দেখি নাই ফিরে - (Part-70)

দেখেছি কিন্তু পরিচয় জানা হয় নি।
এই জন হচ্ছে মিলি ম্যাডাম। এয়ারটেলের ইস্টার্ন জোনের সিইও ছিলেন চাকরিটা অনির গ্রামের বাড়ি থেকে এসে রিজাইন দিয়ে অনির পেছনে ঘুরছে। আর ইনি হচ্ছেন টিনা ম্যাডাম সেম পজিসন কোম্পানী আলাদা ইনি রিলায়েন্সে ছিলেন।
ও কি রিজাইন দিয়েছে ?
হ্যাঁ।
দু’জনেই প্লেটটা রেখে, সবাইকে প্রণাম করলো।
আরো তিনটি আছে। সেগুলো মনে হয় আজ সটকে পরেছে।
না অদিতি এখুনি ফোন করেছিলো। ও একটু অসুস্থ হয়ে পরেছে। তাই আসতে পারে নি। দেবাদা নির্মাল্যকে অনিদা কাজ দিয়েছে। ওরা সেই কাজটা করছে। মিলি বললো।
কি বুঝছেন বিধানবাবু। নিন এবার খাওয়া শুরু করুণ।
আমি খেতে আরম্ভ করে দিয়েছি।
মিত্রা।
কি বলছিস বলনা। মিত্রা রান্নাঘর থেকে চেঁচালো।
তোদের আছে।
তোকে চিন্তা করতে হবে না।
কিগো সুতপা। অনিমেষদা চেঁচিয়ে উঠলো।
দেখবে এসো আছে কিনা। ওই পাগলটার কথায় চেঁচাচ্ছ কেনো।
আর চিন্তা নেই এবার নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে বলো। আমি বললাম।
তোর আর লাগবে।
না বাড়ি গিয়ে আবার খেতে হবে। ওখানে বড়মা আছে।
ওরা সবাই প্লেট নিয়ে বাইরে চলে এলো। বৌদি এসে সোফায় আমার পাশে বসলো। ওরাও যে যার মতো বসেছে।
ময়দাটা কে মেখেছে বলোতো।
তোর জানার দরকার আছে। বৌদি মেখেছে। মিত্রা বললো।
তাহলে কিছু বলার নেই।
বল, হোটেলে কাজ করেছি, ময়দা কি ভাবে ঠাসতে হয় জানি। মিত্রা বলে উঠলো।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
কিরে অনি তোকে এইভাবে আওয়াজ দিলো, তুই কিনা......। অনুপদা বললো।
ছাড়ুন মালকিন বলে কথা, দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করেদিচ্ছে তো।
দেখছো বৌদি দেখছো।
মিষ্টি গুলো বার কর।
একিরে খেতে দে। বৌদি বললো।
দেখছো না আমার শেষ।
তুইতো রাহুর খিদে নিয়ে ঢুকেছিস। তোর অনিমেষদাকে বলেছিস কেনো এসেছিস।
মিষ্টিটা খাওয়াও, মিষ্টি মুখ না করালে বলি কি করে।
অনিমেষদা হাসছে। কি করতে এসেছে।
আমায় ফোন করে বললো। বিয়ে করবো তোমায় বৌ দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি।
বিধানদা হো হো করে হেসে ফেললো।
হাসলেন যে। অনিমেষদা বললেন।
তারমানে ও এখনো বিয়ে করেনি।
না। খালি লিভ টু গেদার করেছে।
মিত্রা খিক খিক করে হাসছে।
অনিমেষদার কথায় ওরা সবাই হো হো করে হেস ফেললো।
আমি উঠি বুঝলে, মিষ্টি আর আমার কপালে নেই।
বোস বোস আর লজ্জা পেতে হবে না।
বৌদি আমার হাতটা ধরে টেনে বসিয়ে দিলো।
মিলি টিনা মুচকি মুচকি হাসছে।
মিলি, মিষ্টির প্লেট গুলো নিয়ে আয়।
দাঁড়াও না বেশ তো হচ্ছে। চলুক না কিছুক্ষণ। মিলি বললো।
দেখ দেখ। বৌদি হাসতে হাসতে বললো।
দেখে কি করবো, হাতি যখন কাদায় পরে চাম চিকিতে লাথি মারে।
দাও দাও ওকে মিষ্টিটা দাও। মিষ্টিটা খেয়ে ওই ঘরে গিয়ে বোস, কথা আছে। অনিমেষদা বললো।
আবার কিসের কথা, সোমবারের আগে কোনো কথা হবে না। আমি বললাম।
বিধানদা হাসছেন।

মিষ্টি এলো মিষ্টি খাওয়া শেষ হতেই আমি প্লেটটা রান্না ঘরে রেখে দাদার ঘরে গিয়ে বসলাম। একে একে ওরা সবাই এলেন।
মিষ্টিটা নকুর দোকান থেকে নিয়ে এসেছিস।
হ্যাঁ।
তোর চয়েস আছে। দামিনীর ওখানে গেছিলি কেনো।
নেমন্তন্ন করতে।
রথ দেখা কলাবেচা দুইই করলি।
না, খালি রথ দেখেছি। কলা বেচি নি।
ওরা হাসলো।
কি উত্তর দেখেছো অনিমেষদা। অনুপদা বললো। তুই এতো কথা শিখলি কি করে বলতো।
সে অনেক কথা।
সুরো, মা এ্যাসট্রেটা একটু দিয়ে যা না। তারপর বল ওখানে কাজটা কবে শুরু করছিস।
ঘর পাচ্ছি না। ডাক্তারদাদা বলেছে মিনিমাম দোতলা একটা বাড়ি দরকার।
অনুপ একটু খোঁজ খবর নাও। যদি পাওয়া যায়।
আজই কথা বলে নিচ্ছি।
ওদিককার কি ব্যবস্থা করলি।
কোনটা বলোতো।
বাই ইলেকসন।
আমি অনিমেষদার দিকে তাকালাম। আমার চোখের ভাষা অনিমেষদা বুঝতে পারলো।
তুই এঁদের সামনে বলতে পারিস। কোনো অসুবিধে নেই।
কেনো তুমি কথা বলোনি।
সময় পেলাম কোথায়। তবে মাঝে আমাকে একবার বলেছে, দাদা আপনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি মাথাপেতে তা গ্রহণ করেছি।
কাজের লোক। এটুকু বলতে পারি। ওর আসল পরিচয় তুমি পেয়েছো তো।
প্রথমে যখন অমিতাভদা বললেন আমি সত্যি বিশ্বাস করতে পারি নি। তারপর ছোট যখন নিজে বললো বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম। কি জীবন না।
বিধানদারা জানেন।
কিছু কিছু।
ওই জন্য ওর নামে বিশেষ কিছু এলিগেশন পাই না।
মাস খানেক যাক আর পাবে না।
দামিনীর সঙ্গে একবার বসতে হবে। ওই তল্লাটের সংগঠনটা ওকে দিয়ে যদি করাই, তোর কি মনে হয়।
শুক্রবার বসো। একবার এসো দাদার বাড়িতে। তুমি কিন্তু অবশ্যই যাবে। ওনাদেরতো আমি বলতে পারিনা সে জোর আমার নেই।
কেনো নেই অনি। রূপায়ণদা বললেন।
আমি আপনাদের একদিন দেখেছি। অনিমেষদা আমাকে দীর্ঘদিন চেনেন।
ওই একদিনেই তোকে সম্পূর্ণ দেখে ফেলেছি।
শুক্রবার কখন যাবো বল।
রাতে রেজিষ্ট্রি করবো। বলতে পারো বাধ্য হচ্ছি রেজিষ্ট্রি করতে, না হলে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
এই কথাটা তোকে বলবো ভেবেছিলাম। ওদের কি ডিভোর্স হয়ে গেছে।
হ্যাঁ। ছয়মাস আগে। তখন থেকেই তো গন্ডগোল শুরু।
পর্দা সরিয়ে বৌদি ঢুকলো, তোমরা কি শুরু করেছো বলোতো। কাল অতো রাত পর্যন্ত ছেলেটাকে পিষে মারলে। একটু ঘুরতে এসেছে। তা নয়, আবার শুরু করেছো।
জানোনা বৌদি ওর নামে আজকে যা রিপোর্ট জমা পরেছে। ওকে পার্টির ভীষণ দরকার কামিং ইলেকসনে। অনুপদা বললেন।
সেই জন্য এখন থেকে শুরু করে দিয়েছো।
জিজ্ঞাসা করো ওকে কি জিজ্ঞাসা করছি। তোর বৌদিকে বলেছিস। অনিমেষদা বললো।



মিত্রাকে বলেছি বলতে, আমি তোমাকে বলবো ও বৌদিকে বলবে। তুমি আমার পার্টে বৌদি ওর পার্টে।
দেখছো, শুনছো ওর কথা।
মিত্রা বলেছে আমাকে। এবার ওকে ছাড়ো, আমরা একটু কথা বলি।
যাও যাচ্ছে।
তুইকি গেছিলি স্পটে।
না অনাদিকে বলেছি। আমি বুধবার ওখানে যাবো। তখন যাবো। ইসলামভাই অনাদিকে নিয়ে ঘুরে এসেছে।
করিতকর্মা ছেলে তোর অনাদি।
সেই জন্য তোমাদের লোকাল কমিটি ওকে ভালকরে বাঁশ দিচ্ছে।
আর দেবে না। তোকে কথা দিচ্ছি।
ব্যাঙ্কটা উদ্বোধনের সময় তোমাদের একবার যেতে হবে।
কবে করবি।
মাস তিনেক বাকি আছে। তবে দিন পনেরোর মধ্যে কাজ শুরু করে দেবো। এখন মাঠে ব্যান রোয়া শুরু হয়ে গেছে। চাষীদের হাতে টাকা তুলে দিতে হবে।
কি বুঝছেন বিধান বাবু।
শুনছি ওর কথা।
কি রকম দিচ্ছিস।
হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার লোন। হাজার টাকা নিলে প্রতিদিন দশটাকা করে শোধ করতে হবে। ছয়মাস দিতে হবে। দশটাকার আট টাকা ব্যাঙ্ক নেবে দুটাকা তার এ্যাকাউন্টে জমা পরবে। যে পুরো দিতে পারবে এ্যাকাউন্টের টাকা তার। তা নহলে ওখান থেকে ব্যাঙ্ক তার টাকা নিয়ে বাকিটা তাকে ফেরত দিয়ে দেবে। এই রেশিয়োতে কাজ হবে।
এই প্ল্যানিংটা কার।
আমার। ডাক্তারদাদা খালি রেক্টি ফাই করে দিয়েছে।
গ্র্যাজুয়েসনে তোরতো ইকনমিক্স ছিলো না।
হায়ার সেকেন্ডারীতে ছিলো। মাইক্রো ফাইন্যান্স ওবং ম্যাক্রো ফাইনান্স এই দুটোর ওপর হিমাংশুকে জোর দিতে বলেছি।
তোকে তো এবার সিএম বানাতে হবে। বিধানদা হো হো করে হাসতে হাসতে বললো।
আমি এবার উঠবো।
তোকে তো আসল কথাটাই বলা হলো না।
বলো।
তোকে যে সেদিন টাকার কথা বললাম।
চেক হলে কালকে দিতে পারবো। ক্যাশ হলে সোমবার নিতে হবে।
কি বিধানবাবু চেক হলে অসুবিধা আছে।
না। ওর অসুবিধা না থাকলেই হবে।
আমি কালকে হিমাংশুর সাথে একটু কথা বলে নিই। তোমাকে ফোনে জানাবো।
কতো দিবি।
একের বেশি এখন দিতে পারবো না।
একটু বাড়া।
ঠিক আছে দেড় করে দিচ্ছি।
তাই দে। আমাদেরও চলতে হবে।

ওদিককার থেকে যে টাকা আসতো সেটা কি হবে।
সেটাতো বন্ধ হয়ে গেলো।
কি করে বুঝলে, খোঁজ নাও। টাকাটা যে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে না তার কি মানে আছে।
কিরে অনুপ।
রূপায়ণ তুই কালকে একবার খোঁজ নে।
ঠিক আছে নেবো।
আমি উঠি, শুক্রবার তুমি কিন্তু যাবে সবাইকে নিয়ে। যদিও দাদা তোমায় ফোন করে দেবে।
আচ্ছা যা।
আমি সুরোর ঘরে এলাম। দেখলাম সবাই গোল টেবিল বৈঠক করছে। আমাকে দেখেই বৌদি হাসলো।
তোকে গেঞ্জিটা কে কিনে দিয়েছে।
বলতে পারবো না। সকলাবেলা বাথরুম থেকে বেরোতে ছোটমা বললো এটা পরে নে পরে ফেললাম।
মিত্রা হাসছে।
তুই আর কিছ্ছু বলিস নি।
জিজ্ঞাসা কর ছোটমাকে। তারপর খানদশেক লুচি বাটি চড়চড়ি সাঁটালাম। বললো তুই বানিয়েছিস। তারপর বেরিয়ে পরলাম।
কোথায় গেলি ? বৌদি বললো।
সেটা বলা যাবে না।
কাকে খুঁচিয়ে এলি।
ওই যে বললাম, বলা যাবে না।
তুই মিত্রাকে কি দিবি।
আমি জিনিষ পত্র কিনতে পারিনা।
সব পারিশ ওটা পারিশ না।
তাহলে তোমায় একটা গল্প বলতে হয়।
তোর কি গল্প ছাড়া জীবনে কিছু নেই।
এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা, এখন তোমাদের বলছি বলে গল্প।
বল শুনি।
তুমি মনে কিছু করবে না।
কেনো বলতো।
এই ধরণের কথা তোমার সামনে কোনো দিন বলিনি তো।
আজ বল শুনবো।
আমি ভজু তখন হোটেলে কাজ করি। প্রথম মাইনে পেয়েছি দুজনে। ভজুরও গেঞ্জি জাঙ্গিয়া নেই, আমারও নেই। বললাম চল ভজু অন্ততঃ একটা করে গেঞ্জি জাঙ্গিয়া কিনে নিয়ে যাই। ওই পাড়ায়, আমাদেরই পরিচিতো দোকান। মুখ চেনা, গেলাম। গিয়ে বললাম। সাইজ বলতে বললো। বলতে পারলাম না। হাসলো। বললো, যা বুঝেছি প্যাকেট করে দিচ্ছি, নিয়ে যা।
নাচতে নাচতে দুজনে চলে এলাম। স্নানটান সেরে নতুন গেঞ্জি পরলাম একেবারে ঠিক ঠাক। জাঙ্গিয়া পরলাম। কি সুন্দর দেখতে। সামনে আবার ফুল। পরে দেখি হিসি করার জায়গা নেই।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
মহা বিপদ, কি হবে। ভজুরাম মহাখুশি। ভাবালাম নতুন স্টাইল। অস্বস্তি হচ্ছিলো, দুর খুলে রেখে ভজুকে দিয়ে দিলাম। আমি আবার আমার কৌপিনে ফিরে গেলাম। লাল শালুর কৌপিন। এর দু’চারদিন পর কোথায় গেছিলাম যেনো, রাতে ফিরে এসেছি। দেখি ভজু কাঁদছে। কি ব্যাপার। মাসি বেধড়ক পিটেছে। মাসির কাছে গেলাম। শুনে বললাম ও চুরি করেনি, আমি কিনে এনেছি। বিস্তারিত ভাবে মাসিকে বললাম। আমার কথা শুনে মাসি হেসে লুটো পুটি খায়। সেদিন প্রথম কোনটা মিত্রাদের আর কোনটা আমাদের চিনলাম। তবে আমি কৌপিন পরা ছারি নি। জাঙ্গিয়াও পরতাম না খুব একটা। বড়মার কাছে যখন এলাম। একদিন মনে হয় ছোটমা ঘরে ঢুকে দেখেছিলো। আমাকে চারটে গেঞ্জি আর জাঙ্গিয়া কিনে দিয়েছিলো। তারপর থেকে ছোটমা বড়মা কেনে। তুমি কিনে দাও। আমার চলে যায়। বেশির ভাগ সময় তো পরিই না। আমি নিজে থেকে কোনোদিন কিনি নি।
ওরা হেসে এ ওর গায়ে ঢলে পরে। অনিমেষদা পাশের ঘর থেকে একবার উঁকি মেরে চলে গেলো।
হ্যাঁরে তোকে দেখেতো এরকম ছাগল মনে হয়না।
মাঝে মাঝে কেনো জানিনা ছাগল হয়ে যাই।
মিলি সুরো নীপা হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।
ওঝা সেজেছিলি কবে।
নিশ্চই তোমাকে সুরো বলেছে।
তোর দাদাও শুনেছে।
খেয়েছে। তোমরা আমার আর কিছুই বাদ রাখলে না।

অনিদা মিলিদির ব্যাপারটা বলো। সুরো বললো।
এই-ই। মিলি চিল্লিয়ে উঠলো।
তোকে নিশ্চই নীপা লাগিয়েছে।
কিরে সেটা আবার কি। বৌদি বললো।
তুমি বহুত ঝামেলা করো। মিত্রা চল বেশিক্ষণ থাকলেই গন্ডগোল।
আমিও তোর রসের ব্যাপারটা বলেছি বৌদিকে।
নিজেরটা বলিস নি।
মিত্রা মাথা নাড়ছে।
দেখ তুই কি রকম স্বার্থপর। নিজেরটা চেপে রেখে আমারটা বলেছিস।
তাহলেতো আমার নীপা টিনা মিলি অদিতি দেবা নির্মাল্য সবারটা বলতে হয়।
বলবি। পাটি পেরে শানাতে বসেছিস বৌদিকে।
কিরে মিলি অনি কি বলে।
তুমি অনিদার কতা বিশ্বাস কোরো না। খালি গুল মারে।
এবার গুল। আমার গুলো ঠিক।
অনিমেষদা আবার দরজার কাছে। তোমরা কি শুরু করেছো বলোতো।
রাতে তোমাকে বলবো। তোমার অনির কীর্তি।
অনিমেষদা কিছু বলতে গিয়ে হাঁ করে ফেললো।
বৌদি হাসছে।
ওঠ অনেক রাত হলো।
আমি বড়মাকে ফোন করে দিয়েছি। বৌদিও বড়মার সঙ্গে কথা বলেছে।
তোর এতো তাড়া কিসের ? বৌদি বললো।
আর একটু চা খাওয়াও।
সুরো যা অনিদার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আয়। ও ঘরে বাবাকে জিজ্ঞাসা করিস একবার।
অনিদা যেনো এর মধ্যে কোনো কিছু না বলে।
ঠিক আছে বলবেনা। তুই এলে আবার বলবে।
সুরো নীপা বেরিয়ে গেলো।
আমরা সবাই বৌদির সঙ্গে গল্প করলাম। বৌদি একবার আমার বাড়িতে যেতে চাইলো। বললাম নিয়ে যাবো। চা খাওয়া হলো। আমরা সবাই অনিমেষদাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। আসার সময় মিলি নিজেই বললো আমি গাড়ি ড্রাইভ করবো মিত্রাদি। মিত্রা না করে নি। আমি মিত্রা টিনা পেছনে বসলাম। ওরা দুজনে সামনে। বাড়িতে যখন ঢুকলাম তখন পৌনে দশটা বাজে। মিত্রা বাড়িতে ঢুকেই বড়মা বলে চেঁচিয়ে উঠলো।
নাও সব এলেন রাজ্য জয় করে।
ছোটমা ঘর থেকে বলতে বলতে বেরিয়ে এলো। পেছন পেছন ভজুরাম দৌড়ে এলো। মিত্রা ভজুকে দেখে হেসে ফেললো।
কিরে ভজুকে দেখে পাগলির মতো হাসছিস কেনো।
তোমায় বলবো ছোটমা, আজ বুবুনের আর একটা উদ্ধার করেছি।
আমি মিত্রার দিকে কট কট করে তাকালাম। পেছনের ডিগ্গিটা খুললাম। ভজু মিষ্টির হাঁড়ি সন্দেশের প্যাকেট বার করলো।
অনিদা ওখান থেকে কিনেছো।
হ্যাঁ।
আচ্ছা তোমারকি আর দোকান চেনা নেই।
আমি ভজুর মাথাটা নেড়ে দিলাম।
সবাই ভেতরে এলাম। দেখলাম ডাক্তারদাদা বসে আছে।
কখন এলে।
অনেকক্ষণ। মিত্রা।
বলো।
মিষ্টি বার করে দে।
কেনো কাল সকালে খেলে হতো না। বড়মা খেঁকিয়ে উঠলো।
গরম গরম খাওয়ার মজাটাই আলাদা বুঝলে বান্ধবী।
মিত্রা বার করে বড়মা ছোটমা ডাক্তারদাদাকে দে।

দেখলে, এটাই হচ্ছে বড়ো মনের পরিচয়। আমি চাইলাম তোমাদের নামটাও জুড়ে দিলো।
থাক অনেক হয়েছে। বড়মা কপট হাসি হেসে বললো।
আমি বড়মাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। কি দেখলে, আজ কথা রাখলাম কিনা।
রাত দশটা, মাথায় রাখিস। কাল সারাদিন বাড়িতে থাকবো না। সবাই বেরোবো। বাড়ি পাহাড়া দিবি।
কেনো ?
সে জেনে তোর লাভ। তুই সব বলিস।
কারুর দরকার নেই ভজুরাম থাকলেই হলো।
ভজুও যাবে।
ও। ঠিক আছে।
আমি সোফায় এসে বসলাম। বাইরের গেটে হর্ন বাজলো।
ওই আর এক দল ঢুকছেন। ছোটমা বললো।
আমি ছোটমার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হাসলাম।
একবারে তাকাবি না চোখ গেলে দেবো। ছোটমা চিবিয়ে চিবিয়ে বললো।
ছোটমা ওঘরের চাবি কোথায় ? মিলি বললো।
বড়দির ঘরের ড্রেসিন টেবিলে আছে।
মিলিকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে না এই কদিন আগেও এই বাড়ির সঙ্গে ওর কোনো যোগাযোগ ছিলো না।
বড়দা ঘরে এসে ঢুকলেন। আমাকে সোফায় বসে থাকতে দেখে ফিক করে হেসে ফেললেন।
কিরে মল্লিক আজ কোন দিকে সূর্য উঠেছে।
পূর্ব দিকে। একটু বোসো টের পাবে। ডাক্তারদাদা বললো।
তুমি জানলে কি করে।
ছোটমা জলের গ্লাস এনে দাদা মল্লিকদার হাতে দিলো। আমার দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসলো।
আচ্ছা এডিটর তুমি এই বাড়ির গার্জেন, কোনো খোঁজ খবর রাখো এই বাড়ির সম্বন্ধে।
কেনো রাখবো না ?
বলোতো এই বাড়ি রং হচ্ছে কেনো।
ওটা বলতে পারবো না। অনি জানে।
দেখো প্রথম বলেই তুমি বোল্ড আউট।
কেনো কেনো শুনি।
অনিবাবু শুক্রবার বিয়ে করছেন, আর রবিবার বৌভাত।
সেতো কবে হয়ে গেছে, আবার অন্য কাউকে বিয়ে করছে নাকি।
মরণ, দেখো দিকি কান্ড, ন্যাকা কোথাকার। বড়মা রান্নাঘর থেকে এমন ভাবে বললো সকলে না হসে পারলো না।
মিত্রা মিষ্টির প্লেট গুলো নিয়ে এসে টেবিলের ওপর রাখলো।
কিরে মা ডাক্তার কি বলে। দাদা মিত্রার দিকে তাকালো।
বুবুন জানে।
কিগো তুমি কিছু জানো। দাদা রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে বললো।
বড়মা ধীরে ধীরে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলো।
আমি একবার বড়মার দিকে তাকালাম। রাতেই মিষ্টি গুলো সব শেষ করেদাও বুঝলে, কাল পর্যন্ত আর থাকবে না।

হ্যাঁরে মিষ্টিগুলো কোন দোকান থেকে নিয়ে এলি। দাদা আমার দিকে তাকিয়ে বললো।
কেনো খারাপ।
এর টেস্টটাই আলাদা বুঝলি অনি। খেলে আর অন্য মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে না। ডাক্তারদাদা বললো।
এতো খাও তবু খাই খাই গেলো না। বড়মা বললো।
মিত্রা বড়মার কাছে এসে বললো হাঁ করো হাঁ করো।
কেনো রে।
বড়মা হাঁ করলো। মিত্রা নলেন গুড়ের কাঁচা সন্দেশ বড়মার মুখে পুরে দিলো। পর পর সবাইকে দিলো। দাদা ডাক্তারদাদা আর মল্লিকদার প্লেটে দিলো। আমার দিকে তাকিয়ে বললো তুই আমার আঙুলটা চুষবি।
আমি কট কট করে ওর দিকে তাকালাম। উঠে দাঁড়ালাম। হাতের প্লেটটা রান্নাঘরে রেখে বেসিনে হাতটা ধুলাম। সোজা দরজা দিয়ে বেরোতে যাবো, ওমনি দাদা ডেকে উঠলো।
কিরে, কোথায় যাচ্ছিস।
ওপরে।
বললিনা কার সঙ্গে তোর বিয়ে।
ঘর শুদ্ধু সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
আমি আর দাঁড়ালাম না, সোজা ওপরে চলে এলাম। ঘরের দরজাটা ভেজিয়ে দিলাম। জামাপ্যান্ট খুলে বাথরুমে ঢুকলাম। বুঝলাম কাল এরা সব মার্কেটিংয়ে বেরোবে। দাদাযে আমার সঙ্গে এরকম ভাবে কথা বলতে পারে আমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারি নি। ভালো করে মুখ হাতপা ধুলাম। টাওয়েল দিয়ে গাটা মুছলাম। বাথরুম থেকে বেরোলাম।
বাথরুম থেকে বেরোতেই দেখলাম মিত্রা ব্রা আর সায়া পরে দাঁড়িয়ে, লক্ষ করলাম ঘরের দরজায় ছিটকিনি দেওয়া।
কিরে এ কি অবস্থা তোর!
তুই বাথরুম থেকে বোরোবি, আর আমি জাপ্টে ধরবো।
সবে মাত্র গা ধুয়ে এলাম। সব রাতে হিসাব হবে এখন বাথরুমে ঢোক। চট পট সেরে নে।
মিত্রা চোখে দুষ্টুমি হাসি হেসে আমার কাছে এগিয়ে এলো। আমি টাওয়েলটা চেপে ধরলাম।
টাওয়েল চেপে ধরে রক্ষা পাবি। বিয়ে করবি, বিয়ে। শখ হয়েছে।
কোরবো না। আমার কিছু হবে না। আমি যাকে চাইবো তাকেই পাবো।
তোকে পাওয়াবো।
টাওয়েল ছাড়।
মিত্রা আমাকে জাপ্টে ধরলো।
নিচে ওরা আছে কেউ চলে এলে গন্ডগোল হয়ে যাবে।
কেউ আসবেনা। সবাই ব্যস্ত।
লোভও হচ্ছে আবার ভাবছি এখুনি যদি ছোটমা এসে দরজা ধাক্কা দেয়, জায়গা করা হয়ে গেছে, কি করছিস তোরা।
কিরে তোরটা যে খোঁচা মারতে শুরু করে দিয়েছে।
কতদিন তোরটার মুখ দেখেনি বলতো।
মিত্রা আমাকে জাপ্টে ধরে আছে। ওর ঠোঁট দুটো আমার একেবারে ঠোঁটের কাছে। একবার ভাবলাম করি, তারপর ভাবলাম না থাক, সারারাত পরে আছে।
তোর পেটটা শক্ত শক্ত লাগছে কেনো রে।

এখনো হয়নি।
খেয়েছে। ছোটমাকে বলেছিস।
বলিনি, তবে একটা হিন্টস দিয়েছি।
তুই কি সত্যি বাধিয়েছিস।
কি করে বলবো। এমাসে না হলে টেস্ট করাবো।
ওরে আমিতো মুখ দেখাতে পারবো না।
হয়ে যাওয়া ভালো বুঝেছিস।
মিত্রা আমার টাওয়েলের নিচ দিয়ে মতিতে হাত দিয়ে দিয়েছে।
মানুষ করা যাবে। বয়স তো কম হলো না। তোর সঙ্গে আগে হলে এতোদিনে চার পাঁচ বছর বয়স হয়ে যেতো। ফিতেটা খোল না। ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেনো।
সত্যি তুই করবি।
হ্যাঁ।
না এখন না রাতে।
তাহলে একটু মুখ দিই।
আমার করতে ইচ্ছে করবে।
করবি। আমি কি বারণ করেছি।
মিত্রা আমার টাওয়েলটা খুলে দিলো।
দেখ দেখ তাকিয়ে। কি অবস্থা করেছিস।
তাকাস না। ভয় পেয়ে যাবি।
মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠে আমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো। ওর ঠোঁটটা চুষতে চুষতে ওর ব্রার ফিতেটা খুলে দিলাম। মিত্রা হাত গলিয়ে ব্রাটা টেনে খুলে ফেললো। আমি ওর মুনুটা একটু টিপে দিলাম।
তাড়াহুড়ো করে করতে ভালো লাগে না।
এখন একটু তোর সোনার কাঠিটা আমাপ রুপোর কাঠিতে ছুঁইয়ে দে। রাতে ভালো করে করিস।
বেরোবে না।
বেরোতে হবে না। তবুতো ভেতরে একটু যাবে।
তোর পাছুতে দিই।
পটি লেগে যাবে।
হেসে ফেললাম।
যারা করে।
তারা করুক আমরা কোরবোনা। সেক্সকি পাছু ছাড়া সম্পূর্ণ নয়।
আমি ওর কপালে চোখে দুই গালে ঠোঁটে চুমু খেলাম। বুকের সঙ্গে জাপ্টে ধরলাম। মুনুর নিপিলদুটো পিনের মতো আমার বুকে ফুটছে।
তুইতো একেবারে তৈরি।
গাড়িতে তোর পাশে যখন বসেছিলাম তখন থেকে।
তাই ওইভাবে খোঁচাচ্ছিলি।
তুইতো গবেট। খালি এনাকাউন্টারটা ভালো করে করতে পারিস।
তোর ওখানে।
করনা দেখি, কেমন পারিস।
দেখ আমি কিন্তু আগের থেকে পাকা খেলোয়াড়।
ছাই।
আমি ওকে বুকের সঙ্গে জাপ্টে সোজা তুলে নিয়ে গিয়ে টেবিলে বসালাম। মিত্রা খিল খিল করে হাসছে।

টেনে শায়ার দরিটা খুলে দিলাম। মিত্রা কোমর থেক শায়াটা নামিয়ে দিলো।
কিরে তোরটা থেকে যে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরছে।
বলছিটা কি সেই গাড়ি থেকে। তোকে কতোদিন টাচ করিনি বলতো।
আমি ওর কালো গালিচা পাতা মাঠে হাত দিলাম। মিত্রা আমার ঠোঁটটা শক্ত করে ধরে চুষতে শুরু করলো। চোখ আধবোজা। চোখের মনিদুটো স্থির। বেশ কিছুক্ষণ ও আমার ঠোঁট চুষলো। আমি ওর মাঠে দু’আঙুলের সাহায্যে লাঙল করছি।
মিত্রা চোখ চাইলো, তৃপ্তির হাসি ওর চোখে, ইশারায় বললো বুবুন একবার একটু মুখ দিই।
আমি ওর চোখের আর্তি ফিরিয়ে দিতে পারলাম না। অনুমতি দিলাম।
ও নিচে নেমে এলো। আমার মতিতে হাত দিয়েই জামারা বোতাম খুলে দিলো। লালা টকটকে শরীরটা বেরিয়ে এলো।
দেখ শাপের জিভের মতো কেমন লক লক করছে।
ছোটমা চলে এলে পুরো কেলো।
ছোটমা করে না। আমরাই কি শুধু করি।
হাসলাম।
মিত্রা ঠোঁট দিয়ে মুন্তিতে চাপ দিলো। আবেসে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, আর আইসক্রীমের মতো চুষছে। দু’তিন মনিট পরই আমি বললাম ছাড় আমি একটু মুখ দিই। ও উঠে দাঁড়ালো। টেবিলের ওপর দুটো পা ফাঁক করে বসলো। আজকে মিত্রারটা কেমন যেনো পাঁউরুটির মতো ফুলে গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশি। শিশির বিন্দুর মতো ফোঁটা ফোঁটা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আমি একবার জিভটা বার করে নিচ থেকে ওপরে নিয়ে গেলাম।
মিত্রা ফিশ ফিশ করে বললো, তুই কি আমাকে মেরে ফেলবি।
হাসলাম।
বেশি নাড়া চাড়া করিস না বেরিয়ে যাবে। তুই বরং ভেতরে দে।
আর একটু।
একবারে না। জমি তৈরি আছে। তোকে আর নাড়া নাড়ি করতে হবে না।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম ও আমার মুন্তিটা হাতে নিয়ে ওর তৈরি হওয়া জমিতে রাখলো। ইশারায় বললাম চাপ দিই ও মাথা দোলালো। আমি চাপ দিলাম। একবারে পুরোটা ঢুকে গেলো। আমি যেনো আগুনের ছেঁকা খেলাম ওর ভেতরটা এতো গরম।
কিরে কি গরম লাগছে, ফোস্কা পরে যায় যদি।
যাক, আমি বারনল লাগিয়ে দেবো।
আমি হাসলাম।
এদিকেরটায় একটু মুখ দে। এতদিন করছিস আমাকে, একটু চটপট করতে পারিস না। তুই কি কয়লার ইঞ্জিন।
হেসে ফেললাম।
মাথায় রাখিস এই মুহূর্তে ছোটমা....।
থাম। কর। খালি ছোটমা ছোটমা।
আমি ওকে জাপ্টে ধরে দু’চারবার বেশ জোরে নাড়াচাড়া করলাম। ও আমাকে জাপ্টে ধরলো।
কিরে এরি মধ্যে বার করে দিবি নাকি।
বলছি কি তাহলে। কর তাড়াতাড়ি।
আমি এবার সত্যি সত্যি বেশ জোরেই করতে আরম্ভ করলাম। বেশিক্ষণ দু’জনের কেউই ধরে রাখতে পারবো না বুঝতে পারলাম।
বুবুনরে তুই ভেতরে ফেলিস, বাইরে ফেলিস না।
কেনো।
ভেতরটা একটু ঠান্ডা হবে। জ্বলেযাচ্ছে।
কেনো বলতো।
করবিনা। ন’মাসে ছ’মাসে একবার করবি হবে না।
আমি থেমে গেলাম।

কর। থামলি কেনো। ঢেঁড়স।
আমি আবার শুরু করলাম। এবার আরো জোড়ে আর থামলাম না। মিত্রার চোখ বন্ধ চোখের মনিদুটো উল্টে যাচ্ছে। ঠোঁট দু’টো চেপে ধরছে। পাদুটো শক্ত করে আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরেছে। পেছন দিকে দুটো হাত দিয়ে সামান্য হেলে পরেছে। আমি করে যাচ্ছি। হঠাৎ উঠে বসে আমাকে জাপ্টে ধরলো। আমার বুকে ঠোঁট রাখলো। আমার মতিকে কামরে কামরে ধরলো। আমাকে আর করতে হলোনা। আমার মতি ওর স্যাঁত স্যেঁতে জমিতে কেঁপে কেঁপে উঠলো। দু’জনে স্থির হয়ে গেলাম। দু’জনেরি তলপেট থির থিরি করে কাঁপছে। অনুভূতির অভূতপূর্ব মিশ্রণ। মিত্রা আমার বুকে মুখ ঘসছে। মাঝে মাঝে আমার মুন্তিতে জিভ দিচ্ছে। আমি ওর মুন্তিটা একটু ধরলাম। বেশ শক্ত শক্ত লাগছে। আবেশ আমাদের দু’জনের শরীরে ম ম করছে। বেশ কিছুক্ষণ পর দু’জনের সম্বিত ফিরে এলো আমি ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম। মিত্রা চোখ দিয়ে হাসছে।
দারুন লাগলো বুঝেছিস। একেবারে দু’জনের এক সঙ্গে বেরিয়েছে।
নিচটা একবার তাকা।
কেনো।
কাজ বারিয়েছিস। তোর তো ভেতরে কিছু নেই, সব গড়িয়ে নিচে পরেছে।
মিত্রা ফিক করে হেসে ফেললো।
আমি মুছে দেবো।
এবার ছাড়।
বল এখুনি ছোটমা চলে আসবে।
হাসলাম। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks