দেখি নাই ফিরে - (Part-46)

ঝিমলির বুক কেঁপে কেঁপে উঠলো। বুকের নিপিল দুটো ফুলে শক্ত হয়ে গেছে। আমি শেষচাপটা দিয়ে ওর বুকে ঢলে পরলাম। ঝিমলি আমার পিঠে ওর নরম হাত রাখলো। ওর পুশির ভেতরটা ভীষণ গরম আগেও ঝিমলির সঙ্গে সেক্স করেছি। কিন্তু আজকে কেন জানিনা মনে হচ্ছে ওর পুশির ভেতরটা ফার্নেসের মতো গরম। বেশ ভালো লাগছে। ঝামলির মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। ঝিমলির আধ খোলা চোখের মনিদুটো থিরিথিরি করে কাঁপছে।
ঝিমলি কষ্ট হচ্ছে।
না।
তাহলে চুপচাপ।
তোমার উষ্ণ স্পর্শের অনুভূতি তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছি।
কিছুক্ষণ চুপচাপ। ঝিমলি কোমর নাড়াচ্ছে। আমি দুলছি। আঃ।
কি হলো।
করো।
করছিতো।
কই করছো।
তাহলে কি ভাবে করবো।
দুষ্টু।
আমি ঝিমলির ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কোমর দোলালাম। ঝিমলি আমার জিভটা চুষতে শুরু করলো। বুঝতে পারছি ঝিমলির নোখের স্পর্শ আমার পিঠে ছবি আঁকছে।
আমি আস্তে আস্তে গতি বারালাম। ঝিমলি পাদুটো সামান্য উঁচু করলো। যেনো সম্পূর্ণ হচ্ছে না। আরো বেশি করে ভেতরে ঢোকাও। আমি ঝিমলির বাঁদিকের ফুলে মধু খেতে শুরু করলাম। ঝিমলির মাথাটা পেছনদিকে হেলে পরলো।
ঝিমলি ভেতরে না বাইরে।
তোমার এরিমধ্যে হয়ে যাবে।
তুমি বললে। তাহলে আর একটু করো। ভালো লাগছে।
আমি এবার আর একটু জোরে করতে শুরু করলাম। ঝিমলির শরীরটা দুমঢ়ে মুচড়ে কেঁপে কেঁপে উঠলো।
কি হলো।
রাখতে পারছিনা। তুমি বার করো।
ভেতরে।
না বাইরে করো। মাশের মাঝখান।
ঠিক আছে।
আমি ঝিমলির বুক থেকে উঠে দুহাতের ওপর ভর দিয়ে শেষ বারের মতো করতে শুরু করলাম। ঝিমলির সারা শরীর কাঁপছে। ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরেছে। চোখ বন্ধ। আমার দুটো হাত শক্ত করে ধরেছে। পা দুটো যতটা সম্ভব উঁচু করে দুপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার সোনামনিকে ঝিমলির পুশি থেকে টেনে বার করলাম। ঝিমলি ঝটতি উঠে বসে আমার সোনামনিকে দু’হাতে জাপ্টে ধরলো। আমার সোনামনি ওর হাতের মধ্যে কেঁপে কেঁপে উঠলো। আমি ঝিমলিকে জাপ্টে ধরে আছি। ঝিমলি আমার সোনমনিকে আদর করছে। বুঝতে পারছি। ওর হাতের ফাঁক দিয়ে আমার সোনামনির অশ্রু ওর পুশিতে গড়িয়ে গড়িয়ে পরছে।
চারিদিক নিস্তব্ধ। সামান্য বিন্দু বিন্দু ঘাম আমার কপালে। ঝমিলি আমার বুকে মুখ ঘোষছে। আমি বুকথেকে ওর মুখ তুলে ঠোঁট ছোঁয়ালাম। ঝিমলির মুখে পরিতৃপ্তির হাসি।
আমি হাসলাম।
সত্যি তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছে করেনা।
সব সময় এসব করাভালো নয়।
রাখতো তোমার ধর্মের কথা।
হাসলাম।
হাসছো কেনো।
খারাপ অভ্যাস।
আর কোনোদিন আসবোনা।
এটা তোমার রাগের কথা।
আমি ঝিমলির দিকে তাকিয়ে আছি। ঝিমলির ঠোঁট থিরি থিরি কাঁপছে। ওর গায়ের উষ্ণতা সামান্য কমে এসেছে। ঝিমলি আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
এবার কফি হবে।
ও চোখের পাতা কাঁপিয়ে বুঝিয়ে দিলো খাবো।
আমি উঠে দাঁড়ালাম। বাথরুমে গেলাম। ঝিমলি আমার পেছন পেছন এলো। আমি ভালোকরে পরিষ্কার হয়ে বেরোতি গিয়ে দেখলাম ঝিমলি আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
কি হলো।
আমার সৌভাগ্য তোমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরেছি।
এটা বাড়িয়ে বললে।
ঠিক আছে তোমায় একদিন নিয়ে যাবো।
আগের থেকে বলো।
আচ্ছা।
বাথরুম থেকে বেরোবার মুখে ঝিমলি আমাকে জাপ্টে ধরলো।
আবার কিহলো।
তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছে করছেনা।
আমি ওর ঠোঁটে ঠোঁট রাখলাম। ঝিমলি কলকলিয়ে উঠলো।
ঘরে এসে প্যান্ট গেঞ্জি চাপালাম। বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। জিনসের জ্যাকেটটা আলমাড়ি থেকে বারকরলাম। ট্রেটানিয়ে রান্নাঘরে গেলাম। ঝিমলি এখনো বাথরুম থেকে বেরোয়নি। আমি কাপ-ডিস ধুয়ে কফি বানালাম। ঝসে দেখলাম ঝিমলি ব্রেসিয়ারের ফিতে লাগাচ্ছে। আমাকে দেখে ফিক করে হেসে ফেললো।
আমি খাটের ওপর ট্রেটা রেখে রান্নাঘরে গেলাম। বিস্কুটের কৌটো নিয়ে এলাম।
ঝিমলি রেডি। ওর ব্যাগথেকে চিরুনিটা বার করে আমার আলমাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে।
কোথায় গেছিলে।
বিস্কুটের কৌটটা নিয়ে এলাম।
তুমি সত্যি এক্সপার্ট।
তুমি।
আমার কথা ছাড়। তোমার কাছে আমি ফাউ।
চলে এসো।
অনিদা তুমি কি তন্ত্র-টন্ত্র পরো নাকি।
কে বললো।
বইটা দেখলাম।
ওই একটু আধটু পরি। জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করি।
ঝিমলি একটা বিস্কুটতুলে দুই ঠোঁটের মাঝখানে রেখে মিষ্টি করে ভাঙলো। আমি কফির কাপে চুমুক দিলাম।
তোমার মা আমাদের সঙ্গে ভালব্যবহার করছেনা।
আমার মা!।
হ্যাঁ।
কি রকম।
আমাদের কাগজে এ্যাড না দিয়ে অন্য কাগজে বেশি করে দিচ্ছে।
ঝিমলি হো হো করে হেসে ফেললো।
হাসছো।
আজই মাকে গিয়ে বলছি। অনিদা তোমার নামে এই কথা বললো।
আমি সত্যি বলছি। গত তিনমাসে তোমার মার দপ্তর মাত্র গুটো এ্যাড দিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য কাগজ অনেক বেশি টাকার এ্যাড পেয়েছে।

ঠিক আছে বাবা ঠিক আছে তোমাকে দুঃখ করতে হবে না। এমাস থেকে তোমার কাগজে বেশি করে এ্যাড পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
তুমি তাড়াতাড়ি ডাক্তারিটা পাশ করেনাও তোমাকে আমার দরকার আছে।
সত্যি।
সত্যি।
আমাকে তোমার কিসের দরকার রিপোর্টারি করাবে।
না তোমাকে তোমার ফিল্ডেই রাখবো।
বাঃ পড়ার আগেই চাকরি পাকা হয়েগেলো।
তোমার পড়া শেষ হোক দেখতে পাবে।
আমাদের বাড়িতে কবে যাবে।
দিন পাঁচেক ভীষণ ব্যস্ত থাকবো। তুমি একটা ফোন করো। বলেদেবো।
তোমাকে ফোন করলে পাওয়া যায়।
এইতো তোমার সঙ্গে কথা বলছি আমার মোবাইল সুইচ অফ। গত দেড়ঘন্টা সুইচ অফ হয়ে পরে আছে।
তারমানে!।
সত্যি তুমি দেখো।
তারমানে তুমি যার সঙ্গেই কথা বলবে ফোনটা সুইচ অফ থাকবে।
প্রায়শই এটা করে থাকি। নাহলে কথাবলে মজা পাইনা।
তুমিতো ট্রিমেন্ডাস।
নাহলে যার সঙ্গে কথা বলছি সেও বিরক্ত হয় আমারও কথা বলার রিদিম কেটে যায়। এই জন্য আগে মোবাইল ব্যবহার করতাম না। ইদানীং করছি।
ঝিমলি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে।
তুমি সত্যি অদ্ভূত মানুষ। জীবনে প্রথম এইরকম একজন মানুষ দেখলাম।
চলো এবার উঠি। অনেক কাজ আছে।
ট্রেটা হাতদিতেই ঝমলি বললো তুমি গোছাও আমি ধুয়ে দিচ্ছি।
না না তুমি আমার গেস্ট।
ঠিক আছে আজকে করেদিই আর করবো না।
ঝিমলি রান্নাঘরে চলেগেলো। আমি সব গুছিয়ে একটা ব্যাগে ঢোকালাম। ঝিমলি বেরিয়ে এলো।
রেডি।
হ্যাঁ।
দাঁড়াও একটু খানি।
ঝিমলি ওর হাত ব্যাগটা থেকে একটা লিপস্টিকের স্টিক বার করলো। ঠোঁটটা রাঙিয়ে নিলো। আমার দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় হাসলো।
ঠিকআছে।
আমি বুঝিনা।
ঝিমলি হো হো করে হেসে ফেললো।
ঘরের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে এলাম। কথা বলতে বলতে গেটের বাইরে এলাম।
তুমি একন কোথায় যাবে।
বাড়ি।
চলো তোমায় নামিয়ে দিয়ে চলে যাই।
না তুমি যাও আমি চলে যেতে পারবো।
আমি ঝিমলিকে ছেড়ে দিয়ে রাস্তার এপারে এলাম। একটা ট্যাক্সিধরে সোজা দাদার বাড়িতে চলে এলাম। ছগনলাল গেটের মুখে টুল পেতে বসে আছে। আরো দুচারজন দেশওয়ালী ভাইকে দেখতে পেলাম। জমিয়ে গল্প করছিলো। আমাকে দেখে উঠে দাঁড়ালো। ছোটোবাবু।
ঘরের চাবি কার কাছে।

আমার কাছে।
দাও।
ছগনলাল নিজের ঘরে গেলো। চাবি নিয়ে এলো। ফোনটা অন করলাম। অনেক গুলো মিসকল দেখতে পেলাম। হু হু করে ম্যাসেজ ঢুকলো। আমি কোনো দিকে না তাকিয়ে রতনকে ফোন করলাম।
অনিদা বলো।
কোথায় আছিস।
হোটেলে। তোমায় অনেকক্ষণ থেকে ফোন করছি সুইচ অফ।
ঠিক আছে। তুই সব নিয়ে দাদার বাড়িতে চলে আয়। চিনিস তো।
হ্যাঁ।
আমি পৌঁছেগেছি। অবতার কোথায়।
ওই ডেরায়।
ওখানে কে আছে।
আবিদ আছে।
ওকেও তুলে নিয়ে চলে আয়।
ঠিক আছে।
ফোনটা কেটে দিলাম।
হিমাংশুকে ফোন করে বলেদিলাম। দাদার বড়ি চলে আয়। এখানে বসেই সব হিসেব করবো।
আমার একটু যেতে দেরি হবে।
দেরি করিসনা। ওরা আধাঘন্টার মধ্যেই চলে আসবে।
দেখছি যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব যাচ্ছি।
আচ্ছা।
ছগনলাল চাবি এনে দিলো।
চা খাবে।
খাবো। শোনো অনেকে আসবে এলে আমায় ডাকবে। আমি আমার ঘরে থাকবো।
আচ্ছা ছোটবাবু।
আমি বাগান পেরিয়ে সিঁড়িদিয়ে ওপরে চলে এলাম। ঘর খুললাম। বেশ টিপটপ। দাদাকে একটা ফোন করলাম।
হ্যালো তুই কোথায়।
বাড়িতে। কেনো।
তুই বললি ছটার সময় আসবি।
অফিসে আর যাবোনা।
বুঝেছি।
রাখছি।
আচ্ছা।
বাথরুমে গেলাম। ব্যাগথেকে সমস্ত কিছু বার করে টেবিলের ওপর রাখলাম। বাথরুমে গেলাম। হাতমুখ ধুয়ে বেরোতেই দেখি ছগনলালা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে।
কি হলো।
চা নিয়ে আসি।
এসো।
ছগনলাল অদৃশ্য হয়ে গেলো।
আমি টেবিলের ওপর থেকে এ্যালবামটা নিয়ে দেখলাম। কতদিন পর হাত দিচ্ছি মনে করতে পারিনা। বেশি ছবি নেই মায়ের বিয়ের কয়েকটা ছবি। আমার ছোটবেলার কয়েকটা ছবি মায়ের বিয়ের আগে একটা ছবি আর বাবার বিয়ের আগে একটা ছবি। সর্বসাকুল্যে গোটা পনেরো ছবি আছে। পাতা উল্টে উল্টে দেখছিলাম। আমার নেংটোছবি আছে। খামারে দাঁড়িয়ে আছি। পেছনে সেই বেলগাছটা। দেখে বোঝাই যাচ্ছেনা এই ছেলেটি আজকের অনি। নিজে নিজে হেসে ফেললাম।
ছগনলাল চা দিয়ে গেলো।
মা-বাবার বিয়ের ফটোটা দেখলাম। বেশ দেখতে লাগছে মাকে। অনেকে বলে আমার মুখটা নাকি মার মতো। মা মুকে ছেলে হলে নাকি ছেলেরা সুখী হয়। আমি সুখের মুখ একনো দেখতে পাই নি। লড়তে লড়তে জীবনটা শেষ। বেশ ছিলাম। হঠাৎ মিত্রা এসে জীবনটা বদলে দিলো। সব কেমন যেনো গোলমাল হয়ে গেলো। লোকে বাইরে থেকে বলে। আমার প্রচুর টাকা। চোখে দেখতে পাইনা। যা মাইনে পাই তাতে কুলোয়না। কিইবা খরচ করি। মিত্রারা ওখানে কি করছে। একবার ফোন করতে ইচ্ছে করছিলো। তারপর ভাবলাম না থাক এখন ফোন করবোনা। ওরা এমনিই আমার গল্প শুনে পাগল। তারপর ফোন করলে হার্টফেল করবে। বড়মার জন্য মাঝে মাঝে চিন্তা হয়। ভদ্রমহিলা কোনখানে ছিলেন কোথায় এলেন। তবে একজন নিপাট গৃহবধূর থেকে বেশ আছে। ছোটমার কথা জানতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ভেতর ভেতর ভীষণ ভয় করে। যদি স্বপ্নের দেখা ছোটমা সত্যি হয়ে যায়। আমি হয়তো পাগল হয়ে যাবো। লোকটাকে খুন করে দেবো।
ছোটোবাবু।
ছগনলালের ডাকে চমকে উঠলাম। পায়ে পায়ে উঠে বারান্দায় দাঁড়ালাম। দেখলাম গেটের মুখে রতন দাঁড়িয়ে পেছনে তিনটে গাড়ি। খুলেদাও। গাড়ি ভেতরে রেখে দাও। ভেতরে এসে বসলাম। আজ হিসাব একেবারে পাকা করে ফেলতে হবে।
ইজিচেয়ারটায় এসে বসলাম। আজ আমি রাজা। রাজার মতো ব্যবহার করতে হবে। আজ মিঃ ব্যানার্জী মিত্রার স্বামী নয়। সেই সম্মানটুকু তাকে দেবো না। সকাল বেলা আমায় স্কাউন্ড্রেল বলেছে। হিসাব আমাকে চোকাতেই হবে।
রতন ঘরে ঢুকলো। পেছন পেছন মিঃ ব্যানার্জী, অবতার আরো তিনচারজন। সবার পেছনে আবিদ। হাতে একটা বড়ো ভিআইপি স্যুটকেশ।
অবতার ঘরে ঢুকেই ছুটে এসে আমার পা ধরে বসে পরলো। আমাকে বাঁচাও অনিদা। রতন মেরে ফেলবে।
স্যুটকেশ কোথায় রাখবো অনিদা। শালার নক্সা দেখছো রতনদা।
দিচ্ছি শালাকে দাঁড়া।
এখানে নিয়ে আয়।
তোরা সব খাটে বোস।
মিঃ ব্যানার্জীর মুখটা শুকিয়ে আমসি হয়ে গেছে।
আমি নির্লিপ্ত মুখে বসে আছি। বুঝতে পারছি আমার ভেতরের হিংস্রবাঘটা জেগে উঠেছে।
রতন খিস্তি করে চেঁচিয়ে উঠলো। অনিদা। যখন স্কিম করেছিলি তখন অনিদার কথা মনে পরেনি। দাঁড়াও নিচটা একটু ঠিক করে দিয়ে আসি।
আর কারা এসেছে।
সব আমার লোক। তোমাকে কোনো চিন্তা করতে হবেনা।
বুঝতে পারছি মিঃ ব্যানার্জীর পা ঠর ঠর করে কাঁপছে। এই অনিযে সেই অনি নয় সেটা উনি বুঝতে পেরেছেন।
রতন গিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কিযেন বললো। তারপর ভেতরে এলো।
কিরে অবতার তোর সঙ্গে মিঃ ব্যানার্জীর পরিচয় হলো কি করে।
বিশ্বাস করো আমি কোনোদিন দেখিনি। আজ দেখলাম।
তাহলে তোর নাম করে অফিসের লোকগুলোকে এতদিন চমকালো।
তুমি জিজ্ঞাসা করো আমাকে আগে দেখেছে কিনা।
মিঃ ব্যানার্জী। অবতারকে আগে দেখেছেন।
উনি মাথা নীচু করে বসে আছেন।
মাথানীচু করে বসে থেকে লাভ নেই। আমার হিসাব পরিষ্কার।
তুমি বিশ্বাস করো। মল ওর ফোন নম্বর দিয়েছিলো। আমি ওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম।
ওটা আমার ফোন নম্বর না।
কার।
সাগিরের।
ওরে বাবা তোর দমতো প্রচুর। একদিন তোকে আঁস্তাকুড় থেকে তুলে এনেছিলাম। মনে পরে সেই দিনটার কথা।
তুমি বিশ্বাস করো।
তোর এতো বড়ো ক্ষমতা তুই ইসলামভাইকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিস।
আমি না।
তাহলে কে।
সাগির।
তোকে যা জিজ্ঞাসা করবো সব সাগির।
তোমাকে মিথ্যে কথা বলবোনা।



কবিতাকে ফোন কর।
তুমি ওকে বলোনা।
ওকে আগে ফোন কর।
তোমার পায়ে পরি। রতন বাঁচাবে। কবিতা আমাকে খুন করে ফেলবে।
ঘরে পিন পরলে শব্দ হবে। রতন কিছুই বুঝতে পারছেনা। ওরা আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছে। ওদের চোখে বিষ্ময়।
আমি তোমার পায়ে পরি তুমি যা বলবে তাই করবো।
কবিতাকে ফোন কর।
ও কিছু জানে না।
জানি।
তোকে যা বলছি তাই কর। নাহলে রতনকে বলবো এখুনি টুকরো করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে।
তুমি ফোন করো আমি নম্বর দিচ্ছি।
আমি প্যান্টের পকেট থেকে ফোন বার করলাম। নম্বর বল। অবতার নম্বর বললো। আমি ডায়াল করলাম ভয়েজ অন করলাম। মহিলা কণ্ঠস্বর। হ্যালো।
কবিতা।
হ্যাঁ।
কে বলছি বলতো।
কে গো। গলাটা চেনা চেনা মনে হচ্ছে।
অনিদা।
অনিদা! আমার কি ভাগ্যগো তুমি আমায় ফোন করেছো। আমার কথা তুমি ভুলেই গেছো।
না ভুলিনি। কেমন আছিস।
ভালো।
ছেলে কতবরো হলো।
তিনবছর।
এখন মামা বলতে পারবে।
বেশ পারবে। সেই তুমি ওর জম্মের সময় এসেছিলে।
হ্যাঁরে। তারপর এতো ঝামেলায় জড়িয়ে পরলাম।
মাসির কাছে একদিন গেছিলাম। মাসি বললো তুমি কাগজের মালিক হয়েছো।
তুই মাসিকে কি বললি।
আমি বললুম অনিদা আমাকে চিন্তে পারবে না। তুমি আমার ফোন নম্বর পেলে কোথায় গো। মাসি দিলো।
না। তোর বর।
ও শুয়োরের বাচ্চাটা কোথায়গো।
আমার সামনে বসে আছে।
তোমার ওখানে কেনো। কোনো গন্ডগোল করেছে।
হ্যাঁ।
কি বলোতো।
ইসলামভাইকে খুন করার ছক কষেছে।
শুয়োরের বাচ্চা ইসলামভাইকে খুন করার ছক কষেছে। খানকির ছেলেকে তোমার কাছে রাখো আমি যাচ্চি। ওকে আজ আমি কেটে কুঁচিয়ে গঙ্গায় ভাসাবো।
তোর কথা সব শুনতে পাচ্ছে।
ওর গলাটা শোনাওতো আমায়।
কথা বল। অবতারের দিকে তাকালম।
বল।
কিরে খানকির ছেলে। জানিস ইসলামভাই কে।
তুই বিশ্বাসকর কবিতা।
শুয়োরের বাচ্চা বিশ্বাস। অনিদা তুমি কোথায়গো বাড়িতে না অফিসে।
বাড়িতে।
আমি যাচ্ছি এখুনি।
শোন না আমার কথা।
বলো।
ও বলছে সাগির ওকে বলেছে।
ওই আর একটা খানকির ছেলে। দুজনে মিলে নতুন দল করছে। ইসলামভাইকে ধসাবার জন্য।
সাগিরকে আমার চাই।

তুমি অপেক্ষা করো আমি নিয়ে যাচ্ছি।
তুই আসতে পারবি। না কাউকে পাঠাবো।
কাউকে পাঠাতে হবে না। তোমার কাছে নুন খেয়েছি। কবিতা একাই একশো।
রতন আবিদ ওদের চিনিস।
নাগো অনিদা। ওরা কার লোক।
ইসলামভাই-এর।
রতন তুই কবিতাকে চিনিস।
না।
আমি চিনি রতনাদা একটা ছেলে বললো।
তুই চিনিস।
হ্যাঁ। বজবজে একডাকে ওকে চেনে।
কিরে তুই নাকি মস্তান হয়ে গেছিস।
বাঁচার জন্যগো অনিদা।
আসতে পারবি।
তোমায় চিন্তা করতে হবেনা। আমি ঠিক চিনে চলে যেতে পারবো। ট্রাংগুলার পার্কে তোমার ওই দাদার বাড়ি।
হ্যাঁ।
এটা তোমার ফোন নম্বর।
হ্যাঁ।
আমার কাছে রাখলুম।
রাখ। তুই এলে ব্যবস্থা করবো।
তোমায় ব্যবস্থা করতে হবে না। আমি করে দেবো। এতবড় সাহস ইসলামভাই-এর গায়ে হাত দেবে। শুয়োরের বাচ্চার কটা বাপ আছে দেখি।
তুই আয়। অসুবিধে হবে নাতো।
নাগো না।
কাছাকাছি এসে একটা ফোন করবি।
ঠিক আছে।
অনিদা তুমি বাঁচাও। বিশ্বাস করো।
সত্যি কথা বল।
সাগির ডাক্তার আর মলের কাছ থেকে পয়সা নিয়েছে।
কত।
আমি জানিনা। আমায় একলাখ দিয়েছে।
কাকে খতম করার জন্য।
সত্যি কথা বললে রতন মেরে ফেলবে।
সত্যি কথা বল রতন মারবেনা।
তোমাকে আর ইসলামভাইকে।
উরি বাবা। এতো বড় স্কিম।
অবিদ ঠেসে একটা লাথি মারলো অবতারের পেটে। শুয়োরের বাচ্চা দম কতবড়ো। অনিদাকে খতম করবে।
ডাক্তার তোমরটা তোলা রয়েছে। অনিদা তোমাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবেনা। তুমি দিদির সর্বনাশ করেছো। সব জানি। খালি অনিদার মুখ চেয়ে তোমাকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। আজ হিসাব হয়ে যাক তারপর তোমার ব্যবস্থা করছি।
কি ডাক্তার। কি বুঝছেন।
তুমি বিশ্বাস করো অনি তুমি যা বলবে তাইতে আমি সই করে দেবো।
ছোটোবাবু।
দেখতো আবিদ কে এসেছে।
একটা ছেলে বেরিয়ে গেলো। বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছগনলালের সঙ্গে কথা বলে ফিরে এলো।
হিমাংশুদা এসেছে।
আবিদ ওপরে নিয়ে আয় ছগনলালকে বল চা করতে।
আবিদ বেরিয়ে গেলো।
রতন তুই কবিতাকে দেখিস নি।
না অনিদা।
দামিনী মাসির ওখানে কিছুদিন ছিলো। সাগরদ্বীপ থেকে ওকে তুলে নিয়ে এসেছিলো। তারপর আমি মাসিকে বলে ওপরের ঘরে ওকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। অবতার তখন মাসির ফাই ফরমাস খাটে।
হ্যাঁ হ্যাঁ আবঝা আবঝা মনে পরছে। তোমার কাছে বসে বসে পরতো।
হ্যাঁ।
ও এখন কোথায় থাকে। নুঙ্গি।
অবতার। রতন ষাঁড়ের মতো চেঁচিয়ে উঠলো
আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখেনিলাম। দরজা জানলা সব বন্ধ আছে।
তুই বিশ্বাস কর রতন সব শালা সাগির জানে। তুই সাগিরকে চাপ দে বেরিয়ে যাবে। তুই আমাকে ফালতু তুলে আনলি।
তোকে বলেনি অনিদার কথা।
বলেছে। আমি ওকে কিছু বলিনি। খালি টাকাটা খেয়ে নিয়েছি। আমার দলটা চালাতে হবে।
দল চালাচ্ছি তোকে।
ওরে বাবারে। আবার একটা লাথি মারলো রতন।
খানকির ছেলে দল।
হিমাংশু ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে গেলো।
আয় ভেতরে আয়।
তুই করেছিস কি। আমারতো ভয় করছে।
ভয়ের কিছু নেই। এরা না থাকলে আমি হয়তো হজম হয়ে যেতাম।
শুয়োরের বাচ্চা আমরা এখনো অনিদার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারিনা। তুই শালা অনিদাকে হজম করবি।
আবার একটা লাথি মারলো রতন।
কি মিঃ ব্যানার্জী কিছু বুঝছেন। আপনারও ব্যবস্থা হচ্ছে।
আমি উঠে দাঁড়ালাম মিঃ ব্যানার্জী আমার পা ধরে ফেললেন।
পা ধরে কিছু লাভ হবেনা। অনেক পাপা করেছেন তার ফল ভোগ করতে হবে।
হিমাংশু ওই ঘরে চল। রতন আমি একটু আসছি দাঁড়া। আবিদ। বাবা স্যুটকেসটা নিয়ে আয়তো।
হিমাংশুকে নিয়ে ছোটমার ঘরে এলাম। বললাম এই স্যুটকেসের মধ্যে সব আছে। দেখেনে। সব লিখিয়ে নেবো। কিছু ছারবোনা।
ঠিক আছে।
আমি এই ঘরে এলাম। আবিদ চা নিয়ে এলো।
অমিতাভদাকে ফোন করে বললাম তোমরা এখন আসবেনা রাত বারোটার পর আসবে।
না আমরা এখুনি আসবো। বেরোচ্ছি। তোর বড়মা ফোন করেছিলো।
ঠিক আছে এসো। কিন্তু কোনো কথা বলতে পারবে না। কানে তুলো গুঁজে থাকতে হবে।
তাই হবে।
ফোনটা কেটে দিলাম।
ডঃ ব্যানার্জী আমার নামে শেয়ার ট্রান্সফারের সময় কোন জমিটা লিখিয়ে নিয়ে ছিলেন মিত্রার কাছ থেকে।
ক্রমশঃ

মল লিখিয়েছিলো।
কার নামে।
আমার নামে।
কোথায় আছে দলিলটা।
স্যুটকেসে আছে।
টোডি কে।
জানিনা।
রতন।
রতন দৌড়ে গেলো। শুয়োরের বাচ্চা।
বলছি। বলছি।
বলুন।
বম্বেতে থাকে।
কি করে।
ওর ব্যবসা আছে।
কিসের।
বিল্ডিং মেটেরিয়ালের।
প্রমোটার।
হ্যাঁ।
আপনার সঙ্গে সম্পর্ক।
নার্সিংহোমে একবার ভর্তি হয়েছিলো। সেই সময় থেকে।
আপনার সঙ্গে ওর বিজনেসের সম্পর্ক।
সে বলতে পারবোনা।
খানকির ছেলে। রতন এমন ভাবে তেড়ে গেলো।
বলছি বলছি।
দাদা যা জিজ্ঞাসা করবে সব সত্যি কথা বলবি না হলে এখুনি জিভ টেনে ছিঁড়ে দেবো।
সব সত্যি কথা বলবো।
কাঁচা চামড়ার বিজনেস আছে।
রতন হো হো করে হেসে ফেললো।
গান্ডু। মাগী বাজীর বিজনেস বলতে লজ্জা করছে। শালা সেগোমারানী। কটা মাগীর সব্বনাশ করেছিস।
বিশ্বাস করো।
মিত্রাকে টোডির বিছানায় তুলেছিলেন কেনো।
রতন আর থাকতে পারলোনা। সপাটে ডঃ ব্যানার্জীর গালে একটা চর মারলো।
খানকির ছেলে দিদিকে তুলেছিলি। নেপলা, দেতো মালটা শালার জিভই কেটে ফেলবো।
অনি আমার স্ট্রোক হয়ে যাবে।
হলে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবো। কাক পক্ষী টেরপাবে না।
তুমি বিশ্বাস করো।
যা জিজ্ঞাসা করলাম তার উত্তরদিন।
একটা বিজনেস ড্রিল করার জন্য। ওর প্রচুর পয়সা।
তাই নিজের বউকে ওর বিছানায় তুলে দিলেন।
তুলি নি।
তুলতে চেয়েছিলেন।
হ্যাঁ।
তখন কোন প্রপার্টিটা সই করিয়েছিলেন।
ও এখন যে বাড়িতে আছে সেইটা।
তারমানে ওইটাও মিত্রার নয়।
ডঃ ব্যানার্জী মাথা নীচুকরে বসে আছেন।
আপনি বরাহনন্দনেরও বেহদ্দ।

কি বললে অনিদা। রতন বললো।
অনিদা শুয়োরের বাচ্চা বললো। আবিদ বললো।
রতন হো হো করে হেসে ফেললো।
আবিদ হিমাংশুকে ডাক।
আবিদ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
আমি রতনের দিকে তাকালাম।
আমরা ওর কথায় গরম খেয়ে যাচ্ছি তুমি ঠান্ডা মাথায় কি করে আছো।
মাথা ঠান্ডা না রখলে এই লোকগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারবিনা।
ইসলামভাই ঠিক কথা বলে অনি হচ্ছে বরফ। ওর মাথার দম কয়েক কোটি টাকা।
ইসলামভাই আমাকে বড্ড বেশি ভালবাসে।
তোমাকে কে না ভালোবাসে। তুমি কারুর ক্ষতি চাওনা। বরং ভালো চিন্তা করো। শালা অবতারকে দেখো।
বিশ্বাস কর রতন। আমি কোনেদিন এই চিন্তা করিনি।
আবার কথা।
আরি বাবারে মরে গেলাম।
মেরে তোকে শালা নুলো করে দেবো। মিউজিয়ামের সামনে বসিয়ে দিয়ে ভিক্ষা করাবো।
হিমাংশু হাসতে হাসতে ঘরে ঢুকলো।
ডঃ ব্যানার্জী কেরে।
রতন দেখিয়ে দিলো। এই যে হারামীটা বসে আছে। কেনো দাদা।
উঃ খাসা মাল।
কেনো।
আরে মিত্রার কাছথেকে ওর কাগজের সেভেন্টফাইভ পার্সেন্ট শেয়ার লিখিয়ে নিয়েছে।
তারমানে।
তুই বলছিলি না মিত্রকে দিয়ে ব্ল্যাঙ্ক স্টাম্পপেপারে সাইন করিয়েছিলো।
হ্যাঁ।
তাতে গুছিয়ে নিজের মতো করে লিখে নিয়েছে।
অনিদা তুমি এখনো কিছু বলছোনা। শুয়েরের বাচ্চাকে তুলে নিয়ে চলে যাই।
দাঁড়া দাঁড়া রতন। তাড়াহুড়ো করিসনা। এখন একটু খিস্তি খাস্তা কম কর। দাদার আসার সময় হয়েগেছে।
দাদাকে তুমি নিচে থাকতে বলো।
সে বললে কি করে হবে। ওখানে বড়মা ছোটমা মিত্রার কি অবস্থা বলতো।
সব জানি। ইসলামভাই বলেছে।
আর কি খুঁজে পেলি।
মিত্রার কিছু নেই সব মিঃ ব্যানার্জীর নামে।
আমি তিনটে মেটিরিয়ালর্সের খবর পেলাম।
কি বল।
মিত্রার বাড়িটা ওঁর নামে লিখে নিয়েছে।
হ্যাঁ সেই দলিলটা পেলাম। আমি ওটা রেডি করেছি।
নার্সিংহোমের শেয়ার।
ওটা রেডি করেছি।
কাগজেরগুলো কি করবি।
আজ মনে হচ্ছে সারারাত কেটে যাবে তোর বাড়িতে। রেবা গালাগালি করছে।
ঠিক আছে আমি রেবাকে রিকোয়েস্ট করছি।
না তোকে কিছু বলতে হবে না।
তাহলে কি করবি বল।
আমি কাগজগুলো নিয়ে যাই। যা করার সব করে কালকে সকালে চলে আসবো।
ম্যাডাম কখন আসবে।
বারোটার মধ্যে আসবে বলেছে।
তুই নিয়ে আসবি না চলে আসবে।
ওনাকে নিয়ে আসতে হবে।
গাড়ির ব্যবস্থা করি।
কালকে সকালে আসি।
আরকি মনে হচ্ছে তোর।
আরকি ওর ধান্দা অন্য কিছুছিলো বলে মনে হচ্ছে।
কি মিঃ ব্যানার্জী। মিত্রাকে সরিয়ে দেবার ছক কষেছিলেন নাকি।
বিশ্বাস করো।
তুমি ঠিক কথা বলেছো অনিদা। কত বড়ো খানকির ছেলে চিন্তা করো। এটাতো মাথায় আসে নি।
তাহলে ওগুলো করেছিলেন কেনো।
সব মলের বুদ্ধিতে।
মিত্রার সঙ্গে আপনার ডিভোর্স কবে হয়েছে।
আটমাস হয়েগেছে।
ওগুলো কবে করিয়েছেন।
তার আগে।
রেস্ট্রি হয়েছে।
না।
তাহলে।
ও যদি কথা না শোনে ভয় দেখাবার জন্য।
মিত্রাকি আপনাদের ক্যাশ বাক্স।
চুপচাপ।
বোবা হয়ে থাকবেন না আমার উত্তর চাই।
কাগজে সইয়ের অথরিটি কার ছিলো।
সুনিতের।
ওতো আপনার ভাগ্নে।
হ্যাঁ।
কতটাকা দুজনে সরিয়েছেন।
চুপচাপ।
টাকাগুলো কোথায় লাগিয়েছেন।
মলের প্রমোটিং বিজনেসে।
ওই শেয়ারের কাগজ কোথায়।
বাক্সে আছে।
লন্ডনের ভদ্রমহিলা জীবিত না মৃত।
জানিনা।
কতটাকা তার সরিয়েছেন।
একপয়সাও না।
প্যান্টের পকেট থেকে তানিয়ার চিঠিটা বার করলাম। দেখলাম সেখানে লেখা আছে চার লক্ষ ডলার।
ডাক্তার আমার দিকে জুল জুল করে চেয়ে আছে। বুঝে গেছে এই চিঠিই ওর মারন অস্ত্র বয়ে এনেছে লন্ডন থেকে। ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললাম।
আপনি চারলাখ ডলার সেই ভদ্রমহিলার সরিয়েছেন। ইন্ডিয়ান কারেন্সিতে প্রায় দেড়কোটি টাকা। কোথায় রেখেছেন।
অনেক দিন আগের কথা। মনে নেই।
নার্সিংহোমটা করলেন কি করে।
মিত্রার বাবার পয়সায়।
প্রথম সেই ডিডটা কোথায়।
বাক্সে আছে।

সেখানে কার কার নাম ছিলো।
আমার মিত্রা ওর বাবা-মা।
তারমানে ওর বাবা-মার অবর্তমানে মিত্রার পঁচাত্তর আপনার পঁচিশ ভাগ শেয়ার।
চুপচাপ।
কিহলো উত্তরদিন।
আমি মিত্রাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছি।
কতদিন আগে।
বছর পাঁচেক আগে।
মিত্রার বিয়েই হয়েছে আট বছর আপনি সব পাঁচ বছর আগে গুছিয়ে নিয়েছিলেন।
আমি বিয়ে করতে চাইনি।
আপনি চাইলেন না মিত্রার মা আপনার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিলো।
চুপচাপ।
আমার সম্বন্ধে মিত্রা আপনাকে কতটুকু বলেছে।
তুমি ওর ভালো বন্ধু।
বিশ্বাস করেছিলেন।
করিনি।
তাহলে।
চুপচাপ।
মেমসাহেবের ছেলের সঙ্গে মিত্রার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
বিশ্বাস করো।
বিশ্বাসের তেইশ। যা বলছি উত্তর দিন।
হঠাৎ মাথাটা কেমন গরম হয়ে গেলো। ঘরের পরিবেশ অন্যরকম হয়ে গেলো। রতন আমার একপাশে এসে দাঁড়ালো। হিমাংশু আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
চেয়েছিলাম।
ওটা আপনার না অন্য কারুর।
আমার নয়।
বাঃ।
ওখানকার টাকা গুলো নিয়ে এলেন কি করে।
বিয়ের পর গেছিলাম। মল সাহায্য করেছিলো।
হুন্ডিতে।
হ্যাঁ।
ইসলামভাইকে কবে থেকে চেনেন।
আমি চিনতাম না। মলের সঙ্গে পরিচয় ছিলো। ওর থ্রু দিয়ে।
আমার সঙ্গে ইসলামভাই-এর রিলেসনের ব্যাপার জানতেন।
আমরা কেউ জানতাম না।
কাঁচা চামড়া ছাড়া টোডির সঙ্গে আর আপনার সম্পর্ক।
রতন ফিক করে হেসে ফেললো।

টোডির একটা বিজনেস আছে ভাইজ্যাকে।
ব্যানার্জী আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালেন।
কি আপনি জানেন না।
তুমি সব জানো আমি কি বলবো।
টোডি অনেক বড় খেলোয়াড়। আপনাদের দাদা।
ব্যানার্জী মাথা নীচু করে বসে আছেন।
মাথা ওপরে তুলে আমার চোখে চোখ রাখুন।
বিশ্বাস করো।
বম্বে যাওয়ার নাম করে কোথায় যেতেন।
চুপচাপ।
জানেন আমি আঠারো মাস বেশ্যা পট্টিতে কাটিয়েছি। ওই জীবনটা মূলধন করে আপনাদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছি। এখুনি কবিতা আসবে। জিজ্ঞাসা করবেন ও অনেকবার সুযোগ দিয়েছে। একদিন আমার কাছে ঠেসে একটা থাপ্পর খেয়েছিলো। তারপর থেকে ওর জীবনটা বদলে গেলো। আমি যদি আপনার মতো হোতাম রতন আবিদ আমাকে দাদা বলে সম্মান দিত না।
চুপচাপ।
আপনি গোয়া যেতেন।
ব্যানার্জী আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
আপনার গোয়ার নার্সিংহোমথেকে ড্রাগের ব্যবসা রমরমিয়ে চলে। এক মেমসাহেব ভদ্রমহিলা ওখানে থাকেন। এটা অরিজিন্যাল ডা ডুপ্লিকেট।
রতন গিয়ে ডাক্তারের গালে ঠেসে একটা থাপ্পর মারলো। শুয়োরের বাচ্চা চুপচাপ আছিস কেনো। গলার টুঁটি টিপে ছিঁড়ে দেবো। অনিদা যা বলে উত্তরদে খানকির ছেলে।
রতনের গলাটা টেপা একটু জোড় হয়ে গেছিল। ব্যানার্জী খক খক করে কেশে উঠলেন।
গলায় পুরো হাত ঢুকিয়ে দেবো।
টোডি আপনাকে লাইনটা দেখিয়েছে। প্রচুর পয়সা।
কিরে শুয়োরের বাচ্চা কথা বল।
মিঃ ব্যানার্জী গলায় হাত বোলাচ্ছেন।
ভাইজ্যাক আপনাদের মেন জায়গা।
মিঃ ব্যানার্জী আমার দিকে তাকিয়ে।
মিঃ মারানকে চেনেন।
আবার একটা থাপ্পর মারলো রতন। শুয়োরের বাচ্চা চুপ করে আছিস কেনো। উত্তরদেনা।
চিনি।
আমার একটা সৌভাগ্য ইসলামভাই-এর টিমের সবাই আমাকে চেনে না। কি বললাম বুঝতে পারছেন।
না।
ইসলামভাই-এর টিমের কজনকে গোয়া পাঠিয়েছেন।
আবিদ আর ঠিক থাকতে পারলোনা। ছুটে এসে ব্যানার্জীর তলপেটে গোটা কয়েক ঘুসি মারলো। ব্যানার্জী আমার বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে।
দাঁড়াও অনিদা আমার হজম করতে অসুবিধে হচ্ছে। আমি তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারছিনা। রতন বললো।
পারবি একটু অপেক্ষা কর।
ইসলামভাই জানে।
না জানে না। তোকে চিন্তা করতে হবেনা। আমি সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
উঠে বসুন ডাক্তার। এতে আপনার কিছুই হয়নি। আরো বাকি আছে। মলকে নিয়ে পনেরো দিন পড়াশুনো করেছিলাম। আপনাকে নিয়ে পঁয়তাল্লিশদিন পড়াশুনো করেছি।
ছোটবাবু।
আবিদ দেখ আবার কে এলো।
আবিদ বারান্দায় গেলো। পেছন পেছন আর একটা ছেলে।
রতনদা কবিতা। সঙ্গে সাগির আছে।
আবিদ তুলে আন।
আবিদ মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে গেলো।
পেছন পেছন আরো দুটো ছেলে গেলো।
হিমাংশু আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে। ওর ছেলেদুটো সব দেখে শুনে অবাক। ওরা হয়তো হিমাংশুর কাছে আমার সম্বন্ধে গল্প শুনেছে। কিন্তু অনিদা কি বস্তু আজ হারে হারে টের পাচ্ছে।
কবিতা নাচতে নাচতে ঘরে ঢুকলো।
কতদিন পর তোমায় দেখছি অনিদা। কিরে শুয়োরের বাচ্চা অনিদার পায়ের তলায় বসে পোঁদ ঘসছিস। দাঁড়া তোর হচ্ছে।
কবিতা আমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলো।
আসতে অসুবিধা হয়নি।
না।
অবিদ দেখলাম সাগিরের মুখ চেপে তলপেটে ঘুসি মারতে মারতে নিয়ে এলো।
শুয়োরের বাচ্চার তেজ দেখেছিস।
আরে করো কি। আমার জন্য রাখো। সব তোমরা করে ফেললে আমি কি আঙুল চুষবো। কবিতা হাসতে হাসতে বললো।
তুই এতো সেজেছিস কেনো।
কোথায় সাজলুম গো। তোমার কাছে আসছি একটা ভালো কাপর পরলুম।
রতনকে চিনিস।
নাগো। মাসিকে ফোন করলুম। মাসিতো শুনে টং। বলে এখুনি খানকির ছেলে গুলোকে মেরেদে।
তুই আবার মাসিকে বলতে গেলি কেনো।
সেকিগো তোমার গায়ে হাত দেবে মাসিকে বলবোনা।
সাগির ছেলেটি মার খেয়ে এরি মধ্যে কেলসে গেছে। নিস্তব্ধে এরা মারতে মারতে ওপরে নিয়ে এসেছে। মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ করতে পারে নি।
কিরে সাগির।
একটু জল।
কবিতা ওকে একটু জলদে। টেবিলের ওপর বোতলটা আছে।
না না। শুয়োরের বাচ্চা জল চাইছে। খানকি একটা মেয়েকে কোথা থেকে তুলে এনে শুয়েছিল। তুলে এনেছি।
উঃ কবিতা থাম। আমার পাশে এসে বোস।
কবিতা আমার পাশে থেবরে বসে পরলো।
এই হচ্ছে রতন।
কবিতা ঠক করে রতনের পায়ে হাত দিল। রতন একটু সরে দাঁড়ালো।
একিগো তুমি আমার প্রণাম নেবেনা। নষ্টমেয়ে বলে।
না। তুমি অনিদার কাছের লোক। অনিদার যারা কাছের লোক তাদের আমি পায়ে হাত দিতে দিইনা।
বেশ বেশ। হ্যাঁগো অনিদা তুমি ভজুকে সঙ্গে রাখলে। আমার একটা ব্যবস্থা করো। আর ভালো লাগেনা।
ইসলামভাইকে বল।
কতদিন দেখিনা দাদাকে।
অবতারকে কি করবি।
ও তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। দুটোকে আমি সাইজ করে দেবো। দেখবে আর কোনোদিন মুখে আনবেনা তোমার নাম।
সাগির।
দাদা বিশ্বাস করুন। আপনাকে আগে দেখিনি। দেখলে এরকম করতাম না।
তোকে অবতার কিছু বলেনি।
হারামী বলেকিনা তোকে কিছু করতে হবেনা আমি সাল্টে দেবো।
তোর কাছ থেকে কত নিয়েছে।
পাঁচ লাখ।
কিরে অবতার তখন মিথ্যে কথা বললি।
বিশ্বাস করো দেবে বলেছে এখনো দেয়নি।
তোর লোক এসে নিয়ে গেছে।
অবতার মাথা নীচু করে বসে আছে।
টাকা কোথায় রেখেছিস। কবিতা ঠাস করে একটা থাবড়া মারলো অবতারের গালে। শুয়োরের বাচ্চা দাদার কাছে মিথ্যে কথা।
সাগির তোকে কে টাকা দিয়েছে।
ওই বাবু। ডাক্তারকে দেকিয়ে দিলো।
কবে।
মল যেদিন দানা খেলো। তার দুদিন আগে।

কত দিয়েছিলো।
কুড়ি দিয়েছিলো। কাজ হাসিল হলে আরো দশ দেবে বলেছিলো।
এরা কি শুয়োরের বাচ্চা বলো রতনদা। কবিতা বললো।
তুমি দেখো। অনিদা কেমন ঠান্ডা মাথায় এদের সঙ্গে কথা বলছে।
তুমি আর কতদিন অনিদাকে দেখেছো। আমি অনিদার পাশে ছিলাম। জানি।
টাকা কোথায় রেখেছিস।
সব হজম হয়ে গেছে।
তুমি পারবেনা অনিদা। একাজ তোমার নয়। তুমি আবিদের কাছে ছেড়েদাও। সব গল গল করে বারকরে দেবে। রতন বললো।
কিরে।
তোমার পায়ে পরছি।
অনি আমি একটু বাথরুমে যাবো।
মোত ওখানে খানকির ছেলে। তোর এখনো বিট বাকি আছে। রতন খেঁকিয়ে উঠলো।
ওটা সেই ডাক্তার।
হ্যাঁ।
ওমা কি দেখতে গো এককেবারে ভদ্দরলোক। ও আবার এরকম খানকির ছেলে কবে থেকে হলো।
ওইতো আমাকে আর ইসলামভাইকে মারার জন্য এদের ফিট করেছিলো।
কিরে হারামী তুই যে আসতে আসতে বললি ওদের সঙ্গে আর একটা মেয়েছেলেকে স্কিম করছিস। সাগিরের দিকে তাকিয়ে কবিতা বললো।
ওটা ম্যাডাম অনিদার কাগজের মালকিন। অনিদার.........। রতন বললো।
খানকির ছেলে। রতনদা তুই সর। শুয়োরের বাচ্চা। যেখান থেকে বেরিয়েছিলি সেইখানে ঢুকিয়ে দেবো।
কবিতা উঠে দাঁড়ালো। কাপরটা কোমরে পেঁচিয়ে সাগিরের বুকে ঠেসে একটা লাথি মারলো। অবতার কবিতার পা জাপ্টে ধরলো।
শুয়োরের বাচ্চা পা ছাড়।
কালকা যোগী গাঁড়মে বলতা হ্যায় জটা।
কবিতাকে রতন ধরে রাখতে পারেনা। অবিদ ছুটে এলো।
ছাড় তোরা। আমার গাড়িতে তুলেদে। অনিদা বললেও কিছু হবেনা আজই হাপিশ করে দেবো। খানকির ছেলে।
ঘরে হুলুস্থূলুস কান্ড বেঁধে গেছে। সাগির অবতারকে ওরা বেধড়ক মারছে।
আমি উঠে দাঁড়ালাম। হিমাংশু আমার হাতটা চেপে ধরেছে। ওর সঙ্গে আসা ছেলেদুটোর চোখ ভয়ে পাংশু।
এরপর তোমায় খাবো। ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে। ইসলামভাইও আটকাতে পারবেনা। কবিতা চেঁচিয়ে উঠলো।
আমি কবিতার কাঁধে হাত রাখলাম। কবিতা আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কেঁদে ফললো। মাসি আমাকে সব বলেছে। তোমায় ওরা মারবে। তুমি একবার হ্যাঁ বলো।
তোকে শুয়োরের বাচ্চা অনিদার কথা বলিনি। ঠেসে একটা লাথি কষালো অবতারের মুখে। ঠোঁট থেকে রক্ত বেরহতে আরম্ভ করলো। তুই কেনো বলিসনি সাগিরকে।
আমি টাকা হজম করার জন্য কাজটা নিয়েছিলাম। বিশ্বাস কর।
আচ্ছা আচ্ছা তুই কাঁদিসনা। আমাকে একটু ভাবতে দে।
তুমি এদের জানোনা। এরা কুত্তার জাত। তুমি না বললেও মাসি এদের রাখবেনা। ওখানে সবকটাকে বসিয়ে রেখেছে।
ঠিক আছে আমি দামিনী মাসীর সঙ্গে কথা বলবো। তুই কাঁদিসনা। আমিতো বেঁচে আছি।
কবিতা আমাকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ঘরের সবাই থ। মিঃ ব্যানার্জীর মুখটা শুকিয়ে পাংশু হয়েগেছে। 
 
 
 
 
 
 
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks