দেখি নাই ফিরে - (Part-54)

তাহলে এক কাজ কর।
বল।
তুই কি কাগজ সামলে নিতে পারবি।
পারবো।
তাহলে ওদের একজনকে রাজনাথবাবুর পোঁদে লাগিয়ে দে। ব্যাপারটা এরকম কখন ও বাথরুমে যাচ্ছে কতোক্ষণ বাথরুমে কাটাচ্ছে আমাকে জানতে হবে।
পারবে।
আমাকে ফোন করতে বল। আমি বুঝিয়ে দেবো। ওগুলোর নাম ভুলে যাই।
ওদেরও আক্ষেপ তুই ওদের নাম ধরে ডাকিস না।
নাম কি বলতো।
একটার নাম অরিত্র আর একটার নাম অর্ক।
ফর্সাটারা নাম কি ?
অরিত্র।
তাহলে এক কাজ কর অর্ককে আমায় ফোন করতে বল। এই কদিন ও অফিসে আসবেনা। আমি কলকাতায় না যাওয়া পর্যন্ত। আর অরিত্রকে বাকি নার্সিংহোমগুলো কভার করে নিতে বল।
আচ্ছা।
চিঠিটা পোস্ট করে আমাকে জানাবি।
আচ্ছা।
ফোনটা কেটে একটা সিগারেট বার করে ধরালাম। দু’চারটে সুখটান দিলাম। তারপর ধীর পায়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম। বাড়ি থেকে মিনিট পাঁচেক দূরত্বে চলে এসেছি। খামারে আস্তে দেখলাম। সবাই বারান্দায় বসে গল্প করছে। যেমন দেখে গিয়েছিলাম সেইরকম। আমি কাকার বাড়িতে না ঢুকে নিজের বাড়িতে চলে এলাম। বাইরের দরজায় শেকল তোলা। তারমানে এই বাড়িতে কেউ নেই। নিচের ঘরগুলোয় দেখলাম লাইট জ্বলছে। আমি শিঁড়িদিয়ে সোজা ওপরে উঠে চলে এলাম। ঘরের দরজা ভেজানো। আমি ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম। আজ ঘরটা অনেক বেশি ডেকরেটেড। বিছানায় একটা নতুন চাদর পাতা হয়েছে।
আমি বিছানায় একটু বসলাম। ঘুটিগুলো আবার ঠিকঠাক ভাবে সাজাতে হবে। হাতে মাত্র চারদিন সময়। চুপচাপ বসে ভাবছিলাম। হঠাৎ নিচের দরজাটা খোলার শব্দ পেলাম। একটা হৈ হৈ শব্দ। বুঝলাম মিত্রার সবাই ঢুকলো। উঠে দাঁড়িয়ে পরলাম। আলনার কাছে গিয়ে পাজামা পাঞ্জাবী আর টাওয়েলটা বার করে কাঁধে নিলাম। মিটসেফের কাছে গিয়ে পকেট থেকে মানি পার্টস কাগজ গুলো বার করে রাখলাম।
কিরে তুই এখানে। তোকে কখন থেকে খুঁজছি।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম। মুখটা চকচক করছে। একদৃষ্টে ওর দিকে তাকলাম। ওর চোখটা ভালো করে লক্ষ্য করলাম। সবাই ওর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
কি দেখছিস।
সকাল থেকে তোমায় দেখেনি তাই দেখছে। মিলি বললো।
ধ্যাত।
বলনা এতোক্ষণ কোথায় ছিলি। মিত্রা কল কল করে উঠলো।
কেনো এই বাড়িতে বসে ছিলাম।
হতেই পারে না।
বিশ্বাস কর।
ইসলামভাই বললো তুই বাথরুমে গেছিস।
হাসলাম।

টিনা দেখ কিরকম মিচকে পোড়া হাসি। অদিতি বললো।
দাঁড়িয়ে রইলে কেনো, ভেতরে এসো।
ওরা ভেতরে এলো।
অনিদা। টিনা বললো।
আমি টিনার দিকে তাকালাম।
তুমি এটা ঠিক করলেনা।
কি বলোতো!
সবাইকে আমাদের কথা.....।
তোমরা হয়তো বিশ্বাস করবেনা আমি বলিনি।
তুই এভাবে বলিসনা। তোর গুণকীর্তন করতে গিয়ে বলে ফেলেছি। মিত্রা হাসতে হাসতে বললো।
শুনলে টিনা।
টিনা হাসছে।
তোর মুডটা অফ মনে হচ্ছে। দেবাশীষ বললো।
নারে সকাল থেকে স্নান করিনি। ভাবছি এখন স্নান করবো কিনা।
এই ঠান্ডায়।
হ্যাঁ।
তোমার ঠান্ডা কম লাগে!
দেবা তোরা একটু বোস আমি ঝট করে সেরে আসি।
সত্যি তুই স্নান করবি।
হ্যাঁরে নাহলে একটা অস্বস্তি হচ্ছে।
আমি পাজামা পাঞ্জাবী সাবান আর টাওয়েলটা নিয়ে বেরিয়ে এলাম। বাড়ির খিড়কি দরজা দিয়ে পুকুর ঘাটে এলাম। বেশ ঠান্ডা লাগছে। না স্নান করবো না। মাথাটা ধুয়ে টাওয়েল দিয়ে গা-হাত-পা মুছে নিই। যেমন ভাবা তেমন কাজ। খুব তাড়াতাড়ি কাজ সেরে ঘরে ফিরে এলাম।
কিরে সত্যি তুই স্নান করলি।
না। মাথা ধুলাম।
বড়মা ডাকতে এসেছিলো খেতে যেতে বলেছে।
নির্মাল্যকে দেখছিনা।
এদিক সেদিক কোথাও ঘুরছে। দেবাশীষ বললো।
তোরা কোথায় কোথায় ঘুরলি।
ঘুরলাম কোথায়! নারকেল কোড়া দিয়ে মুড়ি মাখা খেলাম আর চা। চুটিয়ে আড্ডা। দেবাশীষ বললো।
টিনার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে ফেললাম।
একবারে হাসবেনা। আমাদের ছেড়ে দিয়ে নিজে বেশ ফুর্তি করে এলে।
কেনো মিত্রাদি ছিলোনা।
আমি না বলেছি।
ঠিক আছে কালকে সারাদিন সময় দেবো।
ঘেঁচু। মিত্রাদির মুখ থেকে তোমার সব প্রোগ্রাম জানা হয়ে গেছে।
কিরে পেট পাতলা রুগী।
দেবোনা পেটের মধ্যে একটা গুঁতো। মিত্রা তেড়ে এলো।
আমি ওর হাতদুটো ধরে ফেললাম।
বলনা তোর মুখটা অমন শুকনো শুকনো লাগছে কেনো।
সারাদিন কি ভাবে কটলো বলতো।
কই দেবাদের মুখটা ওরকম লাগছেনা।
দেবা আমার থেকে দেখতে সুন্দর।
শালা হারামী। দেবাশীষ উঠে এলো।
অদিতি তোমার বরের হাত থেকে বাঁচাও।
ওসব তোমাদের ব্যাপার আমরা দর্শক।
বলনা, সত্যি তোকে বেশ ফিউজ লাগছে। দেবা বললো।
বিশ্বাস কর কিছু হয়নি।
কাল সকালে নিয়ে যাবি। আমি ওদের বলেছি, ওরা রাজি।
নিশ্চই ওই গল্পগুলো ঝেরেছিস। টিনার দিকে তাকালাম।
টিনা ফিক করে হেসে মাথা নীচু করলো।
মিলি এগিয়ে এলো। মিত্রাদি তুমি পেছন থেকে ধরো আমি সামনেথেকে গুঁতো মারি যদি মুখ থেকে কিছু বেরোয়।
তাহলে কাল যাওয়া বন্ধ।
মিলি ছেড়েদে ছেড়েদে। কাল যাবে বলেছে।
ওমা তোমরা কি করছো। অনিদাকে মারছো। নীপা বড় বড় চোখ করে ঘরে ঢুকলো।
তুমি কোথায় ছিলেগো অনিদা। কেউ তোমাকে খুঁজে পায়না।
আমিতো এদের হাতে মার খাচ্ছি।
চলো চলো খাবার জায়গা হয়ে গেছে।
সবাই এলাম। বারান্দায় লম্বা লাইন করে খাবার জায়গা হয়েছে। খেতে খেতে হৈ হট্টোগোল। বড়মা ডাক্তারদাদার তরজা। আমার মিত্রার খুনসুটি। এর মাঝেও ইসলামভাই খালি আমাকে মেপে যাচ্ছে। চোখে চোখ পরতেই জিজ্ঞাসার চিহ্ন আমি হাসছি। খাওয়া শেষ হওয়ার পর মুখ ধোওয়ার সময় খালি ইসলামভাই বললো। কিরে কাজ শেষ করলি ? আমি একবার ইসলামভাই-এর দিকে তাকিয়ে ফিক করে হাসলাম।
আরে তোমরা বস লোক। তোমাদের সঙ্গে কি পারি।
ইসলামভাই আমার দিকে তাকিয়ে ফ্যাকাশে হাসি হাসলো।
চল একটা সিগারেট খাই।
না। তুমি কথা বলতে চাইলে যেতে পারি।
তাই চল।
মিত্রাকে বললাম তোরা যা আমি যাচ্ছি।
মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে একবার হাসলো।
আমি ইসলামভাই খামারে এসে দাঁড়ালাম। ইসলামভাই একটা সিগারেট ধরালো। কিরে কি কথা হলো।
কিসের বলোতো।
যার সঙ্গে কথা বললি।
কারুর সঙ্গে কথা বলিনি। অফিসে কথা বলছিলাম। কাজের ব্যাপারে।
ইসলামভাই আমার চোখে চোখ রাখলো।
হাসলাম। চিকনা সব খবর তোমায় দিতে পারেনি।
ইসলামভাই আমার কাঁধটা ধরে ঝাঁকিয়ে দিলো। তুই গুরু এটা মানতেই হবে।
কেনো।
ওই অন্ধকারে তুই দেখলি কি করে।
আমিযে মাকড়সা। আমার মাথায় আটটা চোখ আছে।
আমি তোর একটা উইং বন্ধ করতে পেরেছি। পারবোনা তোর সঙ্গে।
তাহলে লোড়ছো কেনো।
ফোনটা বেজে উঠলো।
পকেট থেকে বার করলাম।

হ্যালো।
দাদা আমি অর্ক।
কিরে কাগজ বেরিয়ে গেছে।
হ্যাঁ দাদা, দারুন এক্সপিরিয়েন্স।
গুড। এখুনি বেরিয়ে যাবি।
না। বেরোতে বেরোত দুটো বাজবে।
আমি তোকে একটু বাদে ফোন করছি। এইটা তোর মোবাইল নম্বর।
হ্যাঁ দাদা।
আমি সেভ করে নিলাম।
ঠিক আছে।
আমি নম্বরটা সেভ করলাম। ইসলামভাই-এর দিকে তাকালাম। ইসলামভাই আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে।
হেসে লাভ নেই। এই গেমটা তোমাদের জন্য নয়। তোমরা তোমাদের গেম খেলো। আমি আমার গেম খেলবো।
কাজ শুরু করে দিয়েছিস।
অবশ্যই। আমার সব গোছানো থাকে। তোমাকে সেদিনও বলেছিলাম, আমি দাবা খেলি।
ইসলামভাই মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

তুই জানলি কি করে রাজনাথবাবু এর মধ্যে ইনভলভ।
তুমি রাজনাথবাবুর নাম পর্যন্ত শুনতে পেয়েছো তারপর আর পারোনি।
সত্যি বলছি আর কিছু জানতে পারিনি।
তুমি এও জানো অনিকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পাওয়া যাবেনা।
তোর খতি হোক চাইনা। বড়মাকে প্রমিস করেছি।
আমার একটা ভুলের জন্য তোমাদের সকলের খতি হোক এটা চাও।
কখনই না।
তাহলে আমাকে বাধা দেবেনা। তোমাদের ট্রিটমেন্ট দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া। আর আমি সেই লোকটাকে জীবনমৃত করে রেখে দেবো। ভিক্ষা করা ছাড়া তার কিছুই জুটবেনা। কোনটা বেটার।
তোর পথ আমার পথ আলাদা।
কিরে মুন্না শুবি না।
ছোটমা বারান্দায় দাঁড়িয়ে চেঁচালো।
যাচ্ছি তুমি শুয়ে পরো।
তোর সঙ্গে কি অনি।
হ্যাঁ।
ওকি আবার গন্ডগোল করছে নাকি ?
না। এমনি কথা বলছি।
আয় আয়।
মাসি কাল কখন ছাড়বে বলেছে।
কলকাতায় নিয়ে চলে এসেছে। ওর বাড়িতে আছে।
তোমার লোকজন।
ওরা চলে এসেছে।
আমাকে বললেনা। দাদাকে জানাতে হবে।
এইতো কিছুক্ষণ আগে ফোন করলো।
যাও শুয়ে পরো। কাল অনেক কাজ আছে।
ইসলামভাই আমার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো। তারপর চলে গেলো।
খামার থেকে ঘরে এলাম। নিচে সবাই আড্ডা মারছে। মিত্রা মাঝখানে বসে আছে।
কিরে তোদের শোয়ার ব্যবস্থা কি হলো। আরি বাবা নীপা ম্যাডাম হেবি দিয়েছে।
নীপা আমার দিকে চোরা চাহুনি ঝারলো।
দেবাশীষ হাসলো। আয়।
আমি ভেতরে গেলাম।
আমি অদিতি এই ঘরে।
পছন্দ হয়েছে অদিতি। এ কিন্তু তোমার বাড়ির.....।
থাক আর বলতে হবেনা। কথা বলার সুযোগ পেলেই......।
আমি হো হো করে হেসেফেললাম দেবাশীষ শুধু তোরা দুজন! এই ঠান্ডায়!
শালা.....।
দেবা কিছু বলতে যাচ্ছিল অদিতি মুখটা চেপে ধরলো।
টিনা মিলি নির্মাল্য ?
টিনা মিলি এক ঘরে। নির্মাল্য বারান্দায়। নীপা নীপার জায়গায়। মিত্রা বললো।
টিনা মিলি!
কেনো তোমার অসুবিধে আছে। টিনা বললো।
না, টিনা মিলি মিত্রা, আমি নীপা......।
দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি। মিত্রা তেড়ে এলো।
আচ্ছা আচ্ছা অন্যায় হয়েছে।
সত্যি কথা বলতে কি আমার নির্মাল্যর জন্য চিন্তা হচ্ছে। বেচারা।
এনি কম্বিনেশনে আমার কোনো অসুবিধে নেই।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
সখ দেখো। দম আছে। মিলি বললো।
প্রমাণ করে দেখ।
এইতো কথা ফুটেছে। কি মিলি ম্যাডাম হয়ে যাক এসপার নয় ওসপার।
না আমার দরকার নেই। আবার ট্রেন কেস খেতে রাজি নই।
দেবা তাহলে মিলি হেরে গেলো।
না হারি নি। নির্মাল্যর জায়গায় তুমি হলে ভাবা যেতো।
এই মুখপুরি আমি কোথায় যাবো। মিত্রা চেঁচিয়ে উঠলো।
আচ্ছা আচ্ছা বাবা তোমার জিনিষে আমি হাত দেবোনা। মিলি মিত্রাকে জড়িয়ে ধরলো।
মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা চোখে হাসছে। চোখের ভাষা এরকম, আমাকে পেয়ে তোর শান্তি নেই।
টিনার দিকে তাকিয়ে বললাম। কেমন এনজয় করছো ম্যাডাম।
দারুণ। তোমার কীর্তি কলাপ শুনে মনে হচ্ছে, কলেজে তুমি কিছুই করোনি।
সত্যি তুই গাছে উঠতে পারিস। দেবা বললো।
চল কাল সকালে দেখাবো। অন্ধকার থাকতে উঠতে পারবিতো।
তুই বললে সারারাত ঘুমবোনা।

তুই সারারাত ঘুমো না ঘুমো আমি তোর ঘরে উঁকি মারতে যাবোনা।
দেখলি মিত্রা, এবার আমি শুরু করলে।
না ঘুমিয়ে পর আমি ঠিক সময়ে ডাকবো। একটা কথা নীপা আমাদের সঙ্গে যাবেনা।
মিত্রাদি।
গুড নাইট। মিত্রা উঠে এলো।
আমি বললাম তুই ওপরে যা আমি একটু আসছি।
কোথায় যাবি তুই ?
পাঁচ মিনিট।
আমি যাবো।
কিরে মিত্রা। দেবাশীষ ঘর থেকে চেঁচিয়ে উঠলো।
দেখনা ও আবার কিছু প্ল্যান ভেঁজেছে।
দেবাশীষ ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। পেছন পেছন ওরা সবাই।
কিরে অনি।
কিছুনা তোরা যা।
আমি তোর সঙ্গে যাবো ব্যাশ।
চল আমি পি করবো তুই পাহারা দিবি।
তাই দেবো।
ওরা সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
তখন তুই বাথরুমের নাম করে দু’ঘন্টা কাটিয়ে এসেছিস।
আচ্ছা আমার কি কোনো কাজ কর্মনেই।
তোর সব কাজ এই কানা রাতে।
তখন মিত্রার মুখে সব শুনলাম। সত্যি অনি তোর কাজ কর্মের বহর দেখে আমাদেরই আত্মারাম খাঁচা ও বেচারা কি করবে। দেবা বললো।
ঠিক আছে চল। যাবো না।
মিত্রা মুচকি হেসে বললো পি করতে যাবিনা।
আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম। টিনা মিলি নীপা মিটি মিটি হাসছে।
আসিরে দেবা আমি ওপরে উঠে এলাম।
বেশ কিছুক্ষণ পর মিত্রা উঠে এলো। বুঝলাম ওরা নিচে আমাকে নিয়ে কথা বলছিলো। দেবাশীষরা মোটামুটি সব জেনে ফেলেছে। আমি এসে টান টান হয়ে শুয়ে পরলাম। মিত্রা ঘরে ঢুকেই মুচকি হাসলো। ঘরেরে দরজা বন্ধ করলো। ছুটে এসে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পরলো। কপালে গালে ঠোঁটে চুমু খেলো।
কথা বলবিনা। চোখটা ছল ছলে।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
তুই ভীষণ অবুঝ।
আমি তাকিয়ে আছি।
আমার ঠোঁটে আঙুল রাখলো।
তুই কেনো আবার খুঁচিয়ে ঘা করছিস। সবতো মিটে গেছে।
আমি ওর গালের দু’পাশে হাত রেখে মুখটা তুলে ধরলাম। মিত্রার চোখ দুটো আজ বেশ উজ্জ্বল। চোখের কোলে আইলাইনার লাগিয়েছে। মুখ ধোয়ার সময় পুরোপুরি তুলতে পারেনি। আমি ওর ঠোঁটটা আমার ঠোঁটের কাছে টেনে নিলাম। ডুব দিলাম। মনেহল সাগর জলে সিনান করি সজল এলো চুলে বসিয়া আছি উপল উপকূলে। মিত্রা গাঢ় ভাবে আমার ঠোঁট চেপে ধরে আছে।
ঠোঁট থেক মুখ তুলে মিত্রা আমার গলায় মুখ গুঁজলো।
তুই আমকে একা একা ছেড়ে যাসনা।
আমি ওর মাথায় হাত বোলাচ্ছি। ওর নরম বুক আমার বুকে আছড়ে পরেছে। আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে।
তুই দু’দিন ছিলিনা যেনো দু’বছর তোকে দেখিনি।
আমি চুপ করে আছি। ওর শরীরের ওম আমার শরীরে লুটোপুটি খাচ্ছে।
কিরে কাপর ছাড়বিনা।
মিত্রা আমার বুকে মুখ ঘোষছে।
কাপর পরে শুবি।
মিত্রা কোনো কথা বললোনা।
আমি একজনের সঙ্গে একটু কথা বলবো। তুই শুনবি, কাউকে বলবিনা।
মিত্রা ঝট করে আমার বুক থেকে মুখ তুললো। অস্ফুট শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে এলো, আবার!
এখনো কাজ শেষ হয়নি।
তুইতো সব লিখিয়ে নিলি।
লেখাতেই সব শেষ হয়।
তোকে দু’দিন পর কাছে পেলাম, আর ভালো লাগছেনা।
তুই অবুঝপনা করিসনা।
মিত্রা আমার চোখে চোখ রাখলো।
মনে থাকে যেনো তুই আমি ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তি কেউ জানবেনা।
মিত্রা মাথা দোলালো।
আমি ফোন করলাম।
ফোনের ভয়েজটা আস্তে করে দিলাম। ঘরের বাইরে যাবেনা।
হ্যাঁ অনিদা বলো।
তুই এখন কোথায়।
নিউজরুমে।
আর কে আছে।
আমি তোমার টেবিলে, আশে পাশে কেউ নেই।
কাল থেকে তোকে একটা দায়িত্ব দেবো। পারবি।
নিশ্চই। তুমি মরতে বললে মরে যেতে পারি।
তাহলে অনিদা হবি কি করে।
হো হো করে হেসে ফেললো অর্ক। বলো।
তুই কোন এলাকায় থাকিস।
সিঁথি।
বাঃ শ্যামবাজর তোর কাছেই।
হ্যাঁ।
রাজনাথবাবুকে চিনিস।
চিনবোনা মানে, রাম ঢেমনা।
কি করে জানলি।



তোমাকে কয়েকটা লেখা দেবো একটু পরে দেখো।
ও কিন্তু রাজ্য কমিটিতে রয়েছে।
জানি।
তার মানে তুই পড়াশুনো করছিস।
তেড়ে করছি। তুমি যেভাবে বলেছো ঠিক সেই ভাবে।
গুড। কালকে সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত ওকে ফলো করতে হবে। ম্যায় ও কখন পটিতে যাচ্ছে কতটা সময় কাটাচ্ছে। কি বলতে চাইছি বুঝতে পারছিস।
ডিটেলস। আর্ট ফিল্ম।
না তোর হেডে বুদ্ধি আছে।
হো হো হো। হয়ে যাবে তুমি নিশ্চিন্ত থাকো।
ছবি।
কথা দেবোনা। ওটা একটু টাফ।
চেষ্টা কর। শোন।
বলো।
ঘন্টায় ঘন্টায় আমাকে ম্যাসেজ করবি। ডিটেলসে।
হয়ে যাবে।
এবার বল কি করে করবি।
ওটা আমার ওপর ছেড়েদাও।
গিয়ে বলবি, আমি এই কাগজ থেকে আসছি।
খেপেছো পাকা ঘুঁটি কেঁচে যাবে। রাম কেলানি খাই আরকি।
তাহলে।
তোমার মতো বেশ্যা পট্টির দালাল হবো ওই চারদিন।
হো হো করে হেসে ফেললাম।
হ্যাঁগো অনিদা, দারুণ ইন্টারেস্টিং তোমার গল্পটা শোনার পর ওই তল্লাটে কতবার গেছি তুমি জানো।
কতবার।
বার পঞ্চাশেক হবে।
তার থেক ওই মাল বেরিয়ে এসেছে।
হ্যাঁ অনিদা।
মাঝে মাঝে ভাবি জীবনে থ্রিল না থাকলে সাংবাদিক হয়ে লাভ নেই। তার থেকে পাতি কেরাণী হওয়া ভালো।
শোন, সন্দীপ যেনো জানতে না পারে।
যে মাটিতে দাঁড়িয়ে সাধনা করবো সেই মাটি পর্যন্ত জানতে পারবেনা।
বাবা তুইতো সব মুখস্থ করে ফেলেছিস।
তোমার ডায়লগগুলো কেমন দিচ্ছি বলো।
পাবলিক কিরকম খাচ্ছে।
সত্যি বলবো অনিদা।
বল।
তোমার ডায়লগ বেচে তিনটে চেলুয়া তৈরি করেছি। সন্দীপদার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছি। ট্রনিং প্রিয়েড চলছে।
চালিয়ে যা। মনে রাখিস ব্যাপারটা।
তুমি নিশ্চিন্তে থাকো। আটটা থেকে ম্যাসেজ শুরু করবো।
গুড নাইট।
না। শুভ রাত্রি।
হো হো করে হেসে ফেললাম।
রাখি।
রাখ।
ফোনটা রাখতেই মিত্রা আমার ঠোঁটে চাকুম চাকুম করে গোটা দশেক চুমু খেলো। আমার চোখে চোখ রাখলো। এচোখের চাহুনিতে পরিতৃপ্ততা। আনন্দ অশ্রুসিক্ত।
কি হলো।
আমাকে একটু ট্রেনিংদে।
নিচ্ছিশতো।
ওদের মতো করে।
এ জন্মে হবেনা।
তনুকে কি করে তৈরি করলি।
তনু, মিত্রা দুজনে আলাদা।
আমি তনু হবো।
তাহলে বুবুন মিত্রাকে ছেড়ে চলে যাবে।
না।
তাহলে হবে না।
তুই ভীষণ স্বার্থপর।
ঠিক। ইসলামভাই কি বললো।
তুই টয়েলেটের নাম করে হাওয়া হয়ে গেলি, আমি জিজ্ঞাসা করলাম। একটা বড় নিঃশ্বাস ফেলে বললো। আমি, দামিনী ওর বুদ্ধির সঙ্গে পারবোনা। কেনোরে এই কথা বললো!
তোকে সব বললে তুই ঢাক পেটাবি।
তুই এখন থেকে আমায় বিশ্বাস করতে পারিস।
আমি তোকে অবিশ্বাস করিনা।
এই সব ক্ষেত্রে।
আমি ওর চোখে চোখ রাখলাম।
তোর চোখ বলছে তুই আমাকে এখনো ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিসনা।
তুই পরে ফেলছিস।
একটু একটু। প্রমিস করছি।

আমি মিত্রাকে আর একটু জড়িয়ে ধরলাম। ও এখন আমার শরীরে পুরোটা উঠে এসেছে। শরীরের নরম অংশ গুলো আমার শরীরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আমি অনিমেষদার সঙ্গে শেষ কথা যা হয়েছে ওকে বললাম।
তাহলে!
সেই জন্য ইসলামভাই-এর ওপর আর নির্ভর করলামনা।
আমায় বলেছে তোর সব উইং বন্ধ করে দিয়েছে।
পারবেনা।
তুই ইসলামভাই-এর থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখিস!
অবশ্যই নাহলে আমাকে মানবে কেনো।
তোর প্রাক্তন স্বামীটা কাল সকালে রাজনাথের কাছে আসবে।
ওর কথা মুখে আনবিনা।
কি বলবো।
শুয়োরের বাচ্চা বলবি।
আমি মিত্রার দিকে তাকালাম ওর চোখদুটো মুহূর্তের মধ্যে বদলেগেলো। মুখটা আমার বুকে রাখলো।
কি হলো।
সত্যিতো তুই কিইবা বলবি।
তাকা আমার দিকে।
মিত্রা মুখ তুললো।
ও একটা লাস্ট চান্সনেবে। রাজনাথকে দিয়ে অনিমেষদার ওপর প্রেসার করবে। দেখবি পর্শুদিন দুপুরের পর ও আমাকে ফোন করবে, উত্তেজিত ভাবে।
ওরা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি তার ওপর পার্লামেন্টারিয়ান। তুই পারবি!
দেখবিনা খেলাটা, একটু অপেক্ষাকর।
আমার কেমন যেন ভয় করছে।
এতদিন ভয়পেয়েও প্রুফ হতে শিখলিনা।
চেষ্টা করি। তোর মতো পারিনা। আমার বড়মা ছোটমার একি অবস্থা।
ওরা কেউ এই ব্যাপারটা যেনো না জানে।
আমার পেট থেকে বার করতে পারবেনা।
কথাটা মনে রাখিস।
একটু করি।
এখনো কথা শেষ হয়নি।
কাপরটা খুলে ফেলি।
খোল।
মিত্রা আমার বুকথেকে উঠে পরলো। ঘরের বড়লাইটটা নিভিয়ে দিলো। টান মেরে কাপরটা শরীরথেকে খুলে শোফার ওপর ছুঁড়ে ফেলে দিলো। পট পট করে ব্লাউজের বোতামটা খুলে সোফার ওপর রাখলো। আমার দিকে তাকিয়ে বললো এটা থাক।
আমি হাসলাম।
মিত্রা ব্রা-শায়া পরা অবস্থায় আমার বুকে আশ্রয় নিলো।
আবার উঠো পরলো।
কি হলো।
একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।
একটা পাতলা চাদর গায়ের ওপর টেনেনিলো। আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বললো, এবার বল।
খুব আরাম তাই না।
ও আমার নাকে ঘষে দিলো। হুঁ।
আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে।
তোর পাঞ্জাবীটা খোল।
কেনো।
ভালোলাগেনা।
আমি আধশোয়া অবস্থায় পাঞ্জাবীটা খুললাম।
মিত্রা আমার বুকে বুক রেখে বললো, আঃ কি আরাম।
হাসলাম।
হাসিসনা। একটু আরাম করবো তাতেও তোর হাসি।
আমার শুরশুরি লাগছে।
তাহলে খুলে ফেলি।
ফেল।
ফিতেটা খোল।
তুই খোল।
অনেক ঝামেলা, থাক। তোর দরকার হলে খুলে নিবি।
আমি ওর ব্রার ফিতেটা খুলে দিলাম।
এইতো আমার লক্ষীছেলে।
আমার ঠোঁটে চকাত করে একটা চুমু খেলো। মাথার শিয়রে ব্রাটাকে ছুঁড়ে ফেলদিলো।
এবার বল।
বললে তুই আবার খেপে যাবিনাতো।
কেনো তুই কি বলবি।
বল আগে খেপবিনা।
না।
তোর ডিভোর্সের কাগজটা কোথায়।
আমার কাছে।
অরিজিন্যাল না ডুপ্লিকেট।
অরিজিন্যাল। হাইকোর্ট থেকে আমি সই করে তুলেছি।
আমাকে একটু দেখাতে হবে।

বাড়িতে আছে। কলকাতায় গিয়ে তোকে দেবো।
আর একটা কথা।
বল।
পর্শু শুক্রবার তার পরের শুক্রবার আমরা রেস্ট্রি করবো।
মিত্রা আমার চোখে চোখ রাখলো। মনিদুটো স্থির। চোখের পাতা দুটো ভারি হয়ে এলো। থিরি থিরি কাঁপছে। ওর বুকের লাবডুব শব্দটার গতি বেরে গেছে। আমি আমার বুক দিয়ে তার স্পন্দন শুনতে পাচ্ছি। চোখের পাতা পরলো। গাল বেয়ে জল আমার বুকে গড়িয়ে পরলো। মিত্রা হেসে ফেললো। আমি আমার দু’হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ওর চোখের পাতা মুছিয়ে দিলাম। ও আমার বুকে মাথা রাখলো।
তুই সত্যি রেস্ট্রি করবি।
কেনো তোর বিশ্বাস হচ্ছে না।
মিত্রা আমার বুকে মাথা দোলালো। না।
কেনো!
জানিনা।
এত দুর্বল হলে বুবুনের সঙ্গে চলবি কিকরে।
আমি সবল হলে এই দুর্দশা আমার হয় ?
আমি মিত্রাকে জড়িয়ে ধরে একপাক ঘুরে গেলাম। মিত্রা এখন আমার বুকের ঠিক নিচে। মিত্রা ফিক করে হেসে ফেললো।
হাসলি কেনো।
তোর দুর্বল জায়গাগুলো সবল করতে হবেতো।
শয়.....।
আমি মিত্রার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলাম।
মিত্রা চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। আমার জিভ ওর মুখের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ওর মুখে পরিতৃপ্ততার ছোঁয়া। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ জিভটা বার করে নিলাম। ও চোখ খুললো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
কিরে। চোখে লজ্জা লজ্জা ভাব।
আমার মাথাটা যাপ্টে ধরে মুখের কাছে টেনে নিলো।
কিছুক্ষণ আমার সারাটা মুখে জিভ ছোঁয়ালো।
আমার শায়াটা ভিঁজিয়ে দিলি।
আমি ভেঁজালাম না আমার নাম করে নিজেই ভেঁজাচ্ছিস।
আমারও ভিঁজে গেছে।
হাসলাম।
কতদিন বাদে করছিস বলতো।
দেবাশীষ আজকে অদিতিকে খুব জোর করছে।
হ্যাঁ। তুই দেখতে পাচ্ছিস। খোলনা এটা একটু ধরি।
তুই খোল।
ওঠ একটু।
আমি মিত্রার ওপর থেকে পাশে শুলাম। মিত্রা নিজেই টপাটপ সব খুলে ফেললো। কিরে তোরটা কি বড় হয়ে গেছে।
দে তোরটায় হাত দিয়ে বলছি ছোটো আছে কিনা।
ধ্যাত।
মিত্রা আমার বুকে চলে এলো। বুকে চুমু খেলো।
বুবুন।
উঁ।
নীপা মনেহয় মরেছে।
তারমানে।
নির্মাল্য পটিয়ে নিয়েছে।
যাঃ।
হ্যাঁরে। মাঝে মাঝেই নীপা আর নির্মাল্যকে দেখা যাচ্ছে না।
ইস।
কিহলো!।
ভেবেছিলাম নীপাটার লালা ফিতে আমি কাটবো।
শয়তান দেবোনা।
কেনো। তোর অসুবিধে আছে।
আছে।
তুই কিন্তু ঘষা ঘষি শুরু করে দিয়েছিস।
আমার ধৈর্য্য ধরছেনা।
আস্তে আস্তে ম্যাডাম, তাড়াহুড়ো করলে মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
আজকে ওরা দুজনে আবার বাইরে শুয়েছে।
করুক বয়স হয়েছে।

ইস নীপাটা কি কচিরে।
খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি।
কেনো তোর জ্যোতিষি বলেছে আমার কপালে অনেক জুটবে।
আমার চোখের আড়ালে যা ইচ্ছে করিস দেখতে যাবোনা।
তারমানে একা একা থাকলে নীপাকে করতে পারি।
ওরে শয়তান পেটে পেটে এতো বুদ্ধি।
ওরে বাবারে।
দেবো ফাটিয়ে।
কিরে ঢুকিয়ে নিয়েছিস।
মিত্রা হাসছে।
বুঝতে পারলি। কেমন পাকা খেলোয়াড় হয়ে গেছি।
কতদিনের অভিজ্ঞতা।
দাঁড়া পুরোটা ঢুকিয়ে নিই।
আমি মিত্রার ঠোঁটটা চুষতে আরম্ভ করলাম। বুঝতে পারছি মিত্রা আস্তে আস্তে চাপ বারিয়ে গোগ্রাসে আমার সোনামনিকে ওর মুন্তির মধ্যে ঢুকিয়ে নিচ্ছে।
তোরটা কি বড়ো আর শক্ত হয়েগেছে।
হাসছি।
হাসবিনা।
তোর লাগছে।
লাগবেনা।
তুই ওরকম পেটুক হলে বিষম লাগবেই।
একটু নরম করনা।
নীচে আয়।
না। আমি করবো।
কর তাহলে।
উরি বাবারে কি জ্বালা করছে ভেতরটা।
একটু মুখদে।
না।
কেনো।
তর সইছেনা।
তাহলে যা পারিস কর।
ভেতরে ঢুকিয়ে আমাকে তোর ওপর শুতে দিবি।
হাসলাম।
বলনা।

দেবো।
মিত্রা ঝট করে আমার ওপর থেক উঠে পরলো। আমি উঠে বসে ওকে জাপ্টে ধরলাম। বুকে মুখ দিলাম। নিপিলদুটো মটরদানার মতো ফুলে ফুলে উঠেছে।
আমি ওকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিলাম। নিপিল থেকে ঠোঁট তুলে বললাম তোর এটা এতো লালা কেনোরে ?
চুষলি, দাঁত দিলি। লাল হবেনাতো কি কালো হবে।
আমি ওর দিকে দুষ্টুমি চোখে তাকালাম।
ওরকম ভাবে তাকাচ্ছিস কেনো।
আমি ছাড়াও আরকেউ মুখ দিয়েছিলো।
দিলো আমার পিঠে একটা ঘুসি। শয়তান।
আমি ওকে জাপ্টে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
মারলি কেনো।
বেশ করেছি। তুই ওই কথা বললি কেনো।
আমি আবার ওর ঠোঁটে চুমু খেলাম। ওর দিকে তাকিয়ে আছি। মিত্রার চোখে অনেক না বলা কথা।
বুবুন।
উঁ।
এই দিকেরটায় একটু জিভ দে।
আমি ওর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বামদিকের নিপিলে মুখ দিলাম। হাতটা অটোমেটিক নিচে চলেগেলো। কতক্ষণ ওর বুকে মুখ দিয়েছিলাম জানি না। ও আমার মাথায় স্নেহের স্পর্শ রেখে চলেছে। মাঝে মাঝে নড়ে চড়ে উঠছে। শরীরে ওমের উত্তাপ বাড়ছে।
কিরে একেবারে কাদা করে ফেলেছিস।
আমি করেছি। তুইতো করলি।
নে আমার কোলে আয়।
না, আমি শুয়ে থাকি, তুই কর।
কেনো।
এ মাসে ডেট পেরিয়ে গেছে। এখনো হয়নি।
তারমানে।
জানিনা।
কিরে বাধিয়েছিস নাকি!
কি করে বলবো।
এঁ।
হলে হবে।
আমি কি এতদিন উপোস থাকবো নাকি।
জানিনা যা।
তাহলে কোরবো না।
করনা। এখনোতো হয়নি।
বড়মাকে আওয়াজ দিয়েছিস।
হাল্কা।
কাম সারছে। তুই আমার প্রেসটিজে একবারে গ্যামাকসিন মেরে দিলি।
ছাড়। তোর কাছে জীবন চেয়েছিলাম তুই দিয়েছিস।
এই দেখ, তোর এই সব কথা শুনে আমারটা কেমন ঘুমিয়ে পরলো।
এবার দে ঢুকে যাবে তখন তুই হাতির ঠ্যাঙের মতো মোটা করেছিলি।
আজ থেক আর করবোনা।
উঃ তুই করনা।
মিত্রা শুয়ে আছে। আমি ওর দু’পায়ের মাঝখানে বসলাম। দাঁড়া টর্চ জ্বালিয়ে দেখি।
না দেখবিনা।
তার মানে তুই কোনো ঢাপলা কেশ করেছিস।
বড়মা বলেছে মেয়েদের মাঝে মাঝে এরকম হয়।
ডাক্তারদাদার কানে গেছে।
আমাকে কিছু বলেনি।
দাদা মল্লিকদা কি মনে করবে।
ইস কচি খুকী যেনো। বয়স অনেক হয়েছে। এখন হবেনাতো কবে হবে।
বুঝেছি তুই আমার সঙ্গে গটআপ গেম খেললি। সেদিন তুই তাই বার বার বলছিলি, আর একটু থাক না। আমি এমন ভাবে মুখ ভেঙচিয়ে বললাম। মিত্রা খিল খিল করে হেসে ফেললো।
আমি আবার ওর বুকে আছাড় খেয়ে পরলাম। কিরে সত্যি করে বলনা। অমন করছিস কেনো।
তুই চাসনা আমি মা হই।
অবশ্যই চাই, কিন্তু তোর এখনো অনেক কাজ বাকি।
আমার কাজ করতে ভালো লাগেনা। তুই কর। যেখানে সই করতে বলবি সই করে দেবো।
এ কেমন কথা।
মিত্রা আমার মাথাটা ঠোঁটের কাছে টেনে নিলো। 
 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks