকটা ধরে একটু নাড়িয়ে দিয়ে বললাম, গ্রামে এটা ছাড়া কি আছে।
এই জায়গাটার নাম ভূততলা হলো কেনো রে। খালি বাঁশ বোন দেখতে পাচ্ছি।
ওই যে ঢিপিটা দেখতে পাচ্ছিস ওখানে একটা জোড়া বট গাছ ছিলো। মরে গেছে, বলবো পরে গল্পটা।
এই জায়গাটা সাবধানে আসিস, দেখছিস তো চারপাশ।
উঁ কি গন্ধ বেরোচ্ছে।
হাসলাম।
নীচের দিকে একটু তাকা।
এমাগো পটিতে ভর্তি। এখানে লোকে পটি করে নাকি।
তাহলে কি তোর মতো বাথরুমে করে।
তুই এখান দিয়ে এলি কেনো।
তুই তো বললি নতুন জায়গা দেখবি।
তাই বলে এই পটি করা রাস্তার মধ্যে দিয়ে।
বেশি কথা বলিস না, পা পরে গেলে.....।
এমাগো উঁ......।
আমরা ভূততলার ঢিপিকে ডাইনে রেখে নদী বাঁধে এসে উঠলাম।
দাঁড়া কি উঁচুরে বাবা।
সাবধানে আসিসি সারারাতের শিশির পরে একটু হরকা হয়ে গেছে।
তুই ধর।
আমি ওর একটা হাত ধরলাম।
বাঃ কোথা থেকে কোথায় চলে এলি, কি সুন্দর জায়গা, এটাকি সেই নদী, কালকে যেটা পেরোলাম।
হ্যাঁ, যেখানে যেরকম জল, এখানে মাঝখানে প্রায় দুমানুষ জল। চওড়াটাও প্রচুর।
মাঝখানে ওগুলো কিরে।
নৌকো বাঁধা আছে, খড় ধান নিয়ে যায়। চকের হাটে। ওই হাটটা এখানের সবচেয়ে বড়হাট, শহরের ব্যাপারীরা আসে।
মিত্রা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
চাদরটা মাথায় দে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks